নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীকে সম্মান করতে হবে

২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

ছবিঃ আমার তোলা।

একটি প্রদীপ তৈরি করে তা জ্বালিয়ে চারদিক আলোকিত করতে অনেক সময় লাগে কিন্তু ফু দিয়ে প্রদীপ নেভানোর জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।

একটা কৌতুক দিয়ে লেখাটা শুরু করি-
আমেরিকান এক ট্যুরিস্ট এসেছেন বাংলাদেশ ট্যুর করতে। তিনি অতি দাম্ভিক। বাংলাদেশকে তিনি হাতে গোনার মতো দেশ মনে করেন না। তিনি মনে করেন আমেরিকাই সেরা। বাংলাদেশে এসে একটি ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে তিনি ঢাকা শহর ঘুরতে বের হন। ট্যাক্সিক্যাব ড্রাইভার'ই তার গাইড। জাতীয় জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, গনভবন, বঙ্গভবন, বাংলা একাডেমি, সংসদভবন ইত্যাদি আকর্ষনীয় স্থান গুলোতে তাকে ঘুরাচ্ছে ড্রাইভার-কাম-গাইড। কিছুতেই মন ভরছে না ট্যুরিস্টের। সবকিছুতেই তার তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাব। ড্রাইভারটি কত শখ করে তাকে আকর্ষনীয় স্থানগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। ট্যুরিস্ট জানতে চান এটা কি, ওটা কি? সংসদ ভবন, বাংলা একাডেমী ইত্যাদিকে তাচ্ছিল্য করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এমন জাদুঘর, সংসদ ভবন, চিড়িয়াখানা দুই চারদিনের'ই অহরহ তৈরি হয়। তার এ ধরনের তাচ্ছিল্যভাবে বাংলাদেশি ড্রাইভারটি মনে খুব কষ্ট পায়। মন খারাপ করে এবার সে আমেরিকান ট্যুরিস্ট সাহেব কে নিয়ে যায় বুড়িগঙ্গা ব্রিজের ওপর। ট্যুরিস্ট জানতে চান এটা কি? ড্রাইভার বলেন, এটা বোধ হয় একটা ব্রিজ এবং ব্রিজের নিচে একটা নদী। তবে সকালে এ রাস্তা দিয়ে ট্যাক্সি চালিয়ে যাবার সময় নদী ও ব্রিজটা দেখিনি। মনে হয় সকালের পর দুপুরের দিকে এটা বানানো হয়েছে।

নারী সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিগন নানান মন্তব্য করেছেন।
সত্যজিৎ রায় বলেছেন- 'মেয়েদের সম্বন্ধে আমার অবচেতনে একটা বিশ্বাস আছে যে তারা মূলত বেশি সৎ, বেশি স্পষ্ট ভাষী। 'হুম, সত্যজিৎ রায় এর সাথে আমি সম্পূর্ন একমত। তারা সহজ সরল বলেই ছেলেরা সুযোগ পায়। আসলে নারীকে সবচেয়ে কম বোঝে পুরুষ'রা। ধর্ম, রাষ্ট ও সমাজ- কোনও দিক থেকেই নারী তার যথাযোগ্য মর্যাদা পায়নি। আচ্ছা, মানুষ হিসেবে পুরুষ ও নারীতে সবচেয়ে বেশি বিভেদ কি ধর্ম সৃষ্টি করেছে? সুরা আহ্জাবে লেখা- 'হে নারীগন, তোমরা গৃহসমূহে অবস্থান করো এবং সজ্জিত হয়ে গৃহের বাইরে যেয়ে নিজেদের সৌন্দর্য ও বেশভূষা পরপুরুষকে প্রদর্শন করবে না- যেমন অন্ধকার যুগের নারীগন প্রদর্শন করত। (যে বস্তু ঢেকে রাখা হয়, সেই বস্তুর প্রতি মানুষের আর্কষন বেশি হয়।)

সৌন্দর্য শুধু নারী-শরীরে নয়, পুরুষ শরীরেও থাকে; তবে আবৃত্ত করবার দায় কেবল নারীর একার কেন? মানুষ তো মানুষের বন্ধু।অন্ধকার কেটে গেলে মানুষ মানুষের বন্ধু হয়। আরব দেশের বর্বরতার যুগ এখন নেই। অন্ধকার কেটে গেছে। শরীরের চেয়ে এখন কাজকর্ম বড়, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চেয়ে ব্যক্তিত্বই প্রধান। বাজে লোকদের যদি কু-প্রবৃত্তি থাকে, তবে পর্দা দিয়ে সেই কু-প্রবৃত্তি দূর করা যাবে না। পর্দাপ্রথায় নারী-হরন, নারী ধর্ষন, নারীহত্যা দূর হবে না। তিরমিজি হাদিস শরিফে লেখা- স্ত্রীলোক গোপনীয় বস্তু, যখন সে পর্দার বাহির হয়, শয়তান তাহাকে পুরুষের চক্ষে মনোমুগ্ধকর করিয়া দেখায়। পুরুষের চরিত্রে যদি দোষ থাকে, স্ত্রীলোকের পর্দা থাকুক বা না থাকুক- সে স্ত্রীলোককে আক্রমন করে, দোষ এখানে শয়তানের নয়, পুরুষের। মানুষ শিক্ষিত না হলে, সমাজ ও রাষ্টনীতির সংস্কার না হলে কুচক্রী মৌলবাদীরা ধর্মের নামে মানুষকে কেবল পেছনে ঠেলবে।

প্রবাদ আছে ধোপার যে কুকুর, সে না ঘাটের, না ঘরের।
একা একটি মেয়ে বেশ স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করলে সমাজের 'ভালো মানুষ গুলো' বেশ আশকারা পেয়ে যায়। তারা সুযোগ খোঁজে কিছু না কিছু অঘন ঘটিয়ে আনন্দ নেবার। আমাদের দেশে নির্মল আনন্দের চাহিদা তত নেই, মানুষ শুধু আনন্দ খোঁজে, বিকৃত আনন্দ। ছেলেরা শুধু ভালোবাসার কথা বলে, কিন্তু কেউ বিয়ের কথা বলে না। সংসার ভাঙ্গা একটি মেয়ে নিয়ে সারাদিন আড্ডা দেওয়া যায়, পাশাপাশি বসে সারাদিন গল্প করা যায়, আয়েশ করে চা-পান করা যায়, দেশ-সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে বিকেল সন্ধ্যা পার করা যায়, কিন্তু বিয়ে করা যায় না। বিত্তবান কোনও মেয়ে এবং বস্তির মেয়েটির মধ্যে, শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতের মধ্যে মূলত কোনও পার্থক্য নেই। যারা আইন বানায়, অধ্যাদেশ তৈরি করে, তারা এত উঁচুতে বসে থাকে যে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের তোয়াক্কা করে না।

পত্রিকা খুললেই চোখে বেশি পড়ছে- খুন, অপহরন, ধর্ষন।
সাম্প্রতিককালে দু'ধরনের অপরাধ প্রবনতা বাংলাদেশের মানুষের মন বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ইভটিজিং ও অনৈতিক সম্পর্ক। একটি মেয়ে ভালো না খারাপ তা মানুষ খুব সহজেই বিচার কইরে ফেলে। বাজারের একটি লাউ যেমন ভালো না খারাপ দাড়িয়েই রায় দিয়ে দেওয়া যায়। আমাদের সমাজে কোনও মেয়ের পথই মসৃন নয়। মেয়েদের নানান পাথর সরিয়ে সামলিয়ে হাঁটতে হয়। আচ্ছা, ছেলে আর মেয়েতে কি সত্যিই বন্ধুত্ব হয়? আসলে, সত্যি কথা বলতে কি মানুষের কোনও সম্পর্কই স্থায়ী হয় না। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানূষ অশিক্ষিত। অশিক্ষিত মানুষ ভালো-মন্দ শিক্ষা নেয় ধর্ম থেকে। আর সব ধর্ম শেষে একটি সিদ্ধান্তে এসে স্থির দাঁড়ায়, তা হলো- স্বাধীনতায় নারীর কোনও অধিকার নেই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: যেদিন নারীকে আমরা সকলেই মানুষ বলে গন্য করবো ওই দিন সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবীজী বলেছেন.....

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: কেউ বলুক আর না বলুক----

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক পেছনে, আফগানদের অবস্হা একই রকম।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুনেছি আফগানরা নাকি ভালো কাবাব বানায়। আমার খেতে খুব ইচ্ছে হয়।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

আনসারী বলেছেন: ইসলাম ধর্ম নারীকে তার যথোপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছে। রাস্ট্র ব্যবস্হাও নারীকে কম মর্যাদা দেয় নি। কিন্তু আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা এখনো নারীকে সেভাবে মর্যাদা দিতে শিখেনি।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম ধর্ম কিছু দেয় না। দিতে পারে না।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নারীকে সম্মান করতে কোন নারী কখনো বলেছে বলে আমার মনে হয়।নারী চায় তাকে যেন অসম্মান করা না হয়।যেটা আমরা বিভিন্ন ভাবে করি।প্রথম করি তাকে অর্ধেক সম্পত্তি দিয়ে।সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিলে অনেকটা এগিয়ে যাবে নারী।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.