নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন বই পড়ি

৩০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৪



১। 'অলৌকিক নয়,লৌকিক' লেখক- প্রবীর ঘোষ।
আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা অবশ্যই 'অলৌকিক নয় লৌকিক ১ম-৫ম খন্ড পড়বেন'। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি বই গুলো পড়ে আপনি যা পাবেন তা হয়ত সারা জীবনেও পাবেন না এবং আমার কথা সারা জীবন মনে রাখা লাগবে। বইগুলো পড়লে ৯৯% অলৌকিক বিশ্বাস দূর হয়ে যাবে।

২। জীবনানন্দ দাশের কবিতা সমগ্র।
সাহিত্যের আলোচনায়, অথবা যে-কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে শিল্পীর জীবনী জানবার প্রয়োজন আছে কি না তাই নিয়ে গত শতকে তর্ক তুলেছিলেন প্রকরণবাদী সাহিত্য-ভাবুকেরা। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, কবিতা সমগ্র পড়ার আগে- জীবনানন্দ দাশ এর জীবনী ভাল করে পড়ে নিবেন।

৩। 'চরবিনাশকাল'- লেখক আবু বকর সিদ্দিক।
ছোটগল্প গল্পের বই। অথবা এটা ভাল না লাগলে রশীদ কবিমের ' মায়ের কাছে যাচ্ছি'' পড়ে দেখতে পারেন। দুটা বই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। পড়ুন সময় অপচয় হবে না, এতটুকু আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি।

৪। 'গল্পমালা' লেখক- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
গ্রহ-নক্ষত্রের কথা, পশুপাখি ও গাছপালার কথা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা, রামায়ণ-মহাভারত ও পুরাণের গল্প, দেশ-বিদেশের নতুন ও পুরোনো কাহিনি, ইতিহাস ও ভূগোল, ছড়া-কবিতা-গান ইত্যাদি রচনা করেছেন। নিজের বইয়ের ছবি নিজেই আঁকতেন। স্কুলজীবনেই ছবি আঁকায় দক্ষতা অর্জন করেন। কলেজে পড়াকালে শেখেন ফটোগ্রাফি। গান-বাজনায়ও আগ্রহ ছিল।

৫। 'নিমন্ত্রন' লেখক- তসলিমা নাসরিন।
নিমন্ত্রন পড়ে তো আমি হতবাক!!! মেয়েরা সুদর্শন ছেলে দেখে প্রেমে পড়ে এবং সেই ছেলের দ্বারা প্রতারিত হয়ে তার বন্ধু-বান্ধব‘দের দ্বারা ধর্ষিত হয়। এই লেখিকার বই পড়ার আগে তার জীবনী ভাল করে পরে নিবেন। তসলিমা নাসরিন নিজেই নিজের সম্পর্কে সহজ সরল ভাষায় লিখেছেন। খুবই সাহসী মহিলা। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতাম।

৬। 'প্রথম প্রতিশ্রুত', 'সুবর্নলতা' ও 'বকুল কথা' লেখক- আশাপূর্না দেবী।
'প্রথম প্রতিশ্রুতি' বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তী কালে এই উপন্যাসটি অবলম্বনে একটি বাংলা সিনেমাও তৈরি হয়। এটি একটি উপন্যাস ত্রয়ীর প্রথম উপন্যাস। পরবর্তী দুটি উপন্যাসের নাম হল- 'সুবর্ণলতা' এবং 'বকুলকথা'।

সত্যবতী- সুবর্ণলতা- বকুল: তিন প্রজন্ম। সত্যবতীর অগ্নিসম বিদ্রোহিনী রূপ থেকে যাত্রা শুরু করে সুবর্ণলতার চাপা আকাঙ্ক্ষার পথ ধরে বকুলের সময়ে সনাতনী যুগের অবসান প্রাঙ্গনে এসে সমাপ্ত আশাপূর্ণা দেবীর এই ট্রিলজি উপন্যাস। এত অপূর্ব লেখা, শেষ হওয়ার পরেও কিছুক্ষণ বইটা হাতে নিয়ে বসে ছিলাম। শেষ হয়েও শেষ না হওয়ার এক অবর্ণনীয় অনুভূতি রেখে গেলো।

৭। 'ফেলুদা সমগ্র' লেখক- সত্যজিৎ রায়।
ফেলুদা সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' প্রকাশিত হয়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত এই সিরিজের মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও চারটি অসম্পূর্ণ গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ফেলুদার প্রধান সহকারী তাঁর খুড়তুতো ভাই তপেশ রঞ্জন মিত্র ওরফে তোপসে ও লেখক লালমোহন গাঙ্গুলি (ছদ্মনাম জটায়ু)।

৮। 'কুবের সাধু খাঁর বিষয় আশয়' লেখক- শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়।
এ হাউস ফর মি. বিশ্বাস' এবং 'কুবেরের বিষয় আশয়' উপন্যাস দুটির কাঠামোও প্রায় একই রকম। উপন্যাস দুটির ঘটনা একটানা বর্ণিত হয়নি। বরং দুটি উপন্যাসেই চরিত্র গুলো, নায়ককে সামনে রেখে নানা পর্ব বিভক্ত হয়ে মূল কাহিনীকে টেনে নিয়ে গেছে। অন্যরকম একটা বই।

৯। 'বসুধারা' লেখক-তিলোত্তমা মজুমদার।
লেখক ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। এই উপন্যাসে পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলনের পরবর্তী সময়ের ছবি দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি, পাঠকের মননকে সমৃদ্ধি দান করবে এই বই।

১০। 'দুচাকায় দুনিয়া' লেখক- বিমল মুখার্জী।
ভূ-পর্যটক বিমল মুখার্জীর সাইকেলে চড়ে বিশ্ব-ভ্রমণের অমর আখ্যান। ২৩ বছরের ভারতীয় এক তরুন ১৯২৬ সালে একটা সাইকেল আর সামান্য কিছু টাকা নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বেড়িয়ে পরেন। পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করে ভারত ফিরে আসেন ১৯৩৭ সালে। পথে কত রহস্য কত রোমাঞ্চ, এমনকি তরুন হিটলারের সাথে দেখা পর্যন্ত। সে সব শুনুন তারই বয়ানে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

সুখী এলিয়েন বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনার লেখা প্রায় দুই বছর ধরে পড়ছি কিন্তু আপনাকে কখনো ধন্যবাদ দেওয়া হয় নি। অনেক অলসতা বর্জন করে একটা একাউন্ট খুলেই ফেললাম সামুতে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আমার অনেক সময় নষ্ট করার জন্য। ভাই "রাস্তায় পাওয়া ডাইরী" -কে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় না?

৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ২০০ টা পর্ব লেখার পর বাদ দিয়েছি। আর কত?
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা- ২০০ পর্ব লিখে বাদ দিয়েছি। আর কত?

২| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বলা চলে কোনোটাই পড়ি নাই।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রচুর পড়তে হবে ভায়া। পড়ার বিকল্প কিছু নাই।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: এত বই পড়লে মৌলিক চাহিদা মেটাবো কী করে? বাসায় তো ঝামেলা বেধে যাবে :(
জানেন তো ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: রিজিকের মালিক আল্লাহ।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

অক্পটে বলেছেন: বই পড়া ভাল তবে অবসরে। সংসারের পরে।
আর ১নং টাতে কি ৯৯% নাস্তিক হওয়া যাবে? নাকি শংসয়বাদী হয়ে থাকতে হবে।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তিক আস্তিক বিষয় না। মানুষের মনে বাস করা কুসংস্কার গুলো দূর হয়ে যাবে।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৬,টিভিতে দেখেছি,প্রতিটা পর্ব ভাল।ফেলুদাও তাই।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অনেক অলস।
ঠিল ভাবে পড়েন না। লিখেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.