নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
হযরত সুলাইমান ছিলেন একজন নবী এবং প্রতাপশালী বাদশাহ।
তিনি ছিলেন ইসরায়েলের একজন রাজা। তার পিতাম নাম দাউদ। দাউদ এর মোট সন্তান ছিলো ১৯ জন। মহান আল্লাহ সুলাইমানকে এমন কিছু নেয়ামত দান করেছেন, যা অন্য কোনো নবীকে দান করা হয়নি। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি দাউদের জন্য সুলাইমানকে দান করেছিলাম, সে কতই না উত্তম বান্দা। অবশ্যই সে ছিল আমার প্রতি সদা প্রত্যাবর্তনশীল।’ আল্লাহ সুলাইমান (আ.)- এর জন্য বাতাসকে অনুগত করে দিয়েছিলেন। জিন জাতিকে তার অনুগত করে দিয়েছিলেন। পক্ষীকুলকে তাঁর অনুগত করে দিয়েছিলেন এবং তিনি তাদের ভাষা বুঝতেন। পাখিরা সুলাইমান (আ) এর হুকুমে বিভিন্ন কাজ করত। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পত্র তিনি হুদহুদ পাখির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ‘সাবা’ রাজ্যের রানি বিলকিসের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ৫৩ বছরের দুনিয়ার জিন্দেগিতে ৪০ বছর যাবত রাজ্য পরিচালনা করেন।
হযরত সুলাইমান (আ) অনেক ধনী মানুষ ছিলেন। তার একবার ইচ্ছা হলো- তিনি সারা বিশ্বের সমস্ত লোককে খাওয়াবেন। তাই তিনি বললেন, হে মহান আল্লাহপাক আমি সমস্ত মাখলুককে এক বছর খাওয়াতে চাই। আপনি দয়া করে অনুমতি দেন। আল্লাহপাক বললেন, সেটা সম্ভব নয় সুলাইমান। সুলাইমান বললেন, তাহলে ছয় মাস। আল্লাহপাক বললেন, সেটাও সম্ভব নয়। সুলাইমান বললেন, তাহলে এক মাস খাওয়াই। আল্লাহপাক বললেন, সেটাও সম্ভব নয়। সুলাইমান বললেন, তাহলে পনের দিন। আল্লাহপাক বললেন, সেটাও সম্ভব নয়। সুলাইমান বললেন, তাহলে ৭ দিন। আল্লাহপাক বললেন- না, সেটাও সম্ভব নয়। সুলাইমান বললেন, তাহলে অন্তত এক দিন। আল্লাহপাক বললেন, চেষ্টা করে দেখুন।
হযরত সুলাইমান তখন খাবার যোগাড় করতে লাগলেন।
এভাবে এক বছর ধরে খাবার যোগাড় করলেন। খাদ্যের পাহাড় করে ফেললেন। ঢাকডোল পিটিয়ে কুল-মাখলুকাতের সবাইকে খাওয়ার দাওয়াত দেয়া হয়েছে। খাওয়ার সময় হলো, তখন সবাই আসলো। সমুদ্র থেকে একটা বড় মাছ এসে বললো, খাবার কোথায়? হযরত সুলাইমা বললেন, ঐ যে খাদ্যের পাহাড় জমা আছে, সেখান থেকে ইছে মতো খাও। পেট ভরে খাও। সে মাছ এক লোকমায় সব খাবার খেয়ে ফেললো আর বললো- আমি প্রতিদিন এরকম তিন লোকমা খাই। এক লোকমা খেয়েছি। আরো দুই লোকমা কোথায়? সুমাইলাম কি করবেন বুঝতে পারছেন না। তখন হযরত সুলাইমান সিজদায় পড়ে গেলেন। এবং বললেন, হে মহান আল্লাহপাক! একটা মাছে তো এক লোকমায় সব খেয়ে ফেললো। এবং আরো দুই লোকমা চাচ্ছে। আর অন্যরাই বা কি খাবে? মহান আল্লাহপাক বললেন, আপনি চিন্তা করবেন না। আমি কুদরতী ভাবে সবার পেট ভরিয়ে দিবো। ঠিক তাই করা হলো। তারা সবাই পেট ভরে খেয়ে বিদায় নিলো। সুবহানাল্লাহ!
(এ গল্পটির কোনো প্রমাণ নেই। এ ঘটনাটি একেবারেই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ওলামায়ে কেরাম তা ভ্রান্ত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে অনেক অসংগতি রয়েছে, যা একজন নবীর ব্যাপারে কখনো সংগত নয়। এরকম লাখ লাখ ভুল এবং বানোয়াট গল্প মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত আছে। অনেকে বলেন সুলাইমান (আ) ৭০ টা বিয়ে করেছেন। এটাও সঠিক নয়। তার স্ত্রী ছিলো ৯০ জন। যদিও ইস্রাঈলীরা দাবী করেন তার স্ত্রী ছিলো একহাজারের বেশী। এইসব ভুল এবং অযৌক্তিক গল্প গুলো চিরতরে মুছে ফেলতে হবে। তবে নবিদের মধ্যে সুমাইলাম (আ) এর পাওয়ার ছিলো অনেক বেশী। যিশুর চেয়ে তিনি ভালো ম্যাজিক জানতেন। অলৌকিক ক্ষমতা সুলাইমানের যিশুর চেয়ে বেশী ছিলো। কিন্তু হযরত সুলাইমান তার ক্ষমতার কখনও অপব্যয় করেন নি। এজন্য আল্লাহ তার উপর খুশি ছিলেন।)
৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অনেক জানেন। আপনার তথ্য যুক্তিসঙ্গত মনে হয়।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৭
সুখী এলিয়েন বলেছেন: এই গল্প আমি অনেক বার শুনেছি কিন্তু কখনো যাচাই করে দেখিনি। ধন্যবাদ।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই রকম গল্প শুনেই দৃঢ় মুসলমান হয়েছিলাম,একটু বড় হয়ে এইরকম গল্প শুনেই দুর্বল মুসলমান হয়ে যাই।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকেরই এরকম হয়েছে।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই রকম গল্প শুনেই দৃঢ় মুসলমান হয়েছিলাম,একটু বড় হয়ে এইরকম গল্প শুনেই দুর্বল মুসলমান হয়ে যাই।
যথার্থ অনুভূতি।
সহমত।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভাবছি, আমার যদি সুলাইমানের মতোণ পাওয়ার থাকতো, তাহলে বেশ হতো।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সবরূপ কথা এক সময় অনেক ভালো লাগতো।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: রুপকথা আমাদের আনন্দ দেয়। বিনোদন দেয়।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক কিছুই জানালেন রাজীব দা
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
এমেরিকা বলেছেন: লাল ছাগলের কিছু সাঙ্গপাংগ জুটে গেছে। এবার লেদিয়ে গন্ধ করতে সুবিধা হবে।
ডেভিড ছিল ইহুদী নবী শামায়েলের শিষ্য যে কিনা ফিলিস্তিনের রাজা গোলিয়াথকে পরাজিত করে সেই রাজ্যের রাজা হন। পরবর্তীতে তার পুত্র সলোমন ফিলিস্তিনের রাজা হন, এবং টেম্পল অব রক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ইসলাম ধর্মে হযরত সুলাইমান (আ) নামে পরিচিত হন। এগুলো রূপকথা নয়, বরং এগুলোর ঐতাহাসিক ভিত্তি আছে। এসব গল্প শুনে যাদের ঈমান দূর্বল হয়ে যায়, তাদের উচিত নয় এত ঠুনকো ঈমান নিয়ে ঈমান্দার সেজে থাকা।
৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০২
রাজীব নুর বলেছেন: উনি একজন জ্ঞানী মানুষ। উনাকে সম্মান করে কথা বলুন।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
এমেরিকা বলেছেন: উনাকে ছাগলের মত কথাবার্তা বন্ধ করতে বলুন। প্রাপ্য সম্মান উনি পাবেন। আমার সম্মান নিয়ে খেলবেন, তো আমি ওনাকে ছাগল ডাকবো!
৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: উত্তম হোন।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪১
এমেরিকা বলেছেন: ওনার জ্ঞানের দৌড় কতখানি, তার পরিমাপ আমি বেশ কয়েকবার দিয়েছি। তারপরেও এই কাঠাল্পাতা খোরকে যে জ্ঞানী বলবে, তার বোধজ্ঞান নিয়েই আমার সন্দেহ জাগে।
০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি জ্ঞানী নই। কিন্তু তিনি জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ মানুষ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
তিনি জেরুসালেম এলাকার সামন্ত রাজা ছিলেন; যেরুসালেমে ইহুদীদের জন্য বড় টেম্পল তৈরি করেছিলেন; বাকীগুলো রূপকথা। উনার বাবা রাজা ডেভিড ছিলেন কৃষক পরিবারের ছেলে, পরে রাজা হয়েছিলেন।