নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীজির কিছু অলৌকিক ঘটনা

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২০



১। মহানবী (সা.)-এর দেহ নূরের তৈরি বলে তাঁর শরীরের কোন ছায়া ছিল না। মানুষের ছায়া কত ময়লা-আবর্জনার ওপর পতিত হয়, কত পশু-পাখী অথবা মানুষের পায়ের তলায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র দেহের ছায়া এভাবে অপদস্থ হওয়া আল্লাহ তা’আলার অভিপ্রেত নয়। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাঁর দেহ ছায়াহীন করে তৈরি করেছেন।

২। রাসূল (সা.) যখন পথ দিয়ে চলতেন, তখন এক খণ্ড মেঘ তাঁর মাথার ওপর ছায়া বিস্তার করে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে বেড়াত।

৩। হযরত হালিমা বর্ণনা করেন, ”শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে আমার গৃহে আনার সাথে সাথেই রহমত বরকত প্রকাশ হতে লাগল। এতো পরিমাণ দুধ নির্গত হলো যে, হযরত (সা.) এবং তাঁর দুধ ভাই একান্ত তৃপ্তির সাথেই দুধ পান করে ঘুমিয়ে পড়তেন।” আর উটনীর দিকে চেয়ে দেখতে পাই, সেগুলোর স্তন দুধে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

৪। হযরত হালিমা বর্ণনা করেছেন, তিনি কখনও শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে উলঙ্গ অবস্থায় রাখতে পারতেন না। সেরূপ করলেই তিনি চিৎকার করতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তার শরীরের উপর চাদর টেনে দেয়া না হতো ততক্ষণ তিনি ক্রন্দন থামাতেন না।
হালিমা বলেন, যেদিন হতে আমি জানতে পারলাম, শিশু মুহাম্মদ (সা.) উলঙ্গ থাকতে পছন্দ করেন না, সেদিন হতে আর কখনও তাঁকে উলঙ্গ রাখিনি। তাঁর দেহ আবৃত করে রাখার জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতাম।

৫। যে ভোর বেলায় মহানবী (সা.) জন্ম নেন, সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি মাটির দিকে নত হয়ে পড়ে।

৬। বিশ্বনবীর মাতা মা আমিনা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমার পুত্র জন্ম নিয়েই তাঁর হাত গুলোকে মাটিতে রেখে মাথা আকাশের দিকে তোলে এবং চারদিকে তাকায়। এরপর তার থেকে একটি নূর বা আলো ছড়িয়ে পড়ে ও সে আলোয় সব কিছু দৃশ্যমান হয়। সেই আলোয় সিরিয়ার (রোমানদের) প্রাসাদ গুলো দেখলাম এবং সেই আলোর মধ্যে একটি শব্দ শুনলাম, যাতে বলা হয়েছে, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে জন্ম দিয়েছ, তাই তাঁর নাম রাখ ‘মুহাম্মাদ’।

৭। বিশ্ব নবীর অলৌকিক ঘটনা বইয়ের ৪৭ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, হযরত হালিমা (রাঃ) এর স্তন পান করার সময় রাসুল (সা.) শুধু তাঁর একটিমাত্র স্তন থেকে দুধ পান করতেন এবং অন্যটি তাঁর দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। এমনকি হযরত হালিমা রা: জোর করেও দ্বিতীয় স্তন থেকে দুধ পান করাতে পারতেন না। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ইনসাফপূর্ণ আচরণের শিক্ষা আর কোথায়ও পাওয়া যাবে না। এটাও রাসুল (সা.) এর সর্বশ্রেষ্ঠ মো’জেযার অন্তর্ভুক্ত।

৮। মোট ৪ বার বিভিন্ন সময়ে বুক বিদারণ করা হয় অর্থাৎ নবীজির বুক কেটে নাড়ীভুঁড়ি বের করে ধৌত করিয়া আবার স্থাপন করা হয় ।

৯। বনের ভেতর একটি মা হরিণকে শিকারীগন গাছে বেধে রাখে। বাচ্চাদের জন্য হরিনটি কাদছিল। নবীজির খুব মায়া হল তাই বাঁধন খুলে দিয়ে নিজেকে বেধে হরিণকে ফিরে আসতে বলেন। বাচ্চা সহ মা হরিণটি তিন দিন পরে ফিরে আসল। নবীজির কান্না দেখে বনের সকল পশুপাখি তিন দিন খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। হরিনের মুখ থেকে কৃতজ্ঞতা সহ মানুষের কথা বের হল।

১০। রাসুল না থাকলে আমরা জানতেই পারতাম না আমাদের স্রষ্টা কে! তিনি আমাদের সাথে অন্যান্য নবী রাসুলদের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইচ্ছা করলে অন্যান্য নবী রাসুলদের সাথে পরিচয় না করিয়ে দিয়েও মুসলিমদের রাসুল থাকতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি।

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ আপনাকে ইসলামের মূল মন্ত্রে
অনুসারীত করে ইসলামের খেদমত করার
সুযোগ দান করুন। আমিন

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমীন। ছুম্মা আমিন।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি যদি আলৌকিকে বিশ্বাস করেনই, প্রবীর ঘোষ পড়তে বলেন কেন?

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: প্রবীর ঘোষের বইটা অসাধারণ। সেটা সমস্ত বাঙ্গালীদের পড়া উচিত। কারন কুসংস্কার বাঙ্গালীদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: *অলৌকিক

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা বুঝতে পেরেছি।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার!

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। মাস্ক এবং বারবার হাত ধোঁয়া অব্যহত রাখুন।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১। মহানবী (সা.)-এর দেহ নূরের তৈরি বলে তাঁর শরীরের কোন ছায়া ছিল না।
এ সম্পর্কে কি কি হাসিদ আছে? সম্ভবতো এটি একটি মিথ্যা প্রচারণা।

২। রাসূল (সা.) যখন পথ দিয়ে চলতেন, তখন এক খণ্ড মেঘ তাঁর মাথার ওপর ছায়া বিস্তার করে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে বেড়াত।
এই ঘটনা সম্ভবতো সব সময় ঘটেনি।


৫। যে ভোর বেলায় মহানবী (সা.) জন্ম নেন, সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি মাটির দিকে নত হয়ে পড়ে।
এইটা আগে কখনো শুনি নাই।



৯। বনের ভেতর একটি মা হরিণকে শিকারীগন গাছে বেধে রাখে। বাচ্চাদের জন্য হরিনটি কাদছিল। নবীজির খুব মায়া হল তাই বাঁধন খুলে দিয়ে নিজেকে বেধে হরিণকে ফিরে আসতে বলেন। বাচ্চা সহ মা হরিণটি তিন দিন পরে ফিরে আসল। নবীজির কান্না দেখে বনের সকল পশুপাখি তিন দিন খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। হরিনের মুখ থেকে কৃতজ্ঞতা সহ মানুষের কথা বের হল।
এটি কোন হাদিসে উল্লেখ আছে?

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বইয়ে পড়েছি।
কিন্তু এসব ঘটনা যুগ যুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে ছিলো, আছে, থাকবে। এসব ঘটনার মধ্যে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে স্কলারদের উচিত আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে ভুল ঘটনা গুলো চিরতরে মুছে দেওয়া।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের মহানবী (সাঃ) নূরের তৈরী না । এ ভুল ধারণা মন থেকে দূর করুন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। জানলাম।
ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সহব্লগারদের চিন্তাভাবনা দেখি আমজনতার কাতারে গিয়ে পৌঁছছে। আপনারা কি মনে করেন, যে ভদ্রলোক সতত ধর্মকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চান, সুযোগ ও ক্ষমতা পেলে বিশ্বাসীদের তিনি পিটিয়ে মারতেন, আজকে তিনি নবীজীর প্রতি ভালোবাসায় এ পোস্ট দিয়েছেন? না, ব্লগীয় এরশাদ ধর্মীয় পোস্ট দেন যেন তার পোস্টে সাম্প্রদায়িক এক বুড়ো, পেট কামড়ানো এক লাল বান্দর, আরও দুয়েকটি মিচকে অর্বাচীন এসে ধর্মকে গালাগালি করতে পারে আর তিনি তেল চেটচেটে হাত কচলাতে কচলাতে জ্বি
জ্বি হুজুর করে উপভোগ করতে পারেন। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে সুস্থ আলোচনা তার উদ্দেশ্য নয় কখনো। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে এই পাতানো মচ্ছব।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই সাধারণ মানুষ। ধর্মকে ঝেটিয়ে বিদায় করার ইচ্ছা আমার নাই। মারামারি আমার স্বাভাব নয়। আমি আজন্ম শান্তিপ্রিয় মানুষ। ধর্ম দিয়ে আমি জীবনযাপন করি না।
আমি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এই পোষ্ট দেই নি। আমি কিছু অলৌকিক বিষয় পড়েছি। তাই ভাবলাম বিষয়টা ব্লগে শেয়ার করি। এই ব্যাস, এই পর্যন্তই।
তবে ব্লগারদের সম্পর্কে আপনার ধারনা অতি নিম্ম। দুইজন গুনী ব্লগারকে নিয়ে এভাবে বলা ঠিক না। এটা শোভন নয়।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি বুঝি না কেউ উনাকে কিছু বলছে না কেন এসব পোস্টের জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বোন, পোষ্টে ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন। ভুল গুলো শুধরে নিতে সহায়তা করুন।
ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছি। এখানে তো কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।

আপনার মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, কেউ এসে আমাকে গালাগালি করলে আপনি খুশি হন। বোন, উন্নত হোন। আপনি মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব। ক্ষুদ্রতা তুচ্ছতা এগুলোকে নদীতে ভাসিয়ে দিন।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজিব ভাই, আমার ৯ নং মন্তব্য টা যদি দয়া করে মুছে দেন তবে আমি আবার মন্তব্য করব কারন তাতে নবী করিম (সঃ) এর দু জায়গায় ছবির ইমো চলে এসেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: থাক। মুছার দরকার কি?
মন্তব্যটা সুন্দর করেছেন। বিষয়টা আমার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে।
তারপরও যদি বলেন, তাহলে মুছে দেই।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি ধর্মীয় পোস্ট লিখেন মশকরা করে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: না না। এটা একেবারেই আপনার ভুল ধারনা।
আমি ধর্ম সমর্কে পড়ি। এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই, আমি আবারো একই মন্তব্য করব শুধু ইমো গুলি মুছে দিয়ে please ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। মুছে দিচ্ছি।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মওলানা আশরাফ আলী থানভির জীবনের ঘটনাকে জেনে শুনে হাদিস বলে চালিয়ে দিয়েছেন আগের একটা পোস্টে। এই কাজগুলি খুব খারাপ। এই পোস্টে যা লিখেছেন সেগুলির বেশীর ভাগেরই কোন দলিল নাই। লোক মুখে প্রচলিত। বহুরূপী ভালমানুষের চেয়ে একরুপী শয়তান উত্তম।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
একটা পোষ্ট দিলে অনেক কিছু জানা যায়। আপনারা জ্ঞানীগুনীজন এসে ভুল গুলো ধরিয়ে দেন। ভালো লাগে।
এই পোষ্ট না দিলে ভুল গুলো কিন্তু আমার জানা হতো না।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করবে যে, নবী (সঃ) আল্লাহর নূর, মানুষ নন, তিনি গায়েবের খবর জানেন, সে আল্লাহ্ এবং রাসূলের (সঃ) সাথে কুফরী করল। সে আল্লাহ্ ও তার রাসূলের দুশমন, বন্ধু নয়। কেননা তার কথা আল্লাহ্ ও রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, সে কাফের।

এর জন্য ,প্রথমেই বুঝতে হবে মানুষ কিসের তৈরী? কুরআনে কারীমের বিভিন্ন আয়াত এবং সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত যে, মানুষ মাটির তৈরী। নূর বা অগ্নির তৈরী নয়।এ ব্যাপারে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে," যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেস্তাদের বললেন-আমি মাটির তৈরী মানুষ সৃষ্টি করব"। (সূরা সোয়াদ-আয়াত - ৭১)।

আল কোরআনের অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে- "তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে"।(সূরা আর রাহমান-আয়াত ১৪-১৫)।আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে," তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি দ্বারা"।(সূরা মুমিন-আয়াত - ৬)।

এখন দেখি,নবীজী (সাঃ) কি ছিলেন ? মানুষ ? জিন ? না ফেরেস্তা ?

রাসূল (সাঃ) জিন নন, এ ব্যাপারে সকলে একমত। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কোন প্রয়োজন নেই।মানব সৃষ্টির প্রথম মানুষ আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) সহ সকল মানুষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি এ মর্মে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন -
"পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটির তৈরী মানুষ সৃষ্টি করব"। (সূরা সোয়াদ-আয়াত - ৭১)।
আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেন - " আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি একটি মানব জাতির পত্তন করব "(সুরা হিজর- আয়াত - ২৮)।

হাদীছ - নবী (সাঃ) বলেন, "তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর আদম মাটি থেকে সৃষ্টি" (বায্ যার প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে’ হা/৪৫৬৮)।স্বয়ং নবী বলেছেন, "মানুষ মাটির তৈরী, ফেরেস্তা নূরের এবং জ্বিন জাতি আগুনের তৈরী" (মুসলিম, যুহদ ও রাক্বায়িক্ব অধ্যায়, হা/৫৩৪)।

আল কোরআনে বলা হয়েছে,"আপনার পূর্বে যত রসূল প্রেরণ করেছি, তারা সবাই খাদ্য গ্রহণ করত এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করত। আমি তোমাদের এককে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। দেখি, তোমরা সবর কর কিনা। আপনার পালনকর্তা সব কিছু দেখেন"।(সূরা ফুরকান,আয়াত - ২০)।

রাসূল (সাঃ) মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারে কাফেরদেরও কোন সন্দেহ ছিল না তার প্রমান -

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে - "বলুন, পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, আমি একজন মানব রাসূল ছাড়া কে? লোকদের নিকট হেদায়াত আসার পর তাদেরকে এ উক্তি ঈমান আনয়ন থেকে বিরত টরাখে যে, “আল্লাহ কি মানুষকে রাসূলস্বরূপ প্রেরণ করেছেন?” বলুন যদি পৃথিবীতে ফেরেস্তারা বিচরণ করত, তবে আমি তাদের নিকট আকাশ থেকে ‘ফেরেস্তা রাসূল’ প্রেরণ করতাম।(সূরা বনী ইসরাঈল-আয়াত - ৯৩, ৯৪, ৯৫)।

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, - " তারা আরো বলে যে, তাঁর কাছে কোন ফেরেস্তা কেন প্রেরণ করা হল না? যদি আমি কোন ফেরেস্তা প্রেরণ করতাম, তবে গোটা ব্যাপারটি খতম হয়ে যেত। এরপর তাদেররকে সামান্য অবকাশও দেয়া হত না। যদি আমি কোন ফেরেস্তাকে রাসূল করে পাঠাতাম, তবে সে মানুষের রূপেই হত। এতেও সে সন্দেহই করত, যা এখন করছে"।(সূরা আনআম ,আয়াত -৮,৯)।

রাসূল (সাঃ) মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারে কোন কাফেরেরও সন্দেহ ছিল না। মক্কার কাফেরদের আশ্চর্যের এটাইতো কারণ ছিল যে, আল্লাহ তাআলা কেন ফেরেস্তা ছাড়া মানুষকে রাসূল বানিয়ে পাঠালেন?এর জবাব আল্লাহ তাআলা কি সুন্দর শব্দে বলে দিলেন। যদি দুনিয়াতে মানুষের বদলে ফেরেস্তারা থাকতো তাহলে আল্লাহ তাআলা ফেরেস্তাই পাঠাতেন রাসূলরূপে। কিন্তু যেহেতু দুনিয়াতে মানুষ বাস করে তাই মানুষকেই পাঠানো হয়েছে রাসূল হিসেবে। এ সহজ কথাটি মক্কার কাফেররা বুঝতো না বলেই আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে বুঝালেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল মুসলমান নামধারী কিছু বেদআতীরাও মক্কার কাফেরদের মতই অভিযোগ করে নবীজী সাঃ মানুষ নন। ফেরেস্তাদের মত নূরের তৈরী। যদি নবীজী (সাঃ) কে মানুষ বিশ্বাস করতে হয়, তাহলে পূর্বোক্ত আয়াতের কালীমা অনুযায়ী বিশ্বাস করতে হবে মানুষ মাটির তৈরী, তাই নবীজী সাঃ ও মানুষ তাই তিনিও মাটির তৈরী।আর যদি বলা হয় রাসূল সাঃ মানুষ নন, ফেরেস্তা, তাহলে মক্কার কাফেররা ফেরেস্তা কেন নবীরূপে পাঠানো হলো না এ অভিযোগ কেন করল?

আল্লাহ তাআলার পর তিনিই শ্রেষ্ঠ। তার মত আর কেউ নেই। তিনি সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মাটির তৈরী সকল মানুষ, আগুনের তৈরী সকল জিন, নূরের তৈরী সকল ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ মাটির তৈরী এ মহামানব রাসূল সাঃ। যেমন সকল নূরের তৈরী ফেরেস্তার মাঝে হযরত জিবরাঈল আঃ শ্রেষ্ঠ। তেমনি মাটির তৈরী এ মহামানব রাসূল সাঃ সকল মাটির তৈরী পয়গম্বর আঃ ও সকল মানুষ ও সকল জিনও ফেরেস্তা থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। তার মত উত্তম ও শ্রেষ্ঠ কোন সৃষ্টি আল্লাহ তাআলা কখনো সৃজন করেন নি, কখনো করবেন ও না। রাসুল (সাঃ) মানুষ মাটির তৈরি, যেমন কোরআন তৈরি কাগজ-কালি দিয়ে কিন্তু কোরআনের একনাম নূর বা হেদায়াত, তেমনি রাসূল (সাঃ) ও রক্ত মাংসের তৈরি শরীরে মানুষ, কিন্তু তিনি হেদায়াতের নূর বা আলো মহামানব, এবং তিনিই মহৎ চরিত্র মর্যাদা সর্বোচ্ছোস্তরে অধিষ্টিত।এর পরও রাসূল সাঃ কে মাটির তৈরী থেকে নূরের তৈরী বানানোর অযথা চেষ্টা করা থেকে আমাদের সকলকে বিরত থাকা উচিত।

আল্লাহ তা’আলা আমাদের এসব অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক থেকে বিরত থেকে আখেরাতের পূজি সংগ্রহ করার তৌফিক দান করুন এবং কোরআন-হাদীসকে সঠিক ভাবে উপলব্দি করার ও মেনে চলার তৌফিক দান করুন

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



তাহেরীর কাছে থেকে বিড়ি টানার দোয়া শিখে
নিয়েন। আপনার বিড়ি টানার সময় কাজে লাগবে।

"এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন:না, ব্লগীয় এরশাদ
ধর্মীয় পোস্ট দেন যেন তার পোস্টে সাম্প্রদায়িক এক বুড়ো,
পেট কামড়ানো এক লাল বান্দর, আরও দুয়েকটি মিচকে
অর্বাচীন এসে ধর্মকে গালাগালি করতে পারে আর তিনি
তেল চেটচেটে হাত কচলাতে কচলাতে জ্বি জ্বি হুজুর করে
উপভোগ করতে পারেন। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে সুস্থ আলোচনা
তার উদ্দেশ্য নয় কখনো। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে এই
পাতানো মচ্ছব। "

- পারফেক্ট বলেছেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: দোয়ায় আমার বিশ্বাস নেই।
বিড়ি মন চাইলে টানবো। দোয়ার ধারধারি না।
এস এম মামুন অর রশীদ আধুনিক চিন্তার মানুষ নন। তিনি কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষ।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: একেই বলে বুঝি ভুতের মুখে রাম নাম।


ঠিক না। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে খেলা করা ঠিক না।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন আপনার বুদ্ধি কমছে।

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



নবী মোহাম্মদ( স: ) চাচার সাথে ব্যবসায়িক কাজে উটের কাফেলায় সিরিয়া সীমান্ত, বসরা নগরী ও সৌদীর বিভিন্ন এলাকায় গমন করেন। পরে তিনি বেগম খাদিজার ব্যবসা চলাতেন একইভাবে। এতে, তিনি ইহুদী ও খৃষ্টানদের ( বায়জান্টাইন ) সংস্পর্শে আসেন। তিনি ইহুদীদের শিক্ষা, ব্যবসা বাণইজ্য ও বায়জান্টাইনদের সম্পর্কে জানতে পারেন; তিনি হয়তো জেরুসালেম যাননি, কিন্তু তিনি সেখানখার ও আলেজান্দ্রিয়ার বায়জান্টাইনদের জীবন সম্পর্কে জেনে নিয়েছিলেন; এতে করে তিনি মক্কাবাসীদের মাঝে বেশ পন্ডিত ব্যক্তিতে পরিণত হন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো তথ্য দিয়েছেন। তথ্যটা যুক্তিসঙ্গত।

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিম্নলিখিত ব্লগারগণ:
এস এম মামুন অর রশীদ, কাজী ফাতেমা ছবি, করুণাধারা, সাড়ে চুয়াত্তর, ইসিয়াক, প্রমুখ খুবই নীচু মানের কমেন্ট করেছেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা কথা সত্য বলেছেন।
আমার বিশ্বাস তারা একদিন ভালো ব্লগার হবেন। ভালো ব্লগার হওয়া কঠিন কিছু না। মন থেকে অন্ধ বিশ্বাস গুলো ঝেড়ে ফেললেই হলো।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

জিকোব্লগ বলেছেন:



বিড়ি টানা ধর্মে বিশ্বাসী। বোঝাই যাচ্ছে কতটা
সেকেলে ও ক্যানসার ধর্মে আপনি বিশ্বাসী। সেই
মানুষ আবার অন্যকে সংস্কারের জ্ঞান দিতে আসে!

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সেলুকাস।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

ওমেরা বলেছেন: আপনার যদি ধর্ম সম্পর্কে লিখতে চান তাহলে পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদীস পড়ুন তার পর লিখুন। আপনি আগের পোষ্টে যেগুলোকে হাদীস বলেছেন সেগুলো হাদীস নয় ।
আপনি কোন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে যে এই ধরনের পোষ্ট দেন না এটা সবাই বুঝে !
আপনি ধর্ম বিস্বাস নাই করতে পারেন , ধর্ম পালন নাও করতে পারেন । ধর্ম নিয়ে এই রকম মশকরা বা মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করিয়েন না ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: না আমি মশকরা করছি না। মোটেও না।
আমি পড়ছি। জানছি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




ব্লগার ওমেরাও ইসলামের প্যাটেন্ট কিনেছেন, মনে হয়; বিদেশে গিয়ে কিছু শিখলেন না।

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

নবীজী অসাধারণ ভাগ্যবান।
এমন ভাগ্যবান মানুষ খুব কমই জন্মগ্রহণ করে।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ওমেরা বলেছেন: আমি এই ধরনের পোষ্টে সাধারণত কমেন্ট করি না , কিন্ত রাজীব নুর কয়েকদিন ধরেই এরকম উল্টা পাল্টা পোষ্ট দিয়েই যাচ্ছে তাই কমেন্ট করা।
ইসলামের পেটেন্ট কিনি নাই , আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি এটা জন্মগত ভাবেই পেয়েছি । আর যতদিন বেঁচে থাকবো পালন করার চেষ্টা করবো ।
আপনাদের কাছে আল্লাহ , রাসুল , কোরআন নিয়ে বানোয়াট কথা , বাজে মন্তব্য করলেই সে মডার্ন , মুক্তমনা , জ্ঞানি , স্মার্ট তাই না।আর এগুলোর পক্ষে বল্লেই তারা নিম্নমানের , মূর্খ , বোকা ভাবেন তাদের।
তাতে কিছু মনে করি না ।
আমি আশা করবো , আপনার ইচ্ছা মত আপনি কমেন্ট করতে পারেন , আমিও সেটা পারি। আশা করবো আমার কমেন্টের সুত্র ধরে আর কোন কথা বলবেন না । কারন আমি এই পোষ্টে আর কিছু বলতে চাই না ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এটা মোটেও উলটা পালটা পোষ্ট নয়। নবিজিকে নিয়ে সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছি। ভুল থাকলে বলেন, এডিট করে ঠিক করে দেই।

২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:




@ওমেরা,

আমি নবী (স: ) কে নিয়ে এই পোষ্টে কমেন্ট করেছি (১৬ নং মন্তব্য ), ইহাতে কোনভাবে নবীকে (স: ) কোনভাবে অবমাননা করা হয়েছে? আপনি সুইডেনেও পড়ালেখা না করে ডিগ্রি পাচ্ছেন, মনে হয়।

২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

এমেরিকা বলেছেন: চাঁদগাজী, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি আপনাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আপনি যখন কুরআন বা ইসলাম নিয়ে যখন কোন কথা বলেন, সেটা ভালো মন্দ যাই হোক না কেন, আপনার প্রতি ন্যুনতম কোন শ্রদ্ধাবোধ থাকেনা। আপনআর মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায়, যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন না করেই আপনি নিজস্ব মতামত দেন, যা অন্যের কাছে খুব হাস্যকর ঠেকে। তাই আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, দয়া করে ইসলাম সম্পর্কিত ব্যাপারগূলো এড়িয়ে চলবেন, ব্লগের পরিবেশ তাতে খুব সুন্দর থাকবে।

২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খানসাব আপনার দ্বি-মতবাদ তত্ত্ব পাঠকে
বিভ্রান্ত করে
। তারা বুঝতে পারেনা আপনি
কোন পন্থা অবলম্বন করেন। আপনার গুরুকে
বুঝা যায় তিনি সৃষ্টিকর্তার খুব একটা ধার ধারেন না
এটা ভালো। কিন্তু আপনি কুয়সাচ্ছন্ন। তা্ই আপনার
কোন রুপ আসল তা বোঝা ভার। আপনার ধর্ম সর্ম্পকীত
পোস্টের গুঢ় নিহিত অর্থ আপনি ক্যাচাল বাধিয়ে মজা লুটেন!
এটা খুবই ঘৃৃনিত কাজ। একদলে থাকবেন। জানেনতো
দোদেল বান্দা কলেমা চোর, না পায় বেহেশত না পায় গোর !!

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কি সুন্দর মতবাদ দিয়ে দিলেন। বাহ। কত সহজ।

২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেকে অনেক কিছু লিখেছে তাই বলে যাচাই বাচাই না করে সেগুলো আপনি অত্যন্ত নবী কারীম (সা:) সম্পর্কে পোস্ট দিতে পারেন না সহী হাদীস ও রেফারেন্স ছাড়া।

আপনার এই পোস্ট ধর্মীয় বিতর্কের জন্ম দিতে পারে হয় সরিয়ে নিন নয়তো সংশোধন করে দিন।

নবীজী নূরের তৈরী এটা অনেকে বিশ্বাস করলেও সঠিক আকিদা অনুসারে তিনি মানুষ ও মাটির তৈরী।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট দিয়েই তো ভুল গুলো জানতে পারছি। বুঝতে পারছি।

২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলামের প্রথমদিকে নবীজি সহ সব সাহাবিরাই মদ খেতেন।কোরানে দুই বার সতর্ক করা হয় মদ খাওয়ার ব্যাপারে।একেবারে শেষের দিকে মদকে হারাম করা হয়।কিন্তু দাসী সহবত ও দাস প্রথা হারাম করা হয় না।নতুন করে হারাম করার আর কোন বিধান নাই।কারন বিষয়টা কোরানে আছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন কথা বলেছেন।

২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


১। মহানবী (সা.)-এর দেহ নূরের তৈরি সে বিষয়েও কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা-বিশ্বাস এই যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম
প্রথম শ্রেণীর মাখলূক, তথা-মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন। তিনি নূরের তৈরী বা আগুনের তৈরী ছিলেন না।
নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টিগতভাবে সকল মানুষের মতই মানুষ ছিলেন। আর লক্ষাধিক
নবী-রাসূলসহ সকল মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা মাটির উপাদান থেকে সৃষ্টি করেছেন। তবে তিনি মানবিকতা
এবং নীতি-নৈতিকতায় নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকলের চেয়ে অনেক উর্ধ্বে ছিলেন।

নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে, মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন, তা কুরআনে কারীমে যেমন বলা
হয়েছে, তেমনি নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও তা উম্মতকে বলে গেছেন। কুরআনে কারীমে
আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ (হে নবী!) আপনি বলুন, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। (তবে পার্থক্য হলো,)
আমার প্রতি এই মর্মে ওহী অবতীর্ণ হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবলই একজন।

(সূরা কাহ্ফ: ১১০, সূরা হা-মীম আস-সাজদাহ: ৬)

উপরোক্ত আয়াত এবং হাদীসসূমহে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ‘বাশার’ বলা হয়েছে।
আর ‘বাশার’ শব্দের অর্থ হলোঃ রক্ত-গোশতে তৈরী সাধারণ মানুষ। তথাপি কুরআনে এবং নবীজী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিজ বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, তিনি আমাদের মতই মানুষ। তবে তাঁর কাছে
ওহী আসে, আর আমাদের কাছে ওহী আসে না। আর এটা নিশ্চিত এবং সকলেরই জানা বিষয় যে, মানুষকে
আল্লাহ তা‘আলা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। কাজেই আয়াত এবং সহীহ হাদীসের সুস্পষ্ট বর্ণনা দ্বারা প্রমাণ
হয়ে গেলো যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন। নূরের তৈরী ছিলেন না।
আয়াত এবং হাদীসের যেখানেই তাঁকে ‘নূর’ বলা হয়েছে, সেখানে তাঁকে রূপক অর্থে ‘নূর’ বলা হয়েছে,
যেহেতু তিনি ছিলেন উম্মতের জন্য হিদায়াতের আলোকবর্তিকা।

আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে সঠিক আক্বীদা পোষণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫৯

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: ১, ২, ৩, ৫, ৮, ৯ পুরোপুরি বোগাস।
৪ নাম্বার মোটামুটি স্বাভাবিক।
৬ নাম্বার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমার।
৭ নাম্বার একদমই স্বাভাবিক। কোন অলৌকিকতা নাই। আমার জানামতে, শিশুরা একটা স্তনেই অভ্যস্ত থাকে যদি সেই অভ্যাস করানো হয়। এটাই স্বাভাবিক। দুধভাইও রাসূলের জন্য অন্য স্তনটা রেখে দিতেন অবশ্যই।
১০ নাম্বার তিনি আসার আগেও মানুষ স্রষ্টাকে চিনেছে। সূরা বাকারা ৬২ নাম্বার আয়াত দ্রষ্টব্য। ব্র‍্যাকেটের তাফসির বাদ দিয়ে পড়বেন।


বলতে পারেন, রাসূলের একমাত্র এবং একমাত্র মুজেজা হচ্ছে কুরআন। তিনি সব মানুষের নবী। তিনি যদি সাধারণের মতো না হতেন তাহলে তিনি পুরো বিশ্বের নবী হতে পারতেন না। অলৌকিক ঘটনার প্রায় ৯০%ই (আমার ধারণা) ভুয়া।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একটা সত্য কথা বলি- পুরো পোষ্ট টাই বোগাস।

৩০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১০

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: লো লেভেলের চুলকানি পোস্ট ভাইয়া। আপনার সম্পর্কে আমার ধারনা আরও অনেক উচ্চে। এরকম পোস্ট অজস্র হয়েছে সামুর ইতিহাসে। দিন শেষে থাবা বাবারা সামুকে, অন্য ব্লগারদের বিপদে ফেলেছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম পোষ্ট দেওয়া অফ করে দিলাম আজ থেকে।

৩১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: আমি বুঝিনা এই ব্লগে সবারই তো জ্ঞানের পরিধি আছে কমবেশি বলে মনে করি আমি। তাহলে নূর অর্থ আলো
যেমন সূর্যের আলো চাঁদের আলো ও নক্ষত্রের আলো।
জ্ঞানের আলো তাকি নূর নয়? আল্লাহ সর্ব জ্ঞানী সবজান্তা সর্ব জাহান ও মহাজগৎ তার সৃষ্টি। আল্লাহ নূরের অর্থাৎ সর্ব জ্ঞানের মহাজ্ঞানী। ফেরেশতারা আল্লাহর নূরের তৈরি, অথচ আদম নবী কে এই ফেরেশতারা কেন আল্লাহর হুকুমে সেজদা করেছিলেন।

এখন কথা হল হযরত মুহাম্মদ সাঃ আঃ আল্লাহর জ্ঞানে গুনাম্বিত কারণ কোরআন এসেছে এই গুনাম্বিত মোহাম্মদ সাঃ আঃ মাধ্যমে। তাই তিনি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত এই আলোকিত কেই নূর বলা হয়। তাই আলো অর্থ যখন নূর, জ্ঞানের আলোও তো নূর তাই নয় কি? মোহাম্মদ সাঃ
তাই তিনি নূরের। তিনি নূরের তৈরী নন, তিনি আল্লাহর জ্ঞানের কোরআনের আলোয় গুনাম্বিত নূর। আর কোরআনের আয়াতগুলো জ্ঞানের নূরে আলোকিত আল্লাহর প্রেরিত। ধন্যবাদ।

৩২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

৩৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৯

এমেরিকা বলেছেন: আপনার জ্ঞানী লাল ছাগলের কাছে একটি প্রশ্ন, কোন হাদীসে তিনি পেয়েছেন যে, রাসূল (স) ওহী নাযিল হবার আগে মদ খেতেন? তিনি যদি তাঁর পিতার বৈধ সন্তান হয়ে থাকেন, তবে এর উত্তর যেন অবশ্যই দেন। কোন ঐতাহাসিক রেফারেন্স দিলেও চলবে। যদি কোন উত্তর না দেন, তাহলে তাঁর মা সম্পর্কে আমি আজেবাজে ভাবতে বাধ্য হব।

৩০ নং মন্তব্য আবার পড়ুন। আপনার ভাষায় ঐ জ্ঞানী লাল ছাগলের জন্য আমি হয়তোবা বিপদে পড়তে যাচ্ছি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অশালীন মন্তব্য করেই যাচ্ছেন। ব্লগ এডমিন অবশ্যই সব দেখছেন।

৩৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫৮

কাতিআশা বলেছেন: ফাইজলামির একাটা সীমা থাকে, প্রত্যেকদিন একটার পর একটা বিশ্রি পোস্ট দিয়েও শান্ত হননা আপনি! যান, কাজ খুজেন,.. DO SOME REAL WORK!!!!!!!!! বেহায়ার মতো একটানা ফালতু পোস্ট দিয়ে ব্লগ দূর্গন্ধময় করে ফেলেন না!

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট টা খুব সুন্দর একটা পোষ্ট।
হয়তো মন্তব্য গুলো ভালো নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.