নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। 'কারাগারে রাত দিন' লেখক- জয়নাব আল গাজালী।
একটি ইসলামী আন্দোলন কি পরিমান জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ধৈর্য্য ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় সেই অবিস্মরণীয় সত্য ঘটনা জানতে বইটি পড়ুন। বইটি সকলের পড়া উচিত।
২। মন প্রকৌশল স্বপ্ন অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা- রাগিব হাসান।
বইটা পড়ে এক ধরনের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। এতে স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে, ঘুরে দাঁড়ানো মানুষদের কথা বলা হয়েছে। অসংখ্য উদাহরণ দেয়া হয়েছে, অসংখ্য গল্প বলা হয়েছে।
আমাদের তরুণদের কিছু বাঁধাধরা সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলোর কথা বলা আছে। হতাশ হয়ে যাওয়া সেই তরুণদের কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই বইটা পড়ে এক ধরনের শক্তি পাবে, এক ধরনের সাহস পাবে, নিজের ভেতর অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে।
৩। আরজ আলি মাতুব্বর এর রচনাসমগ্র।
প্রথাবিরোধী ধর্মদর্শনের প্রাচীন ধারাবাহিকতার বাংলাদেশী রূপকার হলেন 'আরজ আলি মাতুব্বর'। তিনি মনে করতেন পশু যেমন সামান্য জ্ঞান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে ধর্মবাদী ব্যক্তিগণও তেমনি সামান্য জ্ঞান নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়। মেধার বিকাশ, মুক্তচিন্তা, মুক্তজ্ঞান, বিজ্ঞান চেতনা ইত্যাদি মুক্তবৌদ্ধিক মনোভঙ্গির বিপক্ষে ধর্মপ্রবণ ব্যক্তিগণ দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে। তাই ধর্ম অনেকাংশেই মানুষের মানবিক বিকাশকে সমর্থন করে না; মুক্তবুদ্ধি, জ্ঞানচর্চা, উদারতা, সহানুভূতিশীলতা, মানবিকতা প্রভৃতির প্রসার-প্রচারকে অনেকাংশেই সীমিত করে তোলে। তিনি জানেন সমাজের যথার্থ মুক্তি ঘটে একমাত্র বস্তুবাদী দর্শনের চর্চাতেই। নিজের প্রান্তিক জীবনের সাধারণ কয়েকটি ঘটনাতেই তিনি বুঝে নিয়েছেন তার ও তার সমাজের আচরিত ধর্মের স্বরূপ। ক্রমাগত গ্রন্থ পাঠে বুঝে নিয়েছেন এর কারণাবলী। এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। তাই তিনি অনবরত প্রশ্নবাণে দগ্ধ করেছেন তথাকথিত সমাজপিতা ও তাদের আচরিত-প্রচারিত ধর্ম ও দর্শনকে।
৪। 'বিবর্তনের পথ ধরে' লেখক- বন্যা আহমেদ।
বিবর্তন নিয়ে বাংলা ভাষায় এখন পর্যন্ত রচিত নিঃসন্দেহে সবচেয়ে শক্তিশালী বই এটি। না পড়লে চোখ বুজে বলে দেয়া যায় আপনি ঠকলেন। ঠকতে না চাইলে পড়তে হবে।
৫। 'যে গল্পের শেষ নেই' লেখক- দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
বইটি ১৯৫১ সালে প্রকাশিত হয়। মানুষ, পরিবার, সমজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তর মোটা মোটা বই লেখা হয়েছে, রয়েছে অতি মূল্যবান রেফারেন্স বই কিংবা এনসাইক্লোপেডিয়া। কিন্তু এই বইটিতে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে শুন্য থেকে শুরু করে মানুষের উদ্ভব এবং আজকের সমাজ ব্যবস্থা পর্যন্ত সকল বৈশিষ্টকে। এই বইটিতে দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একেবারে গল্পের মত করে শুধুই মানুষের কথা বইটির প্রতিটি পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হোক না তা বহু বছরের আগের কথা, কথাগুলো তো আজও সত্য।
৬। 'ভোলগা থেকে গঙ্গা' লেখক- রাহুল সাংকৃত্যায়ন।
২০টি ছোটো গল্পের সমাহার। এই ছোটো ছোটো গল্প বা কাহিনীগুলো নিছক কল্পনা প্রসূত নয়, সমাজবিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ের দিকে লক্ষ্য রেখে গল্পগুলো ধারাবাহিক ভাবে রচিত হয়েছে। ইতিহাস আর সমাজবিজ্ঞান এর মূল তত্ত্বকে সর্বত্রই মেনে চলা হয়েছে। প্রায় ৬০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দে ভোলগা নদীর তীরে যে মানবগোষ্ঠী পরিবার স্থাপন করেছিলো, তাদেরই আবাস ও জীবন নিয়ে রচিত হয়েছে প্রথম গল্পটির দৃশ্যপট। ক্রমে সেই মানুষ মধ্য ভলগা তটে অগ্রসর হয়ে মধ্য এশিয়া অতিক্রম করেছিলো। উত্তর কুরু, তাজিকিস্তান পেরিয়ে একসময় সমগ্র গান্ধার এলাকা জুড়ে বসতি স্থাপন করেছিলো এই আর্যরা। ইতিহাসের এই ধারায় বিংশ শতাব্দীতে পৌছে সমাপ্ত হয়েছে গ্রন্থটির আখ্যান। এই ধারাবাহিকতা নিয়েই রচিত হয়েছে প্রতিটি গল্পের দৃশ্যপট।
৭। 'নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান' লেখক- পূরবী বসু।
পূরবী বসুর দুটি পরিচয়- কথাশিল্পী এবং পুষ্টিবিজ্ঞানী। উভয়ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতের পরিধি সুবিস্তৃত। বিজ্ঞানজগতে পূরবী বসু একটি সম্মানিত নাম, বাংলাসাহিত্যে তাঁর কলমের খ্যাতি সর্বত্র। তাঁর প্রতিভার এই দ্বিমুখী ধারা এই গ্রন্থটির মধ্যে এক অপূর্ব মোহনায় মিশেছে- বইটি পড়ে এই মনে হয়েছে আমার।
৮। 'ঈশ্বরের বাগান' লেখক-অতীন বন্দোপাধ্যায়।
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তার জন্ম ১৯৩৪ সালে বাংলাদেশের ঢাকায়। ‘ঈশ্বরের বাগান’ উপন্যাসটিতে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বাস্তু পরিবার, তাদের দৈনন্দিন যন্ত্রণা, চারিত্রিক বৈপরীত্য ও দ্বন্দ্বময় সংঘাতের ছবি এঁকেছেন। লেখকের জাদুকরী কলমের টানে উপন্যাসটি অনন্যতার দাবি রাখে। বিদগ্ধ পাঠকমণ্ডলীর সংগ্রহশালায় এ উপন্যাস অপরিহার্য।
৯। 'আয়না' লেখক- আবুল মনসুর আহমদ।
আয়না গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প 'হুজুর কেবলা'র শুরুটি এরকম, এমদাদ তার সবগুলি বিলাতি ফিনফিনে ধূতি, সিল্কের জামা পোড়াইয়া ফেলিল; ফ্লেক্সের ব্রাউন রঙের পাম্প শু গুলি বাবুর্চি খানার বঁটি দিয়া কোপাইয়া ইলশা-কাটা করিল। চশমা ও রিস্টওয়াচ মাটিতে আছড়াইয়া ভাঙ্গিয়া ফেলিল; ক্ষুর স্ট্রপ, শেভিং স্টিক ও ব্রাশ অনেকখানি রাস্তা হাঁটিয়া নদীতে ফেলিয়া দিয়া আসিল; বিলাসিতার মস্তকে কঠোর পদাঘাত করিয়া পাথর বসানো সোনার আংটিটা এক অন্ধ ভিক্ষুককে দান করিয়া এবং টুথক্রীম ও টুথব্রাশ পায়খানার টবের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া দাঁত ঘষিতে লাগিল।
১০। 'ত্রিপিটক' –গৌতমবুদ্ধ।
ত্রিপিটক বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থের নাম। বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। এটাকে নির্বাণ বলা হয়।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই পড়বো।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: আন্দাজি বই পড়লে হবে না৷
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই তো আমি ভালো বইয়ের সন্ধান দিচ্ছি।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: আরো কয়েকটি ভালো বইয়ের সন্ধান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সামনের দিন গুলোতে আরো কিছু ভালো বইয়ের সন্ধান দিবো।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০৭
স্থিতধী বলেছেন: রাগিব হাসান ভালো বিষয়বস্তু নিয়ে লেখেন, ভালো লাগে তাঁর লেখা।
আরজ আলি মাতুব্বর তো এক কিংবদন্তির নাম। যদিও তিনি এমন কিংবদন্তি যে এ দেশে হুমায়ূন আহমেদের বই যতজন পড়েছে ততজন লোক এমনকি তাঁর নামটাও জানেনা।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষিত সমাজ তাকে চিনেন। মুক্তমনারা তাকে ভালোবাসেন।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:০৭
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ১/ পড়ি নাই।
২/ রাগিব ভাইয়ের বই লেখার দরকার ছিলো না। সবাইরে এই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাইতেই হইবো এমন কোনো কথা নাই। যাই হোক, যার যার ব্যাপার।
৩/ জীবনে অবশ্যপাঠ্য বইগুলার একটা। চিন্তা-চেতনাকে নাড়া দেওয়া এক বই।
৪/ বন্যাপা ইজ টু গুড। এই বইয়ের বিটা রিডার ছিলাম।
৫/ পড়ি নাই।
৬/ রাহুল সাংকৃত্যায়ান-এর লেখা প্রতিটা বই স্বর্ণ দিয়া বাঁধাই কইরা রাখার মতন। যেই লোক ভবঘুরে শাস্ত্র পড়ছে জীবনে একবার, সে জীবনে আর ঘরমুখী হইতে পারবে না। কখনোই না।
৭/ পড়ি নাই।
৮/ অতীনের লেখার টানটাই অন্যরকম। আমার খুব প্রিয় লেখক। সেইসব লেখকদের একজন যার বই পড়ার আগে প্রস্তুতি নিয়া বসতে হয়।
৯/ বাংলাদেশের খুবই আন্ডাররেটেড লেখকদের একজন। অসাধারণ রসবোধ। স্যাটায়ারে মুজতবা গুরুর সমতুল্য প্রায়।
১০/ সব ধর্মগ্রন্থই অপূর্ব সুন্দর।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর,’ জেলে ত্রিশ বছর’পড়ে দেখতে পারেন।