নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অনুবাদ সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
অনুবাদ সাহিত্য নিঃসন্দেহে একটি শিল্পকর্ম। অনুবাদের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের গতিধারা ও রূপবৈচিত্র্যের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাই। এক কথায় অনুবাদের মাধ্যমে বিদেশি সাহিত্যের একটি সামগ্রিক রূপ প্রতিফলিত হয় নিজস্ব সাহিত্যে।
ইংরেজি সাহিত্য বলতে বোঝায় ইংরেজি ভাষায় রচিত সাহিত্য। কেবলমাত্র ইংল্যান্ডের লেখকদের সাহিত্যকেই এই বর্গের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা নয়। উদাহরণস্বরূপ, রবার্ট বার্নস ছিলেন একজন স্কটিশ, জেমস জয়েস ছিলেন আইরিশ, জোসেফ কনরাড পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ডিলান টমাস ছিলেন ওয়েলশ, এডগার অ্যালান পো ছিলেন আমেরিকান, ভি. এস. নাইপল ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভ্লাদিমির নবোকভ ছিলেন রাশিয়ান। কিন্তু এঁরা প্রত্যেকেই ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকের মর্যাদা পেয়ে থাকেন।
১। 'গ্রেট এক্সপেক্টেশন' লেখক- চার্লস ডিকেন্স।
পিপ নামে এক ইংরেজ ছোকরার গল্প। তার বড়ো হওয়ার গল্প। সে অপরাধীদের সাহায্য করছে, নিজের ভালবাসার মানুষটাকে খুঁজছে, আবার এক বুড়ি বিধবাকে পুড়ে মরতেও দেখছে। তার নিজের জীবনের সবচেয়ে বড়ো আশা গুলো ব্যর্থ হচ্ছে। উপন্যাসের শেষে দেখা যাবে, সে তার পুরনো প্রেমিকাকে খুঁজে পাচ্ছে।
২। 'দ্য আলকেমিস্ট' লেখক- পাওলো কোয়ালহো।
অসাধারন একটা বই। জীবনটাকে আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারার মত বই। সান্তিয়াগো নামে এক তরুন স্ব্প্নচারীর নিজেকে পাওয়ার গল্প বলা হয়েছে এখানে। এই বইটা সারা বিশ্বে প্রচুর বিক্রি হয়েছে।
৩। 'অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট' ও 'থ্রি কমরেডস' লেখক- এরিখ মারিয়া রেমার্ক।
প্রথমবার পড়ে চোখের পানি আর আটকিয়ে রাখতে পারিনি। পল বোমান নামক সতের বছরের এক কিশোর, রঙিন স্বপ্ন দেখার যখন সময় তখন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। লেখক বুঝিয়েছেন যে, হাজার বছরের সভ্যতাও মানুষের পশুত্বকে মুছে দিতে পারেনি। পল বোমার চরিত্রটার মাধ্যমে লেখক নিজের জীবনের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাই ফুটিয়ে তুলেছেন। যুদ্ধোত্তর জামার্নীর ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে পা ফেলে চলেছে তিনজন প্রাক্তন সৈনিক। সমস্ত বিশ্বাস ভেঙে জেগে রয়েছে শুধু অটুট বন্ধুক্ত আর প্রেম।তাদেরই এক জনের অপ্রত্যাশিত অকুন্ঠ আত্নত্যাগের কাহিনী এই থ্রি কমরেডস।
৪। 'দ্য গডফাদার' লেখক- মারিও পুজো।
এই উপন্যাস সম্পর্কে জানেননা এ রকম লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর যারা মোটামুট বইপত্র পড়েন, তাদের প্রায় সবাই উপন্যাসটি পড়েছেন। ভিটো কর্লিয়ানি আর তার পরিবারকে কেন্দ্র করে এর কাহিনি গড়ে উঠেছে। গডফাদারের সেই বিখ্যাত উক্তি-“প্রতিটা মানুষের জীবনেই এক সুনির্দিষ্ট নিয়তি থাকে”- এর মর্মার্থ মাইকেল কর্লিয়ানি চরিত্রটার মাধ্যমেই বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। পারিবারিক ব্যবসা থেকে দূরে সরে থাকতে চাইলেও নিয়তিই শেষ পর্যন্ত তাকেই গডফাদার বানালো।
৫। 'ট্রেজার আইল্যান্ড' লেখক- রবার্ট লুইস স্টিভেনসন।
জিম হকিন্স নামে এক রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোর বাস করে সমূদ্র তীরের এক শহরে। সে ও তার মা সেখানে একটি সরাইখানা পরিচালনা করে। একদিন সেই সরাই খানায় এসে উপস্থিত হয় এক বদরাগী মেজাজের ঝগড়াটে ক্যাপ্টেন। লোকটি হঠাৎ মারা গেলে তার একটি সিন্দুক থেকে একটি মানচিত্র পাওয়া যায় যা জিম এবং শহরের কিছু লোককে নিয়ে যায় এক দুঃসাহসিক অভিযানে। যেখানে তারা মোকাবেলা করে জলদস্যু ও বিশ্বাস ঘাতকদের।
৬। 'লা মিজারেবল' লেখক- ভিক্টর হুগো।
জা ভালজা নামক এক হতভাগার জীবনের ঘটনা-দূর্ঘটনার কাহিনী। জা ভালজা চরিত্রটি ভিক্টর হুগোর এক অমর সৃষ্টি। এক টুকরো রুটির জন্য তাকে খাটতে হয়েছে ২০ বছরের জেল। বারবার জেল আর পালানোর মধ্যে কেটেছিল তার জীবন।
৭। 'আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী'
উপন্যাসের ট্রাজেডী অনেক পড়েছি, তবে বাস্তব ট্রাজেডী যে গল্প-উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি কষ্টের তা আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরী না পড়লে বোঝা যায় না। মাঝে মাঝে এই বইয়ের দুই-এক পাতা উল্টালেও মন বিষন্ন হয়ে ওঠে।
৮। 'কিস দা গার্লস' লেখক- জেমস প্যাঁটারসন।
অনুবাদ করেছেন, অনীশ দাস। মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার মত একটি বই। এই গল্পে সিরিয়াল কিলার দুই জন। এক জন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সুন্দরী, বুদ্ধিমতী মেয়েদের অপহরণ করছে ক্রমাগত ভাবে। সে মেয়েদের কাছে নিজেকে বিশ্বপ্রেমিক ক্যাসানোভা দাবী করে। সে মেয়েদেরকে বন্দী করে রাখে তার গোপন আস্থানায় সেখানেই তাদের উপর চলে বিভিন্ন অত্যাচার ও বিভিন্ন খামখেয়ালী পরীক্ষা নিরীক্ষা। অপর জন লস-এঞ্জেলসে বর্ণনাতীত নৃশংস খুন করে সৃষ্টি করছে আতংক। দুই জনই খুবই প্রতিভাবান এবং কৌশলী খুনি তাদের পতিটি খুন হল পারফেক্ট ক্রাইম।
৯। 'থ্রী মাস্কেটিয়ার্স' লেখক- আলেকজেন্ডার দ্যুমা।
ইতিহাস আশ্রিত অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখক হিসেবে তিনি খ্যাতি কুড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত লেখা ১ লাখ পাতার। তার লেখা উপন্যাস গুলো প্রায় ১০০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। যা তাকে ফরাসি লেখকদের মধ্যে বহির্বিশ্বে সবচাইতে বেশি পরিচিত লেখক করে তুলেছে। তার লেখা উপন্যাস অবলম্বনে প্রায় ২০০-এর কাছাকাছি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। উপন্যাসটির নায়ক দ্য আরতাঁনা, অ্যাথোস, পার্থোস এবং আরামিস। এই উপন্যাসটির ধারাবাহিকতায় আরো দুইটি গ্রন্থ রচনা করেছেন আলেক্সান্ডার দ্যুমা। এর মধ্যে একটি "ম্যান ইন দ্যা আয়রন মাস্ক" চরিত্রের কারণে বিখ্যাত দ্য ভিকম্তে ডি ব্রাগেলোঁ, বাংলায় যার অর্থ "দশ বছর পর"।
১০। 'শী' লেখক- হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড।
সাদামাটা জীবনের মারপ্যাঁচে পড়ে যারা একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চান, দুর্গম শহর, রাজপথ বা মিসরের পিরামিডের ভেতরের অপার রহস্যে সামিল হতে চান, তাদের জন্য হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড হচ্ছেন আশ্চর্য এক জাদুকাঠির নাম। ইচ্ছা হলে, এই লেখকের এই বই গুলো পড়ে দেখতে পারেন- ক্লিওপেট্রা, কিং সলোমন মাইনস, আল্যান কোয়াটারমেইন এবং আল্যান এন্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আলোচনার শুরুতে পাঠকের নিকট সংজ্ঞা দিলেন এবং পার্থক্য করলেন অনুবাদ ও ইংরেজি সাহিত্যের; তারপর ইংরেজি সাহিত্যের এমন তালিকা করলেন যার অর্ধেকের বেশির মূল রচনা অন্য ভাষায় এবং পরে সেগুলো ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে। বুঝেশুনে পোস্ট লেখাই শ্রেয়।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল ধরলেন নাকি?
কিন্তু আমার জায়গায় আমি সঠিক।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ৪। 'দ্য গডফাদার' লেখক- মারিও পুজো।
৫। 'ট্রেজার আইল্যান্ড' লেখক- রবার্ট লুইস স্টিভেনসন।
৬। 'লা মিজারেবল' লেখক- ভিক্টর হুগো।
১০। 'শী' লেখক- হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড।
এই কয়টার অনুবাদ পড়েছি।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বেশ ভালো বই ই পড়েন দেখছি। গুড।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
সিগনেচার নসিব বলেছেন: আপনার দশটি প্রিয় বই জেনে আনন্দিত।
লাস্ট পড়েছি গতবছর মহামারিতে-মিকি কেন্দালের হুড ফেমিনিজম আর গাও ঝিংজিয়ানের সোল মাউন্টেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৯
স্থিতধী বলেছেন: দুই তিনটা বাদে সব গুলাই পড়া মূলত সেবা অনুবাদের কল্যাণে ।
ভিক্টর হুগোর লা মিজারেবল আমার কাছে সর্বকালীন প্রিয় একটা উপন্যাস। ২ নং কমেন্টে মামুন সাহেব এক্ষেত্রে ঠিক বলেছেন; যেমন ঐ উপন্যাসের লেখক ভিক্টর হুগো প্রখ্যাত ফরাসী লেখক এবং ঐ বইটার মূল লেখা হয়েছিলো ফরাসী ভাষায়, ইংরেজীতে নয়।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে শিরোনামে ইংরেজি সাহিত্য না লিখে বিশ্ব সাহিত্য লিখলে ভালো হতো।
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার লেখেছেন রাজীব দা
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যে এক শত বই অবশ্য পাঠ্য তার একটা বইয়ের নামও আপনার দেয়া তালিকার মাঝে নেই।তালিকাটি করেছিল পেঙ্গুইন বুকস
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার তালিকা এখনও শেষ হয় নাই। সামনের পর্ব গুলোতে আসবে।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কয়েকটা আমার ও প্রিয়।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৭
রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: ৫,৯,১০,৬ কমন পড়েছে,যদিও ৬ বর্তমানে পড়ছি।এ্যালকেমিস্ট কার অনুবাদ পড়েছিলেন? কার অনুবাদ ভাল।ওয়াল্ড ক্লাসিকের ভেতর একটা খুনোখুনির বই ঢুকিয়ে দিলেন!
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: কার অনুবাদ পড়েছিলাম, ঠিক এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না।
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩২
রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: ৩,৫,৯,১০,৬ কমন পড়েছে,যদিও ৬ বর্তমানে পড়ছি।এ্যালকেমিস্ট কার অনুবাদ পড়েছিলেন? কার অনুবাদ ভাল।ওয়াল্ড ক্লাসিকের ভেতর একটা খুনোখুনির বই ঢুকিয়ে দিলেন।আগের কমেন্টটি মুছে দিতে পারেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: থাক। মুছার কি দরকার।
১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: 'দ্য আলকেমিস্ট' লেখক- পাওলো কোয়ালহো পর্তূগীজ ভাষায় লেখা উপন্যাস।
৩,৪,৬,৭, ৯-কোনোটাই ইংরেজী ভাষার না। ফরাসী, ইতালীয় ডাচ ও জার্মান ভাষায় লেখা।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হ্যা। আপনি সঠিক বলেছেন।
১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুব অল্প কথায় বেশ কিছু বিশ্ব বিখ্যাত সাহিত্য কর্মের পরিচিতি তুলে ধরায় ভাল লাগল ।
পুস্তক পরিচিতি কিংবা তাদের রিভিউ করা বেশ আয়াস লব্দ কাজ ।
দশটি বিশ্ব বিখ্যাত সাহিত্য কর্মের কিছু কথা আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
তালিকায় থাকা প্রথম বইটির উপরে সামান্য আলোকপাত করে আমিউ পাঠকদের সাথে একটুখানি
শেয়ার করে গেলাম । সবগুলি পুস্তকে বিষয়ে কথা বললে মন্তব্যের কলেবর বিশাল হয়ে যাবে ।
ডেভিড কপারফিল্ড উপন্যাসের পর গ্রেট এক্সপেকটেশানসটি চার্লস ডিকেন্সের লেখা
দ্বিতীয় উপন্যাস । এটি ৫৪৪ পৃষ্ঠায় লেখা একটি বিশাল উপন্যাস যেখানে ডিকেন্স উত্তম পুরুষে
উপন্যাস বর্ণনা করেছেন ।এই উপন্যাসটি ভিক্টোরিয়ান সাহিত্য যুগের একটি ক্লাসিক উপন্যাস ।
আছে এই বিশাল উপন্যাসটিতে - বাবা-মা হারা এক এতিম ছেলে পিপ ।
সে থাকে তার বোনের বাড়ীতে আর কাজ করে বোনজামাইএর কামারশালায় ।
দিন কেটে যায় এভাবেই । হঠাৎ একদিন লন্ডন থেকে এক আইনজীবী এলেন
পিপদের বাড়ীতে । নাম না জানা এক রহস্যময় ব্যক্তি পিপের ভরনপোষন করতে
আগ্রহী । শুধু তাই-ই নয় , তিনি চান পিপকে অঢেল ধন সম্পদের মালিক করে দিতে ।
কে এই দয়ালু ভদ্রলোক ? কি তার পরিচয় ? এক বুক আশা নিয়ে পিপ রওনা হলো
লন্ডনের পথে । তার পর কি হলো জানতে হলে উপন্যাসটি যে পড়তেই হবে আগ্রহী
পাঠককে ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধ্যেয়।
১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ৯টা বই পড়েছি---কিস দ্যা গার্লস এর অনুবাদ ও পড়ছিলাম পিডিএফ এ।শেষ করা হয়নি আপনার লেখা দেখে আগ্রহ জাগছে। আবার পড়তে হবে--
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা পড়ে ফেলুন।
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:২৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ১/ এই লোকটা এত্ত ডিপ্রেসিং বই এত্ত সুন্দর কইরা ক্যাম্নে লিখতো কে জানে! এইটা, ডেভিড কপারফিল্ড, অলিভার টুইস্ট, নিকলাস নিকলবি। সব এক ধাঁচের। ডিপ্রেস হইয়া যাইবেন কিন্তু পড়া ছাইড়া উঠতে পারবেন না।
২/ আমার লাইফে এত্ত ওভার রেটেড আর কোনো বই পড়ি নাই আমি। মুড়ি মুড়কির মতন দার্শনিক উক্তি দিয়া ভরা একটা অতি আজাইড়া বই।
৩/ জীবনে কিছু স্মৃতি কখনো ভুলার না। থ্রি কমরেডস এর শেষ লাইনটা পইড়া যেই অনুভূতি হইসিলো সেইটা আমাকে আজকের পাঠক হিসেবে গইড়া তুলতে অনেক ভূমিকা রাখসে। আই এম থ্যাঙ্কফুল।
৪/ এই বইটা একটা জিনিস। মাফিয়া নিয়া আমি অনেক অনেক বই পড়সি। এমন বই যেইটার নামও শুনে নাই মানুষ। বাট দিস বুক ইজ দ্য এফ-ইং এপিটোম অফ মাফিয়া বেজড ফিকশন্স।
৫/ জীবনে প্রথম এডভেঞ্চারে যাওয়া এই বই পইড়া।
৬/ এই বইয়ের বাংলা অনুবাদ পড়ে বিরক্ত হয়ে ইংরেজিটা পড়া শুরু করসিলাম। দাঁতভাঙা মনে হইসিলো। কিন্তু পড়া শেষে খ্যাতির কারণটা বুঝছিলাম।
৭/ নাথিং টু সে, দ্য মোস্ট সোল্ড এন্ড ট্রান্সলেটেড বুক - ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফর এ রিজন।
৮/ সেই সময়ের লেখা যখন প্যাটারসন নিজের বই নিজেই লিখতো। এখন তো এর ওর সাথে কোলাবরেশনে গিয়া একটা বইয়ের দুই দশ পাতা লেইখা নাম বেঁইচা খায়। এই বইটা আসলেই ভালো। প্যাটারসনের ওমেনস মার্ডার ক্লাব পইড়েন, জিনিস। সিরিয়াল কিলিং নিয়া লেখা একেকটা ওস্তাদ বই।
৯/ তিনটা বই দেখায় সময়ের সাথে সাথে প্রথম বইয়ে জীবন নিয়ে খেলা বন্ধুরাও কেমনে শত্রু হইয়া যাইতে পারে, নীতি ও নৈতিকতা কেমনে পালটায় মানুষের। 'ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক' আর 'ভাইকাউন্ট দ্য ব্রাঁগেলো' দুইটা আলাদা বই।
১০/ শী আর রিটার্ন অব শী পইড়া অনলাইন থেকে নামাইয়া পরের দুইটা বইও পড়সিলাম সিরিজের। জটিল জিনিস। এমনেই আমি হ্যাগার্ড ফ্যান অবইশ্য।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন পড়ুয়া মানুষ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার দশটা বই যা আমারও অত্যন্ত প্রিয়।