নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একটা মা জিরাফ যখন বাচ্চা প্রসব করে, তখন শিশু-জিরাফটি অনেক উঁচু থেকে মাটিতে এসে পড়ে, কারন জিরাফ অনেক লম্বা প্রানী। বেচারা শিশু-জিরাফটি তখন বুঝতে পারে না কোথা থেকে কোথায় এসে পরল। ঠিক সেই সময় মা-জিরাফ শিশু-জিরাফের কাছে এসে দাঁড়ায় এবং সদ্য প্রসূত শিশু-জিরাফটিকে আঁচমকা নির্মমভাবে জোরে লাথি মেরে দূরে ফেলে দেয়।
বেচারা শিশু জিরাফটি কিছুই বুঝে উঠতে পারে না।
কেবল অসহায় হয়ে তার ব্যাথা পাওয়ার অনুভূতি হয় ও কষ্ট পেতে থাকে। মা-জিরাফ আবার শিশু-জিরাফের কাছে এসে দাঁড়ায় এবং আরও জোরে লাথি মারে। শিশু-জিরাফ এবার বুঝতে পারে, আমি যদি কিছু না করি তবে আবার লাথি খাবো। সেই মুহূর্তে দূর্বল শরীর আর পা নিয়ে শুধুমাত্র উঠে দাড়াবার চেষ্টা করে।
মা-জিরাফ আবার শিশু-জিরাফের কাছে এসে দাঁড়ায় এবং আরও জোরে লাথি মেরে দূরে ফেলে দেয়। শিশু-জিরাফ বুঝতে পারে আমি যদি ছুটে পালাতে না পারি তবে লাথির পর লাথি খেয়েই যেতে হবে। ঠিক তখনই শিশু-জিরাফ সমস্ত শক্তি নিয়ে ছুটে পালায়। এবার কিন্তু মা-জিরাফ শিশু-জিরাফের কাছে এসে দাঁড়ায় এবং আদর করে, চুমু খায়, গলায় গলা মিলায়।
আসলে মা-জিরাফ জানে যে, জঙ্গলে অনেক হিংস্র ও ক্ষুধার্ত পশু রয়েছে। ওরা শিশু প্রানীর মাংস ভীষন পছন্দ করে। মা-জিরাফ এটাও জানে আমি সব সময় শিশু-জিরাফের সাথে সাথে থাকতে পারবো না। যখন জীবন ধারনের তাগিদে বাইরে যাবো তখন কে শিশু-জিরাফকে সুরক্ষা দেবে? তাই বাচ্চা প্রসব করার সাথে সাথে মা-জিরাফ-
১ম বার লাথি মারে: যেন সে উঠে দাঁড়াতে শেখে।
২য় বার লাথি মারে: যেন সে উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
৩য় বার লাথি মারে: যেন সে দৌড়ে পালাতে শেখে।
আমাদেরকেও জীবনে এরকম বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সবাইকে অংশ নিতে হয়। হয়ত আমরা আঘাত পাই, ধপাস করে মুখ ধুবড়ে পড়ি, কখনো কখনো পরাজিতও হই। তখন শিশু-জিরাফের এই গল্পটা মনে করবো। তাই যখনই জীবনে সমস্যা আসবে, যত বারই লড়াইয়ে আহত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়বেন, ঠিক এই অসহায় শিশু-জিরাফের মত তখনিঃ উঠতে শিখুন।
♦ উঠে দাড়িয়ে থাকতে শিখুন।
♦ দাঁড়িয়ে থেকে দৌড়াতে শিখুন।
যখনই এরকম করতে পারবেন, সফলতা আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসতে বাধ্য। মনে রাখবেন, সফলতার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো নিরাশা।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম লাথি হলো এই পোড়া দেশ জন্মগ্রহন করা।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই জ্ঞান জিরার পেল কোথা থেকে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহর কাছ থেকে।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৭
জগতারন বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী শিশুদের জন্য প্রথম লাথি হবে, ৫/৬ বছর বয়সে স্কুল শুরু করা; ২য় লাথি হবে প্রটিদিন লেখাপড়া করা; ৩য় লাথি হবে দেশের আইন, সংস্কৃতি মেনে চলা।
জ্বোনাব চাঁদগাজী- এর এমন ক্লাসিক্যাল মন্তব্য পড়তেই আমি বেশীর ভাগ সময়ে এখানে আসি।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: সামুতে চাঁদগাজীর মন্তব্য গুলো অসাধারণ। বহু বছর ধরেই দেখছি।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা ভালো।
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নুরুলইসলা০৬০৪ - জিরাফকে যে সৃষ্টি করেছে সে-ই জিরাফকে এই কৌশল শিখিয়েছে।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রকিতি শিখেয়েছে। দুনিয়াতে সবচেয়ে ভালো শিক্ষক প্রকৃতি।
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আর ইস"লা
ব্লগে ব্যপক বিনেদন !!
উল্টা পাল্টা কথা বলে
করেন নাচন কোদন !!
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: গাজী সাহেব আসলে খাটি কথা গুলো বলেন।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৪
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: গ্রামে যখন ছিলাম, তখন দেখতাম আমাদের গরুর বাছুর জন্মের আধা-ঘন্টার মধ্যে দাঁড়ানোর চেষ্টা করত আর পড়ে যেত, ২ ঘন্টার মধ্যে ভালোভাবে দাঁড়াতে পারত, ৫-৬ ঘন্টার মধ্যে খুব দ্রুতগতিতে দৌঁড়াত। জিরাফের বাচ্চার ক্ষেত্রে দাঁড়াতে ও দৌঁড়াতে সময় লাগে অনেক কম, ৩০ মিনিটে জিরাফের বাচ্চা দাঁড়িয়ে যায়। জিরাফের লাথির, যা-ই মূলত জিরাফের অস্ত্র, প্রচণ্ডতা সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই, তাই ইন্টারনেট থেকে এরকম আজগুবি অবৈজ্ঞানিক যা পান, অনুবাদ করে ব্লগে ঢালেন। বাস্তবে সম্পুর্ণ উল্টো, বাচ্চার শরীর উষ্ণ রাখতে না দাঁড়ানো পর্যন্ত মা জিরাফ বিভিন্নভাবে তার শরীর চেটে দেয় আর আশেপাশে খেয়াল রাখে হিংস্র প্রাণী চলে আসল কি না। দরকার হলে ইউটিউবে ভিডিও আছে, দেখে নিন, আর নিজের জ্ঞান কাজে লাগান। ইন্টারনেট থেকে আবর্জনা অনুবাদ করার দরকার নেই।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান মানুষ।
ভালো থাকুন।
৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪১
আহলান বলেছেন: কোন শিশু জন্ম নেবার পর কান্নাকাটি না করলে ঠাস ঠাস করে তাকে আঘাত করা হয় লেবার রুমেই। তাকে হুঁশে আনার জন্যে- দুনিয়াতে ছিনতাই বা দস্যিদের সাথে কুংফু প্র্যাকটিস করার জন্যে নয় .... ! জিরাফও তাই করে নিজের বাচ্চার জন্যে ... তবে আপনার লাথির বর্ননা ও ব্যাখ্যা সত্যি সিনেমাটিক!
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৯
দ্বিতীয় প্রহর বলেছেন: নাহ। জিরাফ নিয়ে আমি এ পর্যন্ত যতগুলো ডকুমেন্টারি দেখেছি, তার কোনটিতেই আপনার বর্ণনার সত্যতা পাইনি। আপনি একে শিক্ষণীয় গল্প বলে চালিয়ে দিতে পারেন।
চাদ্গাজীর মন্তব্য আমার ভালো লাগেনি। প্রথম লাথি হওয়া উচিত সন্তানকে বাইরের মানুষের সাথে মেলামেশা করতে দেয়া। দ্বিতীয় লাথি হওয়া উচিত একা একা স্কুলে পাঠানো আর তৃতীয় লাথি হওয়া উচিত স্কুলে থাকতেই কামাই করা শেখানো।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২২
রাজীব নুর বলেছেন: স্কুলে সন্তান ভর্তি করা বিরাট যুদ্ধের ব্যাপার।
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রকৃতিই যার শিক্ষক!
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী শিশুদের জন্য প্রথম লাথি হবে, ৫/৬ বছর বয়সে স্কুল শুরু করা; ২য় লাথি হবে প্রটিদিন লেখাপড়া করা; ৩য় লাথি হবে দেশের আইন, সংস্কৃতি মেনে চলা।