নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। 'দ্য লস্ট সিম্বল' লেখক- ড্যান ব্রাউন।
ড্যান ব্রাউনের পরিচয় দেয়ার কিছুই নেই। তাঁর লেখার জাদুতে পৃথিবী বুঁধ হয়ে আছে। তার লেখার মাধ্যমে আমার পরিচয় হয় অন্য এক জগৎতের সাথে। রবার্ট ল্যাংডন ড্যান ব্রাউনের সৃষ্ট অন্যতম একটি চরিত্র। দ্য লস্ট সিম্বল উপন্যাসের কাহিনীও এই সিম্বলজিস্টকে ঘিরে। বন্ধুর অনুরোধের ডেকি গিলার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল কাহিনী। স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় রবার্ট ল্যাংডনকে। না বলার কোন উপায় নেই। কারন অনুরোধটি এসেছে তার পুরনো বন্ধু এবং স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের প্রধান পিটার সলোমনের কাছ থেকে। রবার্ট যথাসময়ে হাজির হয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেমিনার যেখানে হওয়ার কথা সেখানে পৌঁছেই হতভম্ব হয়ে যায় ল্যাংডন, কারণ সেখানে কোন সেমিনার হচ্ছিল না। নিশ্চয় কোথাও ভুল হয়েছে ভেবে সলোমনের নাম্বারে ফোন করে রবার্ট। ফোনটি ধরে রহস্যময় একটি কন্ঠসর। উপহার হিসাবে পায় পিটার সলোমনের কাটা কব্জি। রবার্ট বুঝতে পারে সে ফাঁদে পরে গেছে। রহস্যময় কন্ঠসরের কথা না-শুনে কোন উপায় নাই। সে বুঝতে পারে পিটারকে যারা অপহরণ করেছে, তারাই রবার্টকে এখানে নিয়ে এসেছে। তাকে বাচাতে হলে খুজে বের করতে হবে ওয়াশিংটনে লুকানো শত বছরের পুরনো কোনো এক প্রবেশদ্বার। এভাবে পিটার জড়িয়ে পড়ে বিপজ্জনক এবং সিম্বলিক একটি মিশনে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অবশ্যই রবার্ট ল্যাংডন। কিন্তু ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ এ সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র আমার মনে হয়েছে ভিলেন মালাখকে। যে পেতে চায় অমরত্ব। কাহিনীর কারনেই রবার্টের সাথে যোগ দেয় পিটারের বোন বিজ্ঞানী ক্যাথরিন সলোমন এবং আরো অনেকে। শেষে কি হয়েছিল তা জানতে পড়ুন ড্যান ব্রাউনর দ্য লস্ট সিম্বল।
২। 'দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান' লেখক- আলেকযান্ডার বেলায়েভ।
বইটি বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য অনুবাদ করেছেন অনুবাদের জগতের কিংবদন্তী লেখক ননী ভৌমিক। প্রকাশ করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। আমার জানা মতে আরেক সুলেখক ও অনুবাদক কাজী মায়মুর হোসেনের করা এই বইটির আর একটি অনুবাদ প্রকাশ পেয়েছে সেবা প্রকাশনী থেকে; সেটার নাম-- “দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান”।
বইয়ের মূল চরিত্র ইকথিয়ান্ডর বছর কুড়ির এক উভচর মানুষ; জলে এবং স্থলে তার অবাধ বিচরণ। আর্জেন্টিনার সমুদ্র উপকুলের তলদেশ জুড়ে তার রাজত্ব। কখনো জেলেদের জাল কেটে মুক্ত করে দেয় বন্দি মাছের ঝাক আবার কখনো দয়া পরবশ হয়ে বড় কোনো মাছ ধরে ছুড়ে দেয় জেলেদের নৌকায়-এমনি খেয়ালী সে। রাতের আঁধারে সমুদ্র তীর থেকে ছাগল ছানা ধরে সাগরের বুকে থাকা জেলেদের নৌকায় রেখে আসবার মতো মজাও সে করে। এই সব কীর্তির জন্য উপকূলের মানুষের কাছে সে পরিচিত “দরিয়ার দানো” হিসেবে। তার এ সকল কর্মকান্ডে সহায়তা করে বন্ধু ডলফিন লিডিঙ। লিডিঙয়ের পিঠে চড়ে শাঁখ বাজাতে বাজাতে ছুটে চলে ইকথিয়ান্ডর দিগন্তের পানে।
৩। 'অভিশপ্ত হীরা' লেখক- উইকি কলিন্স।
চুরি গেল মূনস্টোন– মহামুল্যবান হীরা। কে চুরি করল? শুরু হল তল্লাশী। তিন ভারতীয় সাধু কেন ঘুরঘুর করছে লেডি ভেরিন্ডারের বাড়ির আশেপাশে? রহস্যময় ঘটনাটির জট আদৌ কি খুলবে? জানতে হলে পড়তে হবে উইকি কলিন্স এর বিখ্যাত উপন্যাস “অভিশপ্ত হীরা”।
৪। 'টাইম মেশিন' লেখক- এইচ. জি. ওয়েলস।
এই বইয়ের লেখক ১৮৭৪ সালে এক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তখন সময় কাটাতে তিনি বইয়ে আসক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তার সামনে নতুন জীবন উন্মোচিত হয়। আসলে পড়তে পড়তেই তিনি একসময় লেখালেখিতে উত্সাহী হয়ে ওঠেন।
৫। 'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' (ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিচ্যুড) লেখক- গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস।
বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে নিঃসঙ্গতার একশ বছর- এর মতো আর কোনো উপন্যাস প্রকাশের পরপরই এতটা পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে কিনা সন্দেহ। জনপ্রিয়তার বিচারে যেমন, তেমনি শিল্পকুশলতা আর শিল্পমুক্তির ক্ষেত্রেও এটি হয়ে উঠেছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কেবল স্প্যানিশ সাহিত্যেই নয়, গোটা বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসেই একটি মাত্র উপন্যাসে ইতিহাস, আখ্যান, সংস্কার, কুসংস্কার, জনশ্রুতি, বাস্তব, অবাস্তব, কল্পনা, ফ্যান্টাসি, যৌন-অযাচার ও স্বপ্ন– সবকিছুর এমন স্বাভাবিক ও অবিশ্বাস্য সহাবস্থান আগে কখনও দেখা যায়নি।
৬। 'দ্যা বেষ্ট লেইড প্ল্যানস' লেখক- সিডনি শেলডন।
অনীশ দাস অপুদার অসাধারণ অনুবাদ শৈলীর বদৌলতে, আপনি চাইলেই সিডনীর বই এর স্বাদ নিতে পারেন। অবশ্যই মূল বইটিতে মজা বেশী। কিন্তু অপুদার অনুবাদের চেয়ে ভাল অনুবাদ সম্ভবত সম্ভব ছিল না। সিডনী শেলডনের প্রতিটা বই এর অনুবাদ দাদা করেছেন, অনিন্দ্য প্রকাশনের ব্যানারে।
৭। 'মাইন ক্যাম্ফ' লেখক- এডলফ হিটলার।
হিটলার তার আত্মজীবনী 'মাইন ক্যাম্ফ' থেকে প্রভূত অর্থ উপার্জন করেছিলেন। আর এ বইটি ইংরেজিতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন জেমস মারফি। বইটির দুইটি খণ্ড রয়েছে। প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে, এবং দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। বইটি লেখার সময় হিটলার জেলে ছিলেন। এই বইয়ে হিটলার নাৎসিবাদ সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা দেন।
৮। 'রেইডার্স অব দ্যা লস্ট আর্ক' লেখক- ক্যাম্পবেল।
১৯৩৬ সালের কথা। ইন্ডিয়ানা জোনস নামের এক আর্কিয়লজির অধ্যাপক একটি সোনার মূর্তির খোঁজে দক্ষিণ আমেরিকায় পাড়ি জমালেন। দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে ঘুরতে লাগলেন মূর্তির খোঁজে। সেখানে তিনি একটি মৃত্যু-ফাঁদে পতিত হওয় থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান।
৯। 'হার বেনি' লেখক- সাইলাস হকিং।
চমৎকার একটি বই। কিশোর বয়সে পড়ে চোখে পানি এসে পড়েছিল।
১০। 'সাইকো' লেখক- রবার্ট ব্লচ।
অনুবাদ করেছেন- অনীশ দাস। 'সাইকো' রচিত হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। ভয়, উত্তেজনা, রোমাঞ্চ আর শিহরনের দারুন এক কম্বিনেশন। এক কথায় সবাই এটাকে সর্বকালের সেরা সাইকোলজিকাল থ্রিলার হিসেবে মেনে নিয়েছেন। আলফ্রেড হিচকক এই কাহিনী অবলম্বনেই বানিয়েছিলেন তার বিখ্যাত 'সাইকো' ছবিটি! সেটিও সেরা দশ সাইকো-থ্রিলারে স্থান করে নিয়েছে অনায়াসে। অনীশ দাস অপুর রুপান্তরে পড়ুন বিশ্ব সেরা এই থ্রিলার উপন্যাস!
০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: পড়া অনেক শান্তির কাজ। তাই মন ভরে পড়ুন।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৭
হিমন বলেছেন: বেশিরভাগই তো পড়া হয়নি! এই জীবন রেখে কী লাভ!
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: দেরী হোক যায় নি সময়।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ১/ ভিঞ্চি কোডের ধারে কাছেও যায় নায় পরের গুলা, লস্ট সিম্বল তো না-ই।
২/ ওয়ার্ল্ডের সর্বকালের সেরা সায়েন্স ফিকশনগুলার একটা।
৩/ এভারেজ বই।
৪/ ওয়ার্ল্ডের সবচাইতে ইনফ্লুয়েন্সিয়াল সায়েন্স ফিকশনগুলার একটা।
৫/ ইউনিক বই। অত্যন্ত ম্যাচিউর রিডার না হলে পুরাই মাথার উপর দিয়া যাইবো। বাংলাদেশে এই বই পড়ার ও বুঝার মতন মানুষ হাতে গোণা।
৬/ সিডনির বইগুলা অনীশ দাস অপুর মতন একজন অখাদ্য অনুবাদক আগেভাগে অনুবাদ কইরা ফেলায় আমরা ভালো অনুবাদ পড়ার ও স্বাদ নেয়ার সুযোগ পাইতাসি না। আফসোস। সিডনি ইজ ওয়ান অফ দ্য ট্রেন্ড সেটার। মিডনাইট সিরিজ অবশ্য পাঠ্য থ্রিলার লাভারদের জন্য।
৭/ কনফিউজিং বই। এই বইয়ের সাথে তার পরবর্তীতে করা কাজের মিল পাওয়া যায় না। তার দানব রূপ চাইপ্পা লেখা এক বই। কোনো দানবের পক্ষে এই বই লেখা সম্ভব না অথবা এই বইয়ের লেখকের পক্ষে পরে দানব হওয়া সম্ভব না। কাজেই, কনফিউজিং।
৮/ একমাত্র বই যা পড়ি নাই এই লিস্টে, কারণ মনে হয় সিনেমাটা বহুবার দেইখা ফেলা।
৯/ কিশোরদের জন্য সংক্ষিপ্ত অনুবাদটা পড়সিলেন নিশ্চয়ই, সেবার? বড়টা পড়েন। ইংলিশ আর কি, মজা পাইবেন। টু মাচ ইমোশন দেয়ার।
১০/ ইটস এন এপিক।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে, আপনি পড়ুয়া মানুষ।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৪
স্থিতধী বলেছেন: অজ্ঞ বালক ভাই তাঁর ৭ নং পয়েন্টে যা নিয়ে কনফিউজড আমি অবশ্য সেটা হইনা। কারন ব্যাক্তিগত ভাবেই এমন মানুষ দেখেছি যারা খুব সুন্দর ধরনের কথা লিখে- বলে থাকলেও উগ্রবাদি জঙ্গিবাদে কর্মকাণ্ডে পরে জড়িয়েছে ঠিক ই । হিটলার ঐ বইতে কিছু আপাত ভালো ভালো যৌক্তিক নীতিধর্মী কথা লিখলেও একই বইতে তাঁর নীল রক্তের অহংকারও প্রকাশ হয়েছে, নানারকম ইহুদি কনসপাইরেসি থিওরীর চিন্তাও যে তাঁর মগজে ঘুরতো সেটাও প্রকাশ পায়। খুব সুক্ষ অহংকারী লোকেরাও যখন কোন সময় দানব হয়ে যায় আমার তখন মোটেও অবাক লাগেনা।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেক আলোচনা হওয়ায় ৫নাম্বারটা বড়েছি।