নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ দুপুরে সঠিক সময়ে খেয়েছি।
সাধারনত আমার খাওয়াও-দাওয়ার কোনো টাইমটেবিল নাই। দেখা যায় রাত তিনটা চা দিয়ে বিস্কুট খাচ্ছি। অথবা চকলেট বিস্কুট খাচ্ছি। কিন্তু আজ দুপুরে সময় মতো খেয়েছি। কারন সকালে নাস্তা খাইনি। সুরভি ফাইহাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। লকডাউন না থাকলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসতাম। আমি সরকারের দেওয়া লকডাউন মেনে চলছি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মুখ না ধুয়ে আগে এক কাপ চা খাই। এটা আমার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। সেই চা বিছানাতে বসেই খাই।
আমাদের বিক্রমপুরে একটা খাবার আছে।
মাছের মাথা দিয়ে করলা। বড় মাছের মাথা ভেঙ্গেভুঙ্গে করলা দিয়ে রান্না করে। খাবারটা অতি স্বাদ। এই খাবারটা অনেক অঞ্চলেই রান্না হয়। কিন্তু স্বাদ হয় না। করলা দেওয়ার কারনে তিতা হয়ে যায়। এত তিতা হয় যে মুখে দেওয়া যায় না। ফলে আরাম করে খাওয়া যায় না। আমাদের বিক্রমপুরের মানুষ বড় মাছের মাথা করলা দিয়ে এমন ভাবে রান্না করে যে তিতা লাগে না। বরং খেতে স্বাদ লাগে। সুরভির এই রান্না টা খুব ভালো হয়।
মাছের মাথা দিয়ে করলা।
মার কাছ থেকে সুরভি শিখে নিয়েছে। সুরভি মাসে দুই দিন এই খাবার রান্না করে খুব যত্ন নিয়ে। খেতে বেশ ভালো হয়। আজ দুপুরে খেলাম। একটু তিতাও হয় নাই। ঝরঝরে গরম ভাত দিয়ে খেলাম। চমৎকার লাগলো। সাথে ডাল। ডালে আবার কাঁচা আম দেওয়া হয়েছে। আম দেওয়াতে স্বাদ বেড়ে গেছে বহু গুন। মূরগী ছিলো, খাই না। যে কোনো বড় মাছের মাথা আর করলা দিয়েই এই খাবারটা রান্না করা যায়। ট্রাই করে দেখুন ভালো লাগবে।
সিলেট অঞ্চলের মানুষের রান্না ভালো না।
তারা যা-ই রান্না করে খেতে স্বাদ লাগে না। একবার সিলেটে এক ধনী লোকের বিয়েতে গিয়েছিলাম। আমার মনে আছে সেই বিয়েতে- 'বিয়ের গেট' করেছিলো ৩৭ টা। যাই হোক কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠান। হাজার হাজার মানুষ। ৭/৮ পদ রান্না হয়েছে। একটা রান্নাও ভালো হিয়নি। আমি ঢাকা থেকে বিয়ে খেতে এসেছি। খাবার মুখে দিয়ে মেজাজ খুবই খারাপ হয়েছে। ইচ্ছা করেছে বাবুর্চিকে কিছুক্ষন গালিগালাজ করি। শেষে ফাস্ট ফুডের দোকানে গিয়েছি বার্গার আর কোক খেয়েছি।
রান্না ভালো আমাদের বিক্রমপুরের মানুষের।
যা রান্না করে তাই খেতে ভালো লাগে। আমার মা-খালা, ফুপু আর চাচীদের হাতের রান্না অসাধারণ। আমি তেলাপিয়া মাছ খাই না। একদিন গ্রামে গিয়েছি। দুপুরে মাছ দিয়ে ভাত খেলাম। মাছটা চমৎকার হয়েছে। আলু আর বেগুন দিয়ে রান্না করেছে। খাওয়া শেষে জানলাম মাছটা তেলাপিয়া ছিলো। আসলে রান্না ভালো হলে যে কোনো খাবারই খাওয়া যায়। সবাই ভালো করে রান্না করতে জানে না। অনেক মহিলা মনে করে হলুদ মরিচ দিয়ে সিদ্ধ হলেই হলো।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: সিলেটের মুখের ভাষাও ভালো না। শ্রুতিমধুর না।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বরিশালের রান্নাও ভাল।অনেক কিছুতে তারা নারকেল দেয়।বিয়ে বাড়িতে খেয়ে কোন এলাকার রান্না বুঝতে পারবেন না,কারো বাড়িতে খেতে হবে।সিলেটের লোকের শাতকড়া দিয়ে তাদের কয়েকটা পদ খুবই ভাল।
আপনি ভোজন রসিক মানুষ,কি দিয়ে কি রান্না করতে হয় সব আপনার জানা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা বরিশালের রান্না ভালো।
খেতে ভালোবাসি।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি বরিশালের জামাই
বরিশালে আপনার শ্বাশুরীর হাতের
রান্না খেয়েছেন কখনো? যদি খেতেন
তা হলে বিক্রমপুর আর বরিশালের রান্নার
পার্থক্য বুঝতে পারতেন। শিং বা কৈ মাছ
কলার পাতায় রান্না হয়. চেখেছেন্ কখনো।
শৈল মাছরে ভাপি একবার খেয়ে দেথবেন।
শুরভীবে বলবেন পাক করতে !!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: শ্বাশুড়ির হাতের রান্না খেতে পারি নি। উনি অনেক আগেই মারা গেছেন।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Okay.
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঢাকার লোকের রান্নাও ভালো।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা হয়। ঠিক।
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রান্না নির্ভর করে রসায়নের উপর। পরিমান মত হলুদ মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, লবন ইত্যাদির সাথে সঠিক সময় আগুন দিয়ে তাপ দেওয়া।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: এ তো বইয়ে রকথা।
বই পড়ে কিন্তু সাতাঁর শেখা যায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুহিত সাহেব, উনার ভাই, সাইফুর রহমান, কিবরিয়া সাহেবকে জানার পর, সিলেট সম্পর্কে আমার মতামত বেশী ভালো নয়।