নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব সাহিত্যের সেরা দশটি বই

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:২০



১। 'এম্পায়ার অভ দা মোগল দি টেনটেড থ্রোন' লেখক- এলেক্স রাদারফোর্ড।
বইটিতে মোঘল বাদশাহদের শাসনকালের কিছু চিত্র ফুটে উঠেছে। সম্রাট আকবারের মৃত্যুর পাঁচ মাস পরে তার পুত্র শাহজাহান সিংহাসনে আরোহন করেন। কিন্তু তার ক্ষমতা গ্রহন সুখকর ছিলো না। তার ভাইয়েরা বিরোধিতা করে। শাহজাহান কঠিন হস্তে তাদের দমন করেন।

২। 'ইসলাম সংক্ষিপ্ত ইতিহাস'- কারেন আর্মস্টং।
পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মকে ভাবা হয় নারীদের মৃত্যুকূপ হিসাবে। এ ধর্মে নারীদের কোন স্বাধীনতা নেই, নারীদের কোন অধিকার নেই, সম্মান নেই ইত্যাদি এবং ইসলামই সবচেয়ে পুরুষতান্ত্রিক ও নারী-বিদ্বেষী ধর্ম। ইসলাম ধর্ম মানেই জঙ্গিগোষ্ঠি, আল-কায়দা, তালেবান। ক্যারেন আর্মস্ট্রং এর লেখা এই বইটি পড়লে পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে বাধ্য। ইসলাম ধর্ম কতটা সুন্দর, কতটা উদার, কতটা মহান ক্যারেন আর্মস্ট্রং কিছুটা হলেও বলতে পেরেছেন।
অনুবাদক শওকত হোসেনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বইটি বাংলায় অনুবাদ করার জন্য।

৩। 'নো লংগার অ্যাট ইজ' লেখক- চিনুয়া আচিবে।
যুগান্তকারী উপন্যাস “থিংগস ফল এপার্ট” এর জন্য কৃষ্ণ আফ্রিকার অন্যতম উপন্যাসিক চিনুয়া নামটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত। নো লংগার অ্যাট ইজ উপন্যাসের কাহিনী শুরু ওবি ওকোনকো নামের এক নাইজেরিয়ান সিভিল সার্ভেন্টের ঘুষ গ্রহণের পর বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এরপর কাহিনীর পুরোটাই বর্ণনা করা হয় ফ্লাসব্যাকে। প্রধান চরিত্র ওবি ছোটবেলায় স্কুলে অসাধারণ ছাত্র ছিলেন। তার জন্ম ইউমোফিয়াতে। এটি পূর্ব নাইজেরিয়ার শহর লাগোসের একটি ইগবো পল্লী। ইগবো নাজেরিয়ার অন্যতম বৃহ্ৎ এথনিক সম্প্রদায়ের একটি। নাইজেরিয়ার শহর লাগোসের ইউমোফিয়া উন্নয়ন সমিতি চাঁদা তুলে আটশো পাউন্ড ধার দেয় ওবিকে। উদ্দেশ্যে যে ওবি ইংল্যান্ডে গিয়ে আইন শাস্ত্রে পড়াশোনা শেষ করে নাইজেরিয়াতে ফিরে ইগবো সম্প্রদায়ের সুখ-দুঃখ দেখবে। কিন্তু ওবি ইংল্যান্ডে গিয়ে আইনে পড়াশোনা না করে ইংরেজি সাহিত্যে লেখাপড়া শেষ করে চার বছর পর আবার নাইজেরিয়াতে ফেরত আসেন। বাস করতে থাকেন লাগোস শহরে। যোগদান করেন সিভিল সাভির্সের স্কলারশিপ বোর্ডের চাকুরিতে, একজন শ্বেতাঙ্গ আফিসারের অধীনে। ওবি ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার সুবিধা পায় সরকারের কাছ থেকে। তার এই পার্থিব সাফল্য প্রাপ্তিতে মা-বাবা, গ্রামবাসী ও ইউমোফিয়ার সভাপতি ও সদস্যসহ সকলেই খুব খুশি হয়।

৪। 'ওয়াদারিং হাইটস' লেখক- এমিলি ব্রোন্ট।
কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে হীথক্লিফ নিজের ছেলের চেয়েও বেশি প্রিয় হয়ে উঠলো মিস্টার আর্নশর কাছে। কৈশোরেই হীথক্লিফের প্রেমে পড়ল ক্যাথরিন আর্নশ। পিতার মৃত্যুর পর হিন্ডলে আর্নশ কর্তা হলো বাড়ির। হীথক্লিফকে ভাইয়ের আসন থেকে নামিয়ে দিল সে চাকরের পর্যায়ে। একই সময় এডগার লিনটনের সাথে ঘনিষ্টতা হতে শুরু করল ক্যাথরিন আর্নশর। প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে উঠল হীথক্লিফ। হিন্ডলে আর্নশ ও এডগার লিনটনের সম্পত্তি করায়ত্ত করল সে ছলেবলে কৌশলে। কিন্তু শান্তি কি পেল তার অতৃপ্ত আত্মা? জানতে হলে পড়ুন ওয়াদারিং হাইটস।

৫। 'ম্যারিজ এন্ড মরালস' লেখক- বার্ট্রান্ড রাসেল।
বইটিতে রাসেল বলেছেন, একালের নৈতিকতার উৎস দুটি; পিতৃত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হবার আকাঙ্ক্ষা এবং যৌনতা সম্পর্কে খারাপ ধারনা। রাসেল অবাধ যৌনতাকে খারাপ বলে চিহ্নিত করেন নি। কিন্তু একইসাথে তিনি আত্মসংযমের কথাও বলেছেন। এক্ষেত্রে আবার সংযমের সঙ্গে যেন ব্যক্তি স্বাধীনতার বিরোধ না ঘটে সেটাও তিনি নিশ্চিত হতে বলেছেন। বিবাহের মূল লক্ষ্য সন্তান পালন- এটা রাসেলের মতামত। সন্তান পালনের ব্যাপারটা না থাকলে তিনি বিবাহের পুরোই বিরোধী হতেন বলে জানিয়েছেন।‌

৬। 'মিথ এন্ড মিনিং' লেখক- ক্লদ লেভি স্ত্রস।
সারাজীবন কাজ করেছেন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে প্রচলিত পৌরাণিক মিথ, লোকজ গল্পগাথা, যুগের পর যুগ চলে আসা নির্দিষ্ট অভ্যাস অথবা ভঙ্গী নিয়ে। প্রায় তিন দশক ধরে আমাজনের ইন্ডিয়ানদের জীবনাচরন ব্যাখা বিশ্লেষন করে দুনিয়ার যাবতীয় পৌরানিক কাহিনী গুলোর মধ্যে একটা সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। পৌরানিক মিথ ও প্রথার মৌলিক ধারনাকে তিনি বিশ্লেষন করে আবিস্কার করেছেন তার অন্তর্নিহিত বিন্যাস, তার অভ্যন্তরীন প্যাটার্ণ। লোকজ স্থানীয় মিথ নিয়ে কাজ করার সময় ক্লদ লেভি স্ট্রসের মিথলজি হয়ে যায় মিথলজিক। যুক্তি দিয়ে বোঝা লোককল্প। ফলে নির্দ্বিধায় তিনি দাবী করেন আদিম সমাজ নিয়ে তার তাত্ত্বিক অবস্থান- আদিবাসী মানুষের মানস বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত ভাবেই পশ্চিমা সভ্যতার মানসের সমকক্ষ। যে কোন জাতিসত্ত্বার নিজস্ব চিন্তা সংস্কৃতি ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে যে ভাবনা প্রকাশ করে, পশ্চিমা যে কোন ভাবনার চেয়ে তা কোন অংশে কম নয়।‌

৭। 'ইলিয়াড' ও 'ওডেসি' লেখক- হোমার।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা দুটি গ্রিক মহাকাব্য ইলিয়াড এবং অডিসি। সেই আদিকাল থেকে অদ্যাবদি যেগুলোর জনপ্রিয়তা এতটুকু ম্লান হয় নি। এ রকম দুট কালজয়ী সাহিত্যকর্মের রচয়িতা মহাকবি হোমার। একজন জার্মান সমালোচক ও দার্শনিকের অভিমত, ইলিয়াড কাব্যটি এককভাবে হয়ত হোমারের রচিত নয়। এটি আসলে জাত মহাকাব্য। এই সুবৃহত মহাকাব্যটি হয়তো প্রাচীন গ্রীসের বেশ ক'জন গ্রাম্য স্বভাবকবি কর্তৃক রচিত। বিভিন্ন কবির রচিত খন্ড খন্ড অংশ একত্রিত করেই সৃষ্টি হয়েছে ইলিয়াড।

৮। 'এন্ডলেস ওয়েট' লেখক- আগাথা ক্রিস্টি।
আগাথা ক্রিস্টি একজন ইংরেজ অপরাধ কল্পকাহিনী লেখক। তিনি ৮০টি রহস্য উপন্যাস লেখেন, যাদের মধ্যে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো (Hercule Poirot) ও মিস মার্পল'র কাহিনী গুলো অন্যতম। তাঁকে রহস্য উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্ভাবনী লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।‌

৯। 'দ্য গুড আর্থ' লেখক- পার্ল এস. বাক।
বইটি ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৩১ থেকে ১৯৩২ – এই পুরো দুই বছর ‘দ্য গুড আর্থ’ বইটি আমেরিকার ন্যাশনাল বেস্টসেলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলো। এই বইটির জন্য বাক ১৯৩২ সালে পুলিৎজার পুরষ্কার পান। অসামান্য মর্মস্পর্শী এই সাহিত্য কর্মই পরবর্তীতে তাঁকে নোবেল পুরষ্কারের মঞ্চের দিকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। পার্ল এস. বাক’র ‘দ্য গুড আর্থ’ নিয়ে বেশ কয়েকটি শর্ট ফিল্ম ও পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন নামীদামী পরিচালক।
‘দ্য গুড আর্থ’ এর কাহিনি চীনের এক গরীব কৃষক ওয়াং লুংকে নিয়ে। ওয়াং লুং হোয়াঙের জমিদারের কৃতদাসী ও-লানকে বিয়ে করে। নিজের কঠোর কর্মঠ জীবনের সূত্র ধরে একসময় সে প্রভূত উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। জমানো অর্থ খরচ করে কিনে ফেলে পড়তি জমিদারের জমি। সেই জমিতে চাষবাস শুরু করে ওয়াং লুং। তার গরীবী অবস্থা ফিরতে থাকে। তাকে একাজে সবসময় সাহায্য করে তার বোকাসোকা স্ত্রী ও-লান। প্রতি বছর সে একটু একটু করে নিজের জমির পরিধি বাড়াতে থাকে।

১০। 'মাদার তেরেসা' লেখক- এমিল জোলা।
বিশ্বের 'ঔপন্যাসিকদের ঔপন্যাসিক' হিসেবে খ্যাত ছিলেন এমিল জোলা। সাহিত্যে প্রকৃতিবাদী চিন্তাধারার অত্যন্ত জোরালো প্রবক্তা ছিলেন তিনি। জীবনের শুরুতে তিনি ফরাসি শুল্ক বিভাগের একজন করণিক ছিলেন। ফ্রান্সের রাজনৈতিক উদারনৈতিকতার জন্য সবসময় কাজ করেছেন এমিল জোলা। দ্য আর্থ (বাংলায় অনূদিত গ্রন্থ মাটি) বা দ্য জার্মিনাল (বাংলায় অনূদিত গ্রন্থ অংকুর) এর মতো উপন্যাসসহ আরও অনেক কালজয়ী উপন্যাসের রচয়িতা ছিলেন এমিল জোলা। ১৯৩৭ সালে জোলার জীবনী নিয়ে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্র 'দ্য লাইফ অব এমিলি জোলা'। মুভিটি একাডেমি অ্যাওয়ার্ড পায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৭ এবং ৯ পড়েছি।পার্ল এস় বাক, আমার একজন প্রিয় লেখক।তার লেটার ফ্রম পিকিং একাধিক বার পড়েছি।একশত বইয়ের তালিকায় ৭ আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো ভালোই বই পড়েছেন।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো পোস্ট। এগুলো কি ভাইয়ের কালেকশনে আছে?
শুভেচ্ছা রইলো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু আছে। কিছু কে বা কারা নিয়ে গেছে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১ আর ৯ পড়েছি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.