নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ গুগল।
(অনন্ত নক্ষত্র বীথির মাঝে যে বিশাল শূন্যতা, যে তীব্র নিঃসঙ্গতার বেদনা, তা যেন বুকের ভেতর হাহাকার করতে থাকে। বারবার মনে হয় এ জগৎ সংসার, এই জীবন, এই বেঁচে থাকা সব কিছু মিথ্যে, সবকিছু অর্থহীন।)
রাত দুইটা। চোখে ঘুম নেই।
ব্যালকনিতে বসে আছি একা চুপচাপ। একটার পর একটা সিগারেট শেষ করছি। ভাবছি পৃথিবীর সবাই আমার মতো নয় কেন? গভীর রাতে সবকিছু কেই বড় জীবন্ত বলে মনে হয়। গাছ-পালা, কীটপতঙ্গ, জ্যোছনা। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে কত কথা বলি, কিন্তু আকাশ কথা বলে না। চুপ করে থাকে। মধ্যরাত্রের নীরবতা বড় বেশি অসহ্য লাগে। ঈশ্বর তুমি যদি থাকো আমাকে সাড়া দাও না কেন?এই নির্জন মধ্যরাত্রে একবারও কি আমার তাপিত হৃদয়ের ডাকে বলে উঠবে না, আমি আছি? নাকি নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে তোমার নিজেরও সংশয় আছে? যতদিন অজানা এবং জ্ঞানের সীমার বাইরের ব্যাপার থাকবে ততদিন ঈশ্বরকে না মেনে উপায় নেই নাস্তিক দলের।
মনে হয় আমার পূর্বপুরুষের ডিএনএ- তে অনেক সমস্যা ছিল। তা না হলে কেন আমার বার বার মনে হবে- 'সে' আমার। শুধু আমার। 'সে' আমার সম্বল, 'সে' আমার আশ্রয়, 'সে' আমার ইহকাল, 'সে' আমার পরকাল। দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের ভিড় থেকে এই যে একজন উঠে আসে! আমার মৃত্যু আমার হাতে। আমি জানি আমার মৃত্যুটা কেমন হবে। কত কুৎসিত মৃত্যু হয় চারপাশে। অনেক মানুষ প্রিয় মানুষের এক ফোঁটা চোখের জল দেখে মরতে পারে না। মরার আগে তাদের কপালে কোনো মায়াময় ভালোবাসার কোমল স্পর্শ পড়ে না। আমার মৃত্যু ঠিক এই রকমই হবে। এই মধ্যরাত্রিতে অতলস্পর্শী ক্লান্তি আমাকে আচ্ছন্ন করে। খুব ইচ্ছে হয়, 'সে' যদি এখন আমার হাত ধরে বসে থাকতো!
আচ্ছা, মানূষ কি মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর থেকেও টের পায়?
আহ্ চোখে পানি এসে যায় কেন? এবার ডাক্তার দেখাতে হবেই। আসলে, মানুষের একান্ত ভালোবাসা নিয়ে কোনও মানুষ কখনও হারিয়ে যায় না। রবীন্দ্রনাথের একটি ছোট গল্প আছে না, যার নাম 'ঘোড়া'। আগামীকাল সুন্দর একটা মেয়ের সাথে দেখা করতে যাবো। এই মেয়ের অনেক গুন। সে বিশ্বের ২৩ টি দেশের মন্ত্র-তন্ত্র বিদ্যায় স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত। উনি এখন বাংলাদেশে আছেন। তার স্বপ্নে পাওয়া দৈববস্তু দিয়ে যে কোনও সমস্যার সমাধান মাত্র ৭ থেকে ২১ দিনের মধ্যে দিয়ে থাকেন। যে সমস্যার সমাধান তিনি করেন, সেগুলো হলো- স্বামী-স্ত্রী অমিল, প্রেম-ভালোবাসায় ব্যর্থতা, চাকরি ফিরে পাওয়া, বিবাহের বাধা, সন্তান না হওয়া, ব্যবসায় উন্নতি, জ্বীন-পরীর আছর থেকে মুক্তি, বান মারা থেকে ফেরানো সহ সকল সমস্যার সমাধান দেন। (সকল ধর্মের লোক তার সাথে দেখা করতে পারেন) তার অস্থায়ী অফিস গুলশান। আমি অনেক ঝামেলা করে তার সাথে দেখা করার অবস্থা করেছি। আমার খুব কাছ থেকে দেখার শখ একটা সুন্দরী মেয়ে কি করে মানূষকে মিথ্যা বলে বোকা বানায়। আগামীকাল এই মেয়েটাকে আমি খুনও করতে পারি। আবার তাকে নিয়ে নৌকা ভ্রমনেও যেতে পারি। মানুষের মন রহস্যে ভরা। আকাশেও এত রহস্য নেই।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা লেখা উচিত।
আসলে মন দিল ভালো নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
করোনায় ঢাকা ডুবে যাচ্ছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেন, মানুষ জানুক।