নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। 'দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন' লেখক- জন রীড।
এই বইয়ে পাওয়া যাবে বিপ্লবের মহাকাব্যিক বর্ননা। এই বইয়ের লেখক পেশায় একজন সাংবাদিক ছিলেন। চমৎকার বই। মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
২। 'ওয়াদারিং হাইটস' লেখক- এমিলি ডিকেনসন ব্রনটি।
কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে হীথক্লিফ নিজের ছেলের চেয়েও বেশি প্রিয় হয়ে উঠলো মিস্টার আর্নশর কাছে। কৈশোরেই হীথক্লিফের প্রেমে পড়ল ক্যাথরিন আর্নশ। পিতার মৃত্যুর পর হিন্ডলে আর্নশ কর্তা হলো বাড়ির। হীথক্লিফকে ভাইয়ের আসন থেকে নামিয়ে দিল সে চাকরের পর্যায়ে। একই সময় এডগার লিনটনের সাথে ঘনিষ্টতা হতে শুরু করল ক্যাথরিন আর্নশর। প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে উঠল হীথক্লিফ। হিন্ডলে আর্নশ ও এডগার লিনটনের সম্পত্তি করায়ত্ত করল সে ছলে বলে কৌশলে।
৩। মা' লেখক- ম্যাক্সিম গোর্কী।
'মা' উপন্যাসটি সারা বিশ্বেই অত্যধিক জনপ্রিয় একটি সাহিত্য। গোর্কির লেখনীতে সর্বদাই শ্রমজীবি মানুষের কথা উঠে এসেছে অত্যন্ত সাবলীলভাবে। তার মা চরিত্রটিতে দেখা গেছে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার এক মানবীকে। যিনি কল্যাণকামী এবং ধৈর্যশীলা। এই উপন্যাসের মা সর্বদাই শ্রমিকদের লাঞ্ছণা-গঞ্জণা এবং পরাজয়ের দগদগে ঘাগুলো দেখিয়েছেন এবং শুশ্রুষা করেছেন। মা শ্রমিকশ্রেণীর মানুষ গুলোর জন্য ছিলেন প্রেরণাদাত্রী। গোর্কি তার এই উপন্যাসে এমনই এক মা-কে অসাধারণ সাহিত্যিক মহিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমার জীবনে আমি যত ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছি- 'মা' বইটি দেখেছি।
৪। 'টম সয়্যার' ও 'হাকফিন' লেখক- মার্ক টোয়েন।
মার্ক টোয়েন কখনো স্কুলে যাননি। কিন্তু লেখালেখির জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়েছিলেন সম্মানসূক ডি. লিট ডিগ্রি। তাঁর সব লেখাই কৌতুক করে লেখা। পড়ুন। তাকে জানুন। তা না হলে পেছনে পরে থাকতে হবে।
৫। 'শার্লক হোমস' সমগ্র লেখক- স্যার আর্থার কোনান ডোয়েল।
শার্লক হোমস ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৮৮৭ সালে প্রথম আবির্ভূত এই চরিত্রের স্রষ্টা স্কটিশ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। কোনান ডয়েল শার্লক হোমসকে নিয়ে চারটি উপন্যাস ও ছাপ্পান্নটি ছোটোগল্প লিখেছেন। যা পাঠক আজও মুগ্ধ হয়ে পড়ে।
৬। 'মেটামরফসিস' লেখক- কাফকা।
প্রায় ১০০ বছর আগে কাফকা লিখেছিলেন তাঁর অসামান্য নভেলা মেটামরফসিস। বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ সাহিত্য কর্মটি নতুন করে মূল জার্মান থেকে ইংরেজিতে তর্জমা করেছেন সুসান বের্নোফস্কি। রূপান্তর নামে এই বইটি অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী। এ বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বন্ধু ব্রড কাফকার জীবন অবলম্বনে লিখেন উপন্যাস ‘দ্য কিংডম অব লাভ’।
৭। 'লাঞ্ছিত বঞ্চিত' ও 'ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট' লেখক- দস্তভয়স্কি।
কালজয়ী একটি উপন্যাস। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র খুব চমৎকারভাবে আমার চারপাশের মানুষ গুলোর মাঝেই খুঁজে পাবেন। এই উপন্যাস এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দারিদ্র পিষ্ট সমস্যায় জর্জরিত এক যুবককে নিয়ে। সে তার এবং তার চারপাশের মানুষের জীবনের অভিশাপ দেখে বিদ্রোহী হয়ে উঠে। আর যুবকের মাঝে থাকে কিছুটা সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স। সে নিজেকে ভাবতে শুরু করে সমাজ উদ্ধারে পথিকৃৎ হিসাবে। আর সেই তাড়না থেকে সে খুন করে সম্ভাবনাহীন জীবনকে যাপিত করা এক পুজিপতি বুড়িকে। এবং খুব অলৌকিকভাবে সে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে সমর্থ হয়। তারপর শুরু হয় তার আত্মদ্বন্দ্ব। সে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে যায়। এসময় তার বন্ধু রাজুমিখিন ঢুকে পড়ে উপন্যাসে তার সমর্থনদাতা উপকারী বন্ধু হিসাবে।
৮। 'সানস এন্ড লাভারস' লেখক- লরেন্স।
এ বই সম্পর্কে আমার ছোট চাচা বলেছেন, বইটি অনেক ভাল। আমার শিক্ষক নিত্য স্যারও এই বইটার কথা আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছেন। অবশ্যই বই পড়ুয়াদের পড়া উচিৎ। বইটি এখনও সংরহ করতে পারিনি। আমার পড়াও হয়নি। তবে লিস্টে নাম তুলে রেখেছি।
৯। 'সোফির জগৎ' লেখক- জোস্টেইন গার্ডার।
সোফির জগৎ এর মতো এ উপন্যাসেও গার্ডার গল্পের ছলে দর্শনের জটিল চিন্তাজগতকে উপস্থাপন করেছেন। সিসিলিয়া নামে এক মুত্যু পথযাত্রী মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে এক দেবদূত। সিসিলিয়া আর সেই দেবদূতের মধ্যে কথপোকথনের উঠে আসে জীবন, মৃত্যু আর মহাবিশ্বের এক জটিল গোলকধাঁধার জগৎ। দিনের পর দিন কথপোকথনের মাধ্যমে সিসিলিয়া একপর্যায়ে রাগ, ক্ষোভে আর অস্বীকৃতি ডিঙিয়ে শান্তভাবে তার অমোঘ নিয়তি মেনে নিতে শুরু করে। সেই নিয়তির নাম মৃত্যু।
১০। 'স্পার্টাকাস' লেখক- হাওয়ার্ড ফাস্ট।
আধুনিক সাহিত্যের উপন্যাসে অতীত মানুষের সংগ্রামের কাহিনী উপস্থাপনের এমন নজির খুব বেশি একটা নেই। লেখক ফাস্ট শুধুমাত্র স্পার্টাকাসের মধ্যেই তার সৃষ্টি থামিয়ে রাখেন নি। আরো একাধিক উপন্যাসে মানুষের সংগ্রামের বিস্তৃত কাহিনী তিনি তুলে ধরেছেন। 'পিকস্কিল' উপন্যাসে দেখা যায়, ফাস্ট কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং নিপীড়নের দৃশ্য চিত্রিত করেছেন। যা তাদের আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী হতে ভূমিকা রাখে। একইভাবে সাইলাস টিম্বারম্যান, ডিনার পার্টিসহ আরো একাধিক গ্রন্থে প্রচলিত সমাজের অন্তসারশূন্যতার উদাহরণ তিনি চমৎকারভাবে বিবৃত করেছেন। এর জন্য অবশ্য তাকে কম মূল্য দিতে হয়নি। জেলে যাওয়া থেকে শুরু করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলারও শিকার হয়েছেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: পড়া দরকার। খুব দরকার।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এবার অনেক গুলো কমন পড়েছে।১,৩,৪,৫,৬,৭ ।দস্তয়ভস্কির ও লিও টলস্টয়ের সব বই প্রায় পড়া।রিসারেকশন আমার প্রিয় একটা উপন্যাস।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি জানি আপনি অনেক বড় পড়েছেন। হয়তো উদানিং পড়া কমিয়ে দিয়েছেন।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪৫
রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: ৩,৪,৫,৭,৯ কমন পড়েছে।৯ নং এর কাহিনী সংক্ষেপে সমস্যা আছে।সোফির জগতের মূল চরিত্র হিল্ডা ক্রামার এবং সোফি এমুন্ডসেন।সিসিলিয়া গার্ডারের অন্য বইয়ের চরিত্র।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:০১
কল্পদ্রুম বলেছেন: সবগুলোই ভালো বই।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি খুব ভালো ইংরেজি জানেন।
বিশ্বের সেরা সেরা সব বই পড়ে ফেলছেন।
খুবই ভালো ব্যাপার এটা।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বই গুলো আমি অনুবাদ পড়েছি।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৮
জুন বলেছেন: ১০টির মধ্যে ৮টি পড়া। ডি এইচ লরেন্সের এই বইটি পড়িনি তবে তার লেখা আরেকটি বিতর্কিত বই পড়েছি। টম স্যয়ার আর তার বন্ধু হাকলবেরি ফিন বহুবার পড়েছি সেই অল্প বয়সে। জ্যাক লন্ডনের সমুদ্রের স্বাদ বইটিও অসাধারণ আর আমার অনেক প্রিয় একটি উপন্যাস। তলস্তয়ের আনা কারেনিনা আপনার ভালো লাগেনি আপনার ?
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অনেক বই পড়েন। আপনি সত্যিকারের পড়ুয়া মানুষ।
গ্রেট।
আপনার সংগ্রহে কি পরিমান বই আছে?
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মা’ উপন্যাসটি পড়া হয়েছিল। এর ছাড়া কোনটিও পড়া হয়নি।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ব্যস্ত মানুষ। তাই বই আপনি কম পড়েন। কিন্তু অনেক বই পড়া দরকার।
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বসাহিত্য নিয়ে আপনার সিরিজ পোস্টগুলি বেশ দরকারি পোস্ট। ধন্যবাদ।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
ইসিয়াক বলেছেন: ৩,৪,৫ নং আমার প্রিয় বই।
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।
১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় সব বইগুলো!
১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ক্যাডেট কলেজে গিয়েই কি আপনার বই পড়ার অভ্যাস হয়েছে?
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪১
ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ। যদিও এখন পর্যন্ত একটাও পড়া হয় নি। তবে বইগুলি পড়ার ইচ্ছে পোষন করলাম