নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটার নাম ফুল

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮



আমাদের দেশে এত এত গরীব মানুষ কেন?
রাস্তায় বের হলে অসংখ্য ভিক্ষুক। কিছু ভিক্ষুক আছে একদম ছোট। ৫/৬ বছর বয়স। এই বয়সী একটা বাচ্চা কেন ভিক্ষা করবে? এটা আমি মেনে নিতে পারি না। 'দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে' এই কথাটা যে বা যারা বলে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। শুধু মাত্র মেট্রোরেল আর পদ্মাসেতু দিয়ে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলা উচিত না। একটা ৫/৭ বছরের বাচ্চা রাস্তায় কেন মানুষের কাছে হাত পাতবে? যে বাচ্চাটার লেখাপড়া করার কথা। খেলাধুলা করার কথা। আমার নিজেরও মেয়ে আছে। এই শ্রেনীর শিশুদের রাস্তায় দেখলেই আমার নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে। খুব কষ্ট হয় আমার।

গতকালের ঘটনা। রাত ৯ টা।
আমার সিগারেট শেষ। আমি সিগারেট আনতে বাইরে গিয়েছিলাম। অবশ্য সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম। কিন্তু তখন সিগারেটের কথা মনে ছিলো না। তাই আবার বাসা থেকে বের হয়েছি। বাসা থেকে বের হয়ে সাতটা বেনসন কিনলাম। এক শ' টাকা। একটা সিগারেট ধরিয়েছি। তখন ছোট্র একটা বাচ্চা মেয়ে আমার কাছে এলো। পরীর চেয়ে ছোট মেয়েটা। চোখে মুখে অসহায় ভাব। দেখলেই বুঝা যায় মেয়েটা ক্ষুধার্থ। বয়স্ক মানুষ ভিক্ষা করে মানা যায়। একটা ছোট বাচ্চা কেন ভিক্ষা করবে? তাছাড়া চারিদিকে করোনা। দরিদ্র পিতা মাতা নিশ্চয়ই শখ করে মেয়েকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়নি।

মেয়েটাকে দেখে আমার ভীষন কষ্ট হলো।
এই রকম দরিদ্র মেয়ে দেশে কত জন আছে? সেই হিসাব আমার কাছে নেই। আমি সত্যি কথা বলি- রাস্তায় বের হলে এই রকম বাচ্চা ছেলে মেয়েদের দিকে আমি তাকাই না। ওদের আমি অস্বীকার করতে চেষ্টা করি। ওদের ভুলে থাকতে চেষ্টা করি। কারন ওদের জন্য আমার কিছু করার ক্ষমতা নাই। দশ বিশ টাকা ওদের হাতে দিলে, ওদের কি খুব উপকার হয়ে যায়? এই মেয়েটা সারাদিন হাত পেতে কত টাকা পায়? দুই শ' টাকা? আমি মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম সারাদিনে কত টাকা পাও? মেয়েটা বলল, ৭০/৮০ টাকা। এই ৮০ টাকা দিয়ে কি হয়? যেখানে এক কেজি মোটা চালের দাম ৬৫ টাকা। এক হালি ডিম ৩৫ টাকা।

মেয়েটার নাম ফুল।
কিন্তু সবাই তাকে ডাকে ফুলি নামে। সে বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। তাঁর বাবা নিখোঁজ। মা অসুস্থ। তাই সে রাস্তায় জনে জনে হাত পাতছে। যা টাকা পায় সে মায়ের হাতে তুলে দেয়। মাঝে মাঝে সে বেলুন বিক্রি করে। বেলুন কেউ কিনে না তবে কেউ কেউ দুই টাকা, পাঁচ টাকা দেয়। আমি মেয়েটাকে বললাম, তুমি কিছু খাবে? মেয়েটা বলল না। আমি একশ' টাকা মেয়েটাকে দিলাম। আমার কাছে আর টাকা ছিলো না। আমার ইচ্ছা করলো মেয়েটা কোলে করে বাসায় নিয়ে যাই। ভালো করে গোছল দিয়ে দেই। পেট ভরে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেই। ঘুম থেকে উঠে সে পড়তে বসবে। এই মেয়েটাকে দেখে কোন পাষন্ডের না মায়া হবে? এই মেয়েটার দায়িত্ব নেওয়ার মতো কি কেউ নেই? শেখ হাসিনা কি এই এরকম মেয়েদের সম্পর্কে কিছু জানেন না?

আমার একটা স্বপ্ন আছে।
এরকম অসহায়, গরীব শিশুদের জন্য কিছু করবো। আমার একটা প্রতিষ্ঠান থাকবে। আমি তাদের লেখাপড়া শেখাবো। খাওয়াবো, পড়াবো। তাদের যোগ্য করে তুলবো। এই স্বপ্ন আমার এই ফুলকে দেখে হয়নি। অনেক আগে থেকেই আমার এই ইচ্ছা, এই স্বপ্ন। কারন সরকার এদের জন্য কিছু করবে না। ক্ষমতাবানরাও এদের জন্য কিছু করবে না। করলে আরো আগেই করতো। এই শ্রেনীর শিশু ত্রিশ, চল্লিশ বছর আগেও ছিলো। আজও আছে। আগামীতেও হয়তো থাকবে। সব ধনী লোক যদি একজন করে এরকম শিশুর দায়িত্ব নিতো তাহলে এরকম শিশু একজনও রাস্তায় থাকতো না। মানুষের মন থেকে কি মায়া দয়া উঠেই গেছে? রাত ৯ টায় একটা বাচ্চা মেয়ে জনে জনে দুইটা টাকা চাচ্ছে! কেউ তাকে টাকা দিচ্ছে না। কেউ তাঁর দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না।

আমি প্রতি বছর ঈদের সময়-
দুই ডজন জামা কিনি। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাচ্চাদের বিলিয়ে দেই। চারিদিকে অসংখ্য দরিদ্র অসহায় শিশু। সবাইকে দিতে পারি না। খুব খারাপ লাগে। আমি ধনী মানুষ নই। কিন্তু আমার ইচ্ছা করে সবাইকে দেই। গত বছর কাউকে জামা দিতে পারি নি। এ বছরও পারবো না। না দিতে পারার যন্ত্রনা আমাকে কষ্ট দেয়। আমাকে নড়াচড়া দিয়ে উঠে বসতে হবে। সময় হু হু করে চলে যাচ্ছে। আমার চোখে যত দরিদ্র অসহায় শিশু চোখে পড়বে, তাদের দায়িত্ব নিবো। তাদের থাকা খাওয়ার নিশ্চয়তা দিবো। তাদের লেখাপড়া শেখাবো। তাদের হাতের কাজ শেখাবো। তারা একটু সুযোগ পেলে নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ হাসিনার ধারণা, শধু শেখ সাহবের মেয়েরা ভালো থাকলেই চলবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: না এই দেশ শুধু শেখ হাসিনার না।
এই দেশে সবাইকে ভালো থাকতে হবে। সবাই মিলেমিশে ভালো থাকতে হবে।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



পৃথিবীতে সবাই ধর্মের সঠিক অনুসরণ ও অনুশীলন করুক।

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের কারনেই কি এই সব শিশু আজ পথে পথে?

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মাস ২ আগে একটি দোকানে দাড়িয়ে বিস্কিট, চানাচুড় ইত্যাদি কিনছি। একজন মাঝ বয়েস পার হওয়া মহিলা এসে বললেন তাকে ১৫০ টাকা দিতে। তিনি একটা শাড়ি-কাপর কিনবেন, নামাজ পড়বেন।
আমি বললাম- ১৫০ টাকায় কাপড় পাওয়া যায়?
উনি বললেন- পাওয়া যায়।
আমি উনাকে টাকা দিলাম না।

ততোক্ষণে আমার কেনা-কাটা শেষ হয়েছে। আমি উনাকে বলালম- আমার সাথে আসেন।

অল্প একটু হেঁটে আসলেই আমার পরিচিত একটা কাপড়ের দোকান আছে। এখান থেকে আমি গাছা কিনি তিন-চারশো টাকায়, এখান থেকেই আমি হাজার টাকায় লুঙ্গি কিনি বোন জামাইকে ঈদে দেয়ার জন্য। পরিচিত কিছু লোককেও এখান থেকেই জামা কাপড় কিনে দেই। আমার ছোটো মেয়ের সেন্টু গেঞ্জি কিনি এখান থেকেই।

দোকানিকে বললাম এই মহিলাকে একটা কাপড় দিবো, মোটামুটি মানের কিছু কাপড় দেখাও।
দোকানি ছেলেটা ৪/৫ টা কাপড় বের করে দেখালো।
উনি কোনোটাই পছন্দ করেন না।
দোকানি আরো কয়েকটা কাপড় বের করে দেখালো।
উনি সেগুলিও পছন্দ করলেন না। এই কাপড়গুলি নাকি ভালো না।

বুঝতে পারলাম উনার কাপড়ের দরকার নেই, দরকার টাকার।
ইচ্ছে করলো হেঁটে চলে যাই। পারলাম না।
২০০ টাকা উনার হাতে দিয়ে বললাম- আপার পছন্দ মতো কিনে নিয়েন।

কারণ ছাড়াই মেজাজ খারাপ হয়েছে, হানহন করে হেঁটে চলে যাচ্ছি। পিছন থেকে শুনতে পেলাম দোকানি বলতেছে - এই কারণে লোকে তোমগো ভালা কিছু দিতে চায় না।

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা এরকম ঘটণাও ঘটছে অহরহ।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: এরা বেশির ভাগ ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রেরিত।এদের সিন্ডিকেট থাকে। খাবার বা জিনিস দিলে এরা নিতে চায় না। এরা নগদ টাকা চায়। আপনি নিয়ে যেতে চাইলেও এরা আপনার বাসায় বা আপনার আশ্রয়ে যেতে রাজী হবে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল কথা।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

সামিয়া বলেছেন: আপনি পথশিশুদের নিয়ে আমার মনের কথাগুলোই লিখেছেন

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এবার তাদের জয় কিছু করার সময় এসেছে।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছে, পথশিশুরা রাস্ট্র ও সমাজের বাইরে!

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এরা কি কেয়ামত পর্যন্ত এভাবেই বেঁচে থাকবে?

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সম্পদ বেড়েছে এটা ঠিক।তা না হলে মরুভূমি দুশ টাকা দিত না।কিন্তু সম্পদের সুষম বন্টন হয় নাই।বেশির ভাগ সম্পদ চলে গেছে কিছু দুর্নীতিবাজ টাউট বাটপারের হতে।সাধারন মানুষ হয়ে গেছে নিঃস্ব।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের ধরছে না কেন? এটা মাথায় আসে না।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার মতো অনেকেই অনেক কাল থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা দিয়ে জনকল্যান মুলক কাজ করেছে।তাতে করে দারিদ্র কি কমেছে, চুল পরিমানো কমেনি।
সমস্যার মূলে যেতে হবে।খুঁজে বের করতে হবে সমস্যার কারন কি।সেখানে আঘাত করতে হবে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: এই কাজ করবে কে? সরকার? না আমি?

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই কাজ আপনিও করবেন না সরকারো করবে না।সরকারকে করার জন্য জনগনকে প্রশ্ন করতে হবে এবং সরকার না করলে জনগন সরকারকে হটিয়ে যারা করবে তাদেরকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এই জন্য দরকার জনগনের সরকার,যারা জনগনের কথা শুনবে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে সেটা সম্ভব না।
সেটা করতে গেলে সরকার হয়তো আমাকে গুম করে ফেলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.