নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মকথা

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৮



আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মহোদয় জানতেন যে, আমি একজন কৃষক পরিবারের সন্তান, তাই তারা নবম শ্রেণীতে নাম রেজিষ্ট্রেশন কালে জন্মতারিখ ১-৪-১৯৫৫ ইং লিখে দেন, যাতে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করার পূর্বাপর পিয়ন বা কেরানীর চাকুরির যোগ্য হই। আমার বেলায় ঘটলোও তাই। ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার রেজাল্টের পূর্বেই ১৯৭৪ সালের ১ লা এপ্রিল আমার ৩য় শ্রেনীর ৭ম গ্রেডের একটা চাকুরী হয়। খোদ প্রশাসনের প্রান কেন্দ্র সচিবালয়ে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার তখন ক্ষমতায়।
তিনি একটি দুঃসাহসী কাজ করলেন, পাকিস্তান আমলের ২২ হাজার বেতন স্কেল ভেঙ্গে মাত্র দশটি স্কেল করলেন। তখন ৫ম থেকে দশম গ্রেড স্কেল বাস্তবায়ন হলেও ৪র্থ থেকে ১নং গ্রেডের আমলা (সামরিক ও বেসামরিক) বঙ্গবন্ধুর সদ্যস্বাধীন দেশের বেতন কাঠামো গ্রহন না করে পাকিস্তান আমলের বেতন গ্রহনের মধ্য দিয়ে পাহাড়সম নেতাকে মূলতঃ চেলেঞ্জ ছুড়ে দিলেন।
যে কারনে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্টের ৩২ নম্বরে ঘটে যাওয়া কারবালাকে হার মানানো ইতিহাসের নির্মম জঘন্য ঘটনায় আমি বিস্মিত হই নাই। কারন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আবির্ভাব স্বাধীন বাংলাদেশে পে-স্কেল না মানার মধ্য দিয়া বপিত হয়েছিল যা বাস্তবায়নে সামরিক ও বেসামরিক আমলা এবং বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের লোকজন সম্পৃক্ত ছিল।

কমরেড হায়দার আকবর খান রনো তার লেখা 'সিপাহী বিপ্লব' বইতে ১৫ই আগষ্ট, ৩রা ও ৭ই নভেম্বর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। আমি জেল হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমেদের ধানমন্ডির বাসায় তার লাশ দেখতে গিয়েছিলাম। তার লাশ ও তার পুত্র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেলকে পিতার লাশের পাশে অপলক অবস্থায় দেখেছি।
আমি চাকরি করার কারনে ঘাতক মোস্তাকের সাথে মেজর ডালিমকে সঙ্গী হিসাবে দেখেছি। ১৯৯৬ সালে রাতারাতি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বনে যাওয়া আমলা আসাফ উদ্দৌলা হকে খন্দকার মোশতাকের ঘনিষ্ঠ হিসাবে দেখেছি। আমি আমলা মাহবুব আলম চাষীর তৎকালীন কর্ম দেখেছি। আমি প্রশাসনে আমলা চরিত্র ১৯৭৪-১৯৯৬ পর্যন্ত অবলোকন করেছি। আবার আমলা চরিত্র রাতারাতি পাল্টে যাওয়াও দেখেছি। ১৯৯৬ সালে হাতে গোনা কয়েকজন জুনিয়র অফিসার আমাদের সাথে ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন বয়কটের আন্দোলনে শরীক হতে দেখেছি। কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের সময় ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় অনেক আমলা আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন।

সেদিন আকাশে অনেক মেঘের ঘনঘটা।
আওয়ামী লীগ ও তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচন করবে না বিধায় সারা দেশময় অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। বিএনপি দূরদর্শিতার অভাবে মিত্রহীন হয়ে পড়ে। তারা নির্বাচন ঘোষনা দেয় ১৫ ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ তারিখ। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের দল ফ্রিডম পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং বিরোধী দলের মর্যাদা লাভ করে যা আওয়ামীলীগের অন্তরজ্বালা বাড়িয়ে দেয়। তারা আন্দোলনের মাত্রা আরও বেগবান করে তোলে। আমি এবং আমার সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মহীউদ্দীন কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ কার্যালয়ে কোন এক বিষয় নিয়ে ১১ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ তারিখে আলোচনারত, এমন সময় আমার সাংগঠনিক বন্ধু মুজিবুর হকের নেতৃত্বে বিরাট একটি মিছিল সহকারে আমাদের কাছে এসে দাবী করে যে, ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৬ তারিখের নির্বাচনে আমাদের নিরাপত্তা বিধান না করলে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব কি ভাবে পালন করব?

আমি এবং মহিউদ্দিন ভাই সবাইকে বললাম, চলুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে গিয়ে আলোচনা করি, উনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে অবশ্যই আপনারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। কর্মচারীরা সবাই একবাক্যে রাজি হলো। আমরা বিশাল এক মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করিডোরে যাই। আমরা সম্ভবত চারজন সৈয়দ মহীউদ্দীন, আজিজুর রহীম, আমি ও মজিবুল হক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর কামরায় গেলাম তখন স্বরাষ্ট্র সচিব জনাব সৈয়দ রেজাউল হায়াৎ সাহেব উপস্হিত ছিলেন। জনাব চৌধুরী সাহেবের কাছে আমাদের নিরাপত্তার অসহয়ত্বের কথা বলার সাথে সাথে হুংকার করে বলে উঠলেন 'কোথা থেকে কি হয়- আমি কি জানি না'- after fifteenth you people and Hasina will suffer'. আমরা মিষ্টার চৌধুরীর কথায় হতবাক। আমরা ফিরে এলাম।

চলবে....

(লেখাটা আমার নয়। আমার শ্বশুর মশাই লিখেছেন। তাঁর অনুমতি নিয়েই লেখাটা সামুতে দিলাম। করোনার জন্য তিনি ঘরে বন্ধী। সময় কাটানোর জন্য তিনি তাঁর অতীত ইতিহাস লিখতে শুরু করেছেন।)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Politics

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী বড় ভাই জ্বী।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার শ্বশুর অনেক কিছু দেখেছেন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: উনি বঙ্গবন্ধুর সাথেও দেখা করেছেন।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ে ভাল লাগলো।দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা অবশ্যই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.