নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দুই ধরনের রিমান্ড আছে,
পুলিশের রিমান্ড এবং প্রকৃতির রিমান্ড।
পুলিশের রিমান্ড থেকে পালানো যায়, কিন্তু প্রকৃতির রিমান্ড থেকে পালানোর উপায় নেই।
হিমু রিমান্ডে # - হুমায়ুন আহমেদ।
হুজুরাই দেশটাকে ধ্বংস করবে।
আমি যদি প্রতিদিন কোরআন আর নামাজ পড়ি- আমার কি উপকার হবে? অথবা দেশ বা সমাজের কি উপকার হবে? আমার ঘরে সারা মাসের বাজার চলে আসবে? আমার প্রমোশন হবে? সেলারি বাড়বে? ফুটপাতে মানুষ ঘুমাবে না? দূর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে? ধর্ষণ হবে না? বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যাবে? যদি নামাজ রোজা করলে এগুলো বন্ধ হয়- তাহলে নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী দাগ বসিয়ে ফেলতে রাজী আছি। বছরে দশ মাস রোজা রাখতে রাজী আছি।
নামাজ, রোজা করলে জাতি বা দেশের কোন উপকার-অপকার হবে না।
যা অপকার হবে আমার হবে। কারণ কুরআন ও নামাজ পড়ে আমি অযথা সময় নষ্ট করেছি। এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে কোন ক্রিয়েটিভ কিছু করা যেতে পারে। নামাজ ভালো ব্যয়াম তা জানি। রোজা রাখলে কিছু শারীরিক উপকার হয়- তাও জানি। শুধু এতটুকু উপকারের জন্য সারা মাস না খেয়ে থাকার কোনো মানে হয় না। তাছাড়া দিনে পাঁচ বার উঠবোস করার কোনো মানে হয় না। এটা আমার কাছে বোকামি মনে হয়। নামাজ পড়ে ব্যয়াম কেন করতে হবে? সাইকেল চালাবো, সাঁতার কাটবো। হাঁটাহাঁটি করবো। এগুলোও ভালো ব্যয়াম।
অবশ্য ধর্মকর্ম করলে কিছু লাভ আছে।
নামাজ পরলে আর কুরআন পড়লে কিছুদিন পরে আশেপাশের লোকজন আমাকে আলেম ভাবতে শুরু করবে। মাথায় থাকবে সবসময় টুপি আর গালে থাকবে লম্বা দাঁড়ি। কপালে স্থায়ী কালো দাগ থাকবে। তখন, বিভিন্ন আমাকে মিলাদে ডাকবে সেখান থেকে হাদিয়া পাবো। তারপর একটি মাদ্রাসা করতে পারবো। যেখানে সবাই দান করবে। তারপর আমি মারা গেলে সেখানে মাজার হবে। আশা করি আমার পরবর্তী প্রজন্মের খাবার অভাব হবে না।
আমি বছরে একবার একমাস না খেয়ে থাকলে ঈশ্বরের লাভ কি?
আমি সারাদিনে পাঁচ বার উঠবোস করলে আল্লাহর লাভ কি? তাতে কি দেশ সমাজের কোনো উপকার হয়? না পরিবারের উপকার হয়? তাঁর চেয়ে বরং আমি যদি একমাস আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র অসহায় মানুষদের খাওয়াই, এবং অসুস্থ লোকদের সেবা যত্ন করি তাতে আল্লাহর খুশি হওয়ার কথা। আমি ভাই ধার্মিক হতে চাই না। আমি একজন ভালো মানুষ হতে চাই। আমি চাই আমি যেন মানুষের উপকার করতে পারি। বিপদে মানুষের পাশে থাকতে পারি।
আমাদের এলাকায় একটা পরিবার আছে-
তারা নামাজ রোজা ছাড়া কিচ্ছুই বুঝে না। কথায় কথায় আল্লাহ, কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ, মাশাল্লাহ বলে। এখন তাদের তিনবেলা খাবার জোটে না। আমি দেখেছি, পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নেয় না। সাথে সাথে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। ফলাফল রোগে শোকে ভূগে মৃত্যু। এরকম করে তাঁর পরিবারের তিনজন মরছে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছে, চাকরি হয়নি। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া হয় নি। সংসারের অভাব দূর হয়নি। অসুস্থতা ভালো হয়নি। অথচ সারা জীবন পরিবারটি নামাজ রোজা করেছে।
এই কয়েকদিন আগের কথা, এই পরিবারের প্রধান ব্যাক্তি বলেছেন, আল্লাহ না চাইলে কারো করোনা হবে না। আর আমার তো আরো হবে না। কারন আমি আল্লাহর বিধিবিধান সব মেনে চলেছি। নামাজ পড়ছি, রোজা করছি। এই বুড়ো বয়সে তাহাজ্জুতও মিস করি না। আল্লাহ মহান। এই ভদ্রলোকের করোনা হয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ধর্ম হলো ভন্ডামি, মোনাফেকি আর বক-ধর্ম।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪২
অনল চৌধুরী বলেছেন: দুই ধরনের রিমান্ড আছে, পুলিশের রিমান্ড এবং প্রকৃতির রিমান্ড- প্রকৃতির শুধূ রিমান্ডই না, জেল, ফাসী-সবকিছু আছে।
কিন্ত তারপরও অনেক বড় বড় অপরাধী সারাজীবন অপরাধ করলেও প্রায় শাস্তি পায় না।
খালেদার কি কোনো শাস্তি হয়েছে?
তারেক ১৩ বছর ধরে কোনো আয় না করেই লন্ডনে মহানন্দে দিন কাটাচ্ছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো তারেক সুখে আছে কিন্তু স্বস্তিতে নেই।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:১১
অনল চৌধুরী বলেছেন: হয়তো তারেক সুখে আছে কিন্তু স্বস্তিতে নেই- দেশে এসে ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট আর খোয়াব ভবনে দেশী আর ভারতীয় নায়িকাদের নিয়ে লুচ্চামি করতে পারছে না, এটাই স্বস্তিতে না থাকার কারণ। কিন্ত দেশের কোটি কোটি লোক সৎ পথে থেকে চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
কতোজন চাকরীর খোজে বিদেশে যাওয়ার পথে সমুদ্রে ডুবে বা বনে-জঙ্গলে মরছে।
তাদের জন্য প্রকৃতি কোথায়?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন, যে মন্দ কাজ করবে, তাঁর ফল পৃথিবীতেই পারে।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ ধার্মিক। কিন্তু তারা সৎ নয়।
অসৎ ধার্মিক এর চেয়ে সৎ অধার্মিক অনেক অনেক বেশী ভালো।
ধর্মের জঞ্জাল সব নিপাত যাক।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:১৫
লাতিনো বলেছেন: নামাজ রোজা হজ্জ করলে বা না করলে ঈশ্বরের কোন লাভ ক্ষতি নেই। কিন্তু তিনি চান সবাই যেন তার আদেশ বিনা প্রশ্নে পালন করে। নিশর্ত আনুগত্য ঈশ্বরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। একদল অনুগত মানুষের কর্মকান্ডের জন্য তিনি এঞ্জেলদের কাছে গর্ব করেন।
ছোটবেলায় নামাজ না পড়ার জন্য আমাকে যখন শাস্তি দেয়া হত, তখন আল্লাহ্র উপর খুব রাগ করতাম। এই হাত পা নাড়ায় আল্লাহ্র কি লাভ হয় আমি বুঝতাম না। এখন আমি বুঝতে পারি, আমার লাইফ নামাজ দ্বারা কতটা কন্ট্রোল্ড। আল্লাহ্র ভয়ে আমি অনেক পাপ কাজ ছেড়ে দিয়েছি। কয়েক মাস আগে এক পুলিসের সার্জেন্টের সাথে ২০ মিনিট তর্ক করেছি - কিন্তু ঘুষ দেইনি। কারণ নামাজে আমি যে আল্লাহ্কে অনুভব করি, তার কঠোর হুশিয়ারী উপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আপনার শুনতে আশ্চর্য লাগবে আল্লাহ্র প্রতি একান্ত আনুগত্য করার কারণেই বোধ হয় আমি কঠিন কঠিন বিপদ থেকে খুব সহজে পার পেয়ে যাই। এই কারণেই আমি টেনশন করা বাদ দিয়েছি, তাই আমার শরীর ও মন সর্বদা সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সমস্যা হলো- আপনি মনে করেন, আপনি যা করছেন, যা বলছেন সব মহৎ, সবই ভালো।
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
লাতিনো বলেছেন: আমার সুবিধা হলো - আমি যা মনে করি মহৎ বা ভালো - তাই করি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: এটাই আপনার ভুল চিন্তা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষ যে কাল্পনিক সৃষ্টি কর্তার নির্দেশে এই সব কর্মকান্ড করে কিন্তু আজপর্যন্ত তার অস্তিত্বের কোন প্রমান নাই।কিন্তু মানুষ অন্ধ বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে পুণ্যের আশায় এসব করে।