নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার পুলিশ কান্ড, সাধারণ মানুষ যা ভাবছেন

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮



১। পৃথিবীর সব পেশাতেই খারাপ মানুষ আছে, এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।

২। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের চলাফেরায় কোনো বিধি নিষেধ থাকতে পারে না। এক ঝাঁক পুলিশ, ক্যামেরা নিয়ে অন্য কাজ করেন মহাশয়!!

৩। ভিডিও ভাইরাল হওয়া এই মহিলা কে ? কি তার পরিচয় সেটা আমার জানার দরকার নেই,তিনি কোন মন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন সে বিষয়েও আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট তারা তাদের কর্তব্য পালন করেছে,সে জন্য তাদের স্যালুট জানাই।তবে এই মহিলার অভদ্র ব্যবহারের জন্য পুরা জাতির কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।

৪। আমি যেদিন দেখব, রাস্তায় আমি ও ওবায়দুল কাদের সমান নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি সেদিন আমাকে পদবী, পেশা বা ক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে না। আশেপাশের সিস্টেম আমাকে বিনয়ী করে তুলবে।

৫। এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আরেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বলছে হারামজাদা! তবু তারা তিনজন-ই ব্যাস্ত নিজেদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রমান করতে। ভাগ্যিস তাদের মুক্তিযোদ্ধা পিতাগন সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।

৬। দুপক্ষই উত্তেজিত ছিলো। তবে এমনটা আমরা আশা করি না। ডাক্তার, পুলিশ অবশ্যই দুঃসময়ে প্রথম সারির যোদ্ধা।

৭। পুলিশ অবশ্যই একটা মহান পেশা, এবং ওই পেশায় নিশ্চয় হাতেগোনা হলেও ভালো কেউ আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই জীবনে কোনদিন সেই ভালোদের কারো সাথে আমার দেখা হয়নাই। আমি নানান ঘটনায় তাদের হাড়েমজ্জায় চিনেছি।

৮। উভয় পেশা সব সময় জাতির অপরিহার্য l আসুন তাঁদের সমালোচনা না করে সাম্যের আহ্বান জানাই l

৯। শিক্ষিত সমাজের নৈতিক অবক্ষয় চুরান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে, এবিষয়ে দ্বিমত নাই তবে যা ঘটেছে তার পিছনে ম্যাজিট্রেট আর পুলিশের দ্বিচারিতাই দায়ী।

১০। এইখানে ডাক্তার, পুলিশ আর ম্যাজিস্ট্রেট; সবাই কোটায় চাকরি পেয়েছে। কোটা না থাকলে, ওরা রাস্তায় বাদাম বিক্রি করারও যোগ্য ছিল না।

১১। ইউনিফর্ম আমার ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব। যারা স্বীকৃত কাজে বের হন, তারা বাধ্য হয়েই বের হন বা কর্তব্যের দায়ে বের হন। তাদের সাহায্য করার জন্যই আমাকে নিয়োগ করা হয়েছে।

১২। এমন কোনো কথা বলবো না বা আচরণ করবো না, যার জন্য পরে অনুতপ্ত হতে হয় কিম্বা ক্ষমা চাইতে হয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা জানতে হবে, শিখতে হবে। কোনোভাবে মেজাজ হারানো চলবে না।

১৩। প্রশ্ন: পুলিশ বড় না ডাক্তার বড়?
উত্তর: যে আগে জন্মাইসে সে বড়।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ক্বে কে দাবী করেছে যে, তারা মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে? ঢাকার কে কার ছেলেমেয়ে, তাদের মা সঠিকভাবে জানতে পারেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, ঢাকা শহরের সব লোকজন দুষ্ট না। আমার মতোন দু'চার জন সহজ সরল মানুষও কিছু আছে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

মুভমেন্ট পাস নিয়ে নারী চিকিৎসকের সঙ্গে দায়িত্বরত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের
বাকবিতণ্ডার ঘটনায় ওই চিকিৎসক চাইলে আদালতে যেতে পারেন বলে
জানিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি
এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের
৭সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ কথা জানানো হয়। এ ঘটনাটি
আদালতে উপস্থাকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

স্থিতধী বলেছেন: ১০) রাস্তায় বাদাম বিক্রি করতেও মিনিমাম যোগ্যতা- দক্ষতা- আত্মমর্যাদা লাগে । ঘুষ- দুর্নীতি- দাপট দেখানো- চাটুকারিতার কাজের থেকে সেটাও বরং অনেক সম্মানজনক ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা কথা সত্য।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধরুন, আমি আই ডি কার্ড সাথে আনি নাই। প্রশাসনের চেক পোস্টে জিজ্ঞাসা করল। উনিতে আমাকে চিনেও না। আমি তখন অপরাগতা প্রকাশ করে আগামীবার সাথে রাখব আইডি কার্ড এই মর্মে ঘোষনা দিব। আর সাথে ক্ষমা চাইব। পুলিশ সরসরি আমার কর্ম বিভাগে খোজঁ নিয়ে বা তথ্য লিপিবদ্ধ করে ছেড়ে দিবে।

কিন্তু এই ভদ্র(!) মহিলা কি আচরণ করল? ক্ষমা চাওয়া দূরের কথা। উল্টা ধমকানি! তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে কিন্তু সে নয়। সে ডাক্তার কিন্তু পরীক্ষাটা কি নকল করে দিয়েছে আর সাথে কি কোটাতে সিটটা পেয়েছে কিনা! তা আমাদের জানার জিজ্ঞাসা। হাইকোর্ট এর সুর প্রশাসনের পক্ষে যাওয়ার কথা কিন্তু এখানে ঐ মহিলার ব্যক্তিগত সরকারী প্রতিনিধির যোগাযোগ দেখিয়েছেন। তা গ্রহনযোগ্য নয়।

প্রবাসে আইন, বিশেষ করে পাশ্চাত্যে সবার জন্য সমান। যদি জার্মানীর প্রসিডেন্টও বিনাটিকেটে পাবলিক বাসে উঠে বা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালায় ও তা ধরা পরে বা রাস্তায় ভুল পার্কিং করে তাহলে জরিমানা পাবে।
কিন্তু করোনায় ডাক্তার হলেই যা ইচ্ছা তা করতে পারেন না। নিয়ম মেনে যেতে হবে, আসতে হবে।
মভমেন্ট পাসের কোন শর্তে লেখা নাই যে, ডাক্তার হলে পাস না রাখলেও চলবে। সুতরাং ঐ ভদ্র(!)মহিলাল ভদ্র(!) আচরণের জন্য হাইকোর্ট তো উল্টা পুলিশের সহযোগী হবার কথা।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩০

ওমেরা বলেছেন: করোনাকালে ষাট বছর জন্মদিন পালন করে নরওয়ের প্রধান মন্ত্রী আর্না সোলবার্গকে বিশ হাজার ক্রনার জরিমানা দিতে হয়েছে। যদিও সে ঘরোয়া ভাবেই অনুষ্ঠান করেছিল।
আর বাংলাদেশে কি কি বর্য যেন করলো, অন্যদেশ থেকে মেহমান দাওয়াত করে আনল। সরকারেরই যখন এই অবস্থা জনগনের অবস্থা আর কত ভালো হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সব কথা বলতে হয় না।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ডাক্তার মহিলার আচরণ সঠিক ছিল না, উনি যেহেতু আইডি কার্ড সাথে আনেন নাই, আরেকটু নমনীয় হলে পারতেন। তবে এই 'রোড মুভমেন্ট পাস' এর প্রচলনটাকে আমি সমর্থন করি না। এটা পেতে যে ঝক্কি ঝামেলা হয়, জরুরী সময়ে মানুষের সে ঝামেলা পহানোর মন মানসিকতা থাকে না। আরও জনবান্ধব ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.