নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজান মাসের স্মৃতি

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২



ছোটবেলায় দেখতাম রমজান মাসে রাস্তায় বরফ বিক্রি করছে।
তখনকার মানুষ মনে হয় দরিদ্র ছিলো। ঘরে ঘরে ফ্রিজ ছিলো না। রাস্তা থেকে দুই টাকার, পাঁচ টাকার বরফ কিনে নিয়ে যেত। শরবতে দিতো। গরমের সময় রমজান মাস চলছিলো, বরফ ছাড়া উপায় নাই। ঠান্ডা শরবত খেতেই হবে। এখন মানুষের ঘরে ঘরে ফ্রিজ। ঘরে ঘরে টিভি। ঘরে ঘরে ব্রড ব্যান্ড লাইন। আমি বস্তিতে প্রতিটা ঘরে টিভি, ফ্রিজ দেখেছি। আমাদের ঘরে যে বুয়া কাজ করে তাঁর ঘরেও টিভি, ফ্রিজ আছে। মানুষ আগের থেকে এখন অনেক ভালো আছে।

তখন ইফতারীর এত এত আইটেম পাওয়া যেত না।
এত এত ইফতারীর দোকানও ছিলো না। কমন ছিলো পেয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ, ছোলা আর মুড়ি। এমন কি জিলাপি আর হালিম পর্যন্ত সব দোকানে পাওয়া যেত না। এখনকার তুলনায় সব কিছু বেশ সস্তা ছিলো। সব কিছুর দাম ছিলো এক টাকা করে। ছোলা পাওয়া যেত দুই টাকার। এখন ছোলা পর্যন্ত মেপে দেয়। ৫০ টাকার ছোলা কিনলেও চারজনের ঠিক করে হয় না। যাই হোক, তখন্ন সব মিলিয়ে ত্রিশ টাকার ইফতার নিলে পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া যেত।

ছোটবেলায় আমাদের ইফতার আসতো পুরান ঢাকা থেকে।
আব্বা পুরান ঢাকা থেকে ইফতার নিয়ে আসতো প্রতিদিন। আমরা চার ভাই খুব মজা করে খেতাম। মা দুই রকমের শরবত বানাতো। একটা আখের গুড়ের, আর একটা লেবুর সরবত। আমি আখের গুড়ের শরবত পছন্দ করতাম না। আমার মা পেয়াজুটা মাঝে মাঝে বাসায় বানাতো। খেতে দারুন লাগতো। সেই স্বাদ যেন এখনও মুখে লেগে আছে। আব্বা বলতো ভাজা পোড়া কম খাও। ফলটা বেশী খাও। ফলে উপকার বেশী। আব্বা নাই। আব্বাকে ছাড়া এই প্রথম ইফতার করছি।

এখন যেমন আমি রোজা রাখি না-
কিন্তু সেহেরি আগ্রহ নিয়ে করি। ছোটবেলায়ও আমি সেহেরি আগ্রহ নিয়ে করতাম। আমার মনে আছে তিনটা বেজে গেলেই কারা যেন রাস্তায় গান গেয়ে মানুষদের ঘুম ভাঙ্গাতো। তাদের গান আর ঢোলের শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যেত। তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসতাম। রমজান মাসে মা স্পেশাল কিছু না কিছু রান্না অবশ্যই করতো। সব খাওয়া শেষ করে। খাওয়ার ইতি টানতাম দুধ দিয়ে ভাত খেয়ে। খাটি গরুর দুধ আসতো গ্রাম থেকে। বহু বছর হয়ে গেছে দুধ দিয়ে ভাত খাই না।

আমার মা এখন রান্না ভুলে গেছে।
অবশ্য সে দীর্ঘদিন ধরে রান্না করে না। এক সময় মা কত কিছু রান্না করতো। খেতে কি মজা হতো। আমি মায়ের রান্না খুব মিস করি। একদিন মাকে বললাম, মা আজ তুমি রান্না করো। মা রান্না করলো, কিন্তু খেতে সেই আগের মতোন স্বাদ হয়নি। মা আসলেই রান্না ভুলে গেছে। আমার একসময় ধারনা ছিলো, মানুষ রান্না, সাঁতার আর সাইকেল চালানো কোনো দিন ভুলে না। লেখা এইখানেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন আমি বাইরে যাবো ইফতার আনতে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঠিকই তো।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বৌ ঘরে আসার পর মায়ের হাতের রান্না ভাল না লাগারই কথা।অনেক দিন বৌয়ের হাতের রান্না খেতে খেতে মুখের স্বাধ অন্য রকম হয়ে গেছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: না তা না। বিষয়টা এমন না।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৫

সভ্য বলেছেন: কতদিন আর মানুষকে দাবিয়ে রাখা হবে? এখন মানুষ চাইর টা কাজ করে, বুয়া রা তো প্রতি আইটেমে আইটেমে টাকা চাই, আমার ঘরে শুধু কাপড় ধূবার জন্ন ৫০০ টাকা আর থালা বাসন মাজার জন্য ৫০০ টাকা, সেই টাকা ও এডভান্স দিতে হয়। আমি চাকরী জীবি মানুষ, কথায় কথায় বুয়া বলে অন্য লোক দেখেন, না হলে আমার পোষাবে না, ওয়ান দু'র মধ্যে তার কাজ শেষ, শার্ট গুলো পরিস্কারও হয় না, এই বাজারে বুয়া পাওয়া কঠিন, তবু ও আমি জিজ্ঞাসা করি, তোমার বিষয়টা কি বলো তো, এত হরুস্তুলি করো. বলে তো কিরাম, এক ঘরে কাজ হইলে পুষায়বো.আমি অফ মেরে যায়, এই হলো অবস্হা।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বুয়া রা এরকমই হয়।
বুয়া ছাড়া কিন্তু আমাদের চলে না। তাও তাদের তোয়াজ করেই ভালো কাজ আদায় করে নিতে হবে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৯

শোভন শামস বলেছেন: মনের কথা আর সেই স্মৃতি গুলো, অনেক আনন্দের

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণা। ছোটবেলায় রোজা রাখতে শুরু করেছিলাম চৈত্র- বৈশাখে। লম্বা দিন হতো। রোজা রাখতাম অর্ধবেলা। প্রচণ্ড কষ্ট হতো কিন্তু আগ্রহের কমতি ছিলো না একটুও। বাসায় রেফ্রিজারেটর ছিলোনা। বাজারে বরফকল থেকে বরফ কিনে আনতাম মাঝে মধ্যে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৮

ওমেরা বলেছেন: আমার তো সেহেরী খেতে খুব আলসেমি লাগে , রোজা রাখতে তো খুব কষ্ট লাগে না !
আর আপনি সেহেরী খেয়ে রোজা রাখেন না !

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: না রোজা রাখি না।
তবে সেহেরি আর ইফতার সময় মতো করলে সোয়াব আছে।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দিন তিন আগে দেখলাম বাড্ডার একটি এলাকায় বরফ বিক্রি করছে!!
রোজা কেনো রাখেন না?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: রোজা কেন রাখবো সেটা বলেন?

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাবার মৃত্যুর পরে কুলখানি-চল্লিখা কেনো করেছিলেন?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সামাজিকতা রক্ষা করতে হয় রে ভাই।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব দিলেন, আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন করলেন!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: রোজা রাখি না কারন, আমার সোয়াব এর দোরকার নাই। আমি দোজকে যাবো।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: রোজা কেন রাখবো সেটা বলেন?

আার প্রিয় এক জন আছেন তার ১১ টি বিবি ছিল।
তার আয়ের উৎস জানা ছিল না।
তার কেতাবে ৪টা বিবি রাখার কথা বললেও তিনি নিজেই সেই কেতাবের কথা মানেন নাই্

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিনোদন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.