নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো বই পড়ুন

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৫



১। 'দি আদার সাইড অভ মিডনাইট' লেখক- সিডনি শেলডন।
এটাকে কী বলবেন? থ্রিলার নাকি আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া গ্ল্যামারাসের আড়ালে চাপা পড়া অন্ধকার এক জগতের বাস্তব প্রতিচিত্র? যেহেতু বইয়ের নাম "দ্যা আদার সাইড অফ মিডনাইট "এবং লেখক সিডনি শেলডন, সে হিসেবে সবাই থ্রিলারই বলবে। কিন্তু আমি এটাকে একচেটিয়া থ্রিলার বলতে রাজি নই। সামাজিক উপন্যাস? বলা যায়। রোমান্টিক উপন্যাস? সন্দেহ নেই! থ্রিলার? তা তো বটেই!

২। 'দ্য রানএওয়ে জুরি' লেখক- জুন গ্রিশাম।
ওরা জুরির সদস্য বারোজন নারী পুরুষ। একটা বহু বিলিয়ন ডলার তামাক ক্ষতিপূরণ মামলার রায় বিবেচনার দায়িত্বে আছে ওরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দুই পক্ষের উকিল, জুরি, কনসালট্যান্ট, জুরির প্রতিটি সদস্যের উপর নজর রাখছে, চেষ্টা করছে নাক গলানোর। অনুকুল রায়ের জন্য যে কোন কিছু করতে পারে ওরা। কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক জানে আসল কথা, এই জুরিতে একজন লোক নেপথ্যে থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে, রায়টা আখেরে সেই ঠিক করবে।
দু’নম্বর জুরি হিসেবেই সে পরিচিত, যদিও তার একটা অন্য অতীত পরিচয় আছে এবং বাইরের একটা সুন্দরী মেয়ে তাকে সাহায্য করছে। এবং যখন একটা কর্পোরেট সাম্রাজ্য টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে, যখন একটি পরিবারের দুঃখকে পুঁজি করে উকিলেরা আখের গোছাতে ব্যস্ত তখন দু’নম্বর জুরর এর গোপন অতীত উঠে আসছে... লোভ আর দুর্নীতির চরম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে।

৩। 'কামিং অফ এজ ইন সামোয়া' লেখক- মার্গারেট মিড।
এই বইয়ের লেখক ছিলেন একজন আমেরিকান সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ। তিনি 'সামোয়া'-তে গিয়েছিলেন ১৯২০-এ আমেরিকানদের যৌনতার উপর রিপোর্ট করতে। কিছু মেয়ে মার্গারেটকে তাদের বন্য যৌনতার অভিজ্ঞতার কথা বলে। মার্গারেট সেগুলো সত্যি ধরে নেয় যদিও সেগুলো ছিল বানানো কথা। একটি মেয়ে স্বীকার করে নেয় যে, তারা আসলে তার সাথে মজা করে এগুলো বলেছিলো। এর ফলে আমেরিকার নৃ-বিজ্ঞানিদের উপর ব্যাপারটা অনেক প্রভাব ফেলে।

৪। 'অ্যান্ড টু থিংক দ্যাট আই স ইট অন মালবেরি স্ট্রিট' লেখক- সস।
২৩ তম প্রকাশকের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর হতাশ মনে বইটির পান্ডুলিপি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সস। এ সময়ই মেডিসিন এভিনউ'তে কলেজের এক দোস্তের সাথে দেখা। তার এই বন্ধুই আবার ভেনগার্ড প্রেসের ছোটদের বইয়ের সম্পাদক। পান্ডুলিপিটা দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠলেন তিনি। ২০ মিনিট বাদে বই প্রকাশের চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেন সস। এখন পর্য্ন্ত বইটির বিশটির বেশি ভাষায় সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছে।

৫। 'কনটিকি' লেখক- রেনাড ম্যাকনেলি।
১৯৫০ সালের কথা। লেখক মেকনেলি বইটি প্রকাশ করতে সম্মত হওয়ার আগে ২০ জন প্রকাশকের দুয়ারে ধরনা দিয়েছিলেন হেয়ারডেল। কিন্তু কেউই ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার দুর্দান্ত এই কাহিনী ছাপার যোগ্য বলে মনে করেন নি। প্রকাশের পরপর দুই বছর শীর্ষ দশ মননশীল বইয়ের তালিকায় ঠাই পায় এই বইটি। এ পর্য্ন্ত বিভিন্ন ভাষায় এর মুদ্রণ সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

৬। 'ভার্টিকাল রান' লেখক- জোসেফ আর গারবার।
একবার ভাবুন তো হঠাৎ যদি পরিচিত পৃথিবীটা পাল্টে যায় আপনার, খুব কাছের মানুষ গুলো যদি খুন করতে চায় আপনাকে, কেমন লাগবে আপনার? এমনই ঘটেছে বইটির কাহিনীতে। মাত্র একটি দিনের কাহিনী নিয়ে এমন উপন্যাস আর আছে কিনা মনে করতে পারছি না। অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ডেভ এলিয়ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পজিশনে কাজ করে একটি মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে। সকাল হওয়ার সাথে সাথে নিঃতেজ নিউইয়র্ক সিটি জেগে উঠছে ধীরে ধীরে। প্রতিদিনের মত আজও ডেভ এলিয়ট সকাল সকাল তার অফিসে পৌছে গেলো। পঞ্চাশ তলা অফিসের ৪৫ তলায় সে বসে।

৭। 'দ্য টোয়াইলাইট' লেখক- স্টেফিন মেয়ার।
ভিন্ন ধর্মী দুই চরিত্র -বেলা সোয়ান এবং এ্যাডওয়ার্ড কুলিন। বেলা আকর্ষণীয়া, সুন্দরী তম্বী তরুণী, কিন্তু এ্যাডওয়ার্ড সুদর্শন তরুণ ভ্যাম্পায়ার। এই অসম চরিত্রের দুই তরুণ-তরুণী, একে অপরের ভালোবাসার আবর্তে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে। ফরকস্ নামক ছোট্র শহরে দু’জনের ভালোবাসা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা এবং এক রহস্য।

৮। 'অন দ্যা রোড' লেখক-জন কেরুয়াক।
লেখক জন কেরুয়াকের এই বইটি কৈশর এবং রক্ষণশীল ব্যক্তিদের জন্য নয়। অথবা কে জানে বইটি পড়ার পর হয়তো আপনিও এক জায়গায় আর থিতু হয়ে থাকতে চাইবেন না! অথবা দূর পাল্লার রাস্তায় ইশারা করে লিফট চাওয়ার ব্যাপারটাও পেয়ে বসতে পারে! বইটির বৈশিষ্ট্য মূলত কেরুয়াক এবং তার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী লেখক বন্ধুদের নিয়ে আমেরিকায় ছোট ছোট কিছু ভ্রমণ। আত্মজীবনী নির্ভর এই বইটিতে দুইজন বিবরণ দাতার পরিচয় পাওয়া যায়। সমস্ত পথে গান, কবিতা এবং ড্রাগের উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়াও ডিন মরিয়ার্টির জীবন এবং নারীদের প্রতি লালসা গল্পে একটি অসাধারণ গতি তৈরি করে।

৯। 'ম্যাডাম বোভারি' লেখক- গুস্তাভ ফ্লবার্ট।
একজন চিকিৎসক নারীর জীবনের নানা বর্ণিল দিকগুলোর অসাধারণ উপস্থাপন উপন্যাসটিকে হৃদয় ছোঁয়া করেছে পাঠকদের কাছে। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের আড়ালে একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজে নতুন করে স্বপ্নবোনা এবং সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গল্প উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে পাঠকদের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে যাওয়ার পেছনের আসল শক্তি।

১০। 'জোনাথন লিভিংস্টোন সিগাল' লেখক- রিচার্ড বাখ।
দ্রুত গতিতে উড়ে চলা একটি গাঙচিলকে নিয়ে লেখা বাখের ১০ হাজার শব্দের এই কাহিনী প্রকাশকের কাছে এতটাই অলাভজনক মনে হয়েছে যে ১৮ জন প্রকাশক এটি ছাপার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তারপরেই ম্যাকমিলান বইটি ছাপতে রাজি হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকা বিক্রি ১৯৭২ সালে মাসের সবচেয়ে বিক্রীত বইয়ের সম্মান এনে দেয় তাকে। এভন বইটির পেপার ব্যাক সস্করণ বিক্রি করে ১০ লাখ। ১৯৭৫ সাল পর্য্ন্ত এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয় ৭০ লাখ কপির বেশি।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একটা ভালো বইও পড়ি নাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: দেরী হোক, যায় নি সময়।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বই পড়া ভাল অভ্যাস।বই ভালো বন্ধু।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫৫

রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: তালিকার বেশির ভাগ বই বাংলাদেশে পাওয়া যায় না।আপনি এগুলো কিভাবে পেলেন?কনটিকি'র লেখক থর হেয়ারডাল।এটাও আউট অব প্রিন্ট।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই বই গুলো সব বাংলা অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছে। একাধিক প্রকাশনী এগুলো অনুবাদ প্রকাশ করেছে।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৫৭

সিগনেচার নসিব বলেছেন: ছোট্ট রিভিউ আকারে বই নিয়ে আপনার পোস্টগুলো সত্যি প্রশংসনীয়। অনেকে সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সেটাই তো চাই।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: 'দি আদার সাইড অভ মিডনাইট'- কে কি ভালো বই বলা যায়? এটা নিয়ে ১৯৭৭ সালে ছবি হয়েছিলো যেটা ১৯৯১ সালে বিটিভি"তে দেখেছিলাম।
এর দ্বিতীয় পর্ব '' মেমোরিস অভ মিডনাইট'' নিয়ে টিভি ধারাবাহিক হয়েছিলো ১৯৯১ সালে। অভিনয় করেছিলেন, ওমর শরীফ এবং জেন সেইমোর এর মতো বিশ্ববিক্যাত তারকারা , যেটা বিটিভিতেই ১৯৯৬ সালে দেখিয়েছিলো।
পড়তে এবং দেখতে ভালো কিন্ত এসবের সামাজিক বক্তব্য কি?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: এ অবশ্যই ভালো বই। এবং সকলের পড়ার দরকার আছে।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ইংরেজি ভালো পারি না বলে এই সব বই পড়তে পারি না।
আগে ইংরেজি শিখতে হবে ভালো করে।
অবশ্য বাংলাদেশের মানুষের পেটে বোমা মারলেও মুখ দিয়ে ইংরেজি বের হবে না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ইংরেজিত চেয়ে স্প্যানিশ ভালো পারেন।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: সবগুলো ভালো বই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: এর সবগুলো কি আপনার সংগ্রহে আছে?
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একটা ভালো বইও পড়ি নাই। আমিও তেমনি :(

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা সংগ্রহে আছে। তবে কিছু কিছু বই কে না কারা যেন নিয়ে গেছে।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫১

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: 'দ্য টোয়াইলাইট' মুভি দেখেছি খুব ভালো ছিল।
সিডনি সেলডনের 'টেল মি ইয়োর ড্রিমস' পড়েছি অসাধারণ একটি বই।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.