নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
রাত দুইটা।
বই পড়ছি। সহজ সরল অতি সাধারণ একটা বই। বইয়ের নাম- 'মেম সাহেব'। বইটা আগেও দু'বার পড়েছি। মূলত প্রেমের উপন্যাস হলেও এখানে রয়েছে দেশভাগের কথা, এক রিপোর্টারের অজানা জীবনকথা। আরও অনেক কিছু আছে।
গলা শুকিয়ে গেছে। পানি খাবো।
অনেকক্ষন ধরেই তৃষ্ণা পেয়েছিল কিন্তু বই ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করছিল না। প্রবল তৃষ্ণার কারণে আমি এক সময় বই বন্ধ করতেই দেখি একটি মেয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চারিদিকে মিষ্টি একটা সুবাস। কিছুক্ষনের জন্য যেন আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল। আমি এরকম সুন্দরী মেয়ে আমার জীবনে দেখিনি। মেয়েটির হাত ভরতি কাঁচের চুড়ি। মাথা ভরতি চুল। চোখে মোটা করে কাজল দেয়ার কারণে কিনা কে জানে মুখটা খুব বেশি মায়া-মায়া। এই রকম একটা মুখের দিকে তাকিয়ে একটা জীবন পার করে দেয়া যায়।
আমার অবস্থানটা বর্ণনা করে নিই- আমি আছি পুরান ঢাকার কলতা বাজার এলাকায়। ছোট মামা আর মামি সাত দিনের জন্য মালোশিয়া গিয়েছেন বেড়াতে। আমাকে বাড়ি ঘর পাহাড়ে দিতে রেখে গিয়েছেন। বাসায় আমি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই। তাহলে এই মেয়ে এলো কোথা থেকে? রাতে আমি হোটেল থেকে খেয়ে আসছি। যদিও মামী রান্না করে রেখে গেছেন ফ্রিজে। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করার ধৈয্য আমার নেই।
যাই হোক, আমি চিৎকার দিতে গিয়ে নিজেকে সামলে নিলাম এবং বুঝালাম- মনে হয় বই পড়তে গিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছি এবং স্বপ্ন দেখছি। এই মধ্যরাত্রে মেয়েটিকে দেখে একটুও ভয় পাচ্ছি না। বরং রুপবতী মেয়েটিকে দেখে আমার ভাল'ই লাগছে। আমি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কে? ঘরে ঢুকলে কি করে? বাইরে তো ঝড় তুফান হচ্ছে। মেয়েটি দু'পা হেঁটে হাতের গ্লাসটি টেবিলের উপর রাখল। তখন বুঝতে পারলাম পায়ে তার নূপুর।
আমি এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি। এক সময় মসজিদে ফযরের আযান হলো। মেয়েটিকে আর দেখা গেল না। তারপর আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। একেবারে দুপুর পর্যন্ত ঘুমালাম। ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখেছি। অনেক সময় নিয়ে গোছল করলাম। দুই লাইন গানও গাইলাম- ''চেনাশোনার কোন বাইরে যেখানে পথ নাই নাই রে, সেখানে অকারণে যায় ছুটে।'' দুপুরে খেতে বাইরে গেলাম না। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করে খেলাম। সন্ধ্যায় কি মনে করে ঘর থেকে বের হলাম এবং একটা শাড়ি কিনে ফেললাম। মোটা পাড়। নীলের মধ্যে ছোট ছোট ফুল আঁকা। হোটেল থেকে রাতের খাবার খেয়ে রাত ১১ টায় বাসায় ফিরলাম ছোট এক বাটি ভ্যানিলা আইসক্রীম নিয়ে। টিভিতে খবর দেখতে দেখতে আইসক্রীমের বাটি খালি করে ফেললাম। শরীর ঠান্ডা থাকলে রাতে আজে বাজে স্বপ্ন দেখব না।
আমি বই পড়ছি কিন্তু বইয়ে মন দিতে পারছি না। গত রাতে দেখা মেয়েটি কি আজও আসবে? রাত একটা। মেয়েটি এখনও এলো না। মনটা খারাপ হয়ে গেল। এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। এবং গুনগুন শব্দে ঘুম ভাঙ্গল। কে যেন গান গাইছে। তাকিয়ে দেখি মেয়েটি এসেছে। আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে একটু হেসে দিল। আহ কি সুন্দর হাসি! আমি বললাম, কী খবর? আজ আসতে দেরী করলে যে? ঠিক এই সময় কোথাও বাজ পড়লো। গত রাতের মতো আজও ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে ধমকা হাওয়া। আমি বললাম, চলো ছাদে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজি। ''আজ আমরা বৃষ্টি বন্দী ভালোবাসার অপরাধে!'' বৃষ্টিতে ভেজার পর ভেজা জামা নিয়ে তোমার বসে থাকতে হবে না। তোমার জন্য একটা শাড়ি কিনেছি। আমার কেনা শাড়িটা মেয়েটা হাতে নিল। আনন্দে তার চোখ মুখ ঝকঝক করছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে আসা এখন বন্ধ।
কোন বাংলাদেশী পর্যটককে তারা ঢুকতেই দিবে না।
নিমাই ভট্টাচার্যের লেখার হাত ভালো ছিল। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তিনি ছিলেন সম্পদ।
আপনারও লেখার হাত ভালো। যে কোন একটা পত্রিকায় আবার কাজ নিন।
আমি মিলনকে( ইমদাদুল হক মিলন) বলে দিব। সে আপনাকে তার বালের কন্ঠ পত্রিকাতে নিয়ে নেবে।