নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ভারতের টাটা গ্রুপ আছে, টাটা এন্ড সন্স আছে, রেমন্ড, রিলায়েন্স আছে, আম্বানি ব্রাদারস আছে। যারা যে কোন সংকটে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশের মানুষের হাতে হাত রাখেন। আর আমাদের আছে এসআলম, বেক্সিমকো, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, যমুনা, বিআরবি’র মতো বহু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। আছে মুসা বিন শমশের, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মতো অসংখ্য ব্যবসায়ী। তারা দেশের সংকটে কি করে জানেন?
নিজেদের ব্যবসার স্বার্থ নিশ্চিত করতে সরকারকে রাশিয়া চিনের সাথে ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করতে দেন না। দেশের যে কোন সংকটকে পুঁজি করে নিজেদের মুনাফা বাড়ান, হাজার হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি দেন, ব্যাংক লুট করে ফাঁকা করে দেন। এস আলম গ্রুপের দুই ভাইয়ের কথা মনে আছে আপনাদের? কী নির্মমভাবে করোনার থাবায় একটু বাতাসের জন্য লড়াই করেছিলো হাসপাতালে? চলুন, একটু মনে করে দেখি।
ছোট ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউ যাওয়ার ঘন্টা কয়েকের ব্যবধানে বড় ভাই এর শ্বাসকষ্ট চরম হয়। কিন্তু হাসপাতালের দশটি আইসিইউভেন্টিলেশন কোনটাই ফাঁকা নেই। এক পর্যায়ে ছোট ভাই একটু সামলে উঠলে তাঁর ভেন্টেলেটর খুলে দেয়া হয় বড় ভাইকে। কিন্তু ততোক্ষণে শরীর ছেড়ে দিয়েছে। দুর্বল ফুসফুস অক্সিজেন সংকটের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। মারা গেলেন বড় ভাই। ছোটভাইকে আবার নেয়া হলো ভেন্টেলেটর আইসিইউতে।
সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলো ছোটভাই।
কিন্তু দেখে এসেছিলো বাঁচার জন্য একটু অক্সিজেনের, একটু কৃত্রিম বাতাসের আকুতি। আহা! এই দুইভাই দেশের শীর্ষস্থানীয় ধনী। কয়েকশ ভেন্টেলেটর, আইসিউ সহ সবচে ভালো চিকিৎসা সেবা সম্বিলিত হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা তাঁদের জন্য কোন ঘটনা না।
অথচ এদের কেউ ভুলেও দু:স্বপ্নেও এমন দিনের কথা ভাবেননি যেদিন তাঁদের সমস্ত অর্থ একজায়াগায় করলেও বেঁচে থাকার মতো ন্যুনতম অক্সিজেন মিলবেনা। ভাবেননি একদিন এমনও সময় আসবে, চাইলেই উড়ে যাওয়া যাবেনা সীমান্ত পেরিয়ে উন্নত কোন দেশের সেরা হাসপাতালে।
এই পরিবার মৃত্যু থেকে শিক্ষা নেবে।
অন্য শিল্পতিরা শিখবে জীবনের জন্য বিনিয়োগ করতে। এস আলম গ্রুপের মতো দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ তাদের মালিকদের হারিয়েছে করোনার থাবায়। আফসোস, কোন শিল্পপতিই সেসব মৃত্যু থেকে শিক্ষা নেননি। কেউই জীবনের কথা ভাবেনি।
এস আলম গ্রুপও ভাবেনি। তারা কী করেছে, সারা বিশ্বের এই দুর্যোগে, পাশের দেশ যখন এক ফোঁটা অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করছে, এই রকম চরম দূর্যোগপূর্ন সময়ে এরা ৮৫টা মসজিদের জন্য ২০ কোটি ও ৩০টা মাদ্রাসার জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
অথচ এই এরাই ইফতারের জন্য আধা ঘন্টা সময় চেয়েছে বলে ক'দিন আগে বাঁশখালিতে ৭ জন শ্রমিকের জীবন কেড়ে নিয়েছে। হায়, এরা কী ধর্ম পালন করে, কার জন্য করে, কেন করে সে প্রশ্ন যদি নিজেদের করতো!
যদি একবার ভাবতো যে, করোনা সংকটের তীব্রতায় এমন দিনও আসতে পারে যে এইসব মসজিদকেই হাসপাতাল বানাতে হচ্ছে!
ভারত ইতিমধ্যেই অনেক মসজিদ মন্দিরে হাসপাতালের বিছানা পেতেছে, সেটাও তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। হায়রে চোখ! অথচ এই এক এস আলম গ্রুপ চাইলেই বদলে দিতে পারতো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। গড়ে তুলতে পারতো উন্নত সুবিধার হাসপাতাল, কমিটেড চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর দল। বানাতে পারতো কয়েকটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট। বিনিয়োগ হতে পারতো জীবনের জন্য। কিন্তু এই বিশ্বের আর সব পুঁজিপতি রাষ্ট্র আর মানুষের মতোই তারাও শুধু সম্পদের জন্য, ধর্মের জন্য, সংঘাতের জন্য জীবন বিনিয়োগ করেছে, জীবনের জন্য করেনি কিছুই।
তাই হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক, পাওয়ার প্ল্যান্ট, গাড়ি, বাড়ি, সহায় সম্পদ সব এক ফুৎকারে হেরে যায় জীবনের কাছে। একটু অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় দেশের শীর্ষ শিল্পপতিরা। আফসোস, কেউই মৃত্যুর মতো বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গীর কথা মনে রাখেননা!
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: সকল প্রকার ধর্ম থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল। আমি এরকমটাই মনে করি।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
৩/৪ টি মানবিক বৌ থাকলে তো সোনায় সোহাগী!
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: পয়সা আলাদের আছে বেশ কয়েকজন করে রক্ষিতা আছে।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: আপনি কি মানবিক?
২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
অধীতি বলেছেন: আম জনতা এখন তৌহিদি জনতায় রূপান্তরিত হয়েছে। করোনায় সব মরে যাক তাতে কি! মসজিদ মাদ্রাসা হলেই এদের কাজ চলবে। ছোট বেলায় শুনেছি কেয়ামতের দিন মসজিদ গুলো বাদে সব ধ্বংস হবে।