নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় ৫টি মুভি

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

ছবিঃ আমার তোলা।

১। দি গ্রেট গ্যাটসবি (The Great Gatsby) মুভিটা বেশ লম্বা। ২ ঘন্টা ২০ মিনিট। মূল উপজীব্য বিষয় হলো রোরিং টুয়েন্টির সময় আমেরিকান পার্টি ও এলকোহল সংস্কৃতি এবং উচ্চবিত্ত সমাজে এর প্রভাব। ১৯২০ থেকে ১৯৩০ এই দশক টাকে বলা হয় রোরিং টুয়েন্টি। এই সময় চারিদিকে ছিল বিলাসিতা ও অদ্ভূত এক প্রতিযোগিতা। একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা।সামাজিক কলুষতা ও বিশ্বাসঘাতকতার সেই সময়ে এক রহস্যময় মানুষের সবকিছু নতুন করে শুরু করার আকুতি আমাদের স্পর্শ করে।
মুভিটা শেষ করে খুব মন খারাপ হয়ে গেছিলো। কি জানি একটা আছে স্টোরি টাতে .. একদম ভিতরে গিয়ে আঘাত করে। কিছু মুভি দোষ ত্রুটি উপেক্ষা করে দেখতে হয় ! তা, নাহলে দুনিয়া বিরস হয়ে যাবে ! এই মুভির সবচেয়ে আমেইজিং জিনিস হলো এর চিত্রায়ণ। মনে হয় পুরাটাই যেন গ্রিন স্ক্রিনের সামনে করা। প্রতি মিনিটে মিনিটে প্রচণ্ড সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ, মনে হয় যেন ডিজনির ফেইরি টেল টাইপ এনিমেশন দেখছেন তবে আরও বেশি বেশি দুন্দর। অনেক সুন্দর, চোখ জুড়িয়ে থাকে। চরিত্রগুলো জানালার পাশে বসে আছে, জানালা দিয়ে এত চমৎকার দৃশ্য দেখবেন যে পজ করে স্ক্রিন ওখানেই রেখে দিতে মনে চাইবে।

২। টাইটানিক (Titanic) একটি বিশাল জাহাজ দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বেঁচে থাকার জন্য হাতের কাছে খরকুটো যা পেয়েছেন তা আকড়িয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। দৃশ্যটির কথা মনে হলে আজও মনটা স্তব্ধ হয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। তাছাড়াও সিনেমাটিতে প্রেমের একটি সুন্দর আবহ তৈরী করা হয়েছে। সিনেমায় চোখ ধাধানো আলোকসজ্জা এবং জাহাজের অভ্যান্তরের বিলাসবহুল দৃশ্য গুলি চমৎকার ভাবে চিত্রয়িত করা হয়েছে। এক কথায় “অসাধারণ একটি মুভি।” জাহাজটি যখন পুরোটাই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল তখন নায়ক একটি কাঠের টুকরো ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছিল। তখন নায়িকাকে কাছের টুকরোটির উপর বসিয়ে নিজে আটলান্টিকের হিমশীতল জলে কাঠের টুকরোটিকে ভাসিয়ে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করছিল। একসময় নায়ক ঠান্ডায় মারা যায়। নায়িকা বেঁচে থাকে।
এই মুভিটা প্রতি বছর আমি একবার করে দেখি।

৩। অল ইজ লস্ট (All is lost) সিনেমাটিতে একজন মানুষ ভারত মহাসাগরে হারিয়ে যায়। সেখানে সে নিজেকে কিভাবে আত্মরক্ষা করে তা নিয়েই মুলত মুভিটি নির্মিত হয়েছে। এতে কোনো সংলাপ নেই বললেই চলে। এতে অভিনয় করেছেন রবার্ট রেডফোর্ড।
১০৬ মিনিটের ছবিটি কোনোভাবেই ক্লান্তিকর হয়ে যায় না দর্শকদের কাছে। অতি আধুনিক, জীবনধারনের প্রায় সব উপাদান মজুত একটি নৌকায় করে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন এক প্রৌঢ়। সমুদ্র ভাসমান লোহার ওয়াগানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায় তার নৌকার একাংশ। সে ক্ষতি মেরামত করতে পারলেও, বিকল হয়ে যাওয়া রেডিও কোনো ভাবেই সারাতে পারেন না, সেই বৃদ্ধ। এক সময় ঝড়ের ধাক্কায় নৌকা ভাঙে। তারপর হাওয়া ভরা ভেলায় ঠাঁই হয়। তাতেও পানি উঠতে থাকে। খাবার ফুরতে থাকে। বৃদ্ধ বাঁচবেন কি না, সে প্রশ্নেই গল্প এগিয়ে চলে।
'অল ইজ লস্ট' আসলে নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটানোর গল্প। একেবারে প্রতিদিনের জীবনের গল্প। যেখানে কিছু হয় না। বিরক্তি মানুষকে গ্রাস করে। সময় কী করে কাটবে, সে চিন্তা মাথার মধ্যে ভারী হয়ে আসে। মৃত্যুচিন্তাও যে আসে না, তা নয়। কিন্তু অন্য সারভাইভাল ছবির মতো মৃত্যুর হাত থেকে পালিয়ে বেরানোর কোনও তাগিদও যেন এর গল্পে নেই। নামহীন এক বৃদ্ধ, যাকে এন্ডস্ক্রোলে 'আওয়ার ম্যান' হিসাবে চিনিয়ে দেওয়া হয়, তিনি শুধু অপেক্ষা করেন। অপেক্ষা করেন পরিবর্তনের। দিগন্ত পর্যন্ত কিংবা তারও অনেক অনেক পরে পর্যন্ত বিস্তৃত অপরিবর্তনের সমুদ্র থেকে জনজীবনে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু ঈশ্বর বোধহয় আবারও ক্লান্ত হয়ে পড়েন এই ইউলিসিস-কে উদ্ধার করতেও।

৪। রোমান হলিডে (Roman Holiday) মুভিটি সাদাকালো হওয়ার পরেও আজও মানুষের মনে চির রঙিন। সম্পূর্ণ শুটিং ইটালিতে হওয়া প্রথম আমেরিকান মুভি এই রোমান হলিডে। মুভির বাজেট ১.৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার হলেও, এটি তৈরি করতে লেগে যায় ৫ মিলিয়ন ডলার। মুভির শুটিংয়ের সময় ইটালিতে চলছিলো গ্রীষ্মকাল। তাপমাত্রা ছিলো গড়ে প্রায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শুধু রোমান্টিক সিনেমা বললে ভুল হবে, যথেষ্ট কমেডি সমৃদ্ধ সিনেমা “রোমান হলিডে”। কিছু ছবি থাকে বারবার দেখেও পিয়াস মেটেনা, এটি সেরকম একটা ছবি। আরেকটা কথা বলি- হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় সিনেমা এটি।

৫। চিলড্রেন অফ হ্যাভেন (Children of Heaven) প্রথম দৃশ্যেই ছবির গল্প স্পষ্ট। মানে পুরো ছবির কাহিনী যেটিকে কেন্দ্র করে তা প্রথম দৃশ্যেই উঠে এসেছে। এক্সট্রিম কোজ শটে দেখানো হয় একটি ছেঁড়া জুতো সেলাই হচ্ছে। একটু পর ধীরে ক্যামেরার ফ্রেম বাড়ে। দেখা যায়, একজন মুচি এবং তার সামনে দাঁড়ানো একটি ছেলে। এ ছেলেটির নাম আলী। আলী তার ছোটবোন জাহরার স্কুলের জুতা সেলাই করাতে এসেছে। সেই ছেঁড়া জুতোর অবস্থা দেখেই কিন্তু বলে দেয়া যায় একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আলী।
এই জুতো নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আলী জুতোটা হারিয়ে ফেলে। তাও তার দোষে নয়। একটি ছোট সুপার শপ থেকে কাঁচাবাজার কেনার সময় আলী পলিথিনে মোড়ানো জুতোটা দোকানের বাইরে একটি বাক্সের সাইডে রাখে। ভেতরে গিয়ে আলু, টমেটো ইত্যাদি নিয়ে বাইরে এসে দেখে যেখানে জুতো রেখেছিল, তা আর নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও জুতোর পলিথিনটা মেলে না। পাবে কোত্থেকে? সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসে সেই পলিথিনটাকে ফেলে দেয়ার জন্য রাখা জিনিস ভেবে নিয়ে যায়। এটা তো আর আলী দেখেনি। সে তখন দোকানের ভেতর কাঁচাবাজার নিয়ে ব্যস্ত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: চিলড্রেন অফ হ্যাভেন দেখতে হবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এখনও দেখে নি!!!!
এটা অন্যায়। ভীষণ অন্যায়।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: টাইটানিক দেখেছি প্রথম যেদিন টিভিতে ছেড়েছে সেদিন। কলকাতায় বসে

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওই বিশেষ দৃশ্য টা কি টিভিতে দেখিয়েছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.