নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
১। দ্যা সিক্সথ সেন্স (The Sixth Sense)
কাহিনীটা কিন্তু আধাভৌতিক। কোল নামের এক ছেলে ভয়াবহ এক সমস্যায় আক্রান্ত। সমস্যাটা মানসিক নাকি সত্যি- তার দ্বন্দ্ব মুভির আদ্দেকটা জুড়ে। ৯ বছর বয়সি এক ছেলে কেন এত চুপচাপ, কারও সাথে মিশে না, কেন একাএকা খেলে, কি তার সেই সিক্রেট- সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে এ মুভিতে।
‘কোল’ তার সমস্যার কথা ম্যালকমকে জানায় যে- ‘সে মৃত ব্যাক্তিদের দেখতে পায় এবং তারা জীবিতদের মতই ঘুরে বেড়ায় কিন্তু তারা জানে না যে তারা মৃত।’ ম্যালকম কোলের কথা বিশ্বাস করে। এক পর্যায়ে কোল এবং ম্যালকম বুঝতে পারে যে মৃত ব্যাক্তিরা কোলের সাথে দেখা দেয় কারন তারা কোন একটি বিষয়ে কোলের সাহায্য চায় এবং কোলকে দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নিতে চায়।
২। লাইফ ইজ বিউটিফুল (Life Is Beautiful)
১৯৩৯ সাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন ঘটনার পটভূমিতে নির্মিত। গুইডো অরিফিস একজন আমুদে এবং ক্যারিশমেটিক তরুণ জিউস যিনি নগরীতে চাকুরী খুজছেন। তিনি এক স্কুল শিক্ষিকার ডোরার প্রেমে পড়লেন। কমেডি রোমাঞ্চের মধ্যে এগিয়ে যেতে থাকা ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজী বাহিনির কনসেন্ট্রশেন ক্যাম্পে আটকা পরেন গুইডো। স্বপরিবারে। সেখানে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মমতা দিয়ে গুইডো তার ছেলে যশুয়ার বন্দী জীবনের নিষ্ঠুরতাকে একটা লোভনীয় খেলা বানিয়ে ফেলেন।
একজন বাবা কিভাবে ভয়ানক বন্দীদশাকে তার শিশুর জন্য খেলায় পরিণত করে ফেলতে পারে তারই নিখুত চিত্রায়ণ ছবিটি। একজন হৃদয়বান প্রেমিকের অসাধারণ প্রেমকাহিনি, একজন মহান বাবার পুত্র স্নেহের তীব্র আবেদনে নির্মল আনন্দ বেদনার অসাধারণ ছবি। এই মুভি যতবার দেখি, ততবার আমার চোখ ভিজে ওঠে।
৩। দ্য গডফাদার (The Godfather)
ইতালীয় মাফিয়া ডন ভিত্তো কর্লিওন অপরাধ সাম্রাজ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। মার্কিন মুল্লুকে বাস করে তিনি পুলিশ তথা রাষ্ট্রীয় সব ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে নিজের আইন-কানুন চালু করেছেন। বড় ছেলে সনি কর্লিওন পিতার সাম্রাজ্য দেখা-শোনায় সাহায্য করে। কিন্তু সে অতি রগচটা এবং পিতার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিও পায়নি। মেঝো ছেলে ফ্রেডো যথার্থ অর্থে এ পরিবারের অযোগ্য, সে ভিতু এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। ছোট ছেলে মাইকেল ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। প্রাক্তন সৈনিক হিসাবে তার সুনাম আছে। সে বাবার ‘ব্যবসা’ পছন্দ করে না। পিতার সাথে এক তর্কের পর সনি বাড়ি ছেলে চলে যায়। এদিকে ডনকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। পরিবার ও মাফিয়া সাম্রাজ্যের খাতিরে সামনে এগিয়ে আসে মাইকেল। পারিবারিক বন্ধু টমের সহায়তায় মাইকেল একই সঙ্গে খুনিদের খুঁজে বের করে এবং অসুস্থ পিতার সাম্রাজ্য চালানোর দায়িত্ব নেয়।
৪। শশাঙ্ক রিডেম্পশন (The Shawshank Redemption) একটা জেলখানা। আর তার ভিতরে বন্দীদের জীবনযাপন। ক্ষতবিক্ষত সময়। একজন মানুষের গল্প, যে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রেমিককে খুন করার অপরাধে জেল খাটছে। IMDB তে অবস্থান ১ এবং রেটিং- ৯.৩। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। অসাধারণ একটা মুভি। বারবার দেখার মতোন মুভি।
৫। দি সিক্রেট ইন দেয়ার আইজ (The Secret in Their Eyes)
আগাগোড়া একটি ভালোবাসার মুভি। রোমান্টিক মুভি নির্মান করতে নর-নারীর আবেগের অত্যাধিক ছড়াছড়ি আর যৌনতার যে প্রয়োজন নেই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দি সিক্রেট ইন দেয়ার আইজ। মুভিটির ফিনিশিং এক কথায় দুর্দান্ত।
বেঞ্জামিন একজন অবসরপ্রাপ্ত ফেডারেল জাস্টিস এজেন্ট। অবসর জীবন কাটাতে তিনি একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। উপন্যাসের বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেন ২৫ বছর আগের তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। ২৫ বছর আগে কমবয়সী এক গৃহিণী ধর্ষিত ও খুন হওয়ার একটি তদন্তে তিনি, তার মদ্যপ বন্ধু পাবলো আর একজন এডভোকেট আইরিন জড়িয়ে পড়েছিলেন। তদন্তটি তারা সফলভাবে শেষ করে দোষীকে খুঁজে বের করতে পারলেও ক্ষমতাশীল মহলের চাপে খুনি এক বছরের মধ্যেই সাজা মুক্তি পায়। খুনি বেঞ্জামিনকে হত্যা করার চেষ্টা চালায় কিন্তু নিহত হয় পাবলো। বেঞ্জামিন আত্মগোপন করে। সময়ের স্রোতে ২৫ বছর পর বেঞ্জামিন এ ঘটনাটি নিয়ে উপন্যাস লেখার জন্য সাহায্য চাইতে তার পুরাতন বান্ধবী আইরিনের কাছে যায়।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: এডমিন শাস্তি দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩২
অধীতি বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় আসেনা কেন?