নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অসহায় শিশুদের পাশে গিয়ে যখন একজন ম্যাডোনা বা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি দাঁড়ান, মায়ের মমতা নিয়ে সেসব শিশুর দু:খ মোচনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন-তখন নিশ্চয়ই ভাবতে ভালো লাগে তারাও মানুষ! আর সত্যি বলতে কী- আমাদের অনেকেরই অজানা যে, এসব দুরন্ত রূপবতী অভিনেত্রীরাও মা। একজন মা।
এক মায়ের লেখা একটা চিঠির কিছু অংশ-
দোয়া করি তুমি ভাল এবং সুখে আছ। আজ তোমার সামনে আমার কুৎসিত মুখ নিয়ে আসিনি বাবা। আজ এই চিঠিতে আমি তোমাকে লিখছি। আমি জানি তুমি বিরক্ত হচ্ছ তারপরও লিখছি। পুরো চিঠিটা পড়বে কিন্তু। তোমার বয়স তখন পাঁচ বছর আমি তোমাকে নিয়ে একদিন রিকশা করে যাচ্ছিলাম। হঠাত পেছন থেকে গাড়ির ধাক্কায় তুমি পড়ে যাও। রাস্তার মাঝে ইটের সাথে গুঁতা লেগে তোমার বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়। আমি মা হয়ে তা সহ্য করতে পারছিলাম না। ডাক্তার বললেন, নতুন চোখ লাগালে তুমি দেখতে পাবে, তাই মা হিসাবে তোমাকে এক চোখ কানা নিয়ে ঘুরতে দেখা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আর সেই কারনে আমি আমার নিজের চোখ তোমাকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তুমি কোনদিন ও জানতে চাওনি আমি কেন কানা হয়েছিলাম। সুখে থেকো বাবা।
ইতি- তোমার একচোখ কানা কুৎসিত মা।
বাংলাদেশের কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘মা’ উপন্যাসটিকে চলচ্চিত্রের রূপ দিতে যাচ্ছেন বলিউডের প্রযোজকরা। ‘মা' উপন্যাসটিতে বাস্তবের এক মায়ের গল্প তুলে ধরেছেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র সেই মা তাঁর একমাত্র ছেলে আজাদকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেন। এমনি হাজারো মায়ের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে বাঙালি জাতি। ২০০৩ সালে সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ‘মা' উপন্যাসটি। এরপর বইটির ইংরেজি অনুবাদ করেন ফাল্গুনি রায়। ইংরেজি বইটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রিডোম'স মাদার' বা ‘স্বাধীনতার মা'। প্রকাশক পাবলিশার্স।
উপন্যাসের প্রথম কিছু অংশ- গোরস্থানের সীমানা-প্রাচীরের বাইরে রাস্তায় গাড়িতে বসে আছেন জাহানারা ইমাম। আজাদের মাকে সমাহিত করা হবে একটু পরেই। আজ ৩১শে আগস্ট, ১৯৮৫ সাল। গতকাল, ৩০শে আগস্ট, আজাদের মা মারা গেছেন। ১৪ বছর আগে, ১৯৭১ সালের ৩০শে আগস্ট রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা আজাদকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আজাদ আর ফিরে আসেনি। এটা শহরের অনেক মুক্তিযুদ্ধারই জানা যে, এই ১৪টা বছর আজাদের মা একটা দানা- ভাতও মুখে দেননি, কেবল একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন; কারণ তাঁর একমাত্র ছেলে আজাদ তার কাছে ১৪ বছর আগে একদির ভাত খেতে চেয়েছিল; পরদিন তিনি ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন রমনা থানায়, কিন্তু ছেলের দেখা আর পাননি। তিনি অপেক্ষা করেছেন ১৪টা বছর, ছেলের আগমনের আশায় পথের দিকে চেয়ে থেকে। অপেক্ষার এই ১৪টা বছর তিনি কোন দিন বিছানায় শোননি, কারণ তার ছেলে আজাদ রমনা কি তেঁজগাও থানায় কিংবা তেঁজগাও ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এমপি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায়নি।
'মা' ম্যাক্সিম গোর্কির এই উপন্যাসটি সারা বিশ্বেই অত্যধিক জনপ্রিয় একটি সাহিত্য। গোর্কির লেখনীতে সর্বদাই শ্রমজীবি মানুষের কথা উঠে এসেছে অত্যন্ত সাবলীলভাবে। তার মা চরিত্রটিতে দেখা গেছে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার এক মানবীকে। গোর্কি তার এই উপন্যাসে এমনই এক মা-কে অসাধারণ সাহিত্যিক মহিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বইটি অবশ্যই সকলের পড়া দরকার।
বাংলা সাহিত্যে মা- কে নিয়ে রচিত একটি অসাধারণ উপন্যাস 'জননী'।
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সাহিত্য নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। এই উপন্যাসে তিনি মা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন যুদ্ধে নিজের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টায় রত এক সংগ্রামী মহিলাকে। সব ধরনের বিপদ মোকাবেলাও করেও, চরম অসহায়ত্বের মাঝেও মা যে কতটা যত্নবতী হতে পারে, "জননী" সেরকমই একটি সাহিত্য।
আর একটি অসাধারণ উপন্যাস 'বিন্দুর ছেলে'। মায়ের স্নেহ যে কতটা বিশাল হতে পারে, মাতৃছায়ার ছায়া যে কতটা বিস্তৃত হতে পারে, তা এই উপন্যাসে লেখক প্রকাশ করেছেন। মায়ের স্নেহ বলতে আমরা যে ধারণা আমাদের হৃদয়ে ধারণ করি তার আক্ষরিক রূপ এই উপন্যাসে পাওয়া যায়।
গোরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্য একটি উপন্যাস। এই উপন্যাসের মা আনন্দময়ী চরিত্রটি সমস্ত সীমার উর্ধ্বে। অর্থাৎ, মা যে যেকোন জাতভেদকে মাড়িয়ে জননীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন, তাই এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯৬টি দেশে প্রতিবছর মা দিবস পালন করা হয়।
খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকেই মিশর, রোম ও গ্রিসে মা দিবস পালন করা হতো। ১৮৭০ সালে আমেরিকার জুলিয়া ওয়ার্ড হাও নামের এক গীতিকার মা দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। তিনি আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় একটি দেশাত্মবোধক গান লিখেছিলেন। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেটিনার কথাই ধরা যাক। এই দেশটি অক্টোবর মাসের তৃতীয় রবিবার মা দিবস পালন করে থাকে।
মাকে নিয়ে কিছু অসাধারণ মুভি- অ্যালিস ডাজ নট লিভ হিয়ার অ্যানি মোর (১৯৭৪), ফ্রিকি ফ্রাইডে (১৯৭৬), টার্মস অফ এন্ডারমেন্ট (১৯৮৩), মাস্ক (১৯৮৫ , Grave of the Fireflies। যুদ্ধের মাঝে বাবা মা-কে হারিয়ে বেচে থাকার চেষ্টারত দুই ভাইবোন কে নিয়ে এর গল্প।
গত দুই তিন বছরে আমি আমার মা'র সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছি। এবং খারাপ ব্যবহারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছিল। মা, মাঝে মাঝে দুই এক কথা বলত কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই চুপ করে থাকত। যখন আমার মাথা ঠান্ডা হয়, তখন বুঝি, মা'র সাথে চিল্লা-চিল্লি করাটা ঠিক হয়নি। মনে মনে আমি খুব অনুতপ্ত হই। কিন্তু মাকে কখনোই স্যরি বলা হয় না। মা গতকাল আমাকে বলল- পন্ডিত, তুমি আমাকে অনেক বাজে কথা বলেছো। যখন বলো, একবার ভেবে দেখো না, কাকে কি বলছো! আমার তিন ছেলেকে নিয়ে আমি কখনো ভাবি না, তোমাকে নিয়ে সারাক্ষন আমার মাথায় টেনশন কাজ করে। তুমি বাইরে গেলে আমার অস্থির লাগে। তোমার সব বাজে ব্যবহারের জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। মা'র এই সব কথার উত্তরে আমি বললাম- ক্যাট ক্যাট বন্ধ করো, ক্ষুধা লাগছে ভাত দাও। ঠিক করেছি মা'র সাথে আর খারাপ ব্যবহার করবো না। কিন্তু মেজাজ খারাপ হলে ঠিক করে রাখা কথাটা ভুলে যাই।
আমার যখন এক বছর বয়স, নতুন হাটা শিখেছি মাত্র।
তা-ও ঠিক করে হাঁটতে পারি না। দু'পা গিয়েই ধাম করে পড়ে যাই- একদিন আমাদের বাসা থেকে কিছু দূরে আগুন লেগেছিলো। মা, হঠাৎ খুব ভয় পেয়ে আমাকে কোলে নিয়ে দৌড় দিয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু আমার নানা নানী বুড়ো মানুষ তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি মা। মা আমাকে নিয়ে বাসায় ফিরলে, মাকে প্রশ্ন করলো নানী পুষ্প (নানা-নানী মাকে আদর করে পুষ্প নামে ডাকতেন) তুই এটা কি কাজ করলি, তোর বাবাকে ফেলে পালিয়ে গেলি, আমাকে ফেলে পালিয়ে গেলিক! শুধু নিজের ছেলেকে নিয়ে! মা, নানীকে বলেছিল- সবার আগে আমার কাছে আমার ছেলে। আর আমি সেই ছেলে আজ মা'র সাথে খারাপ ব্যবহার করি। মা- একাএকা কাঁদে! ছিঃ রাজীব নূর ছিঃ!
প্রতিটা ছেলে-মেয়ের আদর্শ হওয়া উচিত তাদের বাবা-মা।
এই জন্য বাবা-মাকে অসাধারণ হতে হবে সবক্ষেত্রে। কারণ ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবা-মা'র কাছ থেকে শিখে। ভালোটা যেমন শিখে-মন্দটাও শিখে। আমার আদর্শ কিন্তু আমার বাবা-মা নয়। তাদের কাছ থেকে কিচ্ছু শিখিনি। কথায় বলে- জন্ম দিলেই মা হওয়া যায়, কিন্তু মাতৃত্ব আসে হৃদয় থেকে। ভালো থাকুক আমার বাবা-মা, ভালো থাকুক তোমার বাবা-মা, ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা-মা। কেউ বাবা-মা'র সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। আর করেও থাকলেও ক্ষমা চেয়ে নিন। নিজের বাবা-মাকে ভালোবাসুন, এক সময় দেখবেন আপনি সবাইকেই ভালোবাসতে পারছেন। আর একটা কথা, বাবা-মা তো ফেরেশতা না, তারাও ভুল করতে পারেন। তাদের ভুল গুলো মাথায় রাখা উচিত নয়। ভালোবাসুন বাবা-মাকে। আল্লাহ তুমি আমার কাছে বড় না, আমার কাছে বড় আমার বাবা-মা।
গ্রাম থেকে আমার মামা অনেক গুলো ডাব এনেছেন মা'র জন্য।
কিন্তু আমাদের বাসায় ডাব কাটার দা নেই। তাছাড়া বাসার কেউ ডাব কাটতে জানেও না। প্রায় এক সপ্তাহ ডাব গুলো খাটের নিচে পড়ে থাকল। আমি মাকে বলেছিলাম দোকান থেকে ডাব গুলো কেটে আনব। একটা ডাব কাটতে আর কয় টাকা লাগবে। মা বলল- দোকান নিয়ে গিয়ে ডাব কাটতে হবে না। আমি-ই কত পারি।
সকাল দশ টা। আমি বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছি। মা চিৎকার করে আমাকে ডাকলেন। দৌড়ে মার কাছে গিয়ে দেখি, বটি দিয়ে ডাব কাটতে গিয়ে মা তার হাতের একটা আঙ্গুল কেটে ফেলেছে। আঙ্গুল টা পুরোপুরি কেটে পড়ে যায়নি একটু খানি ঝুলে ছিল। তখন আমি ছাড়া বাসায় আর কেউ ছিল না। তখন আমার বয়স ছিল পনের বছর। মাকে নিয়ে গেলাম বাসার কাছে এক হাসপাতালে। হাসপাতালের নাম ছিল 'নিউ এরা' হসপিটাল। তারা তুলা দিয়ে আঙ্গুল প্যাচিয়ে বলল- এইটা আমরা ঠিক করতে পারব না। ঢাকা মেডিকেল যান। খুব তাড়াতাড়ি যেতে হবে। তা না হলে আঙ্গুল টা বাঁচানো যাবে না। সেদিন রিকশা করে ঢাকা মেডিকেল যেতে সময় লেগেছিল ২ ঘন্টা।
১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আনিসুল হককে চিনেন??
২| ১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: আবেগের সাথে কিছুটা বুদ্ধি যোগ করুন,মায়ের সাথে কোন সমস্যা থাকবে না।
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: বুদ্ধিই তো আমার নাই।
৩| ১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার সাথে জানাশোনা আছে, ভেতরে ভেতরে শিবির ও ছোট রাজাকার।
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হয় উনি অহংকারী মানুষ।
৪| ১৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রথম আলো'র আনিসুল হক তো?
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বি।
৫| ১৬ ই মে, ২০২১ রাত ১:১১
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার প্রচুর বুদ্ধি কিন্ত মার সাথে ব্যবহারে আবেগী হয়ে যান,তাই সমস্যা হয়।আমি শ্রেনী সংগ্রাম করা মানুষ, আমার চিন্তা ভাবনায় অনেক গন্ডগোল আছে।
১৬ ই মে, ২০২১ রাত ২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আনিসুল হকের বই সিনেমা হবে? ঝাঁটা মারার দরকার; উহা নকলবাজ লেখক।