নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেসার কুকার

২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:১১


ছবিঃ আমার তোলা।

"বাধিয়াছে দলাদলি লাগিয়াছে গোল
কোথা বা করিছে লোক শুধু হেউ হেউ
কোথা বা বাঘের পিছে লাগিয়াছে ফেউ।"


অনেক কে দেখি- অনেক বড় বড় নীতির কথা বলেন।
কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রমান আমি পাই না। তাদের চোখে মুখে আমি দেখি- সারাক্ষন লোভ চক চক করে। আমার খুব রাগ হয়, আবার আমি খুব কষ্ট পাই। আমি অপেক্ষায় আছি একদিন তাদের মন মানসিকতার উন্নতি হবে। আমি অপেক্ষায় আছি, অপেক্ষা করতে আমার ভালোই লাগে। আমি দেখেছি যুক্তিতে হেরে গেলেই মানুষ বেশী ক্রুদ্ধ হয়। ধর্ম কিংবা পরনারী নিয়েই যদি দেশের যুবকেরা সকলে মেতে থাকে, তাহলে পরিবারের শুচিতা ও সমৃদ্ধি রক্ষা হবে কি করে?

যারা রাজাকার তারা নীতিহীন।
নব্য ধনীর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নব্য রাজাকার। দুষ্টলোক সমাজের প্রতিটা স্তরে আছে। মক্কা মদীনায়ও আছে। এরা নিজেরা ভালো থাকবে না এবং কাউকে ভালো থাকতে দিবে না। সুন্দর পরিবেশ এদের ভালো লাগে না। সহজ জিনিসকে এরা জটিল করে। নিজে ভুয়া বলে অন্যদেরকেও ভূয়া বলে মনে করে। নিজে কাঠাল পাআতা খায় বলে, অন্যকেও খেতে বলে। নেশাখোর তারাও যেমন নিজ নিজ সংসারের সর্বনাশ করছে, তেমনি যারা ধর্ম-পাগল, তাদেরও জাগতিক উন্নতির দিকে কোনও মন নেই।

তার মানে এই নয় যে, টয়লেটে প্রস্রাব না করে লোকে শোবার ঘরে প্রস্রাব করবে। এক একটি জীবন মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা। শুধু স্বপ্ন আর আশা থাকলেই হবে না, সেই স্বপ্ন আর আশা সত্যি করার মতন অন্তঃকরণও থাকা দরকার। কিছু মানুষ নামের রাজাকারের মধ্যে কত রকম বর্বর নিয়ম ও বিশ্বাস আছে। এরা শুধু সমাজের ক্ষতি করে যায়। চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে, নিজেকে পন্ডিত ভাবে। আদতে এরা নর্দমার কীট। এদের শরীর থেকেও বাজে গন্ধ বের হয়। তাই এরা সভ্য সমাজ থেকে বিতাড়িত।

আমার বুদ্ধি কম নয়।
আমার মধ্যে শুদ্ধতার প্রকাশ আছে। আমার পড়াশোনাও আছে। বন্ধু ও পরিচিত মহলে আমি যখন কোনও বিষয়ে কথা বলি, তখন সকলে খুব বিরক্ত হয়। আমি আজ পর্যন্ত কোনও কিছুই অর্জন করতে পারিনি একথা সত্য। বনের ভেড়ার পালের মধ্যে একটি করে নেতা-ভেড়া থাকে। কোনও আগন্তক ভেড়া দেখলেই সেই নেতা-ভেড়াটি লড়াই করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। কখনও বা আগন্তক ভেড়াটি জিতে এবং তার পরই সে-ই পালটির নেতা হয়ে যায়। দুনিয়ার সর্বত্র এই নিয়মই চলছে। এখন আমার কিছু মনে থাকে না। ইচ্ছা করেই কিছু মনে রাখি না। আমি সব ভুলে যাই। আমি মৃত, আমি চলন্ত প্রেতাত্মা!

একটি উক্তি মনে পড়ে গেলো-
'বুড়াপে মে ইনসান কী কুওতে শাহওয়ানী যবান মে আ জায়া করতী হ্যায়'। মানে হলো- বার্ধ্যক্যে মানুষের কামনা বাসনা সব জিভের ডগায় এসে ভর করে। কাজেই সাবধান হও। ভালো হও। মানবিক হও। মানুষ হও। হিংসা করো না। লোভ করো না। যে কোনো সময় তুমি মরে যেতে পারো। দুনিয়াতে মরে যাওয়ার মতোন সত্য আর কিছু তো নেই। তুমি খারাপ মানে তোমার বাবা মা তোমাকে ভালো শিক্ষা দিতে পারেনি। দোষ পড়বে বাবা মায়ের কাঁধে। যে বাবা মা তোমাকে পৃথিবীতে এনেছে- তাদের গালি খাওয়াচ্ছো কেন? যদি তোমার বদমাশি করতেই হয়- বদমাশদের সাথে বদমাশি করো।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে।
ধানমন্ডি লেকের কাছে দাঁড়িয়ে আছে এক নীল শাড়ী পরা তরুনী। বয়স ২১/২২ এর বেশী মনে হয় না। একটু পরপর হাতের মোবাইল ফোনটির দিকে তাকাচ্ছে। বৃষ্টিতে যে সারা শরীর ভিজে যাচ্ছে সে খেয়াল নেই। এই রাত্রে সে পথের ওপর কী জন্য দাঁড়িয়েছে, তা এক নিমেষে তাকালেই বোঝা যায়। নারীকে সবাই বলে অবলা! অথচ ওর কোনও ভয় নেই, এমন বৃষ্টির রাতে পথে একলা দাঁড়িয়ে আছে!একেই বলে শুধু বাচার জন্য বাঁচা! বাঁচতে তো হবেই, কেননা মৃত্যুর পর যে আর কিছু নেই।

দুইজন বয়স্ক লোক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলো।
মেয়েটি ওদের দেখে একটু এগিয়ে এসে বললো, এই! বয়স্ক লোক দুইজন শুনেও না শোনার ভান করলো। তারা পারমানবিক বোমা নিয়ে আলোচনা করতে করতে এগোতে লাগলো। মেয়েটি আবার বললো, এই আমায় নেবে? নাও না, তোমাদের যেখানে খুশি, যতক্ষন খুশি, আমায় নাও না।
দুই বন্ধু এবার মিটিমিটি হাসতে লাগল। একজন এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির বুকে হাত রাখল। মেয়েটি এবার রেগে গিয়ে বাজে গালাগাল শুরু করলো।
দুঃখের ব্যাপার হলো আমি এই মেয়েটি এবং বয়স্ক লোক দু'জনকে খুব ভালো করেই চিনি। পরিচয় দিলে হয়তো আপনারা চিনবেন।তাদেরকে তাদের মতই থাকতে দেওয়া উচিত।

মানুষের বেঁচে থাকার উপকরন কি?
স্ত্রীর পতি প্রেম, সন্তানের জন্য স্নেহ? হে নারী দু'টি আহারের জন্য তোমাকে পথে দাঁড়াতে হয়! তুমি যে নারী জাতি! লাজ-লজ্জা-ধর্ম সব বিসর্জন দেবে শুধু দু'টি আহারের জন্য? এই নারীর মুখখানি ঘুমের মধ্যে বড় করুন দেখাত। শাড়িড় আঁচল কোমরে জড়িয়ে যখন রান্না করত কি দারুন লাগত দেখতে! এখন তার সাথে সবার যোগসুত্র ছিন্ন হয়ে গেছে। আহ হা বেশ বেশ।

নীলা অনেকদিন আগে একটা গান শুনিয়েছিল। হঠাৎ সেই গান টা মনে পড়ে গেল।

সুধাই তোমায় সুধামুখী, ভুলেছ কি আছে মনে
মনে ভেবে দেখ দেখি কী কথা ছিল দু'জনে
আমায় মন দিবে বলে আগে আমার মন নিলে
অবশেষে এই করিলে, তুই জানিস আর তোর ধর্ম জানে।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২০

CPH IT Solution বলেছেন: What a society we live in now a days. Full of hypocrite people everywhere . Hope this changes soon.

২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা নষ্ট সমাজে বাস করছি।
এই সমাজের মানুষ অতি দুষ্ট। ভয়াবহ। নোংরা। ভন্ড। বদমাশ। সবাই সব জানে। তবুও চুপ করে থাকে। চারিদিকে দুষ্টলোক। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই এদের দেখা যায়।

দুষ্টলোক কখনও ভালো হয় না। মৃত্যুর আগে বদমাশি করে যায়।

২| ২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৪

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমার মত সবার এক প্রশ্ন এই সমাজে কি কোনোদিন পজিটিভ চেঞ্জ আসবে না? আমরা সবাই এই কথা বলতে বলতে বিরক্ত। কিন্তু পরিবর্তনের আনার জন্য আমাদের কারও কোনো উদ্যোগ নেই।
লেখা ভালো লেগেছে বেশ।

২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৩| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার লেখায় একটা ইতিবাচক দিক আছে যেটা পড়ে কোন মানুষের মমিনুল হকের মতো মমিন হবার সম্ভাবনা নেই,কিছুটা হলেও প্রগতীশীল হবে।আমার ভালোলাগে আপনার লেখা।

২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: কি খাবেন বলুন?
থাই স্যুপ? অনথন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.