নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে আপনি কি জানেন?

২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৩



৭১- এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে যোগ করেছে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা।
সেখানে মুক্তির আনন্দ এবং বীরগাঁথা যেমন রয়েছে তেমনই আছে অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা, অত্যাচার-নির্যাতন, লাঞ্ছনা, আছে আপনজন হারানোর বেদনা, শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে বাঁচে থাকার বিড়ম্বনা। ঐ যুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বহু নারী। মুক্তিযুদ্ধে যে নারীরা ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাঁদেরকে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান 'বীরাঙ্গনা' উপাধি দিয়েছিলেন।

শাব্দিক অর্থে বীরাঙ্গনা হচ্ছে বীর যোদ্ধা, বীর নারী, বীর্যবতী বা সাহসী নারী, অর্থাৎ অসীম সাহসী নারী যাঁরা দেশের জন্য প্রাণাপাত করে লড়াই করেন। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে নারীর ওপরে সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন কোন সাধারণ অপরাধ নয়, তা যুদ্ধপরাধ। ১৯৭১ সালে নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত হওয়া 'লস এঞ্জেলস টাইমস' এর সমন্বিত সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়- 'সনাতনী গ্রামীণ বাঙালি সমাজে, যেখানে নারীরা আবৃত জীবনযাপন করে, ধর্ষণের শিকার নারীরা প্রায়শই হয়ে যায় সমাজচ্যুত'। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে নারীদের ভাবনা, সাহস, কর্মকান্ড বিষয়ে অনেক তথ্য ছড়িয়ে আছে নানা জনের লেখায়। সেসব থেকে উদ্বৃত করলে বোঝা যাবে- মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের কথা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে আড়াই লাখ নারী ধর্ষিত হয়েছে।

২৬ মার্চ ১৯৭১, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে মেয়েদের ধরে আনা হয়। আসা মাত্রই সৈনিকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তারা ব্যারাকে ঢুকে প্রতিটি যুবতী, মহিলা এবং বালিকার পরনের কাপড় খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণে লিপ্ত হতে থাকে। পাক সেনারা ধর্ষন করেই থেকে থাকে নি, সেই মেয়েদের বুকের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দেয়, মাংস তুলে নেয়। মেয়েদের গাল, পেট, ঘাড়, বুক, পিঠ ও কোমর তাদের কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়। যেসব মেয়েরা প্রাথমিক ভাবে প্রতিবাদ করত তাদের স্তন ছিড়ে ফেলা হত, যোনি ও গুহ্যদ্বা্রের মধ্যে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢূকিয়ে হত্যা করা হত।

সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের একটি অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং রংপুর আর্টস কাউন্সিল ভবনটি নারী নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত। এখানে বন্দী ছিল প্রায় একশ মেয়ে এবং প্রতিদিনই চলত নির্যাতন, যারা অসুস্থ হয়ে পড়ত তাদের হত্যা করা হত সাথে সাথেই। যশোর ক্যান্টনমেন্টে চৌদ্দ দিন বন্দী থাকা হারেছ উদ্দিনের ভাষ্যে জানা যায়- ক্যান্টনমেন্টে ১২ থেকে ৫০ বছর বয়সের ২৯৫ জন মেয়েকে আটক রাখা হয়েছিল, তাদের উপর নির্যাতন চলত প্রতি রাতেই। নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কম যায়নি বিহারীরাও।নৃশংসতায় তারা কোন কোন সময় ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাক বাহিনীকেও।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশ গ্রহণ নিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি গ্রন্থে কয়েকটি সূত্র পাওয়া যায়। সেনাঘাঁটি বা ক্যাম্পে বন্দী নির্যাতিতা নারীদের মধ্য থেকেই সাধারণত যৌনদাসী নির্বাচন করা হতো। এদের নির্যাতন করতো উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। ক্যাম্পের বদল হলে, এই নারীদেরও সেনারা সঙ্গে করে নিয়ে যেতো। এরকম যৌনদাসীর শিকার হয়েছেন হবিগঞ্জের লস্করপুর চা বাগানের অনেক নারী শ্রমিক। পাকিস্তানিদের যৌন বিকৃতি, মনোবিকার ও নিষ্ঠুরতা এতোটা ভয়ঙ্কর ছিলো যে তাদের অনেককে সাইকোপ্যাথিক পারসোনালিটি হিসেবে গণ্য করে তাদের অপরাধকে আচরণ বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয় করা উচিত ছিলো। নির্যাতিতা বিবাহিত নারী: ৬৬.৫০% এর চেয়ে বেশি, অবিবাহিত: ৩৩.৫০% এর চেয়ে কম।

৭১ এ নারীর ভূমিকার কথা উঠলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে সম্ভ্রমহানী আর হাসপাতালের সেবিকার চরিত্রের কথা। ৭১ এর ভূমিকাকে নানা ভাগে ভাগ করলে দেখা যাবে প্রায় সবকটা বিভাগেই নারীর অবিষ্মরণীয় অবদান রয়েছে। আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদেরই প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়া হয় নি। আর আদিবাসী নারী মুক্তিযোদ্ধাদের তো আরো অবহেলা করা হয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখজনক যে ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নারী সমাজের অবদানের মূল্যায়ন আজ পর্যন্ত হয়নি। এতোটা ভয়াবহ, বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন বিভৎস নির্যাতন পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি- সভ্যতা আর কোনো দিন এমন বিভৎসতা দেখেনি। ধর্ষিতা নারীর সংখ্যা : সাড়ে চার লাখেরও বেশি। মুসলমান: ৫৬.৫০%, হিন্দু: ৪১.৪৪%। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশের মানুষের উপর আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে যে ভয়াবহ নির্যাতন করেছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে, সভ্যতার ইতিহাসে এক কালিমা। বাংলার মুক্তিযুদ্ধ ছিল এদেশের জনগণের যুদ্ধ যে জনগণের পঞ্চাশ শতাংশই নারী। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নারী সমাজের অবদানের মূল্যায়ন আজ পর্যন্ত হয়নি। অথচ বাস্তবে তাদেন সহযোগিতা অবিস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকার যে নীতি নিয়েছিল, তাতে নারীদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া, গেরিলা যুদ্ধের জন্য তৈরি করা, প্রশাসনিক কাজের নেতৃত্বে নারী সাংসদদের দায়িত্ব দেওয়া- এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণেও তিনি নারীর কথা উল্লেখ করেছেন।
সেই আহবানে ছিলো আবেগ ও অঙ্গীকার। তিনি বলেন- 'আমি আগেই বলে দিয়েছি কোনো গোল টেবিল বৈঠক হবে না,.. ..যারা আমার মা বোনের কোল শূন্য করেছে, তাদের সাথে বসবো আমি গোল টেবিল বৈঠকে? যদি একটি গুলি চলে, তাহলে বাঙলার ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো'। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি লোকই কোনো না কোনোভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন। গ্রামে গ্রামে, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বহু ঘটনার উদ্ভব হয়েছে।
বহু বীরত্ব গাঁথা বিশ্বাসঘাতকতা, ত্যাগ, অত্যাচার, নিপীড়ণের কাহিনী স্তরে স্তরে গড়ে উঠেছে। এর পরিমাণ অনুধাবন করা কঠিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছেন অনেক নারী। নূরজাহান মুর্শিদ, আতিয়া বাগমারের মতো উচ্চ শিক্ষিত নারীরা প্রবাসে বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন, তহবিল সংগ্রহের কাজ করেছেন। নারী শুধু নির্যাতিতাই হননি, পুরুষের পাশাপাশি ঝাঁপিয়েও পড়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে, অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন হাতে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন পুরুষের সাথে। মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক তারামন বিবির কথা তো সবারই জানা। ক'জন তারামন বিবির কথাই বা আমরা জানি? বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যে এইরকম অসংখ্য তারামন বিবির অবদান লুকিয়ে আছে।

সিলেটের চা বাগানের চা-নারী শ্রমিকরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সশস্ত্র হয়েই।
কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের একটি উপন্যাস আছে। ‘নেকড়ে অরণ্য’। পাকিস্তানি ক্যাম্পে কীভাবে নির্যাতন করেছে শুয়োরের বাচ্চারা, আর সেই নির্যাতনের প্রকট দৃশ্য দেখে কী স্বাভাবিক আত্ম তৃপ্তিতে মজেছিলো এ দেশীয় রাজাকাররা- তার চাবুক বর্ণনা পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।
যুদ্ধকালীন সময়ে আমাদের এই দেশের অনেক নারী হারিয়েছিলেন তার নিজের পরিবারের উপার্জনক্ষম পুরুষ সদস্য যেমন বাবা, ভাই, স্বামী, ছেলেকে। পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরোচিত হামলায় কোন পুরুষ জীবিত না থাকায় আমাদের দেশের অনেক গ্রাম পরিচিতি পেয়েছিলো 'বিধবার গ্রামে’। একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী শহীদ হয়েছেন। স্বামীকে ইতিহাস তুলে এনেছে। স্ত্রীকে কবর দিয়েছে। ইতিহাস কোনোদিন দুর্বল মানুষকে স্থান দেয় না। হয়তো সে ধারাবাহিকতা এখানেও বজায় রেখেছে। তবে আমরা অবাক হই, নারী লেখকরাও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে অনেক বই লিখেছেন, সেখানেও নারীর ত্যাগের কথা তেমন ভাবে তুলে ধরা হয়নি। যারা হাতে অস্ত্র তুলে নেননি, তারা করেছেন সেবা। ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘুরে মানুষের সেবা করেছেন। সেবা করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কথা তো সবার জানা।
তৎকালীন শিল্পীরা ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। প্রচুর মেয়েরা, কিশোর-কিশোরীরা, তারা মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্যে ক্যাম্পে সারিবদ্ধভাবে নাম লিখিয়েছে এবং আগরতলার বিশ্রামনগর হাসপাতালে সেখানে এক বিশাল গ্রুপে মেয়েরা অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং নার্সিং ট্রেনিংও নিচ্ছে।

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি।
কিন্তু ইতিহাস থেকে যা জেনেছি তাতেই ওই সময়ের সাহসী নারীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় মাথা নিচু হয়ে আসে। ইতিহাস আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে যায় সময়ের আর কালো ক্ষমতার প্রভাবে। তাই ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের নারীদের অবদান গুলো যদি সঠিক ভাবে তুলে ধরা না হয় তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেও পারবে না সেই হব মহীয়সী নারীদের নাম যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলার মায়েরা মেয়েরা সকলেই বীর, সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই নারীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভূমিকা ছিল দেশকে নতুন করে দাঁড় করানোর জন্য। নারীদের এই বিষয়টিও আজ আলোচনার বাইরে।

সেলিনা হোসেন তার 'যুদ্ধ' উপন্যাসটি শেষ করেছেন এভাবে: যুদ্ধে একটি পা হারিয়ে প্রেমিক ফিরে এসেছে স্বাধীন দেশে। প্রেমিকা তখন পাকিস্তান সেনা কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে গর্ভবতী। দুজনের যখন দেখা হয় তখন প্রেমিকা প্রেমিককে বলে, 'ভালো কইরে দেখো হামাক। তুমহি দেছো পা। হামি দিছি জরায়ু। তুমহার পায়ের ঘা শুকায়ে গেছে। কয়দিন পর হামারও জরায়ুর ঘা শুকায়ে যাবে। হামি ভালা হয়ে যাবো।'

নারীর জীবন এবং নারীর অধ্যয়নকে এভাবে মেলাতে হবে।
নারীর জীবনে যে চিত্র প্রতিফলিত হয় এর পরস্পর সংযুক্তি সাহিত্যে ঘটবে। বাস্তবতার নির্মমতার ভেতর দিয়ে এগোয় সাহিত্য। আমাদের শিক্ষার্থী, গবেষক, শিক্ষকরা যদি অনবরত নারী জীবনের অনুপুঙ্খ বিবরণ এবং গভীর মাত্রা সামনে না নিয়ে আসেন তাহলে নারী অধ্যয়নের বিষয়টি উপরি অধ্যয়ন হবে, গভীরতম অন্তর্লোকটি অদৃশ্য হয়েই থাকবে। যে কারণে সমালোচনা শুনতে হয় যে নারীবিষয়ক লেখাগুলো বিদেশি অর্থে প্রভাবান্বিত বাইরের মানুষের দৃষ্টি দিয়ে দেখা। যেখানে বাংলাদেশের নারীর জীবন অস্পষ্ট ছায়ার মতো দেখা যায়, সে দেখায় আলো নেই। নারীর জীবন খুঁজে দেখার প্রকৃত চেষ্টা অনুপস্থিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারী যোদ্ধাদের অবদান কম নয়, তথাপি অনেকেই তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করতে চায় না!!

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এটা প্রচন্ড দুঃখজনক।

২| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীরা পুরুষের সান অবদান রেখেছিলেন।

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের মতোণ নারীকে সম্মান দেখানো হলো না কেন?

৩| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২১

কল্পদ্রুম বলেছেন: বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: তারা জাতীয় বীর।

৪| ২৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই আমলে মুক্তিযুদ্ধ হলে কোন নারীই মুক্তিযুদ্ধে যাবে না।
তারা বোরকা আর হিজাব পরে ঘরে বসে তসবি টিপতে থাকব।


হাজার ১৯৫২ সাল থেকে 1990 সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নারীর ইতিহাসে তারা ছিলেন সব চেয়ে প্রগতিশীল নারী ।
এরপর তারা ধীরে ধীরে বোরকার ভিতরে ঢুকে যেতে থাকেন।

আফসোস!

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ধারনা ভুল।
সমাজে বহু সাহসী ও সৎ নারী আছে। তারা অবশ্যই দেশের যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসবে।

৫| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আপনার ধারনা ভুল।
সমাজে বহু সাহসী ও সৎ নারী আছে। তারা অবশ্যই দেশের যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসবে।

চোখ কান খোলা রাখুন। সমাজটাকে বুঝার চেষ্টা করুন।
সেই বাংলাদেশ আর নেই রে পাগলা।

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি ৮/১০ বছর দেশের বাইরে থাকার কারনে দেশ সম্পর্কে আপনার ধারনা কমে গেছে।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আসলে আপনি ৮/১০ বছর দেশের বাইরে থাকার কারনে দেশ সম্পর্কে আপনার ধারনা কমে গেছে।

আসলে আমি দেশের বাইরে থাকি প্রায় 15 বছর । আপনি সম্ভবত জানেন যারা প্রবাসে থাকে তারা দেশের প্রতি অনেক বেশি দরদী হয় । দেশের প্রতি তাদের মমত্ববোধ দেশে যারা থাকে তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় । বরং ক্ষেত্রবিশেষে বেশি হয় ।

আপনি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন সেই দিন আর নেই । আর সেই দেশ ও আর নেই।
আফসোস।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ আফসোস!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.