নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রিয় কন্যা আমার-
আর একদিন পর তুমি ছয় মাসে পা রাখবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তুমি এখনই খিল খিল করে হাসো। আমি তোমার সাথে লুকোচুরি খেলা খেলি। আমি একবার জানালার সামনে দাঁড়াই, আবার লুকিয়ে যাই। তুমি আমাকে খোজো। হঠাত আমি জানালার সামনে আসি- তুমি আমাকে দেখে খুশিতে চিৎকার করে ওঠো। এই খেলা শিশুরা দেড় বছর হলে খেলে। তুমি খেলছো পাঁচ মাসে। আমি বাইরে থেকে বাসায় এলে, তুমি আমাকে দেখলেই খুশি হও। খুশিতে হাত পা ছোড়াছুড়ি করো। আমার কন্ঠ শুনলে তুমি আমাকে খুঁজতে থাকো পুরো ঘর। তুমি হয়তো জেনে গেছো- বুঝে গেছো, আমিই তোমার বাবা।
প্রিয় ফারাজা,
গত সপ্তাহে তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তোমার গায়ে কিছু র্যাশ উঠেছে। দেখতে ঘামাচির মতোন। কিছুতেই তোমার র্যাশ ভাল হচ্ছে না। ডাক্তার চারটা ওষুধ দিয়েছে তোমাকে। দুটা খেতে হয়, দুটা ক্রীম শরীরে মাখতে হয়। ওষুধে কোনো উপকার হচ্ছে না। ডাক্তার কি ওষুধ দিলো! তোমার গায়ের র্যাশ গুলো নিয়ে আমি চিন্তিত। হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় বের হয়ে তুমি অবাক! মুগ্ধ আর এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে তুমি চারপাশ দেখছো! তুমি হাঁটা শিখে গেলেই আমি তোমাকে নিয়ে বাইরে যাবো। একদিন রমনা পার্কে, একদিন শহীদ মিনারে, একদিন যাদুঘরে। একদিন লালবাগ কেল্লায়। তোমাকে নিয়ে আমি সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াবো।
প্রিয় কন্যা আমার-
তোমাকে কতটুকু ভালোবাসি তা আমি তোমাকে কোনো দিনই বলব না। তুমি বড় হয়ে নিজেই তা অনুভব করবে। যাই হোক, এখন বাসার কিছু ঘটনা তোমাকে বলি- তোমার ছোট চাচার বউকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বাসায় নিয়ে এসেছি। তোমার ছোট চাচী ব্যাংকে চাকরি করে। এদিকে মা, মানে তোমার দিদা একা রান্না করে খেতে শুরু করেছে। কারো রান্না তাঁর ভাল লাগে না। মা রান্না করতে গিয়ে তরকারি প্রতিদিন পুড়ে ফেলছে। শেষে পেঁয়াজ মরিচের ভর্তা দিয়ে ভাত খাচ্ছে। তোমার দিদার অনেক রাগ। দিন দিন রাগের পরিমান বেড়েই চলেছে। আমারও অনেক রাগ। অবশ্য যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়া রাগি না। আজ বাসায় একটা অনুষ্ঠান আছে। আমাদের কিছু আত্মীয়স্বজন আসবে।
ফারাজা তাবাসসুম খান,
তোমার বড় বোন পরী। তাকে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। সে বড় হয়ে গেছে। সে নিজের ভাল মন্দ বুঝতে শিখে গেছে। সময় হলে সে পড়তে বসে। তাকে পড়ার কথা বলতে হয় না। সময় মতো ঘুমায়। খায়। তাঁর কথা, তাঁর আন্তরিকতা, তাঁর ভদ্রতায় আমি মুগ্ধ। পরী খুব সুন্দর করে ইংরেজিতে কথা বলে। তাঁর উচ্চারন অনেক সুন্দর। তোমাকে পরীর মতোন হতে হবে। পরীকে বলেছি, ফাইহাকে তোমার মতো তৈরি করতে হবে। পরী তোমাকে পড়াবে। ইংরেজি ভাষা জানাটা খুবই দরকার। পরীর মতোন সুন্দর করে ইংরেজিতে কথা বলতে আমিও পারি না। তবে তোমাকে পারতে হবে।
প্রিয় কন্যা আমার,
তুমি টিভি, ল্যাপটপ আর মোবাইলের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকো। এজন্য তোমার মা আমার সাথে চিল্লাচিল্লি করে। পরীর মতোন তোমাকেও নাকি চশমা নিতে হবে। ফারাজা, আমি তো তোমাকে বলি নি- টিভি দেখো, মোবাইল দেখো। তুমি নিজে থেকেই দেখো। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। যাই হোক, এটা কোনো বড় সমস্যা নয়। প্রতিদিন সকালে তুমি ঘুম থেকে উঠে একটা হাসি দাও। অথচ অন্য বাচ্চাদের দেখেছি- ঘুম থেকে উঠে কান্না করে। সেই কান্না সহজে থামে না। তোমার হাসি ভালোবাসি। ফারাজা কন্যা আমার, তোমার হাত দুটো ধরলেই তুমি উঠে দাঁড়াও। এবং দাঁড়িয়ে একটা হাসি দাও। যেন বিশ্ব জয় করে ফেলেছো। অথচ এখনও তুমি বসতে শিখনি। হামাগুড়ি দিতে শিখনি। কিন্তু আমার আঙুল ধরে উঠে দাড়াও।
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।
২| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৩| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: পরী কোন স্কুলে পড়ে?কাউকে দিয়ে বা নিয়ে আসতে হয়।টিভি যত কম দেখানো যায় ততই ভালো।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: পরী গুলশানের এক স্কুলে পড়ে।
গাড়ি আছে। সাথে সাথে কেউ না কেউ যায়-ই।
৪| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রলো।
৩১ শে মে, ২০২১ রাত ২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ওনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৫| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কন্যার জন্য পিতার অকৃত্রিম ভালবাসা! আদরে সোহাগে ভালবাসায়, স্নেহ মমতায় বড় হতে থাক আপনার দুই সুকন্যা!
০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
কন্যা নিয়ে পোষ্ট দেওয়ার পরপরই আমি মনে মনে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি।
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রচুর পরিমাণে ছবি তুলতে পারেন আর ভিডিও করে রাখতে পারেন।
এগুলো একসময় সুন্দর আনন্দময় স্মৃতি হয়ে থাকবে।