নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি \'বাংলাদেশ\' নিয়ে আশাবাদী?

০৫ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৫



১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ।

'বাংলাদেশ' একদিন হারিয়ে যাবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে।
বাংলাদেশের মানুষ চোর, মিথ্যাবাদী, লোভী, ভণ্ড, স্বার্থপর, দূরনীতিবাজ। তাহলে ভাষার জন্য কারা জীবন দিয়েছিলেন? ৭১'এ কারা এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। পৃ্থিবী ধ্বংস হবার আগেই বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। চার ভাগের এক ভাগ মানুষ মরবে ভূমিকম্পে, এক ভাগ মরবে পানিতে ডুবে, এক ভাগ মরবে আগুনে পুড়ে আর এক ভাগ নিজেরা নিজেরা মারামারি করে।

অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ বলেছেন, একটি দেশের জনসংখ্যা কিন্তু অভিশাপ না আর্শীবাদ। যে দেশ যত শিক্ষিত সে দেশ তত উন্নত।আমাদের দেশে শিক্ষার হার অনেক কম। কিন্তু যে সামান্য শিক্ষিত লোক আছেন তাড়া কি দেশ নিয়ে ভাবেন? খারাপ কাজ গুলোই শিক্ষিত মানুষরাই বেশী করেন। অনেক লোক দেখেছি তাড়া সমাজের কাছে সম্মানিত কিন্তু তাদের কথা ভাবলে আমার বমি পায়। দূরনীতি কারা করে? শিক্ষিত মানুষরাই বেশী অসৎ হয়। আর দেশের ভালো এবং মেধাবী ছেলেরা সব চলে যাচ্ছে বিদেশ। তাড়া লেখাপড়া শেষ করে আর দেশে ফিরে আসতে চান না।

রাস্তায় বের হলেই জ্যাম।
আর জ্যাম মানেই ভিক্ষুক। কোথাও যেতে হলে হাতে নিয়ে যেতে হয় খুচরো টাকা। দশ মিনিটের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে এক ঘন্টা দশ মিনিট। সব কাজেই এখন লাইন ধরতে হয়। আমরা যেভাবে সময় অপচয় করি পৃ্থিবীর অন্য কোনো দেশ এতো সময় অপচয় করে না। কোনো দেশের শ্রমিক যদি ধর্মঘট পালন করে তারপরও তাড়া কাজ বন্ধ রাখে না। যেমন একটি জুতোর কারখানায় ধর্মঘট চলা অবস্থায়ও তাড়া কাজ বন্ধ রাখে না। তাড়া একপাটির জুতো বানায়।

আমাদের দেশের কোনো শ্রেনীর মানুষ'ই ভালো না।
সবাই শুধু নিজের কথা ভাবে। দেশের কথা ভাবে না। আমাদের দেশের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হল রাজনীতিবিদেরা। শুধু বঙ্গবন্ধু আর দু'চার জন ছাড়া। এই অদক্ষ রাজনীতিবিদ গুলো মরে না কেন? আমি যদি পারতাম তাহলে এই গাধা রাজনীতিবিদ গুলোকে কোনো এক মরুভূমিতে রেখে আসতাম। ডঃ হুমায়ুন আজাদ তার এক প্রবন্ধে লিখেছেন- আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ারও যোগ্যতা নেই, কিন্তু সে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাহলে দেশের উন্নতি হবে কি করে? হুমায়ূন আজাদ এ কথা যখন লিখেছিলেন তখন ক্ষমতায় ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

দেশের প্রতিটি বিষয় খুব মন দিয়ে দেখি- বুঝতে চেষ্টা করি।
অবাক হই আর কষ্ট পাই। তারপর ভাবি এই দেশ ছেড়ে চলে যাবো। না..না, আর না। আর এই দেশে থাকব না। ভাবা পর্যন্ত'ই। যাওয়া আর হয় না। একবার তো পাসপোর্ট ভিসা সব হয়ে গেলো, যাওয়ার আগের দিন ভাবলাম আমি দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি! আমি! আমার দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি! বাংলায় কথা বলতে পারব না। ইচ্ছা করলেই রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খেতে পারব না! চায়ের দোকানে বন্ধুদের সাথে রবীন্দ্রনাথ আর নারী রহস্য নিয়ে আড্ডা দিতে পারব না! বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নীলা'র বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না। আমি কোথাও যাবো না। আমার দেশ'ই ভালো। দরকার নাই আমার ডলার। এই জন্য'ই 'মুহাম্মদ জাফর ইকবাল' স্যারকে আমার এতো ভালো লাগে। আহ আমাদের দেশের সব মানুষ যদি জাফর স্যারের মতো হতো। তাহলে আমরা বছরের পর বছর দুর্নিতিতে চ্যাম্পিয়ন না, নতুন নতুন আবিস্কারে চ্যাম্পিয়ন হতাম। কষ্ট হয়। খুব কষ্ট হয়।

আমাদের দেশের যে সমস্ত ফুটপাত দিয়ে মানুষজন সচারাচর হাঁটাহাটি করে না সে সমস্ত ফুটপাত অনেক সুন্দর, অনেক চওড়া। কোথাও কোথাও বসার বেঞ্চও আছে। আর যে সমস্ত ফুটপাত দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাওয়া আসা করে সেই সব ফুট পাতের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। সামান্য পনের মিনিটের বৃষ্টিতে রাস্তায় রাস্তায় গলিতে গলিতে পানি জমে যায়। আহ কী চরম দুর্ভোগ। সরকারী হাসপাতাল গুলোর অবস্থা আরো বেশী মারাত্মক। রোগী গুলো বারান্দায় শুয়ে থাকে। ডাক্তার নেই, ঔষধ নেই, চিকিৎসা নেই। তাদের আহাজারি দেখলে বুক ফেটে যায়। কি কষ্ট! কি কষ্ট!

বাংলাদেশের জীবন ব্যাবস্থা এমন হয়েছে, যারা ধনী তাড়া আরো বেশী ধনী হচ্ছে। আর দরিদ্র মানুষ গুলো দিন দিন আরো বেশী দরিদ্র হচ্ছে। দেখেছি মধ্য রাতে এখনও ঢাকা শহরে বড়ো বড়ো হোটেল গুলোতে এখনও মধ্য যুগের মতো নারী কেনাবেঁচা হয়। আবাসিক হোটেল গুলোতে লেট নাইট পার্টি। যারা এই পার্টি গুলো আয়োজন করেন- তাদের কথাই আবার খবরের কাগজের ফ্রন্ট পেজে দেখতে পাই। তখন আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ইশ্বরকে খুঁজি। সেলুকাস!

আমি স্বপ্ন দেখি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
দেশের সব মানুষের মুখে থাকবে হাসি। আরে স্বপ্ন'ই যদি না দেখি তাহলে বাঁচব কেমন করে! আমি অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করতে আমার ভালোই লাগে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশের কথা পরে , আমি আপনাকে নিয়ে আশাবাদী না। আপনার ভবিষ্যব ভেবে আমি চিন্তিত। দুই মেয়ের বাবা অথচ দিন রাত ব্লগে পরে আছেন! একটু দ্বায়িত্বশীল হন ব্যক্তিগত এবং অনলাইন দুই জায়গাতেই।

০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক ই বলেছেন।

২| ০৫ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার "মানুষ গড়ার" জন্য টাকা খরচ করছেন না; উনার দলে সেইজন্য সব অমানুষ এসে জড়ো হয়েছে।

০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য লোক দরকার।

৩| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:২২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: সবকিছুই একসময় হারিয়ে যায় কালের গর্ভে।এই দেশও যাবে।তাতে কি?মহাকালে কাছে সবই তুচ্ছ।

০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সেটা না হয় বুঝলাম।
এদেশে দুর্নীতি কি বন্ধ হবে কোনোদিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.