নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বীনদের গল্প

০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৪১

ছবিঃ গুগল।

ছোটবেলা গল্প শুনতে খুব পছন্দ করতাম।
সেই অভ্যাস আমার এখনও আছে। আমি বলি কম, শুনি বেশি। এক আত্মীয় আমাদের বাসায় প্রায়ই আসতেন। তারা এলে আমি খুব খুশি হতাম। তারা দুজ'ই বুড়োবুড়ি ছিলেন। তাদের ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আমাদের বাসায় এলে এক সপ্তাহ থাকতেন। আমি খুবই খুশি হতাম। বুড়োবুড়ি আমাকে শুধু জ্বীনদের গল্প বলতেন। সেসব গল্প আবার তাদের জীবনেই ঘটেছে। তারা স্বামী স্ত্রী দুজন মিলেই আমাকে গল্প শুনাতেন। অদ্ভুত সেই সব গল্প। তারা দুজনেই প্রচন্ড ধার্মিক ছিলেন। এক পীরের মুরিদ হয়েছিলেন। পীরের কথা মতো তারা চলেন। সারারাত তারা না ঘুমিয়ে জিকির করতেন। তাদের কাছ থেকে শোনা গল্প তাদের জবানিতেই আজ বলব।

১। একবার আমি বাজারে যাচ্ছিলাম।
তখন আমার জুয়ান বয়স। বিয়ে করি নি। বাজারে যাচ্ছি। মূরগী কিনতে। বাসায় মেহমান এসেছে। হঠাত আমাকে জ্বীনে ধরলো। আমি বাজারে না গিয়ে, রেললাইনে চলে গেলাম। রেল লাইনে শুয়ে থাকলাম। এদিকে কু জিক, কু জিক ট্রেন আসছে। আমার সেদিকে খেয়াল নাই। আমি আছি ঘোরের মধ্যে। কেমন তন্দ্রা তন্দ্রা ভাব। এমন সময় ট্রেনের লাইনম্যান এসে আমাকে কান ধরে টেনে তুলে বাঁচিয়ে দেয়। তা না হলে সেদিন আমি শেষ। দুষ্ট জ্বীন ছিলো। জ্বীন আমাকে ভুল পথে নিয়ে গিয়েছিলো।

২। এটা আমার গ্রামের বাড়ির ঘটনা।
রাত বারোটা। খুব গরম পড়েছে। ঘরের জানালা লাগানো। পুরো ঘরে ঘুমোট ভাব। রাতে জানালা লাগিয়ে ঘুমাতে হয়। তা না হলে দুষ্ট জ্বীন এসে পড়তে পারে। গরমে ঘেমে গেছি। শেষে বাধ্য হয়ে উঠানে পাতা চৌকিতে ঘুমাতে এলাম। আমার পাশে আমার ছোট কন্যা। কন্যার বয়স দুই বছর। আকাশে বড় একটা চাঁদ উঠেছে। আমি চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার কন্যা ঘুমিয়ে গেছে। এমন সময় একটা দু্ষ্ট জ্বীন আসে। সে আমার কন্যাকে নিয়ে যেতে চায়। আমি জ্বীনের হাতে পায়ে ধরে কান্না করলাম। জ্বীন আমাকে ক্ষমা করে দিলো। তা না হলে সেদিন জ্বীন আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যেত।

৩। যাত্রাপালা দেখে বাড়ি ফিরছিলাম।
মাটির রাস্তা। রাস্তার দুইপাশে নানান রকম গাছ। শীতকাল ছিলো। আমার গলায় একটা লাল মাফলার। মাটির রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। চারিদিকে খুব কুয়াশা। বেশ কিছু কুকুর জটলা পাকিয়ে আছে। এর মধ্যে দুটা কুকুর খুব ঘেউ ঘেউ করলো। আমি বললাম, অ্যাঁই ঘেউ ঘেউ করিস না। আমি উত্তর পাড়ার লোক। চোর না। এমন সময় ওয়াপদা সড়কে দুটা শিয়াল দেখলাম। শিয়াল কুকুর আমি ভয় পাই না। এরা থাকবেই। আমি বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি। চৌধুরী বাড়ির পুকুরটা পার হলেই একটা গোরস্থান। তারপরে আমার বাড়ির পথ। কিন্তু এমন সময় একটা দুষ্ট জ্বীন আমাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দিলো। কিন্তু আমি পুকুরে পড়লাম না। একটা আম গাছ ধরে নিজেকে রক্ষা করলাম। আমি মোটেও ভয় পাই নাই। ফস করে একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে দিলাম। জ্বীন পালিয়ে গেলো। জ্বীনরা আগুন সহ্য করতে পারে না।

৪। একবার শহর থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
রাস্তায় বাস নষ্ট হয়ে গেলো। বাস ঠিক করতে অনেক সময় লাগলো। যাই হোক, রাত ১২ টায় আলামিন বাজারে বাস থেকে নামলাম। বাস থেকে নেমে দেখি কোনো অটো বা ভ্যানগাড়ি নেই। আমি শুরু করলাম হাঁটা। চারিদিকে ঝিঝি পোকা সমানে ডেকেই চলেছে। আমি গ্রামের পোলা আল্লাহুর নাম নিয়া হাঁটা শুরু করলাম। ইমামপাড়া পার হতেই এক জ্বীনের কবলে পড়লাম। জ্বীন এবার মেয়ে রুপ ধরে এসেছে। দেখি তেঁতুল গাছের নীচু ডালটায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে। আমি মোটেও ভয় পাই নি। আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে ফু দিলাম। জ্বীন মা গো, বাবা গো বলে দিলো দৌড়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ২:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমি মুন্সিগঞ্জে বহু বছর ছিলাম। কোন দিন বাস দেখি নাই।যেমন বরিশালে ট্রেন দেখি নাই।ছোট বেলায় অনেক ভুত দেখেছি ,বড় হয়ে বুঝতে পারি সেগুলো ছিল মনের ভুল।তখন ব্যাখ্যা করতে পারতাম না এখন পারি।
যেমন একবার দুরের বাজারে গেছি ইলিশ মাছ কিনতে।দুট মাছ কিনেছি।দোকানী মাছের কানদিয়ে দড়ি ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে বেরকরে বেঁধে দিয়ে দিলো।আমি সাইকেলের হেন্ডেলে ঝুলিয়ে সন্ধার একটু পরে পরে জোরে সাইকেল চালিয়ে বাড়ী এসে দেখি একটা মাছও নাই।মা বলছে,ভূতে নিয়ে গেছে,তুমি যে বেঁচে আসছো এটাই ভাগ্যি।
এখন বুঝতে পারছি সাইকেলের ঝাকনিতে কান ছিড়ে মাছ পড়ে গেছে,ব্যাগে ভরলে ভূতে নিতো না।এমন বহু ঘটনা আছে

০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাড়ি শ্রী নগর।
আসলে ভুত প্রেত জ্বিন এসব কিছুই নেই। এগুলো সব বানোয়াট ব্যপার। সব কিছুর ব্যখ্যা আছে।

২| ০৯ ই জুন, ২০২১ ভোর ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:




জীন, পরী, ভুত, এগুলো বাচ্চাদের জন্য রূপকাহিনী; আমাদের জাতির শতকরা ৯৮ জনের মানসিক ডেভেলপমেন্ট পশ্চিমের বাচ্চাদের সমান।

০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: বহু লোক জ্বিন বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে বলেই তারা জ্বিন দেখে। অথচ এসব ফালতু জিনিস। মানুষের ভুল ধারনা।

৩| ০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩৮

আমিই সাইফুল বলেছেন: ছোট বেলায় দাদা দাদীর কাছে অনেক শুনেছি। এবং সবাই এসব ঘটনা নিজের বলে দাবি করলেও সবার ঘটনা প্রায় একই রকম। :)

০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বিন বলে কিছু নাই। সব বাকোয়াস।

৪| ০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের সাথে একটা শয়তান জীন থাকে।

০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন, আমার সাথেও আছে। আমার সাথে থাকা জ্বিনটাকে আমি প্রতিদিন গালি দেই। ঝাড়ু দিয়ে পিটাই।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এমন সময় একটা দু্ষ্ট জ্বীন আসে। সে আমার কন্যাকে নিয়ে যেতে চায়। আমি জ্বীনের হাতে পায়ে ধরে কান্না করলাম। জ্বীন আমাকে ক্ষমা করে দিলো। তা না হলে সেদিন জ্বীন আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যেত।

হুম, প্রতিটা প্লট নিয়ে আলাদা আলাদা গল্প লিখতে পারতেন।

০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: যে জিনিস নেই, সেসব নিয়ে গল্প লেখা কি ঠিক।
আসলে লিখলেও মন্দ হতো না। মানুষ রুপকথা ভালবাসে।

৬| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুরা রহমানের মধ্যে এসেছে , "আর তোমরা (মানব ও জীন সম্প্রদায়) আমার কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে "?
এছাড়া ও জীন নামের পূর্ণ একটি সুরা রয়েছে । অতএব জীন নেই এটা বললে অবিশ্বাসী হয়ে যেতে হবে ।

০৯ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: যারা বিশ্বাস করে তাদের বিশ্বাসকে আমি সম্মান করি। কিন্তু জ্বিন টিন আমার পক্ষে বিশ্বাস কড়া সম্ভব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.