নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
ফ্রেমের ভেতর সুন্দর করে ছবি সাজানোই হচ্ছে কম্পোজিশন।
হুম, আজ আলোচনা করবো কম্পোজিশন নিয়ে। কম্পোজিশন মজাদার করতে হলে আগে আপনাকে কম্পোজিশনের বেসিক কিছু রুল জানতে হবে। আমি খুব চেষ্টা করবো- সহজ সরল ভাবে লিখতে, যেন কারো বুঝতে সমস্যা না হয়। কঠিন ভাবে লিখে, শুধু শুধু পন্ডিত সাজতে চাই না। লেখা যদি কেউ'ই বুঝতেই না পারলো- তাহলে লিখে লাভ কি? ফোটোগ্রাফী নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের অনেক আগ্রহ। আমার কাছে এসে অনেকেই বলেন, ভালো ছবি কিভাবে তুলবো? আমি তাদের কে বলি- অস্থির হবেন না, অনেক বেশী ধৈয্যশীল হোন। তীব্র ইচ্ছা থাকলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব।
সব কিছু মিলিয়ে আপনি যদি একটা ভালো ছবি তুলতে পারেন-
তাহলে মানুষ আপনার তোলা ছবি মুগ্ধ হয়ে দেখবে, আলোচনা করবে। এটাই সমস্ত ফোটোগ্রাফাররা চায়। কাজেই ভালো ছবি তোলার জন্য আপনার ফোটোগ্রাফীর সমস্ত 'বিষয়' জানতে হবে, বুঝতে হবে, শুধু বড় ভাইদের পেছনে ঘুরলে হবে না। কম্পোজিশন ভালো না হলে, আপনার তোলা ছবির মান অনেকখানি কমে যাবে। শুধু মনে রাখবেন- ফ্রেম থেকে ছবির সাথে সামঞ্জস্য নেই এমন কিছু বাদ দিলেই আপনার ছবির মান অনেকখানি বেড়ে যাবে। সহজ ভাবে বলা যায়- একটা সুন্দর ছবির প্রান হলো কম্পোজিশন। যদি ছবি তোলার সময় দেখেন ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না, তাহলে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে দিতে পারেন।
আচ্ছা, ভালো ছবি বলতে কি বুঝায়?
আপনি অনেক ছবি তুলেছেন, এর মধ্যে কিছু ছবি আপনার ভালো লেগে যাবে। আপনার ভালো লাগা ছবি গুলোই 'ভালো' ছবি। একটা নিখুঁত ভালো ছবি তুলতে পারলে- সবার আগে তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। বন্ধুগন, কিছু নিয়ম মেনে চললেই- ভালো ছবি তোলা সম্ভব। দর্শকদের আপনি কি দেখাতে চান- সেটা মাথায় রেখেই ছবি তুলুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্যামেরায় বন্ধী না করাই ভালো। ফ্রেমের চারপাশে যদি অপ্রয়োজনীয় কিছু দেখা যায়- তাতে অবশ্যই আপনার ছবির সৌন্দর্য কমে যাবে। সব সময় একই ভঙ্গিতে ছবি না তুলে নানান এঙ্গেলে ছবি তোলা উচিত। নতুন কিছু সৃষ্টি করার মনোভাব গড়ে তুলুন এবং তা উপভোগ করুন।
মানুষের চোখ দু'টা কিন্তু ক্যামেরার চোখ একটি।
দুই চোখ দিয়ে আমরা যতটা দেখি, এক চোখ দিয়ে ততটা দেখা যাবে না। যদিও আপনি মনের চোখ দিয়ে অনেক বেশী দেখতে পাবেন। দেখার দৃষ্টিভঙ্গি সবার এক রকম নয়। ক্যামেরার ভিউ ফাইন্ডারে চোখ রাখার পর, যা দেখবেন সেটাই আপনার ছবিতে থেকে যাবে, কাজেই খুব ভালো করে দেখুন, মন দিয়ে দেখুন, খুটিয়ে খুটিয়ে দেখুন। ফ্রেমের চারপাশ ভালো করে দেখুন- সব ঠিক-ঠাক আছে কিনা। যদি ফোটোগ্রাফীর নিয়ম মানতে আপনার ভালো না লাগে, তাহলে আপনি আপনার মতন করে ছবি তুলুন, কারন শিল্প এবং শৈল্পিকতা কোনো নিয়মের ধার-ধারে না। আপনি নিজেই সুন্দর ছবি তোলার জন্য নানান রকম গবেষনা করুন নিয়মিত। ছবি তোলা নির্ভর করে আপনার চিন্তা শক্তির গভীরতার ওপর।
আপনার ছবির সাবজেক্টকে যে সবসময় ফ্রেমের মাঝখানেই রাখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ভিউ ফাইন্ডারে চোখ লাগিয়ে সঠিক মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, একটা ভালো ছবির জন্য। নো অস্থির। অস্থিত হওয়া যাবে না। শান্ত থাকুন। সময় নিন। একটা ছবিতে যদি দুইটা বা তিনটা বিষয় থাকে তাহলে ছবিত গ্রহনযোগ্যতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। অ্যাঙ্গেল অব ভিউ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। মাটিতে শুয়ে পড়ুন, গাছে উঠে পড়ুন। বুক পর্যন্ত পানিতে নেমে যান, টাকাপয়সা থাকলে হেলিকপ্টারে উঠে বার্ডস আই ভিউও তোলার চেষ্টা করুন! পরিশ্রম করুন, প্রচুর পরিশ্রম করুন। পরিশ্রম করলেই না আপনি ভাল ছবি পাবেন।
রাস্তায় বেরোলেই দেখবেন, কাঁধে ক্যামেরা ঝুলিয়ে ছবি তুলতে তুলতে হেঁটে বেড়াচ্ছে ছেলেমেয়ের দল। লাইট, ফ্ল্যাশ, ফ্রেমিং, কম্পোজিশন কিছুই হয়তো তারা জানে না। ছবি তোলাতেই তাদের আনন্দ। কাঁধে ক্যামেরা নিয়ে অনেকেই তো ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বহু অনাকাঙ্ক্ষিত একটা মুহূর্তকে খুব অল্প ক'জনই পারে হাতের ক্যামেরায় বন্দি করতে। ক্যামেরার মুন্সিয়ানা দেখিয়ে কোনো মুহূর্তকে বন্দি করার নামই ফটোগ্রাফি।
২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২০
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।
জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পরামর্শ মানতে গেলে একজন ফটোগ্রাফারকে সব সময় তিনটা জিনিস সাথে রাখতে হবে। ১। একটা মাদুর ( মাটিতে শুয়ে ছবি তলার জন্য) ২। একটা মই ( গাছের উপর উঠে ছবি তোলার জন্য) ৩। একটা লাইফ জ্যাকেট বা বয়া ( বুক পর্যন্ত পানিতে নেমে ছবি তোলার জন্য)।
আপনার পোস্টের নীচে দেয়া ছবিতে পিছনের দৃশ্য ঝাপসা করা ঠিক হয় নাই। কারণ পিছনের টবের গাছ কোন খারাপ কিছু না যে বাদ দিতে হবে। এটা একটা বৃষ্টির মধ্যে তোলা ছবি। তাই আমার মনে হয় ফটোগ্রাফারের সাথে সব সময় একটা ছাতা বা রেইন কোট থাকাও জরুরী। নইলে ক্যামেরা পানিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আমার মনে হয় যে ফটোগ্রাফার স্ট্রিট ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন তাদের মাথায় সব সময় একটা হেলমেট থাকা প্রয়োজন, দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য। আর সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ম্যানহোলের মধ্যে ফটোগ্রাফার পড়ে না যায়।
ছবি তোলার সময় ( যাদের ছবি তোলা হবে) কিভাবে হাসা উচিত সেই ব্যাপারে একটা পোস্ট দিয়েন।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৮
ইসিয়াক বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের জন্মদিন উপলক্ষে কোন পোস্ট দিলেন না যে?
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: না দিতে পারলাম না। কিছুটা ব্যস্ত।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ইসিয়াক ভাই- তসলিমা নাসরিনের আরেক ভাই আছে এই ব্লগে, ওনার নাম কুশন ( এক ধরণের বালিশ)। কুশন ভাই তসলিমা নাসরিনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে কে যা আপন ভাই আর কে যে তালতো ভাই বুঝতে পারছি না। তবে দুইজনই তসলিমা নাসরিনকে খুব ভালোবাসেন। আমার মনে হয় দুই ভাইয়ের মধ্যে যে কোন একজন শুভেচ্ছা জানালেই চলবে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: !!
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকায় অফিসের লোকদের বসার সীট ইত্যাদি কি করোনার নিয়ম মেনে করেছে?
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: হাতে গোনা কয়েকটা অফিস নিয়ম মেনে চলছে।
বেশির ভাগই কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না।
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৬
আমি পরাজিত যোদ্ধা বলেছেন: চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শেষ ছবিটা ভালো হয়েছে, অসাধারণ হয়েছে।
প্রথম ছবিটা ভালো হতে হতে হয় নি।
আলোচনা সহজ সরল হয়েছে।