নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী ৩০ বছর পর বাংলাদেশের অবস্থা কি রকম হবে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৪



প্রচন্ড পানির অভাব দেখা দিবে নিশ্চিত।
জলের সংকট এতটাই দেখা দিবে যে চারিদিকে তীব্র হাহাকার পরে যাবে। পানি ফিল্টার করার মেশিনের ব্যাবসার বেশ রমরমা অবস্থা হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেকাংশই ডুবে যাবে বা জলবদ্ধতা দেখা দিবে। মাইলের পর মাইল জমি ডুবে যাবে। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে। ফসল এবং গবাদি পশু সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দরিদ্র মানুষজন থাকবে খোলা আকাশের নীচে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা খুব বেশি হবে, সরকার তাদের ত্রান দিয়েও তাদের অভাব দূর করতে পারবে না। শিশুদের নানান রকম রোগ দেখা দিবে।

বাংলাদেশের প্রান সুন্দরবন।
এই অভয়ারণ্য সুন্দরবন হয়তোবা বিলুপ্তপ্রায় হয়ে যাবে। সুন্দরবন থেকে অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। এক শ্রেনীর অসাধু লোকজন চোরাই পথে গাছ কেটেই যাচ্ছে। এখন আগের মতো সুন্দরবনে পশু পাখি দেখা যায় না। একসময় সুন্দরবন থেকে অনেক মধু পাওয়া যেত। এখন গাছ না থাকার কারনে মধু পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন সুন্দরবন যায় পিকনিক করতে। মানুষের পায়ের ছাপে সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে- সুন্দরবন ধ্বংস মানে বাংলাদেশ ধ্বংস।

এখন দেশে বেকারের সংখ্যা অনেক।
কিন্তু আগামী ত্রিশ বছর পর বেকারত্ব অনেক কমে যাবে। বর্তমানে সবাই আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন। প্রথাগত চাকরি না করলে জীবন শেষ, এই ধারণার পরিবর্তন এলে দেশের অনেক উন্নতি হবে। তখন মানুষ চাকরী না পেলেও ব্যবসা করবে। উদ্যোক্তা হবে। কৃষি ও হাঁস মূরগী পালন অনেক বেড়ে যাবে। পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভালো। বাংলাদেশের মানুষ পরিশ্রমী। কেউ বেকার থাকতে চায় না। একটা উদাহরন দেই- এখন সময় রাস্তায় হকারদের সংখ্যা যা ছিলো এখন তার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। কেউ সবজি বিক্রি করছে। কেই রাস্তায় ভাপা পিঠা বিক্রি করছে। কেউ ফল।

ডিজিটাল সেক্টরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে।
এখনো আমাদের দেশের মানুষের মাইন্ডসেট এমন যে ২৫ বছরের আগে উপার্জনের কথা চিন্তা করে না। আর পরের ৫ বছর হায় হায় করতে থাকে। এই ২৫ বছর বয়সের পরে উপার্জনের মাইন্ডসেট চেঞ্জ হবে অবশ্যই। এটা তখন ১৮-২০ এ নেমে আসবে। জনবসতি অনেক বেড়ে যাবার কারণে চাষবাদের উপযোগী জমির পরিমাণ কমে যাবে, হ্যাঁ হাইব্রিড ফসব আসবে অবশ্যই। তবে তখন রুফ প্লান্টিং অনেক জনপ্রিয় হবে। এখনই ঢাকা শহরের অনেকে বাড়ির ছাদে মাছ চাষ করছে। হাস, মূরগী, পাখী পালছে। কবুতর পালছে। নানান রকম ফসল বুনছে। আমিই গত বছর ছাদে আমার আম গাছ থেকে আট কেজি আম পেয়েছি।

শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিমধ্যে পরিবর্তন এসেছে।
যদিও এই পরিবর্তনে আমার মনে হয় না খুব বেশি ভালো কিছু হবে, তবে পূর্বের থেকে ভালো হবে বলে আমি আশাবাদী। এখন নিরক্ষর বাবা মাও জানে যে করেই হোক ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করাতে হবে। হবেই। লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাই সম্পদ। সরকার যদি দরিদ্র ছেলেমেয়েদের প্রতি একটু মনোযোগ দেয় তাহলে ফুটপাতে থাকা শিশুরাও স্কুলে যেতে পারবে। তখন তাদের হাতে ড্যান্ডি দেখা যাবে না। জুতার আঠার ঘ্রান নেওয়া থেকে তাঁরা বিরত থাকবে। এখন দেশে না খেয়ে থাকা লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুটপাতে থাকলে মানুষ এখন তিনবেলা খাবার খেতে পারে।

মানুষের কেনাকাটার ক্ষমতা অনেক বেড়েছে।
আগামী ত্রিশ বছর পর প্রাইভেট কার কেনার সক্ষমতা বেশির ভাগ মানুষের থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। গত বারো বছরে বহু লোক গাড়ি কিনেছে। ফ্লাট কিনেছে। বাগান বাড়ি কিনেছে। গ্রামে এখন চ্যাংড়া চ্যাংড়া পোলাপান দেড় লাখ টাকা দামের বাইক চালায়। সামান্য চিকিৎসা করাতে লোকজন বিদেশ যাচ্ছে। মানুষের হাতে এখন টাকা আছে। প্রচুর টাকা। ঢাকা শহরে আজকাল টিনশেড বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না। শপিংমল গুলোতে মারাত্মক বিড় লেগেই থাকে আল্লাহত ত্রিশ দিন। এমন কি ছুটিতে কাটাতে এখন লোকজন ইউরোপ যাচ্ছে। বুয়া, রিকশা চালকসহ সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন।

ত্রিশ বছরে দূর্নীতিবাজদের সংখ্যা পাঁচ গুণ বাড়বে।
নতুন নতুন অনলাইন ভিত্তিক আইডিয়া গুলো খুব বেশি করে কাজে দিতে পারে। এখন এই ডিজিটাল সেক্টরের জাগরণ হচ্ছে আমাদের দেশে। এর ভবিষ্যত অনেক ভালো। একজন ছোট ছোট পোলাপানও ল্যাপটপ চালাতে পারে। ত্রিশ বছর পর লোকজন হাতে নগদ টাকা রাখবে না। সবার পকেটে পকেটে থাকবে এটিএম কার্ড। তবে ত্রিশ বা ষাট বছর পরও দেশে দূর্নীতি ও ধর্ষন কোনোদিন বন্ধ হবে না। মাদক বন্ধ হবে না। এখন দেশে মদ খাওয়া লোকের সংখ্যা অনেক। রাজনীতি অনেক নিম্নমানের পেশায় পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ গত বারো বছরে দুটা জিনিস শিখেছে- দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতে এবং নিত্য নতুন আইটেম খাওয়া। এটা বাড়তেই থাকবে।

সংখ্যালঘুদের সংখ্যা অনেক কমে যাবে বলে মনে করি।
আরও অনেক পরিবর্তন আসবে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলা থাকবে না। সিনেমা হল কিছু থাকবে। সেসব সিনেমা হলে শুধু মাত্র বিদেশী সিনেমা দেখানো হবে। দেশের সিনেমা নাটক শুধু ইউটিউবে দেখানো হবে। মেয়েদেরর জামার সাইজ ছোট হবে। ধর্ম থেকে লোকজন সরে আসবে। তবে মসজিদ একেবারে বন্ধ হবে না। শুক্রবার জুম্মা নামাজে মসজিদ জমজমাট হবে। হজ্বে লোকজন কম যাবে। কিন্তু অন্যান্য দেশে ভ্রমন বাড়বে। যাই হোক, ভবিষ্যতের কোন কথা হলফ করে বলা আসলেই সম্ভব নয়। তবে অনুমান করা যেতে পারে। আবার কিছু কিছু কথা অনুমান ছাড়াও বলা যায়। যেমন- শেখ হাসিনা মারা গেলে আওয়ামীলীগের অবস্থা কি হবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: হু বুঝলাম এই হবে আগামী বছরগুলোর ভবিষ্যৎ
মানুষ মরণশীল মরবে মরার পর কিছু হবে না মাটি হবে

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: হিন্দুদের তো মাটি হবে না।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল পর্যবেক্ষন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনি দুর্নিতিবাজদের ক্রয় ক্ষমতা সবার চেয়ে বেশী।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: দূর্নীতিবাজ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা মানুষদের।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

যায়েদ আল হাসান বলেছেন: পুরো দেশের অবস্থা মনে হচ্ছে উলটে যাবে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সেই সম্ভবনা আছে।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম বখাটেদের চারণভূমি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বখাটেদের দুইবেলা সাইজ করলে লাইনে এসে যাবে।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

সোবুজ বলেছেন: অনুমানের সত্যি কথাও মিথ্যা।যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে মিথ্যা বললেও সেটা উত্তম।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.