নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নত-জীবনের মুলে রয়েছে মানুষের জ্ঞান ও আবিস্কার

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৭

ছবিঃ গুগল।

শুরুতে মানুষ গুহায় বাস করেছিলেন।
অতঃপর, মানুষ নিজের জন্য ঘর বানাতে শিখেছেন। মিশর, গ্রীস ও ইতালীতে মানুষ যখন ইমারত তৈরি করেছেন, ভারতের মানুষ তখন কুঁড়েঘর তৈরি করেছেন। বেশ কিছু মরু ভুমিতে মানুষ এখনো তাঁবুতে বাস করে। এখনো বাংলাদেশে কুঁড়েঘর তৈরি হয়। আফ্রিকা, দ: আমেরিকা ও এশিয়া জঙ্গলে বসবাসরত মানুষ খুবই প্রাথমিক স্তরের কুঁড়েঘর তৈরি করছেন আজও। মানুষ যখন ১৮৭০ সালে নিউইয়র্ক শহরে ১.১ মাইল লম্বা 'ব্রুকলীন ব্রীজ' বানিয়েছেন, ঠিক সেই সময়ে বাংলার মানুষ ৫ হাত চওড়া খালের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন।

কুঁড়েঘর, ইমারত, সবকিছুই মানুষেরই লব্ধজ্ঞানের প্রয়োগ।
বিষয় হচ্ছে, কোন অঞ্চলের মানুষ নিজকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে, নিজের জ্ঞানকে প্রসারণ করতে সমর্থ হয়েছেন, মানব জীবনকে অর্থবহ ও উন্নত করতে সমর্থ হয়েছেন। কুঁড়েঘর, ইমারত, তীর-ধনুক, তলোয়ার, কামান, বর্শা, এটমবোমা, গরুর গাড়ী, ইষ্টিম ইঞ্জিন, দোয়া-কালাম, পেনিসিলিন, এন্টিবাইওটিক, টিকা, সামন্তবাদ, রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, রিপাবলিক, এটমিক পাওয়ার, সুপার সোনিক বিমান, রকেট, তাবিজ-তুমার, ধর্ম, বিজ্ঞান, সবই মানুষের লব্ধজ্ঞান, সবই মানুষের আবিস্কার, পার্থক্য হলো কোন আবিস্কারক কি আবিস্কার করেছেন।

জ্ঞানকে যথাযথ কাজে লাগাতে পারে বুদ্ধিমানরা।
যেসব অঞ্চলের মানুষ নিজেদের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন, তাঁরা ভালো জীবনযাপন করেছেন, যারা সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেননি, তাঁদের জীবন হয়েছে কষ্টকর। সৌদীর রিফাইনারী সরবরাহকারী হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকা। সৌদীর ইমারত তৈরির আর্কিটেক্ট হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকান। সৌদীর শারীরিক কাজের লোকজন হচ্ছেন এশিয়ান ও আফ্রিকানরা। জ্ঞান হচ্ছে জীবনযাত্রার মানের সুচক।

যারা তাবিজ তুমারের মাঝে সমাধান খুঁজছে-
তাদেরও বক্তব্য আছে, যারা mRNA টেকনোলোজী প্রয়োগ করে টিকা বানাচ্ছে, তাদেরও কিছু বক্তব্য আছে- যারা জ্ঞানী তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছেন। যারা কমজ্ঞানী তারাও বেঁচে আছে। কিন্তু অনেকেই আজো তাবিজও আবিস্কার করতে পারছে না, তাদেরকে তাবিজ কিনতে হচ্ছে। কানাডা mRNA টেকনোলোজীর ভেকসিন তৈরি করতে সমর্থ হয়নি, কিন্তু কিনে নিয়েছে আমেরিকা থেকে, তারা কিন্তু তাবিজ কিনতে আসেনি এশিয়ায়। তাবিজ, সাঁকো বানানোর প্রযুক্তি যারা আবিস্কার করেছেন, তারাও আবিস্কারক। mRNA টেকনোলোজীর ভেকসিন যারা তৈরি করেছেন, তারাও আবিস্কারক, সবই করেছেন মানুষ। যারা যা করছেন, তাদের জীবনটা সেই রকমভাবে কাটছে। আসল ও শেষ কথা হলো- উন্নত-জীবনের মুলে রয়েছে মানুষের জ্ঞান ও আবিস্কার।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আসল আমেরিকানরা হলো রেডইন্ডিয়ান।
ভাইকিংরা কী নিশ্চয় জানেন?

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভাইকিং কি তা জানি।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭

সাসুম বলেছেন: জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করতে কস্ট করতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়, পড়ালেখা করতে হয়। উন্নত জীবন এম্নে আসেনা।

তাবিজ বানাইতে এসব কিছুই লাগেনা। খালি ফু দাও।

জিনিস যেটা ভাল, ডিমান্ড সেই জিনিসের বেশি হবেই। এইটা আম্রিকান রা জানে বলেই তারা জ্ঞান বিজ্ঞানের পিছে ছুটে যাতে করে সবাই তারে তেলাইতে পারে।




২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলী বা বাংগালী মুসলিমরা কি পরিশ্রমী নয়?
ফু'র উপর মানুষের আস্থা ভরসা নেই। সবাই এখন ডাক্তারের উপরেই ভরসা করেন।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সব সময় তুলনা করাও কঠিন। ইউরোপ আমেরিকায় বাসা-বাড়ি বদলের জন্য পিকআপ ট্রাক ছাড়া কোন গতি নাই। খরচ যা হয়, তাতে ব্যাংক একাউন্ট ধ্বংসের পথে নামে। সেই তুলনায় বাংলাদেশে দেখেন আমরা কি সুন্দর ভ্যান বা ঠেলা গাড়িতেই করে ফেলছি। তেমন কোন খরচও নাই।

আম্রিকাতে একটা দরকারী কাগজ পাঠাতে গেলে ফেডেক্সে যে খরচ পড়বে, আমাদের সুন্দরবন কুরিয়ারে কি তা পড়বে? সুন্দরবন কুরিয়ার আম্রিকার ফেডেক্সের তুলনায় একপ্রকার ফ্রিতেই ডেলিভারী দিয়ে দিবে।

খারাপ কি? ভালো না? ভালোই তো!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালোর তুলনা করা যেতে পারে।
হ্যাঁ বাংলাদেশে ঠেলা বা ভ্যান গাড়ির খরচ কম।

ইদানিং কুরিয়ারের খরচ অনেক বেড়েছে। সেদিন আমি দুই কেজি ফল পাঠিয়েছি টেকনাফ। সাত শ' টাকা লেগেছে।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩১

সোবুজ বলেছেন: পড়লাম।ভারত এবং এসিয়াকে ছোট করে দেখিয়েছেন।সভ্যতার বিকাশ এখানেও হয়েছিল।আমরা পিছিয়ে পড়ি ইসলাম প্রচারের পর।জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার বন্ধ হয়ে যায়।আমাদের মাথায় থাকে কেবল হুরের চিন্তা।আমরা ছাড়া আর কেউ হুর পাবে না।তারা দুনিয়াতে শুখে থাকবে কিন্তু মরার পর থাকবে দৌড়ের উপর ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত এঁর লোকজন এখনও বোকা।
তাঁরা এখনও শিবের ইয়েতে দুধ ঢালে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে ধর্ম। ধর্ম আকড়ে না থাকলে তাঁরা অনেক দূর যেতে পারতো। হুজুরেরা কেন যে এত হুর পছন্দ করে কে জানে! হুরের চিন্তা তাদের মানসিকতা নিচে নামিয়ে দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.