নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ গুগল।
করোনা মহামারী দুই বছর চলছে।
আরো কত বছর চলবে বলা মুশকিল। করোনার ফলে অনেক জাতির অর্থনীতি ভয়ঙ্কর সমস্যার মাঝে প্রবেশ করেছে। করোনামুক্ত হতে হলে- বিশ্বে এই বিষয়ের উপর ঐক্যের দরকার। পুরো মানব জাতির মাঝে ঐক্যের দরকার। কিন্তু বড় বড় কয়েকটি জাতি বিশ্বের ঐক্যকে বিনষ্ট করে চলছে। দুর্বল জাতিগুলো এতই দুর্বল যে, তাদের থেকে ঐক্যের আহবান আসার কোন সম্ভাবনা নেই। এই মহুর্তে দু'টি বড় ঘটনা বিশ্বের ঐক্যের বিপক্ষে কাজ করছে।
এক, রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা। এবং
দুই, আমেরিকার সরকারীভাবে শীতকালীন অলিম্পিকে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত।
রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার মুল কারণ হচ্ছে-
বর্তমান ইউক্রেন সরকার 'ন্যাটো'তে যোগদানের জন্য প্রস্তুত। ইউক্রেনের লোকজন এই ব্যাপারে বিভক্ত। রাশিয়া চায় না যে, তাদের ঘরের পেছনে ন্যাটো আস্তানা গাড়ুক। ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দুরে রাখার জন্য পুটিন চাচ্ছে, ইউক্রেনের সরকার বদলে দিতে। সেটা করতে হলে, বর্তমান সরকারকে তাড়াতে হবে, সেটার জন্য ইউক্রেন দখল করার দরকার। এই সমস্যার সমাধান হলো, ন্যাটোকে মেনে নিতে হবে যে- ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান করলে, সেই অঞ্চলে অস্থিরতা দেখা দেবে।
ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে সবচেয়ে বেশী কষ্টে আছে ইউরোপ।
তাদেরকে গ্যাসের জন্য পুটিনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। পুটিন যদি গ্যাস বন্ধ করে দেয়, ইউরোপের অর্থনীতি আরো ভেঙ্গে পড়বে। যুদ্ধ শুরু হলে, ইউক্রেনের একাংশ দখল করে নেবে রাশিয়া, একাংশ চলে যাবে ন্যাটোর হাতে। সেটা হবে দীর্ঘ মেয়াদী আরো বড় সমস্যা। আজকের দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, চীন ও আমেরিকার সমস্যা। চীন ও আমেরিকার সমস্যা একদিন হয়তো বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। এখন থেকে তা ক্রমেই বাড়তে থাকবে। এবারের শীতকালীন অলিম্পিকে আমেরিকা সরকারীভাবে যোগদান করবে না। যেসব খেলোয়াড় খেলায় অংশ নিতে চায়, তারা একটা টিমের অধীনে যাবে এবং তারা আমেরিকার সরকারী দল হবে না।
বিনা দ্বিধায় বলা যায়-
আমেরিকা চীনের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও দেশ দখলবাজী পছন্দ করছে না। ঋণের নামে ৩য় বিশ্বের দুর্নীতিপরায়ন সরকারদের মাধ্যমে বিবিধ জাতিকে ঋণের জালে আটকানো, তাইওয়ান দখলের ইচ্ছা প্রকাশ ও উইঘুরদের বিলুপ্তি ঘটানোর মত অপরাধের জন্য আমেরিকা চীনের উপর সন্তুষ্ট নয়। আমেরিকা চীনকে এসব থেকে সরে আসার জন্য বলেছিলো, কিন্তু চীন তাতে কান দিচ্ছে না। আমেরিকা প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে অলিম্পিকে যোগ না দিয়ে। এই দুটি বড় ঘটনা বিশ্বের ঐক্য বিনষ্ট করছে। ইহাতে ইউরোপ ও ৩য় বিশ্ব ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সমস্যার মাঝে প্রবেশ করবে ও করোনা থেকে যাবে দীর্ঘ সময়। বিশ্ব থেকে করোনা সম্পূর্ন নির্মূলের জন্য পুরো বিশ্বের ঐক্যের দরকার ছিলো!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: খেয়াল করে দেখবেন আমেরিকা, চীন এবং রাশিয়া ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৫
সোবুজ বলেছেন: আগে অনেক পোষ্টে আপনি বলতেন,আন্তর্জাতিক রাজনীতি আপনি ভালো বুঝেন না।এই পোষ্টে দেখি আপনি আন্তর্জাতিক বিষয়ে অনেক খোঁজ খবর রাখেন।
আসলে প্রত্যেকের বিশ্লষণ আলাদা হবে।আপনি যে দৃষ্টি কোন থেকে দেখছেন,আমি হয়তো অন্য দৃষ্টি কোন থেকে দেখবো।পোষ্ট টি ভাল লেগেছে।এমন পোষ্ট আরো চাই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আন্তর্জাতিক বিষয় গুলো আমি আসলেই কম বুঝি। কম জানি।
আমার শিক্ষক একজন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক। এই পোষ্ট মূলত আমার স্যারের আলোচনার ফসল। আপনি আমি যে দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখি না কেন দুই আর দুই যোগ করলে চার ই হবে।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৭
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সঠিক বলেছেন কোন মতে ঐকৈর ডাক না হলে করোনা বিনষ্ট করেই যাবে একটা পর একটা
ভাল থাকবেন--------------
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ঐক্যের ডাক এখন কে দিবে? হাসিনা? মোদী?
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: করোনা যেভাবে মহামারী হয়ে দুনিয়া জুড়ে এসেছে সেভাবেই হারিয়ে যাবে, তবে সম্পুর্ণ ভাবে বিনাষ হবার সম্ভাবনা নাই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: দুই বছর তো হলো আর কত দিন?
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এতো দিন কোথায় ছিলেন গুরু?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী ছাড়া সামু ভালো লাগে না। তাই থেকেও নাই।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৫
সোবুজ বলেছেন: রাজনীতি আসলে যান্ত্রিক বিজ্ঞান না।এটা জিবিত মানুষের খেল।যে সিধান্ত নিতে পারে বাস্তব অবস্তা অনুসারে।দুই আর দুই চারের মতো না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি আসলে এক ধরনের বিজ্ঞান।
সব কিছুতেই বিজ্ঞান আছে। শুধু ধর্মে বিজ্ঞান নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:১৫
গরল বলেছেন: ইউএস তো দখল না করেই অনেক দেশের সরকার পরিবর্তন করে ফেলেছে। রাশিয়া যদি ইউক্রেন দখল করে সরকার পরিবর্তন করতে চায় সেটা হবে মধ্যযুগীয় পদ্ধতি। এটা হতে দিলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা যথেষ্ঠ। এটা কোনভাবেই করতে দেওয়া যাবে না। চীন যেটা করছে সেটাও পৃথিবীতে অবৈধ সরকারদের উস্কে দিচ্ছে এবং সার্বিক শান্তি নষ্ট করছে। অতএব ইউএষ ও ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর উচিৎ হবে ইউক্রেন বাদ দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর দিকে নজর দেওয়া। ইউক্রেনের কাছে যা বোমা ও অস্ত্র আছে তা আর বছর দশেক পরেই অকেজো হয়ে যাবে।