নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ফেসবুক টিকটক তরুনদের জন্য এক অভিশাপ।
আমাদের তরুণদের ৫০ ভাগ এখনো অশিক্ষিতই থেকে যাচ্ছে, কেউ কেউ ১০/১২ ক্লাশ অবধি পড়লেও কোন কিছুতে এরা দক্ষ নয়, কোন পেশা নেই, এদের কোন প্রকার জীবন ভাবনা থাকারও কথা নয়। তরুণদের একাংশ মাদেকের মাঝে ডুবে গেছে, এদের মাঝে সব শ্রেণীর তরুণেরা আছে। অন্য একটা গ্রুপ ধর্ম নিয়ে মজে গেছে। চিল্লা ফিল্লা নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কেউ পীরের মুরিদ হয়ে গেছে। আবার সবাই মিলে টিকটক আর ফেইসবুকের জেনারেশনে পরিণত হয়েছে! ইহাই আাদের বর্তমান জেনারশনের জীবনভাবনা ও সংস্কৃতি। যার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত খারাপ।
শক্তিশালী তরুন প্রজন্ম আজ আর নেই।
১৫/২০ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা আছে, এমন কোন ব্যুরোক্রেট'এর সাথে পরিচয় থাকলে, আমাদের তরুণ শ্রেনী সম্পর্কে উনার মতামত চেয়ে দেখতে পারেন। বুঝতে পারবেন, আাদের ব্যুরোক্রেটরা এদেরকে ভেঁড়ার দল হিসেবে ধরে নিয়েছে। তারা এদেরকে ভেঁড়া হিসেবে দেখতে চায়। যদি দেখতে চান- চোখ কান খুলে চারপাশ ভালো করে তাকিয়ে দেখুন। এমন কি নিজের পরিবারের দিকেও ভালো করে তাকিয়ে দেখুন। আমাদের মেরুদন্ডহীন প্রজন্ম দেখতে পাবেন। সরকার এই প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত না। কারন তাদের ছেলে মেয়ে উন্নত দেশে ভালো আছে। সুস্থ আছে। লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা বাদ নেই যেখানে মাদক পাওয়া যায় না।
মাদক ও মদের ব্যবসা করে হাজার অপরাধী কোটিপতি হয়েছে। এবং সাথে সাথে ২/১ লাখ ইহার মাঝে জীবিকা খুঁজে নিয়েছে। ব্যবসা ব্যতিত তরুণদের হাতে মাদক দেখতে চায় আমাদের প্রশাসনের লোকেরা ও রাজনীতিবিদরা। মদ আাদের জাতির কালচারে ও ঐতিয্যে ছিলো না। এখনো নেই। বাঙ্গালীরা মদ খায় নেশা করার জন্য, ইউরোপের লোক মদ খায় আনন্দের জন্য। অবশ্য ইউরোপ ও আমেরিকায়ও এ্যালকোহোলিক আছে। বাঙ্গালীদের বেলায়, মদের আনন্দ টের পাওয়ার আগেই এ্যালকোহলিক হয়ে যায়। ইহার পেছনে জেনেটিক্যাল ও ভৌগোলিক কারণ আছে।
দেশ ও সমাজের ধর্মও অনেক ক্ষতি করেছে।
ধর্ম হচ্ছে আদি সমাজ ব্যবস্হা ও রূপকথার জীবন ভাবনা। ইহাকে চালু রাখার জন্য অনেক দেশের ব্যবসায়ী, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদরা খুবই উৎসাহী। দরিদ্র দেশগুলোর ধর্মকে বর্তমান আমেরিকা ও ইউরোপের ক্যাপিটেলিজম খুবই উৎসাাহী, ওরা শ্রমিক মোমাছি পুষতে পছন্দ করে। ইয়েমেন, আফগানিস্তানের কথা বাদ দেন, শুধু বাংলাদেশেই দেখেন, ১২ বছর ইংরেজী পড়ে, ইউরোপের কোন বিখ্যাত লেখকের বইয়ের এক পাতাও পড়তে পারে না, কিন্তু শুনে শুনে পুরো আরবীতে লেখা কোরান শরীফের তফসীর নিয়ে আলাপ করতে পারে, যা অবশ্যই সব সময়ই ভুল ব্যতিত অন্য কিছুই নয়।
মাদক, টিকটক আর ফেসবুক দেশটারে খাইলো।
ফেইসবুকে নিজের স্ত্রীর ছবি দেয়নি এমন বীর বাঙ্গালী কয়জন আছে জানার দরকার আছে। ফেইসবুক হচ্ছে, বাঙ্গালীদের আন্তর্জতিক ফটো এ্যালবাম, ইহার জন্য কি আয়োজনে মেতেছে জাতি, তা এক বিস্ময়রকর ব্যাপার। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে- অশিক্ষা, মাদক, ধর্ম ও ফেসবুক আমাদের তরুণদের পাথেয়।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মাদকের তালিকায় কিকি আছে?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সিগারেট থেকে শুরু করে সকল নেশা জাতীয় পন্যই মাদক।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০০
সাসুম বলেছেন: আপনি আসলেই কিছু না ভেবেই ব্লগ লিখেন।
ফেসবুক, টিক্টক কে আমাদের মুল সমস্যা বলে একমাত্র বলদ আর গাধা রাই। দেখবেন আই ছিঃতি মন্ত্রির ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কিছু বলদ কমেন্ট করে - ফ্রি ফায়ার অফ করো, ফেসবুক অফ করো, পর্ন সাইট অফ করো, ব্লগ অফ করো, লাইকি অফ করো, টিক্টক অফ করো। তো ঘটনা হইল- পুরা দুনিয়ার সকল সভ্য দেশে এসব চলছে কোন সমস্যা নাই, এই বাংগুস্তান এর সমস্যা কি??
ঠিক একই ভাবে দেখবেন কিছু বলদে মারখর কমেন্ট করবে নাস্তিক জবাই করো, আহমদীয়া দের কে অমুস্লিম ঘোষণা করো, রাস্ট্রের খতনা করিয়ে মোসলমান বানাও ব্লা ব্লা ব্লা। দুনিয়ার সকল সভ্য দেশে আস্তিক নাস্তিক চলছে কোন সমস্যা নাই, বাংগুস্তান এর সমস্যা কি??
দেখবেন কিছু বলদ চিল্লাবে মদ, গাঞ্জা, ফেন্সিডিল অফ করো বাট দুনিয়ার সকল দেশে মদ লিগাল, আম্রিকা ইউরোপ কানাডায় গাঞ্জা লিগাল - কারো কোন সমস্যা হচ্ছে বাংগুস্তান এর লোকদের সমস্যা হচ্ছে।
আসলে এসব কোন সমস্যা না।
আসল সমস্যা হল- উপরের এইসব যে কোন সমস্যা না, সেটা বুঝতে পারার মত শিক্ষা বাংগুর দলের নাই। এই অশিক্ষাই আসল সমস্যা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: নিজেকে পন্ডিত ভাবা বন্ধ করুণ।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
জোবাইর বলেছেন:
উল্লেখিত সমস্যার জন্য মূলত দায়ী শিক্ষা, শিক্ষার পদ্ধতি ও মানুষের নৈতিকতা। বিষয়টি বুঝানোর জন্য এখানে একটি উদাহরণ তুলে ধরলাম:
উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের নবম-দশম শ্রেণীতে অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে "ধর্ম" (Religions)। এই বিষয়ের পাঠ্য বইটি আমি পড়ে দেখেছি। এই বইটিতে -
১ম অধ্যায়ে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা আছে ধর্মের উৎপত্তির ইতিহাস,
২য় অধ্যায়ে আছে বিশ্বের বড় বড় ধর্মগুলোর উৎপত্তির সময়কাল, স্থান ও তখনকার আর্থ-সামজিক অবস্থা।
এরপর হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আছে আলাদাভাবে ৫টি অধ্যায়। এই অধ্যায়গুলোতে প্রতিটি ধর্মের মূলভিত্তিসমূহ, বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও আচার-আচরণ, সেই ধর্মের অনুসারী বড় বড় দেশ ও জাতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
কেউ ধর্মে বিশ্বাস করুক আর না করুক বা যে ধর্মেরই অনুসারী হউক না কেন সব ছাত্রকে এই বিষয়টি পড়তে হবে। ক্লাসে কোনো ধর্মকে নিয়ে সরাসরি কোনো ইতি বা নেতিবাচক মতামত (judgement) বা শিক্ষা দেওয়া হয়না। ছাত্রদেরকে বিভিন্ন ধর্মের বেসিক ধারণাটুকু দেওয়া হয় যাতে ছাত্ররা নিজেরাই সঠিকভাবে জাস্টিফিকেশন করতে পারে।
আমাদের দেশে মুসলমানের ছেলেরা পড়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা এবং হিন্দুর ছেলেরা পড়ে হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। ফলাফল দাঁড়াচ্ছে এই, প্রত্যেকে শিখে নিজের ধর্মই সর্বোত্তম, তাই নিজের ধর্মকে ভালোবাসে অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করে। তাছাড়া অন্যের ধর্মকে জাস্টিফাই করার মতো বেসিক জ্ঞান না থাকাতে ধর্ম ব্যবসায়ীরা এদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫০
জাহিদ হাসান বলেছেন: আজকাল সব বাপ-মাই চায় তাদের ছেলেরা ধর্ম নিয়েই পড়ে থাকুক। তাদের মতে এটাই নাকি দুনিয়া ও পরকাল উভয়কালে সফলতার রাস্তা। আর কিছুর তেমন দরকার নাই।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মই সব নষ্টের মূল।
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব নষ্টদের দখলে
এ ভাবেই একদিন
নষ্টরা সভ্যতা ভদ্রতা,
শালিনতা ছিড়ে খুটে খাবে
আন্যরা বসে বসে আংগুল
চুসবে! থু দেই তাদের মুখে!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: স্বাভাবিক। ৭২ এঁর পর থেকে এমনটাই হয়ে আসছে।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২
সোবুজ বলেছেন: মদ খাওয়া খারাপ কিছু না ।মদে না খেলেই হলো।অবশ্য ইসলাম ধর্মে মদ খাওয়া হারাম,তাই বেশি করে খায়।তা নাহলে এত মদ যায় কোথায়?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: স্বল্প পরিমানে মদ খাওয়া খারাপ কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বর্তমান পরিস্থি সুন্দর ভাবনা রাজীব দা