নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্রেন আমেরিকার উপর আস্থা রাখতে পারছে না!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

ছবিঃ গুগল।

ইউক্রেন নিয়ে আমেরিকা-রাশিয়া কি চাচ্ছে?
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জিলেনস্কি আমেরিকার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সে সুর বদলায়ে ফেলছে। সে চাচ্ছে আমেরিকা যেন সৈন্য না পাঠায়! পুটিন যদি দখল শুরু করে, ইউক্রেন কে রক্ষা করবে? যে কোন মুহূর্তে আক্রমণ শুরু হতে পারে। আমেরিকা তার নাগরিকদের এখন ইউক্রেন বা রাশিয়ায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের বহ মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

রাশিয়া কি আসলেই আক্রমণ করবে?
ইউক্রেনের লোকজন ভাবছে, পুটিন যদি যুদ্ধ শুরু করে, আমেরিকা ও রাশিয়া পরস্পরকে কোন অবস্থায় আক্রমণ করবে না। পুটিনের বাহিনী চেষ্টা করবে যতটুকু পারা যায়, ততটুকু দখল করতে। বাকীটা দখল করবে ন্যাটো বাহিনী। দুইপক্ষ সামনাসামনি হলে- যুদ্ধবিরতি হবে। দেশ দুই ভাগ হবে। এরপর কি হবে, তা এখনো কেহ জানে না। যদি ন্যাটো নিজের দখল ছাড়ে, পুটিন তার এলাকা ছাড়বে না। সে সেখানে নতুন সরকার করবে, ইউক্রেন দুই ভাগ হবে।

রাশিয়া, আমেরিকা আর ন্যাটো কি ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে?
এখন ইউক্রেনের লোকজন এই ভয়ে কাঁপছে যে, ন্যাটোর সৈন্য বাহিনী ঢুকলে দেশ দুই ভাগ হয়ে যাবে, এবং পুটিন যদি যু্দ্ধ করতে চায়, আমেরিকার ভয়ে সে পিছপা হবে না। মনে হচ্ছে, ইউক্রেনের রাজনীতিবিদরা ও ব্যবসায়ীরা তাদের প্রেসিডেন্টকে বুঝাতে পেরেছে যে, আমেরিকাকে পুটিন ভয় পাচ্ছে না। কারণ, আমেরিকা কখনো পুটিনের বাহিনীকে আক্রমণ করবে না।

বিনা দ্বিধায় কি বলা যেতে পারে না-
পূর্ব ইউরোপের শুধু বেলারুশ, মলডোভা এবং ইউক্রেন ছাড়া সব দেশই এখন আমেরিকার হাতে। মনে হয়, ইউরোপীয় কোন চ্যানেল পুটিন ও জিলেনস্কির মাঝে ফয়সলা করার চেষ্টা করছে। পুটিনের দাবী, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করতে পারবে না। যোগদানের চেষ্টা করলে, পুটিন সরকার বদলিয়ে দিবে। ইউক্রেনের যারা ন্যাটোর টাকায় চলার স্বপ্ন দেখছিলো, তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। হয়তো, দেশও লম্বা সময়ের জন্য দুই ভাগ হয়ে যাবে।

যুদ্ধ হোক সেটা কেউ চায় না।
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এখন আমেরিকার সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে হচ্ছে, জিলেনস্কি বুঝা শুরু করেছে যে, বাতাসে ডলার উড়ার সম্ভাবনা কম। আমেরিকা ও ইউরোপ এখন অর্থনৈতিক সমস্যার মাঝে ডুবে গেছে, ডলার ও ইউরো না পাঠিয়ে ট্যাংক ও বুট পাঠাবে, নগদ পাবার সম্ভাবনা নেই। জিলেনস্কি কিন্তু দেশপ্রেমিক মানুষ। যদিও নিজের গদি ধরে রাখতে চায়, কিন্তু দেশ দুই ভাগ হয়ে যাক, সেটা চাইবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: কেন এই দেশ আক্রমন করবে না মাঠ গরম রাখা হচ্ছে শুধু।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: মাথা গরম থাকা অবস্থায় কে কি করে আগে থেকে বুঝা সম্ভব নহে।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

বিটপি বলেছেন: রাশিয়া আমেরিকা না যে হুটহাট করে আক্রমণ করে ফেলবে। রাশিয়া বুঝবান দেশ। তারা বুঝে কি মারলে হাতে গন্ধ হবেনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই মুহুর্তে মাথা ঠান্ডা রেখেছে আমেরিকা।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩০

সোবুজ বলেছেন: বাইডেনের জনসমর্থন এখন তলানিতে।তাকে একটু চাঙ্গা করার জন্য এই সব তাল বাহানা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আর কিছুর দরকার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.