নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ৯৪

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

ছবিঃ আমার তোলা।

গতকাল আমাদের বাসায় একটা অনুষ্ঠান ছিলো।
আমার ছোট ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় এসেছিলো। এদের দেখে আমি ভীষন অবাক হয়েছি। ওরা তিন বোন। আমেনা, খাদিজা আর আয়শা। যথাক্রেমে বয়স ১৩, ১৫, ১৭। তিন বোন হিজাবী। কঠিন হিজাবী। কালো বোরকা পড়া। হাত মোজা পর্যন্ত আছে। বাসায় আসার পরও বোরকা খুলেনি। হাত মোজা খুলেনি। আমি বললাম, এখন তো তোমরা বাসায়। বোরকা খুলে ফেলো। তাঁরা তিনজন বলল, অসম্ভব। আমরা গুনাহ করতে চাই না। আমরা বেহেশতে যেতে চাই। সাত বছর বয়স থেকে আমরা বোরকা পড়ছি, হিজাব করছি। আমাদের যদি আপনি দেখেন তাহলে আমার যেমন গুনাহ হবে, আপনারও হবে।

আমি বললাম, আমি তোমাদের সাথে কথা বলতে চাই।
মুখের দিকে না তাকিয়ে কিভাবে কথা বলব? তাদের মা বলল, মূখ দেখতে হবে না। মা-ও বোরকা পড়া, হিজাব পড়া। হাতমোজা পরা। ইসলাম আমরা মেনে চলি। আমৃত্যু মেনে চলব। আমাদের টার্গেট বেহেশত। এই দুনিয়া কিছুই না। ইহকাল হলো দুই দিনের। পরকাল হলো- আসল। পরকাল হলো অনন্ত সময়। অসীম সময়। সেখানে আমরা আনন্দ করবো। পৃথিবীর আনন্দ আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা শুধু আল্লাহকে খুশি করতে চাই। তিন বোনকে বললাম, আমি তোমাদের চেয়ে অনেক বড়। তোমরা ছোট বাচ্চা। আমার সামনে মুখোশ পরার দরকার কি? আমাকে ভাই ভাবো। তাঁরা বলল না। শয়তানের ধোকায় পরবো না।

তিন বোন আর মায়ের চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
আমি মনে মনে ভাবলাম- খাওয়ার সময় নিশ্চয়ই মুখোশ খুলে ফেলবে। আমি ভুল তাঁরা খাওয়ার সময় পর্যন্ত মুখোশ খুলেনি। পুরো মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা। কাপড়ের নিচ দিয়ে খেলে। এইভাবে খেয়ে আরাম আছে? আজিব একটি পরিবার! ধর্ম তাদের কঠিন ভাবে আকড়ে ধরেছে। নেশা যেমন মানুষকে আকড়ে ধরে। কিছু মানুষকে ধর্মও আকড়ে ধরে। এই পরিবারটি আমৃত্যু ধর্ম আকড়ে থাকবে। কিছু মুসলিমের বেহেশতে লোভ সাঙ্ঘাতিক। শেষে আমি ওদের বললাম, আমি বেহেশতে যাবো না। এত সুখ আমার সইবে না। আমি জাহান্নামে যাবো। সেখানে টেনশন আছে। নানান রকম শারীরিক অত্যাচার আছে। বেহেশতের আরাম আয়েশ আমার পোষাবে না। তারচেয়ে বরং দোযক ভালো।

যাই হোক, গতকাল কি কি খাওয়া দাওয়া হলো সেটা বলি-
গতকাল বাসায় চায়নিজ সব খাবার রান্না হয়েছে। মিথ্যা বলল প্রতিটা খাবার দারুন মজা হয়েছে। চিকেন ফ্রাই টা দারুন হয়েছে। থাই স্যুপ আর অনথন চমৎকার হয়েছে। বীফ সিজলিং সবচেয়ে মজা হয়েছে। আমি একবাটি একাই খেয়ে ফেলেছি। চায়নিজ সবজি করা হয়েছিলো, সেটা আমি খাই নি। সবজি আমি খাই না। মূরগীর মাংস রান্না করা হয়েছিলো। তাতে সস টস হাবিজাবি দিয়ে করেছিলো বলে আমি খাই নি। কেক টা পর্যন্ত ঘরে বানানো হয়েছে। দোকানের কেকের চেয়ে ভালো হয়েছে। রান্না করেছেন সুরভী আর ভাবী। সব খাবার তাঁরা দুজন মিলে করেছে। তাঁরা সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন। এদিকে বুয়া আছে ছুটিতে। শেষে গেস্ট চলে যাবার পর আমি সমস্ত থালা বাটি ধুয়ে দিয়েছে। আমার দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে।

আজ বাংলা মাঘ মাসের শেষ দিন।
অর্থাৎ শীতকাল শেষ। আগামীকাল শুরু হবে বাংলা নতুন মাস। ফালগুন। ফালগুন উপলক্ষ্যে ফারাজার জন্য নতুন জামা কেনা হয়েছে। আমার জন্য ভাবী একটা ফতুয়া কিনেছেন। কটকটা হলুদ রঙ। সামনে আবার দুইটা পকেট। এরকম ফতুয়া নানা দাদারা সাধারনত পরে থাকে। বিশেষ দিনে যে বউ বাচ্চা নিয়ে একটু বের হবো- সেই উপায় নেই। বিশেষ দিন মানেই ঢাকা শহরে গজব অবস্থা। ভয়াবহ জ্যাম। সেখানেই যাবো ভিড়। আর মানুষের জটলা। এত ভিড়বাট্রা আমার ভালো লাগে না। নিরিবিলি পরিবেশ ঢাকা শহরের কোথাও নেই। যাই হোক, লেখা আজকে এখানেই শেষ করছি। সবাইকে ফালগুনের শুভেচ্ছা। দীর্ঘদিন ধরে এডমিন সাহেব আমাকে ''জেনারেল'' করে রেখেছেন। আমি কি এমন হাতীঘোড়া লিখি যে, আমাকে জেনারেল করে রাখতে হবে!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: ফাল্গুনের শুভেচ্ছা রইলো।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২০

সোবুজ বলেছেন: জিগ্যেস করলেন না বেহেস্তে তারা কি করবে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্ঞানহীন পতিবন্ধী একটি পরিবার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.