নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলিতেছে যাত্রাপালা

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৮

ছবিঃ ইউটিউব।

চলিতেছে যাত্রাপালা।
আশ্চর্য ব্যাপার হলো, যাকে ঘৃনা করা হয়, যার উপর প্রচন্ড রাগ, তার কথা কিন্তু ক্ষনে ক্ষনে মনে পড়ে। ভালোবাসার মানুষকে যত না মনে পড়ে তার চেয়ে অনেক বেশি মনে পড়ে ঘৃনা করা মানুষটাকে। তবে মানুষকে ঘৃণা করার পক্ষে আমি না। আমি অতি দুষ্ট মানুষকেও মুহুর্তের মধ্যে ক্ষমা করে দিতে পারি। রাগ পুষে রাখি না। ছোট্র একটা জীবন কি হবে রাগ পুষে রেখে!

যাত্রাপালা শুরু হয়ে গেছে।
জমজমাট আয়োজন। হাজার হাজার দর্শক। পুরো মাঠ ভরে গেছে। খুব বাদাম, ঝালমুড়ি, পাপড় ভাজা আর লাল চা বিক্রি হচ্ছে। সবার চোখেমুখে আনন্দ ঝিলমিল করছে। এরকম আয়োজন গ্রামে বছরে দুই একবার হয়। তাই ছেলে মেয়ে কেউ মিস করে না। সেকান্দার বেপারি সব কিছু খুব মন দিয়ে দেখছেন। যদিও দূর থেকে স্টেজটা পরিস্কার দেখা যায় না। তবে, মাইকে সংলাপ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। এত ভিড় ঠেলে তিনি সামনে যেতে পারবেন না। দূর থেকেই ভালো।

চন্দনা আর আশরাফের প্রেমের ডায়লগ হচ্ছে।
আশরাফ বলছে, আমি গরীব, বাবা মা নেই। এতিম আমি। জমিজমা নেই। রতন বাবুর কারখানায় কাজ করি। আর তুমি ধনীর আদরের একমাত্র কইন্যা। সুন্দরী। তাই আমি বামুন হয়ে চাঁদ ধরতে চাই না। আশরাফের কান্না মুখ দেখে চন্দনার ভীষণ কষ্ট হয়। সে বলে, আমার ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই আশরাফ? চন্দনা খুব কান্না করছে। চন্দনার কান্না দেখে অনেক দর্শকের চোখে পানি চলে আসছে। সেকান্দার মানুষের কান্না সহ্য করতে পারে না। তিনি নরম মনের মানুষ।

ধরা যাক, নদীর নাম কীর্তনখোলা।
বিশাল নদী। এদিকে চন্দনাকে রেখে আশরাফ নদীর দিকে হেটে চলে গেলো। চন্দনা সমানে কেদেই চলেছে। এমন সময় বিকট সব বাজনা বাজতে থাকলো। যাত্রা পালায় বাজনার গুরুত্ব অপরিসীম। দর্শকরা বড় বড় চোখ করে স্টেজের দিকে তাকালো। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটবে। চন্দনা ধীরে ধীরে উঠে দাড়ালো। আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে বিরহের গান ধরলো। গানটার সুর সুন্দর। কথা গুলোও সুন্দর। 'কত দূরে যাবে তুমি? আমি তোমার মনের ঘরে বসে থেকে তোমার নাম ধরে ডাকবো।'

দর্শকদের ধারনা, গান শুনে আশরাফ দৌড়ে দৌড়ে চলে আসবেন।
এদিকে নায়িকা চন্দনা তার বিরহের গান শেষ করতে পারলো না। বদরাগী ও কর্কশ গলার একলোক এসে হামকি ধামকি শুরু করলো। বলল, গান থামাও চন্দনা। তুমি ভুলে গেছো তোমার বংশমর্যাদা? ফকিন্নির পুতের জন্য তুমি কান্না করছো! চন্দনা বললো, প্লীজ বাবা চুপ করো। ওকে আমি খুব ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি বাচবো না। বাপের ইশারায় কয়েকটি মেয়ে এসে চন্দনাকে ধরে বাড়ির দিকে নিয়ে গেলো। চন্দনার বাবা তখন কঠিন সব ডায়লগ দিয়ে স্টেজ কাপাচ্ছেন। বলছেন, নিজের বংশ পরিচয়ের কথা।

মাইকে সমস্যা দেখা দিলো।
গ্রামে গঞ্জে এরকম প্রায়ই হয়। হঠাৎ বলা হতে থাকলো- ইলেকট্রিশিয়ান শামসু... শামসু...। তুমি যেখানেই থাকো স্টেজে চলে আসো। ডানদিকের মাইক্রো ফোন কাজ করছে না। তাড়াতাড়ি ঠিক করো। ইলেকট্রিশিয়ান শামসু শামস....। শামসু গেছে টয়লেটে। দুপুর থেকেই তার পেট খারাপ করেছে। টয়লেটে বসেই শামসু শুনতে পেলো সব। মনে মনে বললো শালা, একটূ পায়খানাও করতে পারি না শান্তিতে। এমন কপালে উষ্ঠা মারি।

একটু পর মাইকে আবার বলা হচ্ছে,
বাবুল বাবুল তুমি স্টেজের পেছনে আসো। তোমার ছোট মামা তোমাকে খুজছেন। মাইক টেস্টিং... হ্যালো হ্যালো.... ওয়ান, টু, থ্রি....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.