নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ব্যক্তিগত জীবন পুতিন রুশ অর্থোডক্স গির্জার সদস্য।
ধর্মের প্রতি তার অগাধ শুদ্ধা বোধ আছে। এমন কি পুতিন সময় পেলে ধর্মীয় বই পড়েন। ভ্লাদিমির পুতিনের কথা বলার শৈলী অসাধারণ। রাশিয়ার জনগন তার কথা মুগ্ধ হয়ে শুনেন। পুতিন একজন উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় বক্তা। যদিও তাঁর প্রথম দিকের কথা বলার শৈলী অসাধারণ ছিল না। পুতিনের বক্তৃতা নিয়ে লেখা বই 'Speak like Putin? Speak Better than Putin!' টি আমাদের দেশের নেতা (ব্যারিস্টার), সরকারী কর্মচারীদের বক্তৃতা শৈলীকে উন্নত করবে কিছুটা। পুতিনের মতো নেতা বাংলাদেশে নেই।
ব্যক্তিগত জীবনে পুতিন বিবাহিত।
তার দুই কন্যা। পুতিন লেনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী সাবেক বিমানবালা লিদমিলা শ্রেবনেভা। অনেকে বলেন তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। পুতিনের দুই কন্যার নাম- মারিয়া পুতিনা ও ইয়েকাতেরিনা পুতিনা। পুতিন অনেক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। হ্যাং-গ্লাইডিং, ঘোড়সওয়ার, জুডো, কুস্তি এবং স্পিডে গাড়ি চালান ইত্যাদি। দেশের হয়ে গোয়েন্দাগিরিতে নিযুক্ত ছিলেন জার্মানিতে। এ ছাড়াও তিনি কুকুর ভালো বাসেন। মাঝে মাঝে কুকুর সাথে করে নিয়ে যান নানান রকম অনুষ্ঠানে। পুতিনের শৈশব কেটেছে এক কঠিন পরিবেশে। বর্তমানে সেন্ট পিটসবার্গ, যেটি এক সময় লেলিনগ্রাদ নামে পরিচিত ছিল। সেখানেই বেড়ে উঠেন মি: পুতিন। তাঁর ছোট মেয়ে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রশাসনে উচ্চপদে চাকরী করেন। অন্যদিকে বড় মেয়ে একজন শিক্ষাবিদ।
মি: পুতিনের বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন।
এবং তাঁর দাদা ছিলেন একজন বাবুর্চি। পুতিন তার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন সম্পূর্ন নিজের যোগ্যতায়। পুতিন ছোটবেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রমী মানুষ। বর্তমানে নাভালিন পুতিনের প্রধান শত্রু বলা যেতে পারে। অ্যালেক্সাই নাভালিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক। কোনো কারনে পুটিন মরে গেলে নাভালিন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হয়ে যেত্তে পারেন। তবে আমৃত্যু পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবে। ইহা নিশ্চিয় ভাবে বলা যেতে পারে। নাভালিন এঁর বয়স ৪৬। তবে সে পুতিনের মতো জনপ্রিয় নয়। এক হিসেবে পুতিন অনেক রহস্যময় পুরুষ। তার অনেক বিষয়ই বিশ্ববাসীর অজানা। গভীর গোপন।
পুতিন ক্ষমতা ভালোবাসেন।
ক্ষমতা আমাদের প্রধানমন্ত্রীও ভালোবাসেন। শেখ হাসিনাও আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী থাকবেন যেভাবেই হোক। তবে তিনি বুদ্ধিতে পুতিনের ধারে কাছেও নেই। রাশিয়ার পূর্বের সংবিধান অনুযায়ী পুতিনের ২০২৪ সালের পর আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ ছিলো না। কিন্তু ২০২০ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে তিনি এর পরিবর্তন ঘটান। পুতিন একজন অসাধারন নেতা তার নিজ সম্প্রদায়ের কাছে। তিনি অবশ্যই ইয়েলিৎসিন, স্ট্যালিন কিংবা মিখাইল গর্বাচেভের চেয়ে ভালো ব্যক্তিত্ব। পুতিন অত্যন্ত প্রখর একজন ব্যক্তি, তিনি শাসক হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পুর্বকার শাসকদের চেয়ে অনেক দক্ষ। তিনি তার সম্প্রদায়ের জন্য যোগ্য ব্যক্তি।
পুতিন একজন কেজিবি গুপ্তচর ছিলেন।
পুতিনকে একটা সময়ে কেউই চিনত না। জানতো না। নব্বই এর দশকে এসে তিনিই হয়ে উঠলেন রাশিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। দেশের অভ্যন্তরে ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রহন যোগ্যতার রেটিং ৮৬ শতাংশ। যেখানে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রপতি ৫০ এর ঘর ছুঁতে পারলেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। পুতিন ডুবুরি হয়ে সমুদ্রের নিচে প্রাচীন শহরের সন্ধান করেন, কৃষ্ণ সাগরের তলদেশে নিজেই সাবমেরিন চালিয়ে অভিযান চালান। দেশের জনগনের কাছে তিনি হিরো। তাঁদের মতে পুতিন রাশিয়াকে তাদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিয়েছেন, আরও একবার দেশটিকে পরিনত করেছেন পরাক্রমশালী এক সুপার পাওয়ারে।
পুতিনের মতো সাহসী, বুদ্ধিমান একজন দক্ষ নেতা আমাদের দেশে দরকার।
তাহলে বাংলাদেশ বদলে যেতো। পুতিন তো দূরের কথা মাহাথিরের মতো একজন নেতাও আমাদের নেই। শেখ হাসিনা কি তার মন্ত্রীপরিষদে দক্ষ ও পরিশ্রমী লোক রাখতে চান না? যাই হোক, পুতিন সম্পর্কে অনেক বদনাম আআছে হয়তো। অনেকে বলেন পুতিন দূর্নীতিবাজ। সে দূর্নীতি করে অনেক গুলো প্লেন, রকেট, হেলিকাপ্টার এবং সাবমেরিনের মালিক। পাঁচ তারকা হোটেলের চেয়ে তার বাড়ি অনেক বেশি সুন্দর। পুতিন বলেছেন এগুলো মিথ্যা কথা। রাষ্ট্রপতি হিসাবে যা পেয়েছি এগুলোই আমার। এছাড়া আমার আর কিচ্ছু নেই। পুতিন ভালো থাকুক। সে সারা বিশ্বের উন্নতি করুক।
(ছবি ও তথ্যঃ গুগল।)
০৩ রা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: পুতিনের জন্য শুভ কামনা, সফল হোক।