নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সহজস সরল মানুষ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী \'ভোলোদিমির জেলেনস্কি\'

০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

ছবিঃ গুগল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
এককালের জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পী থেকে প্রেসিডেন্ট- কী ভাবে ইউক্রেনের সর্বেসর্বা হয়ে উঠলেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি? রাশিরায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা এই নেতার সাহসী মনোভাবকে অগ্রাহ্য করতে পারছেন না তাঁর সমালোচকরাও। ইউক্রেনের 'ক্রাইভিই রিহ' অঞ্চলে ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম। ওই অঞ্চলেই বেড়ে ওঠা ভোলোদিমির ওলেকজান্দ্রোভিজ জেলেনস্কির। বাবা 'ক্রাইভিই রিহ ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক্স'-এ সাইবারনেটিক্স এবং কম্পিউটিং হার্ডওয়্যারের অধ্যাপক। মা ছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।

১৬ বছর বয়সে ইজরায়েলে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল তাঁর।
সদ্য ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে বাবার অনুমতি না মেলায় ইজরায়েল যাওয়া আর হয়নি। বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ব্যক্তিদের একজন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মাত্র ৪৪ বছরে বয়সে তিনি দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হন। মাতৃভূমিকে বাঁচাতে রাজধানী কিয়েভেতে অটল রয়েছেন তিনি। সিনেমায় অভিনয় করলেও জেলেনস্কির কেরিয়ারে খ্যাতি এনে দিয়েছিল একটি টেলিভিশন শো। ২০১৫ সালে ‘সার্ভেন্ট অব দ্য পিপ্‌ল’ নামে কমেডি শোয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল জেলেনস্কিকে। ইউক্রেনে তিনি খুব জনপ্রিয়। প্রচুর ভোটে তিনি জয় লাভ করেন।

মজার মানুষ তিনি।
মানুষকে খুব হাসাতে পারেন। কোনোরকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই জেলেনস্কি বিপুল ভোটে জয়লাভও করেন। কিন্তু এরপর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তার চরম বিরোধ শুরু হয়। যেহেতু জেলেনস্কি ইয়ানুকভিচের মতো রুশপন্থী নেতা ছিলেন না, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তার বিরোধ চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বেঁধে গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে আমার ধারনা, যুদ্ধ এই আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে। ছোট বেলায় কিছু কঠিন অংকের সমীকরন মিলাতে না পারলে গোজামিল দিয়ে নিচে ফলটা লিখে রাখতাম। বামপক্ষ=ডানপক্ষ। স্যার ভিতরের গোজামিল অনেক সময় চেক না করেই নম্বর দিয়ে দিতেন। হা হা হা। বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে- যুক্তরাষ্ট্র এক ঘরে দুই পীরের অস্তিত্ব মানতে নারাজ। সে একাই ন্যাটো নামক দুষ্টচক্রকে ব্যবহার করে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।

ইউক্রেনে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আছে।
তেল, গ্যাস, কয়লা আরো অনেক। এবং কৃষি দিক থেকে ইউক্রেন ৩য় স্থানে আছে তাই ইউক্রেনকে রাশিয়া দখল করতে চায়। লোভ খুব খারাপ জিনিস। পাকিস্তানীরাও আমাদের দখল করতে চাইছিলো। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে থেকে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যার মধ্যে তৈরি পোশাক সবচেয়ে বেশি। আমদানি হয়েছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য, যার বেশিরভাগই খাদ্যপণ্য। রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে প্রতিবছর আট থেকে দশ লাখ টন গম আমদানি হয়। এই সংকটের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হবে। পুতিন বুদ্ধিমান মানুষ। সমস্যা হলো অনেক সময় বুদ্ধিমানরা বড় বড় ভুল করে ফেলেন।

রাশিয়া বিশাল দেশ।
রাশিয়ার ২৫ শতাংশ পুরুষ তাদের বয়স ৫৫ বছর হওয়ার আগেই মারা যান এবং বেশির ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী মদ্যপান। রাশিয়ায় আধা লিটার ভদকার দাম প্রায় ৩ পাউন্ড। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত ভদকার সেবা নেন এমন একজন রুশ সপ্তাহে প্রায় দেড় লিটার ভদকা গলায় ঢালেন। অবশ্য রাশিয়া ঠান্ডার দেশ শরীর গরম রাখতে মদের প্রয়োজন আছে। যাই হোক, আমি এই যুদ্ধের অবসান চাই। পৃথিবীটা সুন্দর ও আনন্দময় করার জন্য ন্যাটো'র কোনো প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর সব মানুষকে নিয়ে আমরা ভালো থাকতে চাই। পুরো পৃথিবীকেই নিজের দেশ বলে ভাবতে শিখতে হবে।

(তথ্যসুত্রঃ গুগল)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.