নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব সমস্যার মূলে \'\'ন্যাটো\'\'

০৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৪



বর্তমান ন্যাটো বিশ্বে ৩য় যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে। মানসিকভাবে ন্যাটোর আধিপত্যবাদি মনোভাবের বিপরীতে অবস্থান নিতে নিতে এখন ন্যাটোর শত্রুকেও আমার ভালো লাগে। ন্যাটো ব্যতিত ইউরোপ হবে মানবিক। পৃথিবীটা সুন্দর ও আনন্দময় করার জন্য ন্যাটো'র কোনো প্রয়োজন নেই। ইউক্রেনের উচিৎ হবে একটা সমঝোতায় আসা ও ন্যাটোতে যোগদানের আশা আপাতত ত্যাগ করা। পুতিন যেহেতু একটু নমনীয় হয়েছে তাকে আর উস্কানি না দেওয়াই উচিৎ হবে বলে মনে করি। হাতে ক্ষমা না থাকলে রাগ দেখানো বোকামি।

যুদ্ধ চলছে দুই সপ্তাহ ধরে এবং এই যুদ্ধ যে অচিরেই শেষ হয়ে যাবে এমন কোন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। "যত গর্জে তত বর্ষেনা"- এটা পুতিনের ক্ষেত্রে শতভাগ সত্যি হয়ে উঠতে পারে। আপাতত আমি আমেরিকা চুপ আছে। কিন্তু আমেরিকা রাশিয়াকে একটা বিশাল ধাক্কা দিবে। অবশ্যই দিবে। ব্রাইডেন বোকা লোক নয়। সে খেলা দেখাবে। রাশিয়া চায় ন্যাটো তার বর্ডার থেকে দূরে থাকুক। রাশিয়া আসলে ইউক্রেনের জনগণের সাপোর্ট পেতে চাচ্ছে। এই যুদ্ধে রাশিয়ার উদ্দেশ্য শুধু ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত রাখা। সেটা যেভাবেই হোক।

বাইডেনকে পুতিনের চেয়ে উপরে রাখার জন্য আমার আর একটা কারণও দরকার নেই। কথা বলতে পারার অধিকার যে কত বড় অধিকার অনেকেই তা উপলব্ধি করতে পারে না। ইউক্রেন এর রাজধানী এবং পূর্বদিকের অঞ্চল গুলিকে কব্জা করতে পারলেই সম্ভবত যুদ্ধ শেষ হবে। তারপরে রাশিয়ার কথা মানতে চাইবে শান্তি সমঝোতার মাধ্যমে। নাহলে আলাদা দেশ বানিয়ে দেবে। ইউক্রেন আর রাশিয়ার মধ্যে যে যুদ্ধ সেটা বেশী দিন টিকে থাকলে বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে? পুতিন কি একটা অনিশ্চিত লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছেন? বিবেকবান মানুষ কখনো কোন অন্যায় যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান করতে পারে না।

অতি তুচ্ছ ঘটনা থেকেও অনেক বড় কিছু ঘটে যেতে পারে। ন্যাটোর পাগলামীর কারণে পারমানবিক যুদ্ধ হওয়া সম্ভব। তাই এখন, যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ করার স্বার্থে এই যুদ্ধের কোন একপক্ষ কে বিশ্ববাসীর সমর্থন দেয়া উচিৎ। যাই হোক, আশার কথা হচ্ছে- অবশেষে দুই দেশের প্রতিনিধীরা বেলারুশিয়ান বর্ডারে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে, আশা করি কিছু একটা সুখবর জানা যাবে।

আমাদের প্রধান সমস্যা আন্তর্জাতিক রাজনীতি নয়। আমাদের দেশে নিজেদের সমস্যার শেষ নেই। তিন কোটি বেকার দেশে। আরেকদিকে হচ্ছে দূর্নীতি। সীমাহীন দূর্নীতি। মানুষের মৌলিক চাহিদা- খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং শিক্ষার বেহাল দশা।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে বড় বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে দরিদ্র মানুষেরা। টিসিবির ট্রাকের কাছে শুধু দরিদ্ররা নয় মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমাচ্ছে। অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

মানবতার জয়গান করতেই হবে। অন্যায় যুদ্ধের বিরোধিতা এবং ন্যায় যুদ্ধের সমর্থন করাও মানবতা। যুদ্ধ সাধারণ মানুষের কাছে কাম্য নয়। যুদ্ধই যাদের ব্যবসা, তারা কি যুদ্ধ থামুক এটা চায়? দিনের শেষে নিজের যুদ্ধ নিজেকেই লড়তে হয়, কেউ আসে না কাঁধ দিতে। কাউকে বিশ্বাস করে নিজের ক্ষমতার বলিদান দেওয়া উচিত নয়। যেকোনো সময় ধোঁকা হতে পারে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: নিজেদের অর্থনীতি ভালো রাখতে ,অপরের বলি দেয়া নতুন কি

০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সেটাই। এটা দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.