নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
তখন আমাদের বিয়ের বয়স এক বছরও হয়নি।
বউ মোটামোটি রান্না জানে। শখ করে বাজার থেকে একটা ইলিশ আনলাম। সেদিন ছিলো শুক্রবার। ছুটির দিন। মজা করে দুপুরে খাবো। বউকে বললাম, হালকা ভেজে পেঁয়াজ দিয়ে ভূনা করবে। এটা পদ্মার ইলিশ। খুব মজা হবে। আরো বললাম, মাছ ভাজার সময় বেশি তেল দিবে না। অল্প তেলে ভাজবে। পদ্মা নদীর মাছে তেল অনেক হয়। মাছের তেলেই মাছ ভাজবে।
জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গেলাম।
নামাজ শেষে দেখা হলো এক বন্ধুর সাথে। বন্ধু বলল, দুপুরে তার বাসায় খেতে। তার বাসায় কাচ্চি রান্না হয়েছে। বন্ধুকে বললাম, না আজ আমার বাসায় ইলিশ মাছ রান্না হয়েছে। বউ রান্না করেছে। দুজনে মিলে খাবো। তুই তো জানিস ইলিশ আমার প্রিয় মাছ। বরং তুই'ই চল আমার বাসায়। বন্ধু বলল, আজ নয় আরেকদিন যাবো। আমি বলাম, ওকে।
দুপুর দুইটা। টেবিলে খেতে বসেছি।
খেতে বসে আমার মাথা গরম হয়ে গেলো। বউ ইলিশ মাছ ভাজে নি। এবং ভেজে ভূনাও করেনি। সে মাছ না ভেজে ঝোল করে রান্না করেছে। ইলিশ মাছ কেউ এইভাবে রান্না করে? আজব মহিলা! আমার ইচ্ছা করলো- মাছের বাটিটা ছুড়ে ফেলে দেই। মা সামনে আছে। এই কাজ করা যাবে না। আমি রাগ করে উঠে গেলাম। বললাম, ভাত খাবো না। পেছন থেকে মা, ডাকলো, বউ ডাকলো। আমি তাদের ডাক উপেক্ষা করে বাইরে গেলাম।
হোটেলে গেলাম ভাত খেতে।
বয়কে বললাম, ভাত দাও। সাথে ইলিশ মাছ। বয় মাছ নিয়ে এলো। সেই মাছও ভাঁজা নয়। এবং ঝোল করেই রান্না করা। মনের দুঃখে আমার চোখে পানি চলে এলো। সারা সপ্তাহ অফিসে থাকি। একটা দিন বাসায় থাকি। আরাম করে খাবো। হোটেলের ম্যানেজার বলল, ভাই কোনো সমস্যা? আপনি কাঁদছেন কেন? আমি বললাম, ঝোল। ম্যানেজার বললেন, স্যরি। তারপর বয়কে বললেন, স্যারকে ঝোল কম দিয়েছো। আরো বেশি করে ঝোল দাও।
দুই নলা ভাত মুখে দিয়ে হোটেল থেকে বের হলাম।
আমার ভাগ্যটাই খারাপ। ইলিশ মাছ কেউ ঝোল করে খায়? বউকে বলে পর্যন্ত দিয়েছি- মাছটা হালকা ভেজে ভূনা করবে। সে কোন আক্কেলে মাছ না ভেজে রান্না করলো। তাও আবার এক পাতিল ঝোল! কেউ ঠিক করে কথা শোনে না। যার যা মন চাইছে, সে তাই করছে। এজন্যই বাঙ্গালীদের এত অধপতন। বাঙ্গালী বুঝে না কোন মাছ কিভাবে রান্না করতে হয়।
১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আসলে আপনি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে আছেন। তাই আপনি অভিধান ব্যবহার করেন।
আপনি যদি বাংলাদেশে থাকতেন তাহলে ভাষা নিয়ে আপনার কোনো সমস্যা হতো না।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি লেখক আমিও লেখক, কেমনে লেখাকে উন্নত করা যায় নিয়ে মন্তব্য বিনিময় করে একে অন্যকে সাহায্য করলে অনেক দূর যেতে পারব।
আপনাদের মন্তব্যের জের ধরে আমি আমার বইয়ে কাজ করছি এবং উন্নত হচ্ছে। আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমে আপনার ভুলটা ভাঙ্গি- আমি লেখক নই। লেখক হওয়ার মতো কোনো যোগ্যতা আমার নেই। আমাদের বংশে কেউ লেখক নেই। আমি ব্লগে যা লিখি- এগুলোকে উন্নর লেখা বলা যায় না। আমি ঢাকা শহরে থাকি। চারপাশ দেখি। খুব ভালো করে দেখি। এবং বাসায় এসে তা লিখে ফেলি। আমার লেখার দৌড় এই পর্যন্তই।
ভালো লেখালেখি করতে হলে প্রচুর পড়তে হয়। শুধু মাত্র প্রচুর পড়লেই ভালো লেখা সম্ভব। সাথে সাথে থাকতে হয় অভিজ্ঞতা। জীবনের অভিজ্ঞতা। বাংলা সাহিত্য এবং বিশ্ব সাহিত্যে আমার দখল নেই। লেখালেখি করতে হবে বাংলা সাহিত্য এবং বিশ্ব সাহিত্যকে অবশ্যই ভালো দখল থাকতে হবে। শুধু নিজে কেমন, সেটা জানলে হবে না। অন্যে কেমন সেটাও জানতে হবে।
ভালো হোক, মন্দ হোক। আপনি লিখুন। লিখে যান। পড়া এবং লেখাটা অব্যহত রাখা দরকার।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি আসলে বিচক্ষণ মানুষ।
আপনি যা লিখছেন তা ক্রমান্বয়ে লিখে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ক্ষরবিন্যাস করবেন। বাংলা সাহিত্য এবং বিশ্বস সাহিত্যে কী আছেন না নেই তা জানার দরকার নেই। আপনাকে যা জানতে হবে তা হলো, আপনি আপনার চার চোখে কী দেখছেন। আপনি যা দেখছে তা আপনার লেখায় থাকবে। ব্যাস।
আমার বাবা চাষা ছিলেন, দাদাও চাষা ছিলেন, নানাও চাষা ছিলেন। আমিও চাষা হতাম।
১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে প্রতিদিন যা দেখি, তা লিখতে আমার সুবিধা হয়। নিজের চোখে দেখা ঘটনা তোর তোর করে লেখা যায়া। লেখা কোথাও আটকায় না।
চাষা বা কৃষক। আমি এদেশের কৃষক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সম্মান করি। কৃষক এবং মুক্তিযোদ্ধারা খাটি মানুষ।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বাস্তবিক লেখায় শক্তি থাকে বেশি। এবং যারা কৃষককে সম্মান ওরা বাস্তববাদী।
১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার কষ্টের গল্প পড়ে সত্যি হেসেছি! হাসতে হাসেত চোখে পানি এসেছে
সার কথা হলো আপনি সফল লেখক। আপনার লেখাক সরলতা আছে। আরেকটু যত্নবান হলে আরো ফরাফরা হবে।
(আমি কবিতা দিয়ে শুরু করেছিলাম এবং উপহাসিত হয়ে শব্দকোষ ব্যবহার করা শিখেছিলাম। এখন অভিধান ছাড়া আমি বোকা বনে যাই।)