নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটবেলায় আমি কিছুটা দুষ্ট ছিলাম

১৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৫

ছবিঃ আমার তোলা।

১। তিনটা ঘটনা আমাকে আজকে দুঃখ দিয়েছে।
মায়ের সাথে অনেক গল্প করলাম আজ। মা কথায় কথায় বললেন, ছোটবেলায় আমি নাকি বোতলের দুধ শেষ করে সেই বোতলে মুতে দিতাম। এবং সেই প্রস্বাব মানুষের গায়ে ছিটিয়ে দিতাম। এবং বলতাম গোলাপ জল, গোলাপ জল। ছিঃ। নিজের উপর নিজের রাগ লাগছে। ফাজলামোরও তো একটা সীমা থাকা উচিৎ।

২। রান্না পছন্দ না হলে আমি খেতাম না।
ছোটবেলায় বাসায় ছোট মাছ রান্না করলে আমি ভাত খেতাম না। রাতে রাগ করে না খেয়েই শুয়ে থাকতাম। আব্বা অনেক রাতে বাসায় ফিরতেন। আমাকে বাইরে নিয়ে যেতেন- মধ্যে রাতে আব্বা আমাকে বাইরে নিয়ে বিরানী খাইয়ে আনতেন। বলতেন, সব সময় তো বড় মাছ রান্না করা সম্ভব না। যখন যা হয় হাসি মুখে খেয়ে নিতে হয়। আব্বা আজ বেচে নেই। এক বছর আগে করোনাতে মারা গেছেন।

৩। শবে বরাতের ঘটনা।
মা প্রতি বছর শবে বরাতের সময় ৫ শ' একটা মসজিদের দাম বাক্সে দিতেন। একবার শবে বরাতের সময় আমাকে ৫০১ টাকা দেন মসজিদের দান বাক্সে ফেলতে। সেই টাকা আমি দান বাক্সে দেই নি। নিজেই খরচ করে ফেলি। সেই অপরাধ বোধ আমাকে আজও যন্ত্রনা দেয়। আসলে টাকা মসজিদের দান বাক্সে ফেলতে মনে ছিলো না। পরের দিন পকেটে দেখি টাকা! ভুলেই গিয়েছিলাম এই টাকা মা আমাকে দিয়েছে মসজিদের দান বাক্সে ফেলতে।

৪। আমাদের এলাকায় একসময় প্রচুর গাছপালা ছিলো।
আমি লুকিয়ে লুকিয়ে প্রতিটা গাছ থেকে আম, ডালিম, কামরাঙ্গা, জাম্বুরা চুরী করতাম নিয়মিত। সেসব গাছ আজ আর নেই। সেখানে ৬/৭ তলা দালান উঠেছে। আমাদের এলাকা এখন গাছ শূন্য। গাছ পালা আমার খুব ভালো লাগে। আমার ইচ্ছা আছে ঢাকার আশে পাশে কিছু জায়গা কিনে সেখানে শুধু গাছ লাগাবো। অনেক গাছ।

৫। সব সময় সর্তক থাকা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ন।
সর্তক থাকলে দূর্ঘটনা থেকে বাঁচা সম্ভব। ধরুন আপনি সিড়ি দিয়ে নামছেন। সর্তক ছিলেন না। পা মচকে পড়ে গেলেন। তিন মাস পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে বিছানায় পড়ে থাকলেন। যদি সিড়ি দিয়ে নামার সময় সর্তক থাকতেন, তাহলে পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে হতো না। এমন কি রিকশা করে কোথায় যাচ্ছেন, তখনও আপনার খুব সাবধান থাকতে হবে। পেছন থেকে রিকশা বা গাড়ির ধাক্কা লাগতে পারে, আপনি মাটিতে পরে যেতে পারেন। কথায় বলে সাবধানের মার নেই। এমন কি এক গ্লাস পানি খাওয়ার সময়ও সাবধান থাকতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

সোবুজ বলেছেন: ছোট বেলার কথা পড়লাম ও উপভোগ করলা।মজার ছিল ছোটবেলা।

১৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.