নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নঃ আমার ক্ষুধা পায় না কেন?

২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২২

ছবিঃ আমার তোলা।

খেতে ইচ্ছা না করলে খাবেন না।
যখন ক্ষুধা পাবে, এবং যখন খেতে ইচ্ছা করবে তখনই খাবেন। তাড়াহুড়ার কি আছে? দুপুর দুটায় খেতে ইচ্ছা না করলে চারটায় খাবেন। আপনি কি বাপের হোটেলে খান? না কি নিজে ইনকাম করে খান? মাঝে মাঝে ক্ষুধা লাগে না। লম্বা সময় পার হয়ে যায়। এটা আমার ধারনা সবারই হয় কম বেশি। ক্ষুধা মারাত্মক জিনিস। ক্ষুধার তাড়নায় মানুষ চুরী করে। আর আপনি বলছেন আপনার ক্ষুধা লাগে না! আপনি সকালের নাস্তায় কি কি খান? দুপুরে কখন খান? কতটুকু খান? সন্ধ্যায় নাস্তা হিসাবে কি খান? আপনার প্রিয় খাবার কি? আপনার কাছে কি পানি ভাত আর বিরানী একই রকম লাগে? অনেক সময় মানুষের মন ভীষন খারাপ হলে ক্ষুধাবোধ চলে যায়। দুশ্চিন্তা করলেও ক্ষুধা লাগে না।

বাংলাদেশ একটা দরিদ্র দেশ।
এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। এই ঢাকা শহরে এমনও পরিবার দেখেছি তাঁরা বছরে একবার গরুর মাংস খায়। কোরবানীর ঈদে। ৬৫০ টাকা দিয়ে এক কেজি মাংস কিনে খাওয়ার ক্ষমতা বহু পরিবারের নেই। সামান্য মিলাদের মিষ্টির জন্য মানুষ কাড়াকাড়ি করে। চল্লিশা খেতে গিয়ে পায়ের চাপায় মানুষ মরে। বাঙ্গালীরা ভীষন দুঃখী। ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী, ভালোবাসায় দুঃখী। আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন, সেটা আসলে আপনার বিলাসিতা। কিন্তু দরিদ্র দেশে বিলাসিতা মানায় না। আমি এক সীমাহীন ধনীকে দেখেছি, সে অসৎ ভাবে সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছে। তার ক্ষুধা লাগে কিন্তু তিনি কোনো খাবারে স্বাদ পান না। একবার তাকে নিয়ে রাস্তার পাশে চিতই পিঠার দোকানে নিয়ে গেলাম। নানান রকম ভর্তা দিয়ে খাওয়ালাম। তিনি বলেন স্বাদ পাই না। যে খাবার'ই খাই সেটাই মাটি মাটি লাগে।

আপনি কি 'ওস্তাদ হোটেল' মুভিটা দেখেছেন?
সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি। না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখবেন। পুরো মুভিটা খুব মন দিয়ে দেখুন। দরকার আছে। আপনার বয়স কত? আপনার ওজন কতটুকু? এগুলো বিস্তারিত জানতে পারলে আমার জন্য উত্তর দেওয়া সহজ হতো। প্রতিদিন আপনি দুই ঘণ্টা হাটবেন। একটানা দুই ঘন্টা হাটবেন। যেন শরীর থেকে টপটপ করে ঘাম ঝরে। আপনার বাসায় যদি কাজের লোক থাকে, তাকে কাজ করতে নিষেধ করে দিবেন। সেসব কাজ আপনি নিজে করবেন। কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা আপনি নিজে করবেন। ছাদে বাগান করবেন। বাগানের যত্ন নিবেন। পরিশ্রম না করলে ক্ষুধা লাগে না। খাবারের রুচি হলো ক্ষুধায়। একবার আমি এক দরিদ্র লোকের বাড়িতে গিয়েছিলাম। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিলো। তাঁরা আমাকে খেতে শুধু মাত্র ঢেড়স ভরতা দিয়েছিলো। ঢেড়স আমি খাই না। কিন্তু সেদিন খেয়েছিলাম। বড় ভালো লেগেছিলো।

একবার আমি মানসিক আঘাত পেয়েছিলাম।
তখন আমি একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে গিয়েছিলাম। কারন রাতের পর রাত আমার ঘুম হতো না। ডাক্তার আমার কথা শুনে রেগে গেলেন। এতটাই রাগলেন যে ডাক্তার আমাকে মারবেন। পারলে চেয়ার তুলে আমার মাথায় মারবেন। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। ডাক্তার বললেন, আপনার বিছানা আছে, বালিশ আছে। ঘরে ফ্যান আছে। কি সুন্দর ব্যবস্থা। আর আপনি বলছেন আপনার ঘুম আসে না! ভালো করে চেয়ে দেখুন কত লোক রাস্তায় ঘুমায়। তাদের বালিশ পর্যন্ত নেই। কাওরানবাজারে দেখবেন কত লোক ইটা মাথার নীচে দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আর আপনি বলছেন আপনার ঘুম আসে না। গরীব মানুষের তো ঘুমের সমস্যা নেই। আপনার কেন সমস্যা হচ্ছে। ডাক্তার বললেন, যান খেটে খান। পরিশ্রম করেন। ঘুম চলে আসবে।

এই দুনিয়াতে কিসের প্রতি আপনার আগ্রহ আছে?
বই? ভ্রমন? মুভি? জামা কাপড়? নারী? বন্ধু? শিশু? টাকা? প্রকৃতি? শুনুন প্রচুর পরিশ্রম করুণ। দেখবেন ক্ষুধায় পাগল হয়ে গেছেন। তখন সামনে যা পাবেন তা-ই হামহুম করে খেয়ে ফেলবেন। আমার নিজের কথা আপনাকে বলি- আমি ক্ষুধা সহ্য করতে পারি না। যখন ক্ষুধা পায় তখন রাস্তার ইটের টুকরো গুলোকে মনে হয় একটু লবন দিয়ে খেয়ে ফেলি। মানুষ যে এত পরিশ্রম করে, কেন করে? খাওয়ার জন্য? দু'মুটো ভাতের জন্য মানুষ অনেক রকম হাহাকার করে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে। আমি নিজের চোখে দেখেছি। রাস্তায় যখন বের হই, তখন চারাপাশে বহু দরিদ্র মানুষ দেখি। দরিদ্র মানুষ গুলো পেট ভরতি ক্ষুধা। পকেটে টাকা নেই বলে খেতে পারছে না। যদি আপনার ক্ষুধা না পায়, তাহলে যার পেটে ক্ষুধা আছে তাকে আপনার খাবার টুকু দিয়ে দিবেন। দেখবেন কত আরাম করে খাচ্ছে। একজন ক্ষুধার্থ মানুষ আরাম করে খাচ্ছে- এটা দনিয়াতে সবচেয়ে সুন্দর একটা দৃশ্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:৩২

সোবুজ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

২০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.