নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
প্রচুর পড়াশোনা করুণ।
চুদুর বুদুর করে পড়াশোনা করলে হবে না। এই সমাজে বহু ছেলেমেয়ে অনার্স মাস্টার্স করে বসে আছে কিন্তু চাকরী পায় না। কারন তাঁরা মন দিয়ে লেখাপড়া করেনি। কোনো রকমে পাশ করে গেছে। অনার্স মাস্টার্স করলেও তাঁরা দক্ষ ও যোগ্য নয়। একপাতা ইংরেজিতে দরখাস্ত লিখতে পারে না। দিন শেষে অদক্ষরা চাকরী পায় না। শুধু কপাল চাপড়ায়। আর চাকরী খুজতে খুঁজতে জুতো ক্ষয় করে। যোগ্যরা ঠিকই চাকরী পায়। তাঁরা নিজেদের অবস্থান নিজেরাই তৈরি করে নেয়। তাদের ক্ষমতাবান মামা চাচার দরকার হয় না। অদক্ষরাই কর্ম জীবনে অসৎ হয়।
সময় অপচয় করা ঠিক হবে না।
মানুষের জীবন এমনিতেই ছোট। তাই প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগাতে হবে। একটা বই পড়লেও ভালো বই পড়তে হবে। ভালো বই পড়া মানে সময়টাকে কাজে লাগানো। ঠিক তেমনি একটা মুভি দেখলেও, ভালো মুভি দেখতে হবে। যেন মুভি দেখার পর মনে না হয় সময়টা অপচয় করা হলো। ভ্রমন করতে হবে। কমপক্ষে তিন মাসে একবার হলেও ভ্রমন করতে হবে। ভ্রমন আপনাকে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকা শেখাবে। পরিবারকে সময় দিবেন। বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিবেন। জ্ঞানী লোকদের সাথে চলাফেরা করবেন। দুষ্টলোক ও কুসংস্কার বিশ্বাসীদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন।
ভ্রমন করতে টাকা লাগে।
সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে হলে টাকা লাগে। প্রিয় মানুষের জন্য কিছু করতে হলে টাকা লাগে। বিয়ে করতে টাকা লাগে। ঘর সংসা অর্থ্যাত সংসার ধর্ম করতেও টাকা লাগে। জীবনে যা-ই করবেন তাতেই টাকা লাগবে। এজন্য টাকা ইনকাম করতে হবে। প্রচুর টাকা ইনকাম করতে হবে। সৎ ভাবে, পরিশ্রম করে টাকা ইনকাম করতে হবে। টাকা না থাকলে নিজের পরিবারের কাছেও দাম পাবেন না। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে তুলতে না পারলে ভালো চাকরী পাবেন না। ভালো চাকরী না পেলে জীবনে উন্নতি হবে না। ছোট খাটো চাকরী করে জীবন পার করে দিতে হবে অভাবে অভাবে। মনে রাখবেন অভাবীদের কেউ ভালোবাসে না। কাজেই নিজের যোগ্যতা ও মেধা খাটিয়ে উন্নতির শিখরে যেতে হবে। এবং এই কাজ কেউ আপনাকে করে দিবে না। যা করার আপনাকেই করতে হবে।
মানুষকে ভালোবাসবেন।
কোনো মানুষকে অবহেলা করবেন না। হোক সে রিকশাচালক, হোক সে আপনার বাড়ির কাজের বুয়া বা দাড়োয়ান।। সবাইকে সম্মান করে কথা বলবেন। সময়ের সাথে চলা শিখতে হবে। আধুনিক টেকনোলোজি সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখতে হবে। বিজ্ঞান জানতে হবে। বুঝতে হবে। ধর্ম না জানলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু বিজ্ঞান, দর্শন, টেকনোলোজি ইত্যাদি বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান নিজের মধ্যে ধারন করতে হবে। ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলতে হবে। ভালো ইংরেজি না জানলে নিজের ভাষার বাইরের লোকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন না। মানুষ হয়ে জন্মেছেন, তাই আপনাকে মহৎ কিছু কাজ করতে হবে। যেমনঃ একটা লাইব্রেরী করে দিলেন। অসংখ্য মানুষ সেখানে বই পড়বে। দরিদ্র অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিবেন। একজন বেকারকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন। তবে সবার আগে নিজের পরিবারের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।
দুষ্ট মানুষদের সাথে মিশবেন না।
যারা মন্দ কাজ করে এরা দেশের শত্রু। মন্দ লোকদের আমৃত্যু ঘৃণা করবেন। বাবা মাকে সম্মান করবেন। সন্তান হিসাবে বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পিছপা হবেন না। স্ত্রীকে সম্মান করবেন। ভালোবাসবেন। নিজের সমস্ত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করবেন। অফিসে কাজে ফাঁকি দিবেন না। যখন যা করবেন মন দিয়ে করবেন। নিজে কম কথা বলবেন। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনবেন। বলার চেয়ে শোনা ভালো। মানুষকে অপমান অবহেলা করবেন না। অবসর সময়ে দেশের সমস্যা গুলো নিয়ে ভাববেন। সমাধানের পথ খুজবেন। অন্যায় কাজ করবেন না। পাপ করবেন না। তাহলেই দেখবেন আপনার জীবন হবে আনন্দময়।
২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: পড়তে পড়তেই উদ্দেশ্য তৈরি হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩৮
সোবুজ বলেছেন: সমস্যাকে সামনে রেখে পড়া শুনা করা ভালো।কি জন্য পড়বো আগে ঠিক করতে হবে।শুধু পড়ার জন্য পড়া খুব একটা কাজে দেয় না।পড়ার উদ্দেশ্য আগে ঠিক করতে হবে।