নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেসব হুজুর ওয়াজ করে তারা কতভাগ মিথ্যা বলে?

২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৮

ছবিঃ যুগান্তর।

হুজুরদের জ্ঞান কম। তাঁরা শুধু ধর্মীয় বই পড়েন।
তাঁরা বিজ্ঞান জানেন না। এমন কি বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের কোনো ধারনাও নাই। তাঁরা টেকনোলোজি সম্পর্কে কিচ্ছু বুঝে না। দেখুন, বর্তমান সমাজ, দেশ এবং রাষ্ট্র- ধর্ম দিয়ে চলে না। দেশ চলে সংবিধান দিয়ে। এই সংবিধান সকল নাগরিক মেনে চলেন। অথচ হুজুরেরা চিৎকার দিয়ে ওয়াজে গলা ফাটাচ্ছেন। তাদের ওয়াজ কারা শুনছে? কোন শ্রেনীর মানুষ শুনছে? গ্রামের মুর্খ মানুষ, কৃষক, ভিক্ষুক, দিনমজুর ইত্যাদি দরিদ্র ও অসহায় মানুষজন। আমি নিশ্চিত কোনো হুজুর আইনস্টান বা নিউটনের কোনো সুত্র বলতে পারবে না। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কতটুকু সেটা বলতে পারবেন না। স্টিফেন হকিং এঁর নামও সম্ভবত কোনো হুজুর জীবনে শুনে নি। বিশ্ব সাহিত্য সম্পর্কে হুজুররা সম্পূর্ন অজ্ঞ। টাইমস ম্যাগাজিন কোনো হুজুররা পড়েন না। আমেরিকা, কানাডা বা জার্মানীতে ওয়াজ হয় না। উন্নত দেশে ওয়াজ হয় না।

হুজুররা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছে।
ধর্ম বেঁচে তাঁরা খেয়ে পেড়ে বেঁচে আছে। হুজুররা প্রচুর মিথ্যা বলেন। অযৌক্তিক কথা বলেন। রুপকথার গল্প বলেন। আধুনিক পৃথিবীতে যার কোনো ভিত্তি নেই। ওয়াজ শুনে কারো কোনো উপকার হয় না। ওয়াজ দিয়ে দেশ, সমাজ বদলানো যায় না। যদি ওয়াজ দিয়ে উপকার হতো তাহলে আমাদের দেশ অনেক আগেই বদলে যেতো। লোকজন দূর্নীতি করতো না। ধর্ষন করতো না। মন্দ কাজ করতো না। খেয়াল করে দেখবেন, গ্রাম দেশে ওয়াজ বেশি হয়। যে গ্রামে ওয়াজ এর আয়োজন করা হয়- সেই গ্রামে একটা উৎসব উৎসব ভাব এসে যায়। প্রচুর বাদাম, ঝালমুড়ি, আলুর দম বিক্রি হয়। আসলে গ্রামে ঢাকা শহরের মতো আনন্দ উৎসবের এত এত উপকরন নেই। তাই মানুষ দলে দলে ওয়াজ শুনতে যায়। আপনি নিজেই আপনার গ্রামে ওয়াজের ব্যবস্থা করুণ। অন্যপাশে কর্নসাট এঁর আয়োজন করুণ। দেখুন কোথায় লোক বেশি হয়!

যারা ওয়াজ করে তাঁরা প্রচুর টাকা নেয়।
অনেক ওয়াজকারী আছেন তাঁরা ভুলভাল কথা বলে সেলিব্রেটি হয়ে গেছে। এখন তাদের বায়না করে আনতে অনেক খরচ হয়। কেউ কেউ তো হেলিকাপ্টার ছাড়া যেতে রাজী হন না। তিন লাখ, পাঁচ লাখ টাকা দাবী করেন। শিক্ষিত মানুষ ওয়াজ শুনে বিনোদন হিসাবে। ওয়াজিরা আসর জমানোর জন্য নানান ররকম অঙ্গভঙ্গি করেন। নানান রকম আঞ্চলিক শব্দে কথা বলেন। এগুলো শুনে জনগন মজা পায়। জ্ঞানী মানুষরা অনুভব করে, হুজুর লজিক বিহীন কথা বলছেন। জ্ঞানী মানুষেরা মুহুর্তের মধ্যে হুজুরদের ভুল গুলো ধরে ফেলে। কিন্তু গ্রামের সহজ সরল মানুষ হুজুরদের ভুলভাল কথা ধরতে পারে না। আমার এক বন্ধু, মন খারাপ হলেই ইউটিউবে ওয়াজ শুনে। বন্ধু বলে, হুজুররা খুব সুন্দর বিনোদন দেয়। যা কপিল শার্মার শো থেকেও পাওয়া যায় না। ওয়াজ ভালো বিনোদন। বিশ্বাস না হলে ইউটিউবে কিছু ওয়াজ শুনুন।

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ ধার্মিক।
হুজুরেরা এই সুযোগটাই নেয়। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশের হুজুরেরা বেশ আছে। তাদের কোনো অভাব নেই। প্রতিটা ওয়াজকারী নিজস্ব দামী গাড়ি আছে। মাদ্রাসা আছে। কেউ কেউ তো বডিগার্ড পর্যন্ত রেখে দিয়েছেন। অনেক হুজুর ইউটিউবে চ্যানেল খুলেছেন। নিজের ওয়াজ সেই চ্যানেলে আপলোড করেন। ওয়াজ করে মানুষ বদলানো যায় না। সমাজ বদলানো যায় না। দুষ্ট লোকদের ভালো করা যায় না। ওয়াজ শুনে দেশ সমাজের কোনো উপকার হয় না। তবে উপকার হয় হুজুরদের। তাঁরা অনেক টাকা পান। সেই টাকা দিয়ে হুজুররা মোজমাস্তি করেন। তাতে সাধারন মানুষের কোনো উপকার হয় না। কোথাও ওয়াজ এঁর আয়োজন করা হলে- চাঁদা তোলা হয়। গ্রামের মানুষ আগ্রহ নিয়ে চাঁদা দেয়। তাদের ধারনা ওয়াজ ভালো জিনিস। সোয়াব পাওয়া যাবে। সোয়াব পেতে মুসলমানরা খুব পছন্দ করেন। কাল্পনিক হুর পাওয়ার জন্য মুসলমানরা অস্থির।

ওয়াজ শুনে আপনি বেহেশতে চলে যাবেন না।
ওয়াজ দিয়ে আপনার ঘরে খাবার চলে আসবে না। ওয়াজ শুনে অসুস্থ মানুষ সুস্থ হয়ে যাবেন না। ওয়াজ আপনার বিপদ আপদ দূর করতে পারবে না। আপনার উন্নতির জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না। যা করার আপনাকেই করতে হবে। ধর্ম মূলত আফিম। এই আফিমে মুসলমানরা 'কাত' হয়ে যায়। এই সুযোগটাই হুজুররা নেয়। 'লাল সালু' উপন্যাসটা কি পড়েছেন? আরজ আলী মাতুব্বর পড়েছেন? মুসলমানরা অন্যের মুখের স্বাদ খেতে পছন্দ করেন। নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করেনে না। এজন্য প্রচুর পড়তে হবে। বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় গুলো পড়ুন। জ্ঞান সঞ্চয় করুণ। তাহলে কেউ আপানাকে ঠকাতে পারবে না। ধর্ম নিয়ে প্রচুর পড়ার কিছু নাই। শুধু মাত্র কোরআন এবং হাদীস। ধর্ম নিয়ে এক সপ্তাহ লেখাপড়া করে একটা বই প্রকাশ করা সম্ভব। বাংলাদেশে কোনো হুজুরের 'পিএইচডি' ডিগ্রী নেই। তাদের জ্ঞান শুধু একটা বিষয়ে। সেই বিষয়ের জ্ঞান দিয়ে ইহকালে কিচ্ছুই পাওয়া যায় না। মূলত ধর্মই দেশটারে খাইলো। ধর্মের কারনে দেশভাগ হলো। কাজেই হুজুরদের মুখে আবোল তাবোল কথা না শুনে- একটু কষ্ট করে নিজে পড়ে নিন।

চাষী, শ্রমিক, ভিক্ষুক, ইমাম ইত্যাদি সাধারণ মানুষ প্রকাৃতিকভাবে সৎ থাকার কথা।
কিন্তু সরকারের লোকেরা অসৎ হলে, দেশের বেশীরভাগ নাগরিক অসৎ হয়ে যায়। যারা একবার অসৎ হয়ে গেছে তাদের সৎ করা প্রায় অসম্ভব। নতুন প্রজন্মকে সৎ করে গড়ে তোলার চেষ্টা জাতিকে করতে হবে। অবশ্য অসৎরা সৎ প্রজন্ম করবে কি ভাবে! দেশ পরিচালকেরা সৎ হলে দেশের মানুষ টিসিবির গাড়ির পিছনে দলবদ্ধভাবে দৌড়াতে হতো না। দেশ সঠিকভাবে চললে, ৭১ এর পর আমরা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারতাম। সরকার, ব্যুরোক্রেট ও রাজনীতিবিদরা অসৎ হওয়ায়, পুরো জাতি ভয়ংকর অসৎ হয়ে গেছে। আসলে আমাদের দেশের লোকজন পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ানদের চেয়ে বেশি অসৎ জাতিতে পারিণত হয়েছে। বিগত ১০/১৫ বছরের রাজনীতি মানুষকে খুবই অসৎ করেছে। সবারই চিন্তা চেতনা কিভাবে টাকা রোজগার করা যাবে। অসৎ না সৎ ভাবে সেটা মূখ্য বিষয় না। এই ভাবনাই দেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ২:০৮

সোবুজ বলেছেন: আমি প্রচুর ওয়াজ শুনি এবং বিনোদন পাই।কতো রংঙ্গের কথা হেলিয়া দুলিয়া নাচিয়া নাচিয় ওয়াজ করে কিছু আলেম।কিছু আলেম গানও গায়।দেখতে মজাই লাগে।
কিছু আলেম ইদানিং ড,লেখে।তারা মদিনা বা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্য বা ধর্মের কোন বিষয়ের উপর Ph.D করা।ওয়াজে কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে।কিন্তু বিজ্ঞানের বিষয়ে যা বলে সবটাই ভুল।

২২ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারি ভাবে ওয়াজ বন্ধ ঘোষনা করা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.