নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
আগে বলুন আপনি কি মানুষ না মুসলিম?
আগে আপনি কোনটা মানুষ? না মুসলিম? আরেহ ভাই এটা আধুনিক জগত। ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিচার করবেন না। মানুষকে 'মানুষ' ভাবতে শিখুন। হিন্দুর রক্ত, মুসলমানের রক্ত কি আলাদা? তার যা আছে আপনারও তা আছে। ধর্ম দিয়ে মানুষকে ছোট করবেন না। ধর্মকেও ছোট করবেন না। মাদার তেরেসা সারা জীবন কি করেছেন? তিনি সারা জীবন মানুষের সেবা করেছেন। কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিস্টান সেটা নিয়ে তিনি মাথা ঘামান নি। তিনি বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখেছেন? মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ সঠিক জ্ঞান। জ্ঞান সঞ্চয় করুন। জ্ঞান আপনার মধ্যে থাকা ভুল গুলো শুধরে দিবে।
হিন্দু বন্ধুর গলা ধরে হাটবেন।
একসাথে চা খাবেন। আড্ডা দিবেন। তার বাসায় যাবেন। চা নাস্তা খাবেন। তাকে আপনার বাসায় আনবেন। এখানে সমস্যার কিছু নেই। সে তো মানুষ। বনের হিংস্র পশু নয়। আর যদি ধর্মের কথাই বলেন, একজন মুসলমান হিসাবে আপনার অনেক দায়িত্ব আছে। সেসব কি আপনি যথাযথ মেনে চলেন? না, ধর্মের সব নিয়ম কেহ সহি ভাবে মেনে চলে না। সেটা সম্ভবও নয়। আমাদের নবিজি হিন্দুর ঘরে গিয়েছেন। খেয়েছেন। হিন্দুর বিপদে এগিয়ে গিয়েছেন। আপনি কেন এত দ্বিধার মধ্যে আছেন? সহজ সরল জীবনযাপন করুণ। মানুষকে ভালোবাসুন। সম্মান করুণ। মন থেকে সমস্ত কুটিলতা, জটিলতা দূর করুণ। আনন্দ নিয়ে বাঁচুন। ধর্ম ও ধর্মের নিয়ম শান্তির জন্য। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য। জীবনকে সহজ করার জন্য। আপনি কি যিশু বা আমাদের নবিজি সম্পর্কে জানেন? না জানলে জেনে নিন। কারো মুখ থেকে জানবেন না। ভালো বই পড়ে জেনে নিন।
আমি মুসলমান।
কিন্তু তার আগে আমি মানুষ। আমি হিন্দুদের পূজোয় যাই। প্রসাদ খাই। পূজোর সময় আমার বাসার আসে পাশে সব মন্দিরে যাই। পুজো দেখি। ডাক ঢোল আর বাজনা শুনি। স্বচ্ছ আনন্দ উপভোগ করতে দোষ কোথায়? স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমার বেশ কয়েকজন হিন্দু বন্ধু ছিলো। বিকেলে আমরা একসাথে ফুটবল খেলতাম। সিনেমা দেখতাম। পূজোর সময় ওদের বাসায় গিয়ে নাড়ু খেয়ে আসতাম। আমার বন্ধুও ঈদের সময় আমাদের বাসায় আসতো। সেমাই খেতো। পোলাউ খেত। রোষ্ট খেত। এখানে সমস্যা কোথায়? আমার তো কোনো সমস্যা নেই। আমার বন্ধুরও কোনো সমস্যা নেই। ধর্মেরও কোনো সমস্যা থাকার কথা না। ভালো কাজ করতে ধর্ম নিষেধ করে নাই। মন্দ কাজ করতে পৃথিবীর সব দ্ধর্মই নিষেধ করেছে।
আমি যতবার বিপদে পড়েছি, আমার মুসলমান বন্ধুরা আমাকে কোনো সাহায্য করেনি।
একবার আমার খুব অসুখ হলো। আমার হিন্দু বন্ধু বাসায় এসে আমার সেবা যত্ন করেছে। কলেজে আমার এক বন্ধু ছিলো। তার নাম নরত্তম চক্রবর্তী। খুবই ভালো ছেলে। খুব সুন্দর গান গাইতে পারতো। আমার মন খারাপ হলেই বন্ধুকে বলতাম- দোস্ত একটা গান শোনা। বন্ধু গাইতো। খুব সুন্দর গলা। যাই হোক, আপনার একজন না- একশ' জন হিন্দু বন্ধু থাকলেও কোনো সমস্যা নাই। মুসলমান হিসাবে আপনার কি করনীয় এটা না ভেবে, ভাবুন মানুষ হিসেবে আপনার কি কি করনীয়। ভালো কাজ করতে মুসলমান বা হিন্দু হতে হয় না। কারো উপকার করতে হিন্দু বা মুসলমান হতে হয় না। হতে হয় একজন মানবিক মানুষ। আপনি এখনও আধুনিক হতে পারেন নি। আপনার চিন্তা ভাবনা উন্নত নয়। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বন্ধী হয়ে আছেন। প্রভু কি শুধু মুসলমানদের জন্য পৃথিবী তৈরি করেছেন? আমার কথায় রাগ করবেন না। বুঝতে চেষ্টা করুণ। প্লীজ।
আপনি মানুষ।
মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের প্রতি আপনার যা দায়িত্ব আছে সেটা পালন করুণ। মানুষটা হিন্দু না মুসলমান সেটা কোনো বিষয় না। সব কিছুর মধ্যে ধর্ম আনবেন না। আপনি আপনার মতো করে ধর্ম পালন করুণ। আপনার বন্ধু, সে তার মতো ধর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাঁধা না দিলেই হলো। ধর্মের কারনে দেশ ভাগ হলো। কত যুদ্ধ, দাঙ্গা হাঙ্গামা হলো। কত শত মানুষ মরলো। ফলাফল শূন্য। কাজেই ধর্মের কথা ভুলে যান। মানুষ হিসেবে দেখুন। একজন মুসলমান ডাক্তার কি হিন্দুর চিকিৎসা করেন না? অথবা একজন হিন্দু ডাক্তার কি মুসলমানের চিকিৎসা করেন না? মাথা থেকে আজগুবি ও সস্তা চিন্তা সরান। চিন্তা ও চেতনায় আধুনিক হোন। প্রচুর বই পড়ুন। মনের সংকীর্তা দূর করুণ। উদার হোন। বিশ্ব কোথায় এগিয়ে গেছে সেই খবর রাখেন? যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন। মন থেকে সমস্তস কুসংস্কার দূর কররুন। তা না হলে দুনিয়াতে আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন না।
২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৫
সোবুজ বলেছেন: আপনি ধার্মীক হলে তার থেকে দুরে থাকুন,মানুষ হলে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করুন।পৃথিবীর সকল মানুষের ঐক্য চাই,ধর্ম থেকে দুরে থাক তাই।