নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১০৩

১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

ছবিঃ আমার তোলা।

আজকে বাংলা আষাঢ় মাসের ৩০ তারিখ।
আর একদিন পর শুরু হবে শ্রাবন মাস। চলছে বর্ষাকাল। অথচ কোনো বৃষ্টি নাই। চারিদিকে মারাত্মক গরম। ঘর থেকে বাইরে যাওয়া যায় না এমন অবস্থা। রোদের মারাত্মমক তাপ। ছোট ভাই তার পরিবার নিয়ে কক্সবাজার গেছে। গমের কারনে চলে এসেছে। চামড়া যেন পুড়ে যায়। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে না কেন? তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ৩৫ ডিগ্রী। কিন্তু অনুভব করছি তারপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী। সাধারণত ৩০ ডিগ্রী তাপমাত্রা হলেই শরীরে ঘামাচি উঠে যায়। ছোটবেলায় বর্ষাকাল নিয়ে রচনা মূখস্ত করেছি। সেই রচনার সাথে এখনকার বর্ষাকালের কোনো মিল নেই! আষাঢ়, শ্রাবন মাস নিয়ে কত কবিতা আর গান আছে। সে সব আজ মিথ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কোরবানীর ঈদ শেষ হলো।
এবার প্রায় দেশে এক কোটি গরু এবং ৩৫ লাখ ছাগল জবাই হয়েছে। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আগামী বছর হয়তো আরো বেশি গরু ছাগল জবাই হবে। আমাদের এখানে বিশাল হাঁট বসিয়েছিলো। অসংখ্য গরু। কিন্তু ঈদের আগের দিন পুরো হাঁট খালি হয়ে গেছে। লোকজন গরু কিনতে এসে ফিরে গেছে। আমি মনে মনে ভেবেছিলাম এত এত গরু কিনবে কে? তাছাড়া একটা মাঝারি সাইজের গরুর দাম দেড় লাখ টাকার বেশি। বাংলাদেশের মানুষ তো বেশ ভালোই ধনী। তাহলে গরুর মাংসের জন্য এত লোক বাড়ি বাড়ি ছোটাছুটি করে কেন? এবার নিজেদের জন্য কোন মাংস রাখি নাই। সব বিলিয়ে দিয়েছি।

ভেবেছিলাম ঈদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে একটা ছবি ব্লগ পোষ্ট দিবো।
ব্লগার শায়মা সব সময় ঈদের খাবারদাবার নিয়ে একটা রাজকীয় ছবি ব্লগ পোষ্ট দিতেন। উনাকে অনেকদিন ব্লগে দেখছি না। মনে হয় ব্যস্ত আছেন। যাইহোক, কোরবানীর ঈদের দিন আমার ঘর থেকেই বাইরে বের হতে ইচ্ছা করে না। লোকজনের রাস্তায় গরু জবাই দেয়। রাস্তা নোংরা করে রাখে। হাঁটা যায় না। আর খুব বাজে গন্ধ। অবশ্য এবার সিটি কর্পোরেশন ভালো সার্ভিস দিয়েছে। আমার ঈদের আসল আনন্দ ছিলো ছোটবেলায়। এখন কোনো আনন্দ পাই না। টিভির অনুষ্ঠান দেখি না। কারো বাসায় যাই না। কেউ বাসায় এলেও বিরক্ত লাগে। শুধু খাওয়াদাওয়া করি। নিজের কন্যাকে সময় দেই।

মা রান্না করা ছেড়ে দিয়েছে- বহু বছর হয়েছে।
তার চার ছেলের বউ রান্নাঘর দখল করে নিয়েছে। ঈদের দিন আমাদের বাসায় তিন রকমের সেমাই রান্না হয়। দুধ সেমাই। শুকনো সেমাই আর লাচ্ছা সেমাই। তিনটা সেমাই খেতে দারুন হয়। প্রচুর পরিমানে রান্না করা হয়। ফ্রিজে থাকে। যখন খুশি নিয়ে নিয়ে খাও। পায়েস রান্না হয় ঈদ উপলক্ষ্যে। ৮ কেজি দুধকে জাল দিয়ে-দিয়ে এক কেজি করা হয়। সেই একে কেজি দুধ দিয়ে পায়েস তৈরি করা হয়। সাথে কনডেন্স মিল্ক ও নানান রকম বাদাম দেওয়া হয়। বাসার সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে খায়। কিন্তু আমি খাই না। কেন জানি পায়েস, পুডিং আর বোরহানী আমার ভালো লাগে না। বাসায় বলেছি, আমি যেসব খাবার খাই না, সেসব খাবার কেন রান্না করো!

ঈদের দিন দুপুরের খাবার হচ্ছে খিচুড়ি।
সাথে গরুর মাংস, মূরগীর মাংস। চিংড়ি ফ্রাই। ইদানিং বাসায় বোরহানী বানানো হয়। আমার ভাবী আজকাল কোনো কিছু দোকান থেকে কিনেন না। উনি নিজে সব বাসায় তৈরি করেন। কারন বাসার তৈরি খাবার ১০০% নিরাপদ। রাতের খাবার হচ্ছে- পোলাউ, রোষ্ট (দেশী মূরগী), গরুর মাংস। টিকিয়া। এছাড়া থাকে, চটপটি, সনপাপরি, পুডিং আর নানান রকম কোমল পানীয়। আমি ইদানিং খাবার দাবার কমিয়ে দিয়েছি। খুবই সামান্য খাই। কম খেলেই শরীর সুস্থ থাকবে। তাছাড়া মা বলেছে, বয়স হচ্ছে, হিসাব করে খেও। খেয়ে অসুস্থ হয়ে যেও না।

ছোটবেলায় দেখেছি মা খুব বেশি কিছু রান্না করতো না।
তবে মায়ের হাতের একটা খাবার আমি খুব মিস করি। সেটা হচ্ছে জাল দেওয়া মাংস। এক পাতিল মাংস নিতো, তাতে শুধু আদা, রসুন, লবন আর জিরা দিতো। আর কিচ্ছু না। খুব অল্প সময়ে মাংস নরম হয়ে যেত। গরম গরম খেতে দারুন লাগতো। জাল দেওয়া মাংসটা আমি খুব মিস করি। যখন খেতে ইচ্ছা করতো, চুলায় গরম করতাম আর খেতাম। শেষের দিকে খেতে মাংসটা বেশি ভালো লাগতো। জাল দিতে দিতে মাংসের স্বাদ বেড়ে যেত। এখনকার বউ-জিরা এসব পারে না।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌
আজকের লেখা ভালো হয়েছে

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: অশেষ শুকরিয়া।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: মা নিয়ে কতো সুন্দর স্মৃতি! +

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনারও নিশ্চয়ই আছে।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



অনেক গরম? ঢল হওয়ার কথা, পানি কোথায় গেলো?

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের বৃষ্টি ইন্ডিয়াতে হয়ে গেছে।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

খাওয়া পাগল মানুষ।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: না। একদম না।
আমি বেঁচে থাকার জন্য অতি সামান্য খাই।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

খাওয়া পাগল মানুষ।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

খাওয়া পাগল মানুষ।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


মায়ের রান্নাকে চির দিনের জন্যে ধরে রাখার উপায় হচ্ছে- ভিডিও করে রাখা।

আমার মায়ের রান্নাগুলো আমরা ভিডিও করে ইউটিউবে রেখে দিচ্ছি।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আইডিয়া। গ্রেট।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার মা-য়ের রান্নার কথা আমাকে ভালো লেগেছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: জাল দেওয়া মাংস খেতে অনেক স্বাদ।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: রানু ভাই, খাবার দাবারের গল্প পড়তে খারাপ লাগে না । খালি খাইতে মুঞ্চায় :P

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: কম কম খাবেন। তাহলে শরীর ভালো থাকবে।

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: একেবারে গোছানো। পড়ে আরাম পেলাম। ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: না খুব গোছানো না।

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার শরীর এখন কেমন?
আজকের ডাইরীটা সুন্দর হয়েছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: শরীর ভালো না।
দোয়া করবেন।

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ক্ষুধা লাগিয়ে দিলেন। একদিন আপনার গ্রামের বাড়ি যাবো। গল্পের প্লট এর জন্য

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো শহরের গল্প। আমি সারা জীবন শহরে থাকা মানুষ। বছরে দুই একবার গ্রামে যাই।

হ্যাঁ আপনাকে আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবো।

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি শায়মা আপুর ঈদ পোস্ট মিস করসি।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: উনি আসবেন। অবশ্যই আসবেন।

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৯

কামাল৮০ বলেছেন: ঈদের দিন আমার মন সব থেকে বেশি খারাপ থাকে।অন্যান্য দিনের থেকে ঈদের দিন,ধনী গরিবের বৈষম্যটা প্রকট ভাবে দেখা যায়।যেটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়।তাই আমি আমার অসহায়ত্বের কথা ভেবে খুব কষ্ট পাই।কিছুই করা হলো না।তথ্চ কতো কিছু করার স্বপ্ন ছিল।প্রচেষ্টাও ছিল।হয়তো প্রচেষ্টা সঠিক ছিল না।
ঈদের দিন সকালে দেখি গিন্নির মন খারাপ।জানা গেল সেমাই রান্ন করতে না পেরে মন খারাপ।গাড়ী নিয়ে আমি আর মেয়ে বের হলাম সেমাই এর খোঁজে।অনেক খোজা খুজির পর শেমাই পাওয়া গেল।এখানে ঈদের কোন আনন্দ নাই।ছুটিও নাই।যে দিকটায় মুসলমান বেশি থাকে সে দিকটায় অনেক আনন্দ হয়।আমাদের দিকটায় মুসলমান নাই বললেই চলে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে আগে বললেই এক কার্টুন সেমাই পাঠিয়ে দিতাম। কোনো ব্যাপারই না।

১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার ওস্তাদের কি আবার
কোন সমস্যা?

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: না। সমস্যা না।

১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনার মুসলমানী
গেলো কই?
আপনি খাইছেন নাকি
অন্য কেউ?

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---

১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:


এবার তো ব্লগার শায়মার হাঁড়ি পাতিল দেখছি না; ২/১ দিনের ভেতর দিতে পারে, গতকাল ব্লগে দেখলাম।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হয় এবার নতুন নতুন সেট কেনা হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.