নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
আমি বাড়িওলা। আমার পাওয়ার আছে।
কাজেই আমি ভাড়াটিয়াদের অনেক অত্যচার করবো। এবং ভাড়াটিয়াদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে। আমার বাড়ির নিয়ম নীতি আছে। এই নিয়ম যে না মানবে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবো। শহরে আরো বাড়ি আছে ভালো না লাগলে সেখানে যাও। আমার বাড়িতে থাকতে হলে- আমার কথা অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। কারন চাবি আমার হাতে। অপছন্দ হলেই তালা মেরে দিবো। এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে বলবো, বাড়ি ভাড়া দেবার সময়ই যা বলার আমি বলে দিয়েছি। আমার কিচ্ছু করার নাই। ভালো করে তাকিয়ে দেখুন নিয়মনীতি লেখা আছে।
আসল কথা হলো- আমি কাউকে শান্তিতে থাকতে দিবো না।
আমার বাড়ি। আমাকে তেল দিয়েই চলতে হবে। নইলে আমি থামিয়ে দিবো। আজ পর্যন্ত কোনো ভাড়াটিয়া, বাড়িওলাদের সাথে পেরেছে? পারে নাই। পারবেও না। ভাড়াটিয়াদের শাস্তি দেওয়ার অনেক সিস্টেম আছে আমার। পানি বন্ধ করে দিবো। সন্ধ্যা না হতেই গেটে তালা লাগিয়ে দিবো। ভাড়াটিয়া যদি একেবারেই কথা না শুনে তাহলে তাহলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলব। প্রয়োজনে আমি অন্য বাড়ির নাম ঠিকানা দিবো। একটা বাড়ি করতে তো অনেক খরচ। বিল দাও, কর দাও। খাজনা দাও। ভাড়াটিয়ারা টের পায় না। আসলে ভাড়াটিয়াদের তেল জমে গেছে।
আমি বাড়িওলা। আমার কথাই শেষ কথা।
আমি চাইলে আমার ভাড়াটিয়ারা ভালো থাকবে। আমি চাইলে মন্দ থাকবে। আমি চাই না আমার এক ভাড়াটিয়া, অন্য ভাড়াটিয়ার সাথে খাতির করুক। এই ব্যাপারে আমি ভাড়াটিয়াদের কোনো উৎসাহ প্রদান করি না। এটা আমার নীতির বাইরে। তবে আমি আমার কয়েকটা ভাড়াটিয়াকে পছন্দ করি। তাদের ছাড় দেই। অপরাধ করার সুযোগ দেই। এমন কি নীচ তলার ভাড়াটিয়াকে গালি দিতে গোপনে উৎসাহ দেই। আমি একজন ভালো বাড়িওলার মুখোশ পড়ে আছি। আড়ালে আমি মন্দ বাড়িওলা। আমার কাছে নতুন ভাড়াটিয়া আর পুরান ভাড়াটিয়া সব এক। সবাইকে সমান চোখে দেখি। যদিও পুরান চাল ভাতে বাড়ে।
আমার নানা বলতেন- জোর যার মুল্লুক তার।
কাজেই ভাড়াটিয়াদের উচিৎ চুপ করে থাকা। অন্যায় দেখবে, তবু চুপ করে থাকতে হবে। উচিৎ কথাও বলা যাবে না। অনেক কিছু দেখেও চুপ করে থাকতে হবে। যেহেতু ভাড়াটিয়াদের হাতে ক্ষমতা নাই, তাই ভাড়াটিয়াদের রাগ দেখানো বোকামি হবে। রাস্তায়া তো আর থাকা যাবে না। কাজেই বাড়িওলার সাথে কোনো বিবাদে জড়ানো বোকামি হবে। বাড়িওলা চাইলে হিরো থেকে জিরোতে নামিয়ে দিতে পারে। এটা কোনো ব্যাপারই না। দাড়োয়ান রেখেছি। তাঁরা আমাকে তথ্য দেয়। কাজেই ফাঁকি দেওয়ার কোনো উপায় নাই। আমার একদল দক্ষ স্পাই আছে। স্পাই রাখতে হয়।
আসল সমস্যা হলো- কোনো মানুষই নিরপেক্ষ নয়।
এজন্য বাড়িওলা ভাড়াটিয়া মিলেমিশে থাকতে পারে না। বুদ্ধিমান ভাড়াটিয়ারা বাড়িওলার সাথে মিলেমিশে থাকে। ভাড়িওলা খুশি না হলে সে-ই ভাড়াটিয়া খুশি থাকতে পারবে না। তাকে চিকনে শাস্তি দেওয়া হবে। কেউ জানবে না, কেউ টের পাবে না। ভদ্রলোকেরা তো আর কোথাও গিয়ে নালিশ করতে পারে না। যদি পারতো তাহলে বাড়িওলার বিরুদ্ধে মামলা করতো, মানব বন্ধন করতো, অনশন করতো। কোনো ভাড়াটিয়াই এসব করে না। এজন্যই সমস্ত বাড়িওলার পাখা গজাইছে। ভাড়াটিয়াদের আশার কথা হচ্ছে- প্রকৃতি কাউকে ছাড় দেয় না। যথাসময়ে প্রকৃতি অপরাধের শাস্তি দিয়ে দিবে। এটা থেকে বাঁচার কোনো উপায় নাই।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো একটা পোস্ট দিয়েছেন।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সেই যুগ এখন আর নাই,
ভাড়াটিয়া ইচ্ছা করলে বাড়িওয়ালাকেও
নকানি চুবানি খাওয়াতে পারে।
তবে মিলে মিশে থাকাই উত্তম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমি বাড়িওয়ালা তাই আমি যা ইচ্ছে তাই করব। এভাবেই চলছে আসলে..।