নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকে ভূত দেখেছেন বলে দাবী করেন। সেটা আপনি কিভাবে দেখেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩



আমি মানুষজনের কাছ থেকে তাদের ভূতের গল্প গুলো মন দিয়ে শুনি। তারপর নিজে নিজে তাদের গল্পের ব্যখ্যা খুঁজে বের করি। কিন্তু এই ব্যাখ্যা নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করি না। কারন সে ভূত নিয়েই থাকতে চায়। ব্যাখ্যা চায় না। এক জীবনে সে লক্ষ কোটিবার এই গল্প জনে জনে বলে বেড়াবে। মানুষের চরিত্র এরকমই। সে ভুল বিশ্বাস নিয়ে থাকতে চায়। যারা জীবনে সঠিক শিক্ষা পায়নি তাঁরা এইসব ভূত তূত আর কুসংস্কার বেশি বিশ্বাস করে। এজ্জন্য মানুষকে পড়তে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।

ভূত বলতে দুনিয়াতে কিছু নেই। এগুলো কুসংস্কার। কিছু মানুষ আজন্ম ভয় পেতে ভালোবাসে। তাদের মনের কোনো ঘুপটি মেরে আছে ভয়। গাছ থেকে একটা পাতা খসে পড়লেও তাঁরা ভয় পায়। রাতের বেলা টিনের চালে শব্দ শুনলেও এরা ভয়ে কাঁপে। ভাবে কোনো অশরীরি বোধহয়। কিন্তু তাঁরা মাথা খাটায় না। লজিক ব্যবহার করে না। এই শ্রেনীর মানুষের লজিক অত্যন্ত দুর্বল। যে জিনিস দুনিয়াতে নাই সেটা দেখা যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। মাথাটা কাজে লাগাও। দেখবে সমস্ত ভুল জীবন থেকে দূরে চলে যাবে।

পৃথিবীর সব মানুষের জীবনে ভূতের অভিজ্ঞতা আছে। ধরুন, আমার মা বা বাবা আমাকে একটা ভূতের গল্প বলল। তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। তখন সন্তান হিসেবে আমি ভাববো- আমার বাবা মা যখন ভূত দেখেছে তাহলে নিশ্চয়ই ভূত আছে। বাবা মা তো আর মিথ্যা বলবেন না। এমন কি দাদা, দাদী, চাচা, মামা এরাও ভূতের গল্প বলে। এভাবেই ছোটবেলা থেকেই আমাদের মাথায় ভূত চেপে বসে। এবং আমৃত্যু ভূত বিশ্বাস নিয়েই জীবনযাপন করতে হয়। এজন্য বাবা আমাদের উচিৎ ছেলেমেয়েকে সঠিক গল্প বলা। সত্য গল্প বলা।

আমার নিজেরও ভূত দেখার অভিজ্ঞতা আছে। গ্রামে, শহরে, মধ্যদুপুরে, খালি বাসায়। কিন্তু আমি একজন আধুনিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে লজিক ব্যবহার করে বুঝেছি এগুলো ভূত নয়। আমার দেখা ঘটনা গুলোর ব্যাখ্যা আছে। যারা ভূত দেখেছেন, তাদের ঘটনা গুলোর সুন্দর ও সহজ ব্যখ্যা আছে। কিন্তু বেশির ভাগ লোকজনই ব্যাখা খুঁজে না। তাঁরা ভুল বিশ্বাস নিয়েই থাকতেই ভালোবাসে। এদের কে সুন্দর ব্যখ্যা দেওয়া হলেও এরা বিশ্বাস করবে না। তাঁরা ভুল বিশ্বাসকেই আকড়ে ধরে। এই সুযোগে দুষ্টলোকেরা নানানা রকম ভূতের গল্প ফাঁদে।

যারা ভূত বিশ্বাস করেন। বা দাবী করেন নিজের জীবনে ভূতের ঘটনা ঘটেছে- তাঁরা মূলত বেশির ভাগ ঘটনাই বানিয়ে বানিয়ে বলেন। সত্য মিথ্যা মিশিয়ে বলেন। এটা মানুষের স্বাভাবিক স্বভাব। আর গল্প গুলো এক মুখ থেকে আরেক মুখে গেলে- ডাল পালা বাড়তে থাকে। শাখা প্রশাখা গজাতে থাকে। যাইহোক, ভূত মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। অশরীরি যদি কিছু থেকেও থাকে, সে গুলো মানুষের ক্ষতি বা ভালো করার ক্ষমতা নেই। মানুষই মানুষের ক্ষতি করে। ভূত থাক বা না থাক, মানুষ ভূতের ভয় পেতে মানুষ ভালোবাসে। এজন্যই ভূতের মুভি গুলো বেশ জনপ্রিয়। ভূত নিয়ে আজও গল্প উপন্যাস লেখা হয়। আমি নিজেও লিখেছি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি যখন ভূত দেখেছিলেন, তখন সেটার পিছনে লজিক কি ছিলো?

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে !! ভুত দেখার পেছনে এটাই লজিক !!! কোন একটা পোড় বাড়িতে যাবো আর ভুত দেখবো না হয় নাকি ??

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

কামাল৮০ বলেছেন: কেউ ভূত দেখতেই পারে।এটা অস্বাভাবিক কিছু না।এটা বাস্তবের কোন ভূত না।এটা তার মস্তিস্কের সৃষ্টি।ছোট বেলা থেকে ভূতের গল্প শুনত শুনতে ভূত সম্পর্কে একটা ধারনা তার মনে তৈরি হয়।সেটাই সে বিশেষ সময়ে(ভয় পেলে)দেখে।অনেকটা হেলোসিনেশনের মতো।আরো অনেক ব্যাখ্যা আছে।এটা আমার নিজের ব্যখ্যা।বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।
বর্তমানে চোট বাচ্চারা ভূতের গল্প বড় একটা শুনে না।তাই ভূত কম দেখে।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভুত না আসলে এগুলো জ্বিন।মানুষ নাম দিসে ভুত। ভুত বলে কিছু নেই।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এখনো জ্বীন, ভুত নিয়ে এই ব্লগে পোস্ট হয়!! হা হা =p~
এগুলা বাস করে মানুষের মস্তিষ্কে, সে হিসেবে এসবের অস্তিত্ব আছে।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৮

পোড়া বেগুন বলেছেন:
মানুষ আর জ্বীন! মানুষ দেখা যায়, জ্বীন অদৃশ্য।
খারাপ জ্বীন মানুষকে ভয় দেখাতে পারে।
এখন কেউ যদি জ্বীনকে ভূত ভাবে
তাতে মানুষের দোষ কী?

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

বিটপি বলেছেন: আমি ভূত দেখার অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু দেখতে পাইনি। সেটাকে আমার সৌভাগ্যই বলতে হবে। এরকম কিছু দেখতে পেলে আমার নিজের উপর বিশ্বাসের জায়গাটাই নষ্ট হয়ে যেত।

একটা সহজ ব্যখ্যা দিচ্ছি। জঙ্গল বা স্যাতসেতে এলাকায় রাতের বেলা কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এরকম জায়গায় যখন শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে ফুসফুসে কিছু পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড ঢুকে যায়। এজন্যে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে চোখের দৃষ্টি কিছুটা ঘোলা হয়ে যায়। তাই এই অবস্থায় আপনি যদি নার্ভাস বা উত্তেজিত থাকেন, তবে মস্তিষ্ক চাইবে আপনার উত্তেজনা কমাতে। তাই যা দেখতে চাইবেন বা যা নিয়ে নার্ভাস - এরকম কিছু একটার ইমেজ আপনার চোখের সামনে আসবে। যাতে উত্তেজনার পরিসমাপ্তি ঘটে। এখন আমি যেহেতু এই ব্যখ্যাটা জানি, তাই এরকম পরিবেশে এরকম প্রভাব আমার উপরে পড়েনি, তাই আমি কখনও ভূত দেখিনি।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

রেজাউল৮৮ বলেছেন: আমার পরিচিত একজনের একবার হিশু বন্ধ হয়ে গেল । কি এক্টা অবস্তা হাস্পাতালে নিয়ে যেয়ে নল ঢুকিয়ে দিয়ে হিসু করাতে হলো। অনেক কষ্ট সাথে গুচ্ছের টাকা নষ্ট।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫০

রেজাউল৮৮ বলেছেন: চার দিন হয়ে গেল আপনি লেখা দিতেসেন না। আমাদের পক্ষে কিছু করণীয় থাকলে জানাঈবেন।

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ইদানিং আওইনি মন্তব্যের উত্তত দিচ্ছেন না,
মন খারাপ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.