নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১৯৯৫ সাল থেকে 'বই দিবস' পালন করা হচ্ছে।
বই কেন পড়া উচিৎ- এটা আজ সবাই জানেন। কিন্তু তারপরও মানুষ বই পড়ছে না। এই প্রজন্ম বই পড়ার চেয়ে টিকটক করতে বেশি পছন্দ করে। মসজিদ, মন্দির যেমন একজন মানুষকে ভালো পথে আনতে পারে না। ঠিক তেমনি বই পড়েও অনেকে ভালো পথে আসে না। এজন্য কি মসজিদ, মন্দির বা বই দোষী? না, কখনও না। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে প্রিয় মানুষটাকে কি উপহার দেব? আমি দুটো জিনিস দিতে বলি- এক বই অন্যটি গাছ। বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টিতে অবসর সময়ে প্রিয় মানুষকে বই উপহার দিন, একটা ভালো বই একটা মানুষকে নতুন পৃথিবীর সন্ধান দিবে।
আজকাল অনেকেই বই প্রকাশ করছে।
অথচ সে সত্যিকারের লেখক বা পাঠক নয়। শুধু নিজের অপরাধ ঢেকে রাখার জন্য সে হাবিজাবি লিখে নিজে টাকা দিয়ে বই প্রকাশ করে যাচ্ছে। দুষ্টলোকজন 'লেখক' খেতাবি নিচ্ছে টাকার বিনিময়ে। এটা সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। অতীব দুঃখের কথা আমাদের দেশে বর্তমানে ভালো লেখকের খড়া চলছে। অথচ তথা কথিত লেখক দিয়ে ভরে গেছে। কিন্তু খুঁজতে গেলে একজন সত্যজিতের মতো, মানিক বন্ধোপাধ্যায়, বিভূতির মতো লেখক আমাদের নেই। আমার বাবা আমাকে আমাকে কখনও বই পড়তে বলেননি। তাঁরা শুধু বলতো পাঠ্য বই পড়তে। আমি নিজের বিবেকের তাড়নায় বই হাতে তুলে নিয়েছি। টাকা ছিলো না, চাইলেও নিজে বই কিনে পড়তে পারতাম না। তখন আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে চেয়ে বই আনতাম। সারারাত জেগে পড়তাম। বড় ভালো লাগতো। আমি দেখেছি বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু দুনিয়াতে আর কেউ না। এজন্য আমি বইকে আকড়ে ধরেছি। বই পড়েই আমি আমার ভুল গুলো খুঁজে বের করতে পেরেছি। মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি।
বর্তমানে যারা বাংলাদেশে লেখালেখি করছেন-
হাতে গোনা গোনা দুই একজন ছাড়া আর কারো লেখা হৃদয়কে নাড়া দেয় না। বেশির ভাগ লেখকের লেখা পড়ে বিরক্ত লাগে। এরচেয়ে কোরাতে বা ব্লগ গুলোতে অনেক ভালো লেখা পড়তে পারা যায়। তাহলে আমি টাকা দিয়ে কেন সস্তা লেখকদের বই কিনে পড়বো? আমি ব্লগে লিখি। আমার লেখা বেশির ভাগ মানুষ পড়ে না। আমি যা-ই লিখি। নিজেই বারবার পড়ি। ভাবি কেন লিখলাম! আমার লেখা দুনিয়াতে আমি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ব্যাক্তি পড়ে না। এজন্য যা মন চায় এলোমেলো লিখতে পারি। ভুসিমাল নিয়ে তো কেউ আর রিসার্চ করবে না। ইচ্ছা হলে দাড়ি দেই, ইচ্ছা হলে কমা দেই। ইচ্ছা হলে গালি দেই। স্বাধীন দেশে আমি স্বাধীন। আমি এই প্রজন্মকে সব সময় বই পড়ার কথা বলি। বলি, বাবারা বই পড়ো। ঠকবে না।
একটা ঘটনা বলি-
খবর পেলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এসেছেন ঢাকায়- একটা কবিতা উৎসবে। উঠেছেন রেডিসন হোটেলে। আমার প্রিয় লেখক সুনীল। রাত জেগে জেগে তার কত বই পড়েছি। ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে চলে গেলাম রেডিসনে। নানান বিধিনিষেধ অমান্য করে, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে গেলাম লেখকের রুমে। রুমে গিয়ে দেখি আমার প্রিয় লেখক মদ খাচ্ছেন। তার চোখ লাল হয়ে আছে। হাতে জলন্ত সিগারেট। আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন। বললেন- অটোগ্রাফ নিবে, ছবি তুলবে? আমি বললাম- না। এসব কিছু না, শুধু আপনাকে দেখতে এসেছি। সেদিন সুনীল আমাকে তার একটা বই এবং একটা কলম গিফট করেছিল।
আরেকটা ঘটনা বলি-
হুমায়ূন আহমেদকে দেখলাম মন খারাপ করে ধানমন্ডি লেকে বসে আছেন। আমি খুব সাহস নিয়ে তার পাশে গিয়ে বসলাম। হঠাত এক চা বিক্রেতা আমাদের সামনে আসতেই- আমি বললাম দু'কাপ চা দাও। হুমায়ূন আহমেদ খুব আরাম করে চা খেলেন। তারপর সিগারেট। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত নানান বিষয় নিয়ে গল্প বললেন। আমি অবাক হয়ে তার অদ্ভুত সব গল্প শুনলাম। আমি এর আগে এত সুন্দর করে, এত সহজ করে কাউকে গল্প বলতে শুনিনি। স্যার আমাকে বললেন- তুমি শ্রোতা হিসেবে খুব ভাল। চলো আজ তোমাকে পুরান ঢাকা নিয়ে গিয়ে ভোলা ভাইয়ের বিরানী খাওয়াবো।
আমার একটা প্রিয় বই আছে।
'দি আদার সাইড অভ মিডনাইট' লেখক- সিডনি শেলডন। যেহেতু বইয়ের নাম "দ্যা আদার সাইড অফ মিডনাইট "এবং লেখক সিডনি শেলডন, সে হিসেবে সবাই থ্রিলারই বলবে। কিন্তু আমি এটাকে একচেটিয়া থ্রিলার বলতে রাজি নই। সামাজিক উপন্যাস? বলা যায়। রোমান্টিক উপন্যাস? সন্দেহ নেই! থ্রিলার? তা তো বটেই! আমার আরেকটা পছন্দের বইয়ের কথা বলি- ম্যাডাম বোভারি' লেখক- গুস্তাভ ফ্লবার্ট। একজন চিকিৎসক নারীর জীবনের নানা বর্ণিল দিকগুলোর অসাধারণ উপস্থাপন উপন্যাসটিকে হৃদয়ছোঁয়া করেছে পাঠকদের কাছে। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের আড়ালে একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজে নতুন করে স্বপ্নবোনা এবং সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গল্প উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে পাঠকদের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে যাওয়ার পেছনের আসল শক্তি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
মেয়ের এবার ঈদের অনেক গুলো জামা হয়েছে।
লাল, নীল, কালো, হলুদ। সব রকম জামা সে ঈদে উপহার পেয়েছে।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: দুঃখ পেলাম স্যার শব্দটা শুনে।ইংরেজদের এই শব্দটাকে আমি ঘৃণাই করি।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমা করবেন।
তবে আমি ভালোবেসে স্যার বলেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০০
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার পড়ার অভ্যাস একটা ভালো দিক।জানতে হলে পড়তে হবে।এই দিকে আমার অবস্থা খুবই খারাপ।অনেক আগে প্রায় ৪০/৫০ বছর আগে বেশকিছু বই পড়েছি।তার পর দীর্গ বিরতে দিয়ে ১৫/১৬ বছর আগে স্যাম হ্যারিস,ড্যানিয়েল ডেনেট,রিচার্ড ডকিন্স এদের কিছু বই পড়েছি।আবার বিরতি দিয়ে হারারির কিছু বই পড়েছি।৩/৪ বছর আগে।তিন চারটা বই কেনা আছে,পড়া আর হয় না।হবে কিনা তাও জানি না।আসলে আমি বেশ সময় নিয়ে বই বড়ি।পড়ার ইচ্ছা না হলে পড়তেই পারি না।আর সহজে ইচ্ছাও হয় না।
লাল পোশাকে মেয়েকে বেশ ভাল লাগছে।