নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এটা আধুনিক যুগ। বিজ্ঞানের যুগ।
এই যুগে মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করে না। একসময় মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তখন মানুষ অনেক কাজ করতো, যা এখন হাস্যকর। যেমন ধরুন, সেই আমলে কারো মাথায় উকুন হলে বলা হতো- রোজা রাখো, মাথা কামিয়ে ফেলো, বরকি কোরবানী দাও। কিন্তু এখন কারো মাথায় উকুন হলে- উকুন নাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করবে। উকুন চলে যাবে। কিন্তু নবীজির আমলে উকুন থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য রোজা রাখতে বলা হতো। সেই সাথে বরকি কোরবানী। খেজুরের ঘটনাও সেরকম। এইসব বিষয় গুলো সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু নেই।
খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।
প্রাচীন কালে মিশরীয়রা খেজুর দিয়ে মদ বানাতো। বিশ্বে প্রায় তিন হাজার রকমের খেজুর রয়েছে। যাইহোক, সহজ সরল সত্য কথা হলো- কেউ যদি আজওয়া খেজুর খেয়ে বিষ খায়, তাহলে সে নিশ্চিত মরবে। যেহেতু সকালে আজওয়া খেঁজুর খেলে বিষ কাজ করে না, মুমিনদের উচিত আজওয়া খেঁজুর খেয়ে বিষ পান করে দেখিয়ে হাদিসের সত্যতা প্রমাণ করা। প্রমান করতে গেলেই সে ধরা খাবে। অনেক চালাক হুজুর বলেন, এটা জাল হাদীস। আবার অনেক চতুর হুজুর বলেন, হাদিসে আসলে সাধারন দেহের যে সকল বিষ রয়েছে সেগুলাই ক্ষতি করবে না এটাই বুঝানো হয়েছে।
ধর্ম বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে আছে।
ধর্ম বলে শুধু বিশ্বাস করে যাও। কোনো প্রশ্ন করো না। আর বিজ্ঞান বলে, যুক্তি প্রমান ছাড়া কিছু বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। তাই সাতটা আজওয়া খেজুর খেয়ে, বিষ খেলে মানুষ মরবে না এটা হাস্যকর। ধর্মে এরকম বহু হাস্যকর বিষয় আছে। যা এই আধুনিক যুগে কেউ মানে না। স্বয়ং হুজুরেরাও মানে না। যে হাদিসের ব্যাখ্যা নাই এবং যে হাদীসে আজাইরা কথা বলা হয়েছে- তখন হুজুররা বলে দেয়- এটা জাল হাদীস। মূলত সমস্ত হাদীস গুলোই বানোয়াট। বানোয়াট হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন নবীজি মৃত্যুর বহু বহু বছর পর হাদীস গুলো লেখা হয়েছে। একদল চতুর লোক ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার জন্য বানোয়াট হাদীস তৈরি করেছে। হুজুরেরা সেটা নিয়েই লাফাচ্ছেন।
অনলাইনে এক ভিডিও খুব ভাইরাল হয়।
ভিডিও তে দেখা গেলো- এক হুজুর বিষ খেলো। সে বলল, কিন্তু আমি মারা যাবো না। কারন আজওয়া খেজুর খেয়ে বিষ খেলে মানুষ মরে না। অনেক দর্শক অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। অনেক গুলো ক্যামেরা। অনেক জ্ঞানী গুনী লোক সামনে। হুজুর এক বোতল বিষ খেয়ে ফেলল। এবং হুজুর মারা গেলো না। ধার্মিকেরা এই ভিডিও লাখ লাখ বার শেয়ার করলো। উপস্থিত দর্শকেরা আসল ঘটনা বুঝতে পারে হাসলো। আসল ঘটনা হলো- হুজুর বিষ খায়নি। বোতলে করে সে নিজে পানি এনেছিলো। পানিতে কোনো বিষ ছিলো না। যদি কোনো ধার্মিকের মনে সংশয় আসে তাহলে আজওয়া খেজুর খেয়ে বিষ খেয়ে নিন।
যাদের ৩৫ বছর পেরিয়ে গেছে-
তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাওয়া উচিৎ। গর্ভবতী নারীদের খেজুর খাওয়া ঠিক না। মোটা মানুষদের খেজুর খাওয়া ঠিক না। দুই বছর হওয়ার আগে শিশুদের খেজুর খাওয়া সঠিক কাজ নয়। আমি সব সময় ফ্রিজে খেজুর রাখি। আমার কন্যা খেজুর খেতে পছন্দ করে। আমি কখনও দুটার বেশী খেজুর খাই না। খেতে পারি না। দুটা খাওয়ার পর আর খেতে ইচ্ছা করে না। আজওয়া খেজুরের চাহিদা বেশি। এজন্য এ খেজুরের দাম সবচেয়ে বেশি। আবার আজওয়া খেজুর নানান পদের হয়। বিশ্বের সব দেশেই কম বেশি খেজুর হয়। তবে আফ্রিকার কিছু দেশে বেশ ভালো ও উন্নত মানের খেজুর হয়।
©somewhere in net ltd.